বিশেষ পরিকল্পনা না-করেও এই সংখ্যাতে বেশ কয়েকটি গল্প যোগ করা গেল। কিছুটা স্ফীতকায় হলেও পরবাসের বহর ভয়াবহ রকমের কিছু হয়নি। তাহলেও উৎসাহী পাঠককে এখন অনুরোধ করা যায় 'পরবাস'-কে তাঁদের আন্তর্জাল-ব্রাজকের পছন্দের তালিকায় রেখে দিতে, যাতে অনেকদিন ধরে সহজেই একে একে লেখাগুলি পড়ে উঠতে পারেন।
হরেরাম ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯২৮ সালে, মৃত্যু ২০০২-তে। উনি সমধিক পরিচিত দিবাকর ভট্টাচার্য নামে। কিন্তু যতোটা পরিচিত হবার কথা, তা হননি, কারণ তিনি নিজেই। নিজের অনেক লেখা জীবদ্দশাতে প্রকাশ করতে চাননি। তাঁর পুত্র রঞ্জন ভট্টাচার্য দিবাকরবাবুর একটি অপ্রকাশিত গল্প আমাদের দিয়েছেন। খুব সম্প্রতি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটি লেখায় দিবাকর ভট্টাচার্যের একটি বই প্রকাশ করার জন্য তাঁর পুত্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রঞ্জনবাবুকে আমাদের ধন্যবাদও সেইসঙ্গে জানিয়ে রাখি।
কোনো লেখকের এইরকম নির্দেশ অবশ্য ব্যতিক্রম। কিন্তু অনেকের কাছে হয়তো অনেক পুরোনো ফটো আছে, যা বিষয়ের গুণে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক গণ্ডির বাইরেও সাধারণের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে। অনেক সময়েই এগুলো নষ্ট হয়ে যায়, আর আমরা হারিয়ে ফেলি পুরোনো দিনের তথ্য, সামাজিক দলিল, বিশেষ আর্টই হয়তো বা। প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে, কপিরাইট মেনে, এইরকম ছবি (ছবির প্রতিচিত্র বা স্ক্যানই ভালো হবে) আমাদের পাঠালে বিবেচনা করে দেখতে পারি 'পরবাস'-এর মাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করা যায় কি না।
আশা করি আপনারা ভেবে দেখবেন, ও মতামত জানাবেন।
আরো কিছু লেখা যোগ করা হতে পারে, কাজেই আশা করি পরবাস-এ আপনাদের প্রায়ই দেখা পাবো।