• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫২ | অক্টোবর ২০১২ | প্রবন্ধ
    Share
  • বাংলা বানান সমস্যা : উদয় চট্টোপাধ্যায়


    ছোটোবেলায় আমার স্কুলের এক সহপাঠী 'কুজ্ঝটিকা' বানান করতে শিখিয়েছিল 'ক এ হ্রস্ব-উ ঝটপট ট-এ হ্রস্ব-ই ক-এ আ-কার'। জটিল বানানের এ-হেন সরলীকরণ বাংলা শিক্ষকরা নিশ্চয়ই বরদাস্ত করবেন না। তবে অনেক বাংলা শব্দের বানান যে খুব সহজ সরল নয়, এ কথা তাঁরাও স্বীকার করবেন। 'পরিষ্কার পুরস্কার আবিষ্কার তিরস্কার' এক নাগাড়ে বানান করতে বললে বা 'আকাঙ্ক্ষা'-র শুদ্ধ বানান লিখতে অনেকেই অকৃতকার্য হবেন। শুধু যে যুক্ত অক্ষরের শব্দের ক্ষেত্রে এই অসুবিধা তা নয়। 'কনীনিকা কিরীটী পিপীলিকা শারীরিক' বানান করতে অনেকেরই হ্রস্বদীর্ঘ জ্ঞান কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। হ্রস্ব-উ দীর্ঘ-ঊ-র ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। উদাহরণ স্বরূপ হাজির করা যেতে পারে 'নূপুর দুর্গা দূর্বা উষা ঊর্মি ঊর্ধ্ব' ইত্যাদি শব্দগুলোকে। 'ঊষা ঊষসী ঊর্বশী' পুরানো বানানগুলো বর্জিত না-হলেও বিকল্পও বানান 'উষা উষসী উর্বশী'র প্রয়োগ ক্রমবর্ধমান। 'দূর্গা' বানান ব্যাকরণ বা অভিধানসম্মত না-হলেও এবং এ-ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প বিধান না-থাকলেও 'দুর্গা'-র এই দুর্গতি প্রায়শই আমাদের গোচরীভূত হয়ে থাকে।

    প্রায় অর্ধশতক আগে কোনো দোকানের সামনে 'পুজোর বাজার এখানেই করুণ' এই বিজ্ঞাপন দেখে বাংলা বানানের করুণ অবস্থার আলোচনা করেছিলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় 'দেশ' পত্রিকায় 'সুনন্দর জার্নালে'। বিজ্ঞাপনে বা সাইনবোর্ডে বাংলা বানানের বিপর্যয়ের ট্র্যাডিশন এখনও সমানে চলেছে। পথ চলতে চলতে একদিন চোখে পড়ল, কিংবা বলা ভালো, চোখে বিঁধল একটা সাইনবোর্ডে লেখা 'বিনাপাণি পুস্তক ভাণ্ডার'। এই অপূর্ব বানানের তত্ত্ব উপলব্ধি করতে অসুবিধা হল না। বাংলা সঙ্গীতের বর্তমান হালচাল দেখেই হয়তো বীণা বর্জন করেছেন বাগ্‌দেবী, এবং সেইসঙ্গে তাঁর যুগল পাণিও। জগন্নাথ যেমন বড়ো বড়ো চোখ মেলে সবার কাণ্ডকারখানা দেখেন কিন্তু হাত না-থাকায় কিছু করতে পারেন না বা করতে চান না বলে হাত বাদ দিয়েছেন, দেবী সরস্বতী হয়তো সেই রোল মডেলটি বেছে নিয়েছেন। তাঁর বোনের হেনস্থাও কম নয়। 'লক্ষী' বা 'মা লক্ষী' লেখা দোকানের নাম প্রায় প্রতি পাড়াতেই খুঁজে পাওয়া যাবে। কলকাতার গিরিশ পার্কের সাইনবোর্ডে পুরসভা নাট্যাচার্যের পিতৃদত্ত নামটা বজায় রাখলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে নির্দ্বিধায় 'গিরীশ' বানিয়েছেন; পশুপতি যে নগাধিপতি হয়ে পড়েছেন সেটা তাঁদের মনে হয়নি। এক ওষুধের দোকানকে সগর্বে ঘোষণা করতে দেখেছিলুম 'যাবতীয় ঔষধের বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান' বলে। তাঁদের ওষুধগুলো দৈব নয় রীতিমতো 'down to earth' এটাই হয়তো তাঁদের বক্তব্য। এটা মনে পড়াল বহুদৃষ্ট রাজনৈতিক দেওয়াল-লিখনকে যেখানে আহ্বান জানানো হয়েছে 'দুর্নীতিগ্রস্থ' সরকারকে হটানোর জন্যে। অঘোষবর্ণের জায়গায় ঘোষবর্ণ বসালে ঘোষণাটা জোরদার হবে ভেবেই হয়তো এই প্রয়োগ, যেমন একটু বেশি শক্তপোক্ত হবে বলে ক্যাবলাকে 'lamp post'-এ আর একটা 't' যোগ করার পরামর্শ দিয়েছিল টেনিদা। তবে এই ধরনের ভুলগুলো অনিচ্ছাকৃত, অনবধানতাবশত অথবা অজ্ঞতাপ্রসূত।

    বাংলা বানানের মূল সমস্যাগুলো হল ই, ঈ, উ, ঊ-কার যুক্ত শব্দগুলোকে নিয়ে, ক্রিয়ার কিছু কথ্য রূপ নিয়ে, ঙ এবং অনুস্বারের (ং) ব্যবহার নিয়ে, শব্দের শেষে বিসর্গের (:) প্রয়োগ নিয়ে, দন্ত্যন্য মূর্ধণ্য নিয়ে, ও-কারের প্রয়োগ নিয়ে, বিদেশি শব্দের বাংলা রূপ নিয়ে। বাড়ি পাখি লিখব, না বাড়ী পাখী? কি অথবা কী? পুজো ধুলো লিখব না পূজো ধূলো? 'হইত' বোঝাতে কী লেখা হবে — হত, হতো, না হোত? লিখব না লিখবো? করলাম খেলাম গেলাম, না করলুম খেলুম গেলুম, অথবা করলেম খেলেম গেলেম? বাংলা লিখব, না বাঙলা? বাঙালি, না বাঙ্গালি? ইতস্তত লেখা হবে, না ইতস্ততঃ? অঘ্রান মানিক লিখব, না অঘ্রাণ মাণিক? ভালো ছোটো বড়ো আঠারো, না ভাল ছোট বড় আঠার? মাস্টার স্টেশন খ্রিস্ট লিখব, না মাস্টার স্টেশন খৃষ্ট?

    বাংলা বানানে বিশৃঙ্খলা দূরীকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন ১৯৩২ সালে। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকেই এই কাজের দায়িত্ব অর্পণ করে। পরে রাজশেখর বসুর সভাপতিত্বে বানান সংস্কার সমিতি গঠিত হয়, এবং 'বাংলা বানানের নিয়ম' প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালের মে মাসে। পাঁচমাস পরে প্রকাশিত হয় কিছু পরিবর্তনসহ তার দ্বিতীয় সংস্করণ। এই পুস্তিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কের প্রবল ঝড় ওঠে। কোনো কোনো সমালোচনায় সমালোচকের পণ্ডিতম্মন্যতা ও রবীন্দ্রবিদ্বেষ প্রকট হয়ে ওঠে। তা সত্ত্বেও এই বানানবিধি একটা নির্দিষ্ট পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নেয় ও অধিকাংশ অভিধানের মান্যতা লাভ করে। ১৯৮১ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এক নতুন কমিটি গঠন করে। এই কমিটি একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে ২০০ জনের মতো বিবুধজনের কাছে মতামত সংগ্রহের জন্যে পাঠিয়েছিলেন এবং নতুন সংস্কারে উদ্যমী হয়েছিলেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে নি। এর পরে ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগী হয়েছেন মণীন্দ্রকুমার ঘোষ, জগন্নাথ চক্রবর্তী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পবিত্রকুমার সরকার, পরেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখেরা। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ১৯৯৭ সাল থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে 'আকাদেমি বানান অভিধান' প্রকাশ করে চলেছেন, আর এর মান্যতা ক্রমবর্ধমান। বাংলাদেশে ঢাকা বাংলা একাদেমিও ১৯৯২ সাল থেকে এই কাজে ব্রতী হয়েছে।

    কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বানান সংস্কার সমিতি কয়েকটি মূলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "বানান যথাসম্ভব সরল ও উচ্চারণমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়, কিন্তু উচ্চারণ বুঝাইবার জন্য অক্ষর বা চিহ্নের বাহুল্য এবং প্রচলিত রীতির অত্যধিক পরিবর্তন উচিত নয়।" সেটাই স্বাভাবিক। বানান শব্দটির বুৎপত্তি 'বর্ণনা' থেকে। বর্ণসমষ্টির একটা বিশেষ রূপ পাঠকের মনে প্রোথিত হয়ে যায়। স্বল্প পরিবর্তনে সেই রূপের বিশেষ হানি হয় না, বড়ো রকমের ভাঙচুরে রূপটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। তাই নতুন শিক্ষার্থী আর মুদ্রণের সুবিধার জন্যে গুণ রূপ হৃদয় সঙ্গীত এর জায়গায় গুণ রূপ হৃদয় সংগীত অবশ্যই স্বাগত। একই চিহ্ন র-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে রূ হচ্ছে আবার হ-এ যুক্ত হয়ে হৃ হচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তিকর ও পরিত্যজ্য। কিন্তু তিন 'স'-এর স্থলে এক 'শ', দুই 'ন' এর স্থলে এক 'ন', দুই 'জ' এর স্থলে এক 'জ' চালু করার জন্যে নরেন্দ্র দেবের প্রস্তাব লেখক ও শিক্ষকমহলে গ্রহণীয় বিবেচিত হয়নি। তেমনই গৃহীত হয়নি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তঅক্ষর ভেঙে 'স্টেশনমাস্টার'-কে 'স্‌টেশনমাস্‌টার' লেখার প্রস্তাব অথবা হিন্দির অনুকরণে কন্টক চন্দ্র পণ্ডিত-কে কংটক চংদ্র পংডিত লেখার প্রস্তাব। ইংরেজি 'Z' এর উচ্চারণ বোঝাতে ('Zআনতি পার না' - পরশুরাম) জ এর নীচে ফুটকি ব্যবহারের প্রস্তাব কিংবা 'অ্যা' উচ্চারণ বোঝাতে (যেমন, কেন) মাত্রাসমেত এ-কার ব্যবহারের প্রচেষ্টাও অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশে Z বোঝাতে 'য' ব্যবহারের প্রচেষ্টা লক্ষ করা গেছে (যেমন, মযহারুল), কিন্তু 'য' সংস্কৃতে 'ইয়' উচ্চারিত হওয়ায় আর বাংলায় তৎসম শব্দের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই সংস্কারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।

    আকাদেমির বানান সংস্কারে প্রধান প্রধান সিদ্ধান্তে কয়েকটি হল :

    ১) তৎসম শব্দের বানান :
    যে-সব শব্দের প্রচলিত বানানে দীর্ঘ-ঈ দীর্ঘ-ঊ র বিকল্পও সংস্কৃতেই আছে সেগুলির ক্ষেত্রে হ্রস্ব-ই ব্যবহৃত হবে। যেমন — অবনি, গ্রন্থাবলি, শ্রেণি, উষা, উর্বশী ইত্যাদি। দুটি রূপকে পাশাপাশি চলতে দিলে শিক্ষার্থীর বিভ্রান্তি বাড়ে, আর বানান সরলীকরণের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।

    শেষে বিসর্গ বাদ দিতে হবে। যেমন - ইতস্তত, ক্রমশ, প্রায়শ, বিশেষত ইত্যাদি।

    রেফের তলায় ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব হবে না। যেমন - ধর্ম, কর্ম, সূর্য, আচার্য ইত্যাদি। এমনকি, 'কৃত্তিকা' উদ্ভূত হলেও 'কার্তিক' লেখা হবে।

    অহংকার, শুভংকর ইত্যাদি হবে, কিন্তু বংগ, অংক, আকাংক্ষা হবে না।

    ২) অ-তৎসম শব্দের বানান :
    কোথাও দীর্ঘ-ঈ-কার বা দীর্ঘ-ঊ-কার হবে না। যেমন — বাড়ি, পাখি, বাঘিনি, বাঙালি, নেতাজি, ফরাসি, ইংরেজি ইত্যাদি।

    প্রসঙ্গত, এ- উদ্যোগ রবীন্দ্রনাথ পথিকৃৎ হিসাবে নিয়েছিলেন। তাঁর 'সহজপাঠ'-এ পাই পাখি, দিঘি ইত্যাদি বানান। সংস্কৃত 'পক্ষী' শব্দ থেকে উদ্ভুত তদ্ভব 'পাখি' বাংলায় হ্রস্ব উচ্চারণের কারণেই 'পাখী' হওয়া সঙ্গত নয়। তেমনই, 'দীর্ঘিকা' থেকে 'দিঘি'।

    কি এবং কী কোথায় হবে? যে-সব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' অথবা 'না' হবে সেগুলিতে 'কি' ব্যবহার্য। যেমন - তুমি কি কলকাতা যাবে? কিন্তু তুমি কী করছ?

    তৎসম পূজা, পূর্ব, ধূলি, কিন্তু তদ্ভবে পুজো, পুব, ধুলো। কারণ বাঙালি এগুলির দীর্ঘ উচ্চারণ করে না।

    ও-কারের ব্যবহার - বারো থেকে আঠারো, কালো, ভালো, ছোটো, বড়ো, ধারালো, সাজানো, লুকোবে ইত্যাদিতে এবং অনুজ্ঞায় ক্রিয়াপদের শেষের ব্যঞ্জনে, যেমন - বলো, করো, বোসো ইত্যাদি।

    চলতি বাংলা উচ্চারণে 'গ' নেই বলে বাঙালি, আঙুল, ভাঙা লেখা হবে, কিন্তু 'গ' থাকার কারণে জঙ্গল, দাঙ্গা ইত্যাদি।

    লুপ্ত অ-কারের (') ব্যবহার বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাক্যের অর্থের উপর নির্ভর করে উচ্চারণ অ-কারান্ত কিংবা ও-কারান্ত হবে। যেমন - সে এই কথা বলে, তা বলে তুমিও কি তাই বলবে?

    অ-তৎসম শব্দে ণত্ব বিধি খাটবে না। যেমন - অঘ্রান, মানিক, রানি, ব্রাউন, ফার্নিচার ইত্যাদি।

    সব অ-তৎসম ও বিদেশি শব্দে ব্যবহৃত হবে দন্ত্যন্য-এ ট (ন্ট), দন্ত্যন্য-এ ঠ (ণ্ঠ), দন্ত্যন্য-এ ড (ন্ড)। যেমন - ক্যান্টিন, লণ্ঠন, লন্ডন; কিন্তু কন্টক, কণ্ঠ, মুণ্ড।

    বিদেশি শব্দে 'ষ্ট' না লিখে 'স্ট' লিখতে হবে। যেমন - মাস্টার, স্টেশন, খ্রিস্ট ইত্যাদি।

    এই পরিবর্তন প্রস্তাবের অনেকগুলিই গৃহীত হয়েছে, সংবাদপত্রে বা বইপত্রে যার নিদর্শন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সব সংস্কার সত্ত্বেও বাংলাভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানানের জটিলতা থেকে যাবে, এবং শিক্ষার্থীদের তা কষ্ট করেই শিখতে হবে। মুদ্রণেও যুক্ত অক্ষরের টাইপ কেস বেশ কিছু বজায় রাখতে হবে (যদিও প্রবন্ধ শুরুর 'কুজ্ঝটিকা' এখন লেখা হচ্ছে 'কুজ্‌ঝটিকা', এবং এরকম আরও কয়েকটি যুক্ত অক্ষর সম্বলিত শব্দ)। তবু অ-তৎসম শব্দে একই চেহারার 'যুক্তক' (ব্যঞ্জন+স্বরচিহ্ন) রাখার প্রস্তাব ও প্রয়াস অবশ্যই স্বাগত। বড়োদের কাছে শব্দগুলি একটু অন্যরকম ঠেকলেও ছাত্রছাত্রীরা এই নতুন রূপেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পরিবর্তন দরকার। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন চাপরাশ না-থাকলে কেউ মান্য করবে না। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ আর সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা বাংলা বানানকে জটিলতার পাশ থেকে অনেকটা মুক্ত করবে এই আশা করা যায়।

    গ্রন্থ সহযোগিতা
    বানান বিতর্ক — নেপাল মজুমদার সম্পাদিত, তৃতীয় সংস্করণ ২০০৭ (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি)



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments