সরকারিভাবে শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশ করবার পরিকল্পনা ছিলো না, কিন্তু সেইরকম সময়-সারণির সঙ্গে এই সংখ্যার প্রকাশকালের সঙ্গতি থাকছেই যখন, তখন পাঠকদের এটাকে শারদীয়া সংখ্যা হিসেবে মনে করতে বলা যেতেই পারে। আশা করি পরবাস-৫২ আপনাদের নিরাশ করবে না।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও হুমায়ূন আহমেদ দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়। সঙ্গত কারণেই। এঁদের আকস্মিক প্রয়াণ তাই বাংলাসাহিত্যের পাঠকদের কাছে খুবই মর্মান্তিক। তার আভাস পাওয়া যাবে 'স্মরণে' বিভাগের পাঁচটি লেখা থেকে। খুব কম সময়ের মধ্যে এগুলো লিখে দেবার জন্যে লেখকদের ধন্যবাদ জানাই। হুমায়ূন আহমেদের উপর লেখাগুলি আরো কিছুদিন আগে প্রকাশ করতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু নানাকারণে দেরি হয়ে গেল বলে আমরা দুঃখিত। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার পরবাস-এর প্রথমদিকেই বেরিয়েছিলো, তাঁর কতকগুলি লেখার ইংরেজি অনুবাদও বেরিয়েছে নানাসময়ে। সেগুলি সব পাওয়া যাবে এইখানে।
কোনোরকম পরিকল্পনা ছাড়াই আবার দেখা যাচ্ছে যে এই সংখ্যাতে বেশ কয়েকটি অনুবাদ আপনাদের উপহার দিতে পারছি। তারজন্য আমরা খুব খুশি। উর্দু, জর্মন ও পর্তুগীজ ভাষার দিক্পালদের তিনটি গল্পের মৌলিক অনুবাদ আছে, সেইসঙ্গে একটি সম্পূর্ণ বই-এর আকারে গতশতকের অসমীয়া কবিদের কবিতার অনুবাদ। সেটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। আমরা আরো অনুবাদ প্রকাশ করতে চাই, এবং বিশেষ করে চাই অন্য ভারতীয় ভাষার সাহিত্যের অনুবাদ।
সবাইকে এই সুযোগে বিশেষভাবে শারদ শুভেচ্ছা জানাই।