• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩১ | অক্টোবর ২০০৩ | গল্প
    Share
  • প্লামির গল্প : নন্দন দত্ত



    রবীন্দ্র-সরোবর ছাড়াতেই অয়নের মনে পড়ল । সামনেই টালিগঞ্জ, সুরেলা ঘোষিকার 'পরবর্তী ও প্রান্তিক স্টেশন'; অয়ন নামবে । দমদম থেকে দৌড়ের এই শেষটাতে মেট্রো খালি হয়ে আসে, দাঁড়িয়ে প্রায় কেউই নেই, ইতস্তত ছড়ানো অফিসফিরতিরা সকলেই বসে । কেউ ঝিমোচ্ছেন, কারো হাতে সকালের বাসি কাগজ, কেউ আবার ইতিমধ্যেই দরজায় পজিশন নিয়ে । এঁরা আরো দক্ষিণের পান্থ, মেট্রো থেকে নেমে হয়ত অটোয়ে উঠবেন, আবার চলা । অটোও মহার্ঘ, তাই ছুটতে হয় নেমেই ।

    এ-সময়টা এমনিতে দিনের ক্লান্তি ঝেঁপে আসে অয়নের । তার সঙ্গে একটু স্বস্তিও, আরেকটা দিন কাটল । এরকম করে ঠিক কটা দিন কাটতে হবে যদিও জানে না ও । তবু । কিন্তু আজকের চিন্তা প্লামিকে নিয়ে ।

    প্লামি অয়নের ভাইপো । ও হওয়ার আগে থেকেই অয়ন ডাক নামটা ঠিক করে রেখেছিল, প্লামি । পিজি উডহাউস গোগ্রাসে গিলত অয়ন ছোট থেকেই, পেলহ্যাম গ্রেনভিল ছোট্ট হয়ে যে আদরের প্লামি হয়ে গিয়েছিলেন নিকটের কাছে, তাও জানত । তারপর প্লামি পৌঁছল যখন, দেখা গেল মাথা একদমই মসৃণ । উডহাউসের চকচকে টেকো ছবির সাথে প্লামির নাম মিলেও গেল বেশ । এখন অবশ্য প্লামির মাথাভরা চুল, আর পোশাকি ভাল নাম আছে, ডাকনামও । তবে অয়ন প্লামিই বলে । ওর বন্ধুরাও ।

    চিন্তাটা প্লামিকে গল্প বলা নিয়ে । আজ সকালে প্রমিস করেছিল অয়ন, ফিরে এসে একটা গল্প বলবে । নতুন গল্প । এই নতুন নিয়েই মুস্কিল । প্লামির কাছে এখন চারপাশই নতুন, দেখা শোনা ভাবা সবই । কিন্ত এমন চিরনবীন গল্প জোগানো রোজ রোজ, বেশ শক্ত । একবার বলা গল্প একটু এদিক ওদিক করে চালাতে গেলে ধরা পড়তে হয় চট করেই, অসহিষ্ণু আব্দারে বলে ওঠে প্লামি, এটা তো জানি-ই-ই । দীর্ঘায়িত ই-কারের গড়ানো আশাহনন বড় বাজে অয়নের; সত্যি তো, এই বয়সেই চাওয়া-নাপাওয়ার চক্কর ভারি অন্যায় ।

    হুস করে মেট্রো পাতাল থেকে পৃথিবীতে ঢুকে এল, প্ল্যাটফর্মের আগের কয়েকশো গজ ডাঙায় চলে ট্রেন । মাটির নীচের গুমগুম গর্জন হঠাৎ এলিয়ে যায় সুড়ঙ্গ থেকে বেরোনোর মুখেই, আকাশের ছায়ায় হাঁফ ফেলে যেন ট্রেনটাও । বাড়ি অবধি সাত মিনিটের হাঁটাটা বড্ড কম, কোনো সুরাহাই হল না সমস্যার । কোল্যাপ্সিব্ল গেটটা সন্তর্পণে টানতে শব্দ হল একটু, সেটুকুই যথেষ্ট, কাকা এসেছে ! তীরের মত ছুটে এল প্লামি, চকচকে মুখে উপচানো ইচ্ছা, গল্প ! প্লামির দিদিয়া বললেন,
    -- হঁযা গল্প, এক্ষুণি বলবে কাকা, একটু বসে নিক ।
    -- আহ: আবার বসবে কেন, অফিসে তো বসেই থাকে ।

    প্লামির লজিকে কোনো ফোকর নেই । কোলে তুলে নিয়ে অয়ন মুখটা আনল একদম মুখের কাছে, চোখের সাদায় এখনো নীলচে আভা, গালে সেই দুধেল গন্ধ । বুদ্ধি বেড়েছে, কিন্তু এখনো বাচ্চাই আছে ভরপুর, প্লামি ।





    আজকে অয়নের ফিরতে দেরিই হয়েছে । ইয়ার-এণ্ডিং চলছে, তাছাড়া বেরোনোর ঠিক মুখে কাপুরসাহেব আটকে দিলেন, পুরোনো ফাইল নিয়ে কচলাকচলি চলল অনেক্ষণ । কাল করলেও ক্ষতি ছিল না ; তবে আজকেই মুড ছিল কাপুরের । কাপুর তো সাহেব, তাই অয়নের না থাকলেও মুড, করতে হল কচলাকচলি, আজই । প্লামির শোবার সময় কাছাকাছি, কাল আবার স্কুল আছে, সকালে উঠতে হবে । এখনকার স্কুলে নানা ডোমেস্টিক ডিসিপ্লিন নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়, তার মধ্যে প্রপার বেড-টাইম প্রধান ।

    তাই মুখহাত ধুয়েই অয়ন বসল প্লামিকে নিয়ে । প্লামিও বসল, ঠিক সেই এইচ-এম-ভি রের্কডের তন্নিষ্ঠ লেবেলের মত ।

    -- অনেকদিন আগে জ্যাক বলে একটা ছেলে থাকত তার মা'র সঙ্গে ।

    মুখে জলের ঝাপটা লাগতেই মাথা খুলে গিয়েছিল অয়নের, ছেলেবেলার জ্যাক অ্যাণ্ড দ্য বীন্স্টকের সাথে খানিক আপন মনের মাধুরী মিশায়েই আজকেটা পার হবে হয়ত । অয়ন না বললেও জ্যাক অ্যাণ্ড দ্য বীনস্টক প্লামি শুনেছে আগে, তবে তা ওর চেতন মনে নেই । তাছাড়া আর কোনো প্লট বা পুরো গল্প মাথায় আসছে না এখন অয়নের । অয়ন অবশ্য লেখে নিজে, একটু আধটু লিট্ল ম্যাগাজিনে, তবে সেসব প্রেম-বিরহের চুটকি ব্যাপার, প্লামির অবান্তর লাগবে । ছোটদের জন্য লেখা বড় শক্ত, চেষ্টা করেও আসেনি অয়নের অনেকবার । সাধে কি আর ছেলেবেলা উনআশি অবধি আটকেছিল রবীন্দ্রনাথের ।

    জ্যাকের গল্প চলতে লাগল, কাহিনির চড়াই-উত্রাই'এর তালে প্লামির ভালেও মেঘ-রোদ্দুর । গরিব জ্যাক যখন হাটে চলল আদরের মিল্কি-হোয়াইট গাভীকে বেচতে, বাড়িতে ভাত নেই, প্লামির চোখ ছলছলে; তারপর যখন জ্যাক ফিরল একমুঠো সম্ভাবনার বীন-বীজ নিয়ে, প্লামির মুখ ঝকঝকে । এতে যে হাঁড়ি চড়বে না, জ্যাকের মা'র এমন গঞ্জনায় প্লামি অবাক ।

    উত্তল লেন্স'এর আলো ধরার মত ওর পুরো মনটা পড়েছে গল্পে । যেন জ্যাকই হয়ে গেছে প্লামি ।

    বীন-গাছ বেয়ে আকাশে ওঠা প্লামির খুব ভালো লেগেছে, গল্প থামিয়ে বলল, আমিও উঠব !
    -- নিশ্চয়ই উঠবে ।
    অয়ন আজ খানিক স্বস্তিতে । এমনিতে প্লামি প্রশ্ন করে ফুলঝুরির মত, কারণ-অকারণ সম্ভব-অসম্ভবের বন্যা বয়ে অনেকটা হয় সেই আবোল-তাবোলের গল্প-বলার উপক্রম । তবে আজকে অনেক ডুবে আছে প্লামি ।
    -- কিন্তু আমার তো বীন সীড্স নেই ।
    অয়ন প্রমাদ গুনল । এনে দেব বা এসে যাবে ইত্যাদি ছেলে-ভুলানো আশ্বাসে জড়িয়ে লাভ নেই । প্লামি এখন থেকেই মনে রেখে দেবে, সময়মত না এলে মনে করিয়েও দেবে ।
    -- এইবার দৈত্যটা আসবে ।
    অয়ন তুরুপের তাসটা বের করল হাত থেকে, একপুরুষঘাতিনীর মত বেরিয়েই গেল দরকারের তোড়ে । আর প্লামির জিজ্ঞাসা ঘটোত্কচের মতই কুপোকাত ।
    -- দৈত্য !
    চোখ বড় প্লামির, কান খাড়া ।
    -- হঁযা, শোনো তুমি । তারপর জ্যাক সেই বীন্স্টক বেয়ে বেয়ে ওপরে উঠল ।
    -- মেঘেরও ওপরে ?
    -- মেঘেরও ওপরে । সেখানে দেখল একটা লম্বা রাস্তা, চলতে চলতে একটা বাড়ির সামনে দাঁড়াল এসে, সুন্দর বাগান চারদিকে ।

    সেই বাড়ির কর্ত্রী যে ক্ষুধার্ত জ্যাককে অনেক খেতে দিল আর জ্যাক সব খেয়ে নিল এতে প্লামি বেজায় খুশি, বলল সেও সব খেয়ে নেয় । সাধারণত: খাবার পরে গল্প, এই টোপে প্লামির রোজকার পুষ্টি ।

    তারপর জ্যাক কেমন করে দৈত্যের চোখে ধুলো দিয়ে এক বস্তা মোহর নিয়ে নেমে এল মার কাছে, তা প্লামি শুনল মন দিয়ে । দৈত্যের গৃহিণী জ্যাক'কে খাইয়েছিল, প্লামির পছন্দ তাকে । দৈত্যের কথা রসিয়ে বলার আগেই প্লামি বলে দিল যে স্পাইডারম্যান তার দিকে, দরকার হলে ব্যাটম্যান-সুপারম্যানও হাত লাগাবেন । এমন কোয়ালিশনের তোড়ে দৈত্যির বর্ণনা ফিকে হয়ে গেল । ধরতে পারলে জ্যাককে খেয়ে নিত দৈত্য, এমন সম্ভাবনাও উড়ল ফুত্কারে ।
    -- জ্যাককে ধরতেই পারত না ।
    প্লামির ঘোষণা । বোঝা গেল ও জ্যাকের দিকে ।

    তারপর সেই মোহরগুলো নিয়ে জ্যাক আর ওর মার সুখেই দিন কাটছিল । প্লামির কাছেও গল্পটা নতুন, ভাল লাগছে মনে হল অয়নের । কিন্তু গল্প তো শেষ হয়নি । প্লামিও উত্কর্ণ, তাছাড়া ওর শোবার সময়ও খানিক দুরে । আর গল্পর বাকিটা নিয়ে ধারাবাহিক করেও কাল অবধি টানবে না । অগত্যা অয়ন শেষ করতেই চলল ।

    জ্যাক আর মা ভালোই আছে, কিন্তু এক্সাইটমেন্ট নেই জীবনে ; শুধু ভালো খাওয়া আর ভাল থাকায় জ্যাকের বোর লাগতে শুরু করল । বীন গাছ তো লকলকিয়েই আছে, তাই আবার চড়াই যায় । চড়লও আবার জ্যাক ।
    -- এবার কি খেতে দেবে জ্যাককে ?
    প্লামির প্রশ্ন । ওপরের আপ্যায়নটা ওর মনে ধরেছে বেশ ।

    কিন্তু দৈত্যনী জ্যাককে আবার দেখে খানিক অপ্রতিভ, সন্ত্রস্তও ; গতকাল ব্রেকফাস্টেই একজন ছোট ছেলেকে খেয়ে নিয়েছে দৈত্য । খুবই ভাল লেগেছে, আবার অমন রাঁধার ফরমাশ । জ্যাকের আজকের আসাটা একেবারেই অতিথিতে ।

    দাপিয়ে দৈত্য ঢুকল ঘরে, জ্যাক লুকিয়ে পড়ল উনুনের ভিতর । প্লামি মুখ খুলতেই অয়ন বলল তড়িঘড়ি,
    -- মানে উনুনটা নেভানো ছিল, রান্না হয়ে গিয়েছিল তো ।
    দৈত্য এবার মানুষের গন্ধ পেয়ে হাঁউ-মাউ-খাঁউ শুরু করল । হাঁউ-মাউ-খাঁউ আসলে রাক্ষসদের কপিরাইট, জ্যাক ওদের রিপোর্ট করে দিলে মকদ্দমা অবধি গড়াতে পারত । তবে জ্যাক গ্রামের ছেলে, এসব জানত না ; প্লামিকেও বলল না অয়ন ।

    কোনোমতে কথা ঘুরিয়ে দৈত্যনী মোষের রোস্ট দিয়ে শান্ত করল দৈত্যকে ।

    খেয়ে দেয়ে খোশ মেজাজে দানব তার ম্যাজিক মুর্গিটা বার করল, ডেইলি কোটার দুটো সোনার ডিম পাড়িয়ে দিল সংসার খরচের খাতে । তার পর সোনার হার্পটা বার করে বলল, গান হোক । অমনি শুরু হল সুরেলা গান, হার্পটা প্রোগ্রাম করাই ছিল । গান শুনতে শুনতে দৈত্য ঘুমিয়ে পড়ল ।

    উনুন থেকে জ্যাক এসব দেখে তো খুব লুব্ধ । রেকারিং ডেসিমাংএংএলর মত সোনার ডিম আর ওয়াটার অফ ইণ্ডিয়ার মত গান ; রোজগার আর ফূর্তি দুইই চিরকেলে, কোথায় লাগে মোহরের বিলীয়মান বস্তা ।

    -- জ্যাক উনুন থেকে পা টিপে টিপে বেরিয়ে এল.... ।
    প্লামি এবার ক্লাইম্যাক্সে গন্ধ পেয়ে চনমনে ।
    -- দৈত্যটা জাগেনি তো ?
    -- না, প্রথমে জাগেনি । মুর্গি আর হার্প, মানে বাজনাটা, তুলে নিয়ে যেই না জ্যাক ছুট দিয়েছে, অমনি শব্দ পেয়ে দৈত্যটা জেগে উঠল ।

    তারপরের গল্পের গতি বাড়ে, রাস্তা ধরে জ্যাকের প্রাণপণ দৌড় । দৈত্যর'ও দৌড়, আরো জোরে । প্রায় ধরে ফেলার উপক্রম, দৈত্যবলে কিছু সুবিধা তো থাকবেই, যেমন ছোটার তেজ । তবে রূপকথার অপরূপ পরিমিতিতে তক্ষুণি জ্যাক পেয়ে গেছে বীনগাছের আগা । তাই ধরে তরতর করে নীচে নামে জ্যাক । এখানে দৈত্যর দাবড়া দেহটা বোঝা, তাও ঝুলে পিছলে ধাওয়া করে সে । জ্যাক মাটির একটু আগে থেকেই হাঁকে,
    -- মা, মা, কুড়ুলটা দাও ...., শিগ্গির দাও, এক্ষুনি এক্ষুনি ।
    -- কেন কুড়ুল কেন ? কুড়ুল কি ?
    প্লামি জানতে চায় ।
    -- কুড়ুল মানে অ্যাক্স, কেন এক্ষুনি বুঝতে পারবে .....।

    অয়ন ঠেকা দেয়, প্রায় মেরে এনেছে । এক্ষুনি না শুরু হয় জোয়ারি জিজ্ঞাসা । জ্যাকের মা'ও তৈরি । কুড়ুল নিয়ে । জ্যাক বাগানে নেমেই এক ঘায়ে বীনগাছটা কেটে ফেলল । দৈত্যটা হুড়মুড় করে পড়ল । আর উঠল না ।

    -- তারপর জ্যাক আর ওর মা থাকতে লাগল মনের সুখে । জ্যাক কিছুদিন পরে রাজকন্যাকে বিয়ে করে রাজপ্রাসাদে চলে গেল মা'কে নিয়ে । শাশ্বত সামিং আপ'এর শেষটা বলেই সামলে নিল অয়ন, রাজকন্যা লাইনটা লুফে না নেয় প্লামি । নতুন গল্পের সুতো টানতে হবে তাহলে এক্ষুনি । কিন্তু প্লামি তা করল না । একটু চুপ থাকল । তারপর বলল,
    -- দৈত্যটার কি হল ? ও কি মরে গেল ?
    -- হঁযা, ও তো বীনস্টক থেকে পড়ে গেল, মানে বীনস্টকটাই তো কেটে দিল জ্যাক অ্যাক্স দিয়ে ।
    -- তাহলে ওর সুন্দর বাগানটা কে দেখবে ? ও'র কটেজটা ?

    এর সদুত্তর গল্পে নেই । একটু থামতে হল । কিন্তু উত্তরের থেকে ঝোঁক প্লামির প্রশ্নেই বেশি । প্লামি থামল না ।
    -- জ্যাক'ও তো ওপরে যেতে পারবে না আর, বীনস্টক তো নেই । কেন জ্যাক মারল দৈত্যকে ? মুর্গি আর হার্পটা নিল বলেই তো দৈত্যটার দু:খ হল, তাই তো ও চেজ্‌ করছিল, ওগুলো তো ওরই । জ্যাকের মা কি বকল ওকে, দৈত্যটাকে মারার জন্য ?
    প্লামির কথায় জলভরা মেঘ ।

    অয়ন কাছে টানল ওকে । কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলল,
    -- তোর জ্যাককে ভাল লাগেনি, প্লামি ?
    -- জ্যাক বাজে ।
    -- তাহলে কে ভাল ?
    -- দৈত্য, দৈত্য খুব ভাল ।
    -- কেন ?
    -- ওর ওপরের জায়গাটা ভাল ।
    -- কেন, ভাল কেন জায়গাটা ?
    -- তুমি তো বললে সুন্দর, তাইতো ভাল জায়গাটা ।

    ততক্ষণে প্লামির শোবার সময় হয়েছে । গুড নাইট, তী ইউ বলে চলে গেল ও । এখন আর প্লামি 'স'কে 'ত' বলে না, 'স'ই বলতে পারে; কিন্তু সেই প্রত্যূষ থেকে তী ইউ কথাটা আজও চলে আসছে, মন্ত্রের মতই ।

    অয়ন জেগে রইল রূপকথায় । জ্যাক অ্যাণ্ড দ্য বীনস্টক পড়েছিল আগেই, প্লামি শোনাল আরেকবার ।








  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments