যাপন
কিছু জরা নিতে পারো, নিঃশব্দ যাপন?
বহুজন্ম খুঁড়ে চলে, এ অমোঘ বৃষ্টির উত্থান
দু-দণ্ড সন্ধান করে—পলাশ ফুলের দাগ,
পোশাকআশাকে আর মধ্যমায়...অহরহ
পুরোন চিঠির ভাঁজে, নিটোল আবিলতায় খোঁজে
সামন্তভূমির মত দু’হাতে ছিলার টান
ধরে থাকে—ধরে থাকে আদিগন্তময়
যদিও এ কারাবাস—প্রতিবাদ ন্যুব্জ করে দেয়
শুধু প্রতিবাদ কেন? আত্মজের প্রেমটুকু ক্ষয়ে আসে,
ধ্বস্ত ঋতুকাল গোনে, আসানের প্রতিটি শরীর...
ঈশ্বর তুমিও জানো অপেক্ষার সময় সীমিত
তার চেয়ে নিঃসাড় মুছে ফেলা শ্রেয় হবে
চাতকের অভ্যাস
তারপর এই ঋতু পলাশের মুক্ত বিছানা
যেখানে আদ্যবধি বৃষ্টি বলে ব্রাত্যদের কথা
সুখিয়ানা
এই তুমি কথা বলো ভঙ্গিমার?
অনেক যুগের পর তোমাতেও সুস্পষ্ট ফাটল
দেখি—আর উল্লসিত হই
এই মুদ্রা ভালো লাগে কবি?
‘নিষ্ঠুরতা’ কতোখানি আত্মস্থ করে প্রিয়জন ?
সংক্ষিপ্ত পরিসরে মুগ্ধতার নাম তুমি
‘অবকাশ’ রাখো, জানি
ধীবরের অভিলাষ রপ্ত ক’রে ফেলো
অতি অনায়াস..
পরিবৃত্ত খুঁজে পেলে
জ্যামিতিক কিছু মাপজোক
বৃত্ত আজও ভুলে যায়—
সেভাবেই বিস্মৃত হয়েছিলে
পথ ও পথের ছায়া—হোগলার বন
এখন নির্লিপ্ত বেশ প্রহসন সেজে ফিরি
সহস্র মোরামে ঢাকি বন্ধুর গলিপথ
মালিন্যের এখান-সেখান,
তীব্র বিষাদ শেষে বিদূরিত হয় ক্লেশ
সম্যক চিনে ফেলে এমনকি আপোসের ভাষা
তবু প্রেম, এই বেশ সুখিয়ানা—এখানেই
অন্য রকম বেশে দ্যুতিমান, স্তিমিত ঈশ্বর