• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৪৫ | এপ্রিল ২০১০ | গল্প
    Share
  • মধ্যপদলোপী : কল্লোল চক্রবর্তী



    এ কী ? অ্যাঁ ! ঠিক দেখছি তো ? বারকয়েক চোখ কচলে বেচা একটা হোর্ডিং এর দিকে তাকিয়ে রইল । বুক থেকে ভরসা উধাও হচ্ছিল । ঠোঁট কাঁপছিল । ভেতরে ভেতরে একটা কষ্ট, যেন রক্তের দৌড় থামিয়ে দেবে । সব অন্ধকার হয়ে আসছিল । তবুও সে জোর করে তাকিয়েছিল ।

    হোর্ড়িং-এ শুয়ে আছে মঞ্জরি । বাথটবে । নগ্ন পা শূন্যে তুলে । মাথায় গোল, কালো, বেড় দেওয়া টুপি । ঘাড় রয়েছে বাথটবের বেডের ওপর । ডান হাতটা বাইরে ঝুলছে । একটা টাওয়েল ধরে আছে । সত্যিই মঞ্জরি তো ? না ! সেই চোখ সেই নাক । সেই মুখ । সেই পাকা গম গায়ের রঙ । সেই দুষ্টুমি ভরা হাসি । তাছাড়া, গত আটবছর একসঙ্গে থেকে সে কি মঞ্জরির সঙ্গে অন্য কোনো মহিলাকে গুলিয়ে ফেলবে ?

    তাজ্জব ব্যাপার হল, বেচা বা বেচারাম রায়, সরকারি করুণায় উচ্চশ্রেণির কেরানি, টিফিনের সময় আধঠোঙা মুড়ি কিনে চিবোতে চিবোতে একটা বড় গাছের ছায়ায় দাঁড়ায় । সে পুলকিত ছিল, যখন শ'দুয়েক গজ দূরে, গোলপোস্টের মত পাতা, সেই লোহার খাম্বায় আগাগোড়া ঢাকা দেওয়া হোর্ডিংটা ওপর উঠছিল । আর, হাওয়া বা অনবধানতায় রোমহীন নগ্ন পা যখন বেরিয়ে আসছিল, বেচার চোখ বিস্ফারিত হচ্ছিল । সে ভাবল, যাক বাবা, সুড়সুড়ি দেবার মত কিছু উন্মোচিত হবে । দেখতে তো দোষ নেই । টাঙাতে পারো, দেখব না । ওটা যে মঞ্জরি, সাত পাকে বাঁধা বউ, এতেই তো হৃদক্রিয়া বন্ধ হবার জোগাড় ।

    পকেট থেকে সাদা-কালো মান্ধাতার আমলের মোবাইল বার করে বেচারাম বউকে ফোন করল । সুইচ্ড অফ । অবশ্য এ সময়টা রোজই ফোন বন্ধ থাকে । মঞ্জরি বলে, হাউস-ওয়াইফদের একটা জিনিসে হাত দেবে না ।

    কী সেটা ?

    ভাতঘুম, বুঝলে হরিদাস ।

    এরকম হ্যাটা করে কথা বললেও, এ সত্য, সে দরজা-জানলা সব সাঁটিয়ে খেতে যায় । খেয়ে আঁচানোর শুধু অপেক্ষা । নিদ্রাদেবী সঙ্গে সঙ্গে ভর করেন । বেলা পড়ে এলে ঘুম ভাঙবে । গলার কাছে অম্বল অম্বল ভাব । পেটটা ভারি ভারি । সে যা হোক, না ঘুমোলে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে থাকে । ছুতোনাতায় ঝগড়া বেঁধে যায় । তবে কি এসব ছলনা ? কিন্তু, কী ভাবে তার সাহস হল, এইভাবে হোর্ডিং এ শুয়ে থাকার ? গতরাত, আজ সকাল, সবকিছু স্বভাবিক । তবে ?

    অন্য আর একটা ব্যাপার চেপে বসল । লোকলজ্জা । অফিসের অনেকেই মঞ্জরিকে দেখেছে । তারা যখন দেখবে ? ঢি ঢি পড়ে যাবে । ছি: ! কী করবে এখন ? আজকাল অফিস কাটাও সমস্যা । লোকজন কম । এনতার কাজের চাপ । কিন্তু, সে সরল, সদালাপী, হাসি হাসি, মুখ নিয়ে অফিস ফেরত যায়ই বা কী করে, যতক্ষণ না একটা হেস্ত নেস্ত হচ্ছে ।

    বেচা বাড়িতেই যাবে । যদি মঞ্জরিকে না পায়, অপেক্ষা করবে ওৎ পাতা বাঘের মত । এলেই ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়বে । বাঁদরামি । ছোটলোকমি । অসভ্যতা । মজা হল, এর বেশি গালাগাল দিয়ে নীচে নামতে বেচারাম কখনও পারেনি । ভাবছিল, ভালোমানুষদের এই হয় । অফিসেও সে বড় একা । বোকা-হাঁদা প্রজাতির যেন । সাহেবসুবোরা তাকে কখনও ডাকে না । খেটে মরে । নাম হয় না । মঞ্জরিও নেয় সব । দেয় কতটা বিচার করতে করতে পাড়ার একটা বাসে লাফিয়ে উঠল । সমস্ত শরীর যেন আগুন হয়ে আছে । চড়া উত্তেজনা ভেতরটা জ্বালিয়ে দিচ্ছে ।

    যাচ্চলে ! বাসটা একে নুটুর খুটুর করতে করতে চলছিল । এবার একেবারে দাঁড়িয়ে পড়ল । পাড়া থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে । সামনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, তিনচাকার টেম্পো ভ্যান । অটো । সাইকেল রিকশ । বহু মানুষ নেমে হাঁটছে । দূর থেকে ভেসে আসছে তাসা পার্টির কুড় কুড় আর ছাগল বাঁশির প্যাঁ প্যাঁ । এই ভরদুপুরে, থুড়ি, পশ্চাত্‌-দুপুরে কোন দেবী মর্তে আগমন করলেন ? বিরক্ত, বিধ্বস্ত, চঞ্চল, বেচা বাস থেকে নেমে পড়ল । মাথার ওপর শ্রাবণ মেঘের জলভার । রোদ ছায়ার লুকোচুরি । ঠাণ্ডা, জলজ, বাতাস । তবু মন নির্ভার হচ্ছে কই । যেন পাথর চেপে বসে আছে । ঝড়ে কাত হয়ে যেন হোর্ডিংটা তাকে চাপা দিয়েছে । সে বিরাট আকৃতির মঞ্জরি কাছে লিলিপুট ।

    খানাখন্দের ওপর দিয়ে খোলা নর্দমার ধার ধরে সামাল সামাল করে বেচা ছুটতে চাইছে । দম নেই । হাঁপাচ্ছে ।

    সত্যিই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । সারি সারি তরুণ-তরুণী উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা । নাচছে । বাজনার তালে তালে । চলছে রথ । পুষ্প মঞ্জরিত । সেই রথে মোটা মোটা ফুলের মালা পরে একজন । কে লোকটা ?

    মিছিল থেকে একজন বেচার হাত টেনে ধরল, বেচাদা, মিছিলে এসো মাইরি । চলো চলো ।
    কিসের মিছিল এটা ? রাগ নেই । ক্ষোভ নেই । ফুঁসে ওঠা নেই । এত আনন্দ ?
    জানো না ?
    না !
    এহ ! মানিকদা, কোটিপতি হয়েছে ।
    কে মানিক ?
    ঐ যে ফড়িং বাবু বাই লেনে...
    হ্যাঁ ।
    সেখানে একধারে ভূতের বাড়ি ।
    হ্যাঁ । হ্যাঁ ।
    ঐ বাড়ি তো মানিকদার । ও আর ওর বুড়ি মা থাকে ।
    আ ।
    চলো । মিছিলে যোগ দাও । শেষে বোঁদে বাটবে ।

    না । আজ বড় তাড়া । মনে মনে বলে, বেচা হুড়মুড় করে দৌড়তে লাগল ।

    বাড়ির দরজা বন্ধ । সব জানলা বন্ধ । বাইরে অবশ্য তালা ঝুলছে না । তার মানে মঞ্জরি বাড়ির ভেতরেই আছে । যাক । বেচা মনে মনে সাজাল, কী ভাবে মঞ্জরিকে কড়া শাসন করবে । জালিয়াতি ? দেখাচ্ছি মজা । ডিভোর্স করবে । এরকম মহিলার সঙ্গে ঘর করা, কভি নেহি ।

    বার কয়েক, উত্তেজিত মন নিয়ে, ক্যাঁ ক্যাঁ করে কলিং বেল টেপার পর দরজা খুলল । দরজার ওপারে ঘুমে বিজড়িত চোখ । একটু বিরক্তি, একটু অবাক হওয়া চোখ । মৃদু, অস্ফুটে, হালকা হাসি মুখে ভাসিয়ে, হঠাৎ তুমি এসময় ? শরীর ঠিক আছে ?
    সব ঠিক আছে ।
    অফিস ছুটি হয়ে গেল ?
    হ্যাঁ, গাঢ় স্বরে বলে বেচা বাড়ির ভেতর ঢুকল । দেখল, শোয়ার ঘরের পাখাটা চালিয়ে রেখে মঞ্জরি দরজা খুলতে গিয়েছিল ।

    বেচা চেয়ারে ধপ করে বসে পড়ল ।

    মঞ্জরি বিছানায় বসে বলল, ভেবেছিলাম, কোনো সেল্স গার্ল । মাঝেমাঝে ওরা দুপুরের ঘুম চটকে দেয় । যাক কটা বাজল ? নিজেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, চারটে বেজে গেল ? না ! চা করি । চা খাবে তো ?
    হ্যাঁ ।
    চা করে আনি । শুধু চা খাবে ?
    টিফিন করেছি ।
    সেই মুড়ি ?
    জানো তো, এছাড়া আমি কিছু খাইনা ।
    হ্যাঁ । মঞ্জরি চা করতে চলে গেল ।

    ঘরের ভেতর পাখার হাওয়া । ঘরটা অন্ধকার হয়ে আছে । বেচা একটা জানলা খুলল । এদিকটা একটু বাগান আছে । অযত্নের তৈরি । জানলার বাইরে তাকিয়ে মনে হল, সেকি সঠিক দেখেছে ? যদিও তার দেখায় সে নি:সংশয় । মঞ্জরি ছাড়া কেউ হতে পারে না । ওর কোনো বোনই অত সুন্দর নয় । আচ্ছা, এমন তো হতে পারে একই রকম দেখতে ? দুর ! তাই কি হয় নাকি ? তবে ঝগড়াঝাটি করে লাভ নেই । বরং, মঞ্জরিকে বলবে, চলো, আজ যখন সময় পেয়েছি, কলকাতা যাই । একটা ভালো সিনেমা দেখি । রাতে রান্না করতে হবে না । চাইনিজ খাব । বলে বার করা, একদম অকুস্থলে পৌঁছনো ।

    চা এল । চা এর সঙ্গে একটু চিড়ে ভাজা । বেচা মঞ্জরির মুখের দিকে তাকাল । আধো আলো আধো ছায়ায় ওর মুখ আবছা ।

    বেচা বলল, আলোটা জ্বালো তো ।
    কেন, বেশ তো আলো আছে ?
    যা বলছি, করো ।

    মঞ্জরি চোখ কঠোর করে তাকাল । বেচার ভালো লাগল না । অন্য সময় হলে ভয় পেত । নরম হয়ে বলত, রাগ করলে ? কিন্তু হোর্ডিং । তার সত্য । কঠোর সেও তাকাল ।

    মঞ্জরি বলল, কী হয়েছে বলো তো তোমার ? দুপুর দুপুর বাড়ি চলে এলে ?
    অসুবিধে করলাম ?
    আর কিছু অসুবিধে নয় । অকাতরে ঘুমাচ্ছিলাম । তার আগে বাসন মেজেছি । কাপড় কেচেছি । রান্নাঘরের ঝুল পরিষ্কার করেছি । বাড়ির বউদের আর কী করার আছে ?
    লাস্ট কবে ফটো তুলেছো ?
    ফটো ?
    হ্যাঁ । লাস্ট কবে ফটো তুলেছো ?
    সেই বিয়েতে যা মুকুট পরা ফটো রয়েছে । তোমার সেই ড্যাবা ড্যাবা চোখ । বোকা বোকা চাউনি ।
    হ্যাঁ । আমি তো বোকা । ভীষণ বোকা । বোকার বেহদ্দ ।
    হঠাৎ ও কথা বলছো ? বিয়ের দিন বেশিরভাগ বেটাছেলেকে ওরকম দেখায় ।

    বেচার বুক জুড়ে আবেগ জড়ো হচ্ছিল । ইচ্ছে করছিল, বলে, তবে যে হোর্ডিং এ ... বলল না, কারণ, সে আর কতক্ষণ হোর্ডিংটার দিকে তাকিয়েছে । ভেতর ভেতর রাগ তার চোখ ঝাপসা করে দিয়েছিল । এতবছর দেখা মঞ্জরিকে এখনও সেই একই রকম শান্ত, ভালো, মানুষ মনে হচ্ছে ।

    মঞ্জরি বলল, তুমি বসে চা খাও । আমি ঘরদোরের কাজ গুছোই । ছাতে একগাদা মেলা আছে ।
    তারপর আমরা বেরোব ।
    কোথায় ?
    কলকাতা ।
    এই তো এলে । আবার বাস-ফাস ঠেঙিয়ে অতদূর যাবো ?
    না । ট্যাকসি করে যাব ।
    ট্যাকসি ! বাব্বা ! তুমি তো ঘুষ নাওনা । বা, পাওনা । মাসের আজ কত তারিখ মনে আছে ?
    তার মানে, তুমি যেতে চাও না ?
    ফর নাথিং পয়সা খরচা করবে কেন ?
    তোমার ইচ্ছে করে না ?
    করবে না কেন ? সে উপায় কোথায় ?

    বেচা বলল, অবশ্য মনে মনে, নেকু, অত মাল কামালে, গেল কোথায় ?

    মঞ্জরি টিভিটা চালিয়ে বলল, রেস্ট নাও । টিভিতে সিনেমা হচ্ছে দেখো । বলে, ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ।

    বেচা মনে করল, কোথাও একটু ভুল হচ্ছে । মন বলছিল, বের হও । আবার সেখানে পৌঁংএছাও । ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখো । শুধু শুধু সন্দেহর বশে ------- এমনও তো হতে পারে, ঐ মেয়েটার সঙ্গে প্রচুর মিল আছে । আবার কোথাও কোথাও অমিল আছে । যা দেখা হয়নি । কারণ, যে মেয়ে ওরকম করে বেড়াবে, সে ভরদুপুরে একগাদা ভাত ডাল তরকারি গিলে ঘুম দেবে না । মুটিয়ে যাবার ভয় আছে তো ?

    বেচার মন শান্ত হচ্ছিল । সে স্থির সিদ্ধান্তে ত্রক্রমশ পৌঁছচ্ছিল, না ও মঞ্জরি নয় ।

    বেলা পড়ে দিনের আলো মরে গেল । ঘরে অন্ধকার নামল । বেচা আলো জ্বালল ।

    মঞ্জরি হাসতে হাসতে সেল ফোনটা কানে নিয়ে ঢুকল ।

    কী বলে মঞ্জরি, শোনার জন্যে বেচা উত্কর্ণ হল ।

    মঞ্জরি বলছিল, বেশ প্রগলভা হয়ে, হ্যাঁ । হ্যাঁ । কোনো আপত্তি নেই । আপত্তির কী থাকতে পারে ? রাজি । আমি রাজি । ঠিক আছে । বাই ।

    বেচা কর্কশ গলায় চেঁচিয়ে উঠল, কে, কে বলছিল । কীসে রাজি ?

    মঞ্জরি হাসতে হাসতে বলল, রাজি হয়ে গেলাম ।

    মানে ?
    ঐ যে মানিকবাবু, কোটিপতি । ও আমাকে বিয়ে করতে চায় ।
    মঞ্জরি !
    ওরকম বোকা বোকা তাকিয়ো না তো । আমি বরং সেজেনি । শ্যাওলা রঙের ঘাঘরা । সাদা একটা টপ । মাথায় কালো টুপি । একটু ব্লাশ নেব । ভীষণ সুন্দর দেখাবে, বলো ?

    বেচা কোনো কথা বলতে পারেনি । বোবা মেরে গিয়েছিল । পাশের ঘরে মঞ্জরি নিশ্চয়ই সাজছে । সাজুক । যা খুশি করুক । এত নিষ্ঠুর সে ? এতটাই নিষ্ঠুর ? বেচার পয়সা নেই বলে ঐ রূপের হাটে নিলাম ডাকতে পারল না ।

    মঞ্জরি এল । সেই শ্যাওলা রঙের কুচি দেওয়া ঘাঘরা । সাদা টপ । হাতে কালো গোল টুপি । মুখে ব্লাশ নিয়েছে । কায়দা করে চুল বেঁধেছে ।

    মঞ্জরি উদ্বেগের সঙ্গে বলল, গাড়িটা এখনও এলো না তো ?
    বেচা অস্ফুটে বলল, গাড়ি !
    হ্যাঁ । রাজহংসের মত সাদা । লম্বা গাড়ি ।
    গাড়ি কিনে ফেলেছে ?
    কিনবে কেন, প্রেজেন্ট করেছে । তেলা মাথায় তেল দেওয়া ।
    তুমিও তো তাই ।
    আমি তেল নই । মানবী ।

    দরজার গা ঘেঁষে নি:শব্দে একটা সাদা গাড়ি এসে দাঁড়াল । সত্যিই মরাল শুভ্র সে গাড়ি । তার ওপর আবার সদ্য ওঠা চাঁদের আলো পড়েছে ।

    মঞ্জরি বলল, চললাম । রাতের সব রান্না করে রেখেছি । খিদে পেলে খাবে । শরীরটার যত্ন নেবে । বিবাগী হবার কোনো কারণ নেই ।

    গাড়িতে বসল মঞ্জরি । বেচা পেছন পেছন গেল । বুকফাটা আর্তনাদের মত বলল, হোর্ডিং-এ দেখলাম মঞ্জরি । তোমার মত । সে কি তুমি ?
    হয়ত । বা, হয়ত নয় ।
    গাড়ি ছেড়ে দিল ।

    ( পরবাস ৪৫, এপ্রিল, ২০১০)

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)