এরপর থেকে দুজনেই উধাও । গাংলু পত্রিকার জন্য আখতারদার ইন্টারভিউ নেবে ব'লে দু'দিন ঘুরে এসেছে । মেজোদাদু ইজিচেয়ারে শরীর ছেড়ে দিয়ে বললেন - নিয়তি, নিয়তি । একই তো মাঠ - ওপরে আর নিচে । খঁংউড়ে দেখলে কী না পাওয়া যায় ? মিত্তিরের অমন কপিক্ষেত ছেড়ে শেষে কিনা গোরস্থানে গেল ! মেজোদাদু অত কিছু নিয়তিবাদী নন । আসলে সকালে জোর ধমক খেয়েছেন । দিদিমা পইপই ক'রে ব'লে দিয়েছিলেন ঠাকুরের মালা গাঁথার জন্য ছঁংউচসুতো নিয়ে আসতে । যথারীতি আসেনি । মেজোদাদু অবশ্য বলছেন কিনে দোকানে ফেলে এসেছেন, কিন্তু কেউ বিশ্বাস করছে না । কিছুক্ষণ চোটপাট শোনার পর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছঁংউচের জায়গায় ইনজেকশন সিরিঞ্জ আর সুতোর বদলে চাউমিন ব্যবহার করা হোক, তাতে দিদিমা র্যাপিড ফায়ার চালিয়েছেন ।
সত্যসাধন খানিক ভেবেটেবে বললেন - পুলিশে একটা খবর দিলে কেমন হয় ?
- পুলিশ ? পুলিশের আবার জানতে বাকি আছে নাকি ? - উড়িয়ে দিলেন মেজোদাদু - মাঠের নিচে ওদের লোক নেই ভাবছেন ?
- আছে বুঝি ? - সত্যসাধন থতমত ।
মেজোদাদু করুণার হাসি হেসে বললেন - নইলে সারাক্ষণ ওয়াকিটকি দরকার হবে কেন ?
গ্যাঞ্জাম আর গাংলু মুখ চাওয়াচাওয়ি করল । মেজোদাদুর ধরনই এই । সারাক্ষণ অকাট্য সব প্রমাণ দেবেন । যেমন মেজোদাদুর থিওরি অনুযায়ী পৃথিবীটা মোটামুটি দোতলা । আমরা আছি ওপরে । আর নিচে দিনরাত বিভিন্ন সুড়ঙ্গে নানারকম লেনদেন চলছে । প্রমাণ চাইলে বলবেন - ভূমিকম্পের আসল কারণটা কখনো ভেবে দেখেছিস ? দেখে দেখে ইঁদুররা পর্যন্ত শিখে গেল ।
অংকস্যার একটু উসখুস করছিলেন । মেজোদাদু বাঁকা চোখে তাকিয়ে বললেন - ডেড ল্যাঙ্গুয়েজের হাহুতাশটা আজ না হয় বাদই দিলে মোহন । দেখছ দু'জন নিখোঁজ । যে কোন মুহূর্তে দুটো কঙ্কাল হ্যাণ্ডশেক করতে আসবে । শুধু খঁংউড়ে বের করার অপেক্ষা ।
অংকস্যার মরিয়া হয়ে বললেন - খোঁড়াখঁংউডির গল্প চলতে পারে কি ?
মুহূর্তে মেজোদাদুর চোখ জ্বলজ্বল ক'রে উঠল । সকালবেলার ধমকের জের মন থেকে মুছে ফেলে খাড়া হয়ে বসলেন - কেয়াবাত কেয়াবাত । এই তো চাই । লাগাও দেখি জম্পেশ ক'রে একটা ।
অংকস্যার সবার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে নিলেন । সকলেই উত্সুক । অতএব সোজাসুজি ধরলেন - পুরোনো দুর্গের মাঝে কয়েকজন সৈন্য খোঁড়াখঁংউড়ির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
আর দেখতে হ'ল না । হাউইয়ের মত প্রশ্ন ছুটে এল চারদিক থেকে -
- কোন দুর্গ ?
- কোথাকার সৈন্য ?
- কোথায় ?
- কবে ?
- কেন ?
সত্যসাধন মধ্যস্থতা করলেন - একটু অ্যাডভান্সড হয়ে যাচ্ছে । গোড়া থেকে ধরুন । গাংলু গ্যাঞ্জামও একমত । মেজোদাদু অবশ্য বরাবর সরাসরি কাজের কথায় যাওয়ারই পক্ষপাতি, তবে বাধা দিলেন না ।
অংকস্যার বললেন - তথাস্তু । আলেকজাণ্ডার দিয়েই শুরু করি তাহ'লে ?
আলেকজাণ্ডার ! আহা - মেজোদাদু অভিভূত - কী ঠেঙানটাই ঠেঙিয়েছিল । একটা ভালো ফটোটটো পেলে দিও তো, বাঁধিয়ে রাখব ।
অংকস্যার শুরু ক'রে দিলেন - গল্পটা মিশরের । আলেকজাণ্ডারের ঠিক আগেটায় মিশর ছিল পারস্যের অধীনে । আলেকজাণ্ডার যথারীতি পারস্যকে হারিয়ে দিয়ে মিশরে পৌঁছলেন । লোকেরা তাঁকে দু'হাত তুলে স্বাগত জানাল, সেখানকার ফ্যারাও ক'রে দিল । কিন্তু ভদ্রলোক তো সেখানে ব'সে হাওয়া খেতে আসেননি । কাছাকাছি কিছু যুদ্ধটুদ্ধ সেরে একজনের ওপর সেখানকার ভার দিয়ে তিনি পূর্বদিকে রওনা হয়ে গেলেন ।
- রাজার প্রতি রাজার আচরণ - কংকাবতীর ইতিহাসের দৌড় কম নয় ।
অংকস্যার সেসব কাটিয়ে এগিয়ে গেলেন - তিনশো তেইশ বি.সি । আলেকজাণ্ডার দেহ রাখলেন । বিশাল সাম্রাজ্য তাঁর অনুচরদের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা হ'ল । মিশরের সিংহাসন পড়ল টলেমির ভাগে । তিনি ফ্যারাও হলেন, নাম হ'ল প্রথম টলেমি । মজাটা হচ্ছে - সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সব বংশধরদের নাম ঠিক হয়ে গেল - ছেলেদের নাম হবে টলেমি, আর মেয়েদের ক্লিওপেট্রা । পাইকারি বন্দোবস্ত ।
- পাকড়াশির ছেলে পাকড়াশি - সত্যসাধনের ব্যাখ্যা ।
- এই যে গ্রীক রাজবংশের শুরু - এর শেষদিকটায় রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । হ'ল কি - রোমের সিভিল ওয়ারে সিজার পম্পেইকে হারিয়ে দিলেন । পম্পেই মিশরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলেন । কিন্তু তখনকার টলেমি -
- কত নম্বর ? - ফুট কাটল গ্যাঞ্জাম ।
- সব কি আর গুণে রেখেছি রে ? সেসব কতকালের কথা, তোরা তখন হ'সনি - অংকস্যার মুচকি হেসে প্রসঙ্গে ফিরে এলেন - তো টলেমি আশ্রয় দেওয়া দূরে থাক, মেরে পম্পেইয়ের লাশ সিজারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন । তখন আবার টলেমির বোনও সিংহাসনের জন্য মরিয়া ।
- ক্লিওপেট্রা ? - গাংলু ধরে ফেলেছে ।
- রাইট । টলেমি ভাবলেন এভাবে হয়তো সিজারের সমর্থন পাওয়া যাবে । কিন্তু সে গুড়ে বালি । সিজার ঝঁংউকলেন ক্লিওপেট্রার দিকে । কিন্তু রাজাগজাদের জীবন তো - এই আছে এই নেই । এরকম একটা সময়ে সিজার খুন হয়ে গেলেন । রোমান সাম্রাজ্য ভাগ হ'ল মার্ক অ্যান্টনি আর তাঁর দত্তক পুত্র অক্টাভিয়ানের মধ্যে । মিশর এবং ক্লিওপেট্রা অ্যান্টনির ভাগে পড়ল । তারপর আবার যুদ্ধ । এবার অ্যান্টনি আর অক্টাভিয়ানের মধ্যে । যুদ্ধে অ্যান্টনি মারা গেলেন । ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করলেন । মিশরে সম্রাটের চাকরি তুলে দিয়ে একজন রোমান গভর্নরের হাতে ভার দেওয়া হ'ল ।
সত্যসাধন ব'সে ব'সে ঝিমিয়ে পড়েছেন । কংকাবতী দু'একটা হাই তুলেছেন । মেজোদাদুর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল
- ধান ভানতে শিবের গীত আর কতক্ষণ ? খোঁড়াখঁংউড়িতে পৌঁছতে তো রাত কাবার হয়ে যাবে ।
- ধৈর্যং, ঘোষবাবু, ধৈর্যং । মিশর আর ইউরোপের যোগাযোগের ব্যাপারটা ভালো ক'রে বুঝে নেওয়া দরকার । শুধু গ্রীক বা রোমান আমলেই নয়, অন্ধকার মধ্যযুগেও এই যোগাযোগ বহাল ছিল বাণিজ্যে । আর সেটা কী বাণিজ্য শুনবেন ? সে সময় বেশ কিছু ওষুধ বানাতে মমির গঁংউড়ো দরকার হ'ত । মানে গোটা মমিকে দুরমুশ ক'রে মিহি পাউডার বানিয়ে লাগানো হ'ত । বুঝতেই পারছেন এই গোটা মমিগুলো আসত কোথ্থেকে - অংকস্যার একটা তৃপ্তির হাসি দিয়ে পা নাচাতে লাগলেন ।
গাংলুর চোখ দুটো ছোটখাটো টেনিস বলের সাইজে পৌঁছে গেছে । মেজোদাদু স্ট্যাচু । কংকাবতীর হাই মাঝপথে থেমে ঝুলে আছে । সত্যসাধন ঝিমুনি ভুলে ঢোঁক গিলে ক্ষীণকন্ঠে বললেন - সকালে হোমিওপ্যাথির বড়ির সঙ্গে যে পাউডারটা খেলাম, সেটা তাহ'লে -
অংকস্যার উত্তর না দিয়ে হু হু ক'রে ফাস্ট ফরোয়ার্ড করলেন - সেভেনটিন নাইনটি এইট । যুদ্ধ চলছে ব্রিটিশ আর ফরাসীদের মধ্যে । ফরাসীদের নেতা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ঠিক করলেন মিশর দখল করতে হবে । তাতে সুবিধে এই যে নীলনদ বরাবর ফুড সাপ্লাই লাইনটা হাতে পাওয়া যাবে । অতএব আগস্ট মাসে তেরোটা ফরাসী জাহাজ আলেকজান্দ্রিয়ায় ভিড়ল । তা থেকে সৈন্যরা নেমে কায়রোর কাছে ব্রিটিশদের মুখোমুখি হ'ল । ডাঙায় ফরাসীরা জিতল বটে, কিন্তু জলে তাদের হারতে হ'ল । ফলে নেপোলিয়ন দলবল নিয়ে মিশরে আটকে পড়লেন ।
এবার সৈন্যদের ঘাড়ে নানারকম কাজ পড়ল । তার একটা হ'ল পুরোনো দুর্গগুলোকে নতুন ক'রে গড়ে তোলা । এরকমই একটা দুর্গ ছিল রোসেত্তা (Rosetta) শহরের কাছে । একদিন কয়েকজন ফরাসী সৈন্য সেখানে খোঁড়াখঁংউড়ি করছে । তাদের মধ্যে রয়েছে একজন অফিসার - নাম পিয়ের ফঁরাসোয়া বুচার (Pierre Francois Bouchard) | এমন সময় - ঠকাং ।
- সোনার কলসী ? - মেজোদাদুর মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে ।
- তুতেনখামেনের গুপ্তধন ? - সত্যসাধনও পিছিয়ে নেই । আর সবারও ভুরু কঁংউচকে কপালে ভাঁজ ।
- নো স্যার । - অংকস্যার একটু পজ দিয়ে রহস্য ভাঙলেন - পাওয়া গেল পৌনে চার ফুট লম্বা, দু' ফুট চওড়া একটা কালো ব্যাসল্ট পাথর । পিয়ের দেখল পাথরটায় তিন ভাগে তিনরকম আলাদা হরফে কিছু লেখা । একদম নিচে রয়েছে প্রাচীন গ্রীক হরফ, মধ্যে একটা মিশরীয় লিপি, আর ওপরে হিয়েরোগ্লিফিক্স ।
- হিয়েরোগিলি-গিলি - কংকাবতীর আটকে গেছে ।
- হিয়েরোগ্লিফিক্স হ'ল ছবি দিয়ে দিয়ে একরকম লেখা । হাজার হাজার বছর ধ'রে মিশরে এটা ব্যবহার হয়েছে । ইউরোপের লোকেরাও বহুদিন দেখে আসছে, কিন্তু কী যে তার মথামুণ্ডু, ওতে আদৌ কিছু লেখা থাকে কি না - কিছুরই কূল করতে পারেনি । টলেমিদের আমলে গ্রীক আর মিশরীয় ভাষাগুলো পাশাপাশি ব্যবহার হ'ত । রোমান গভর্নরের আমল শুরু হওয়ার পর থেকেই ল্যাটিনের আধিপত্য শুরু হয় । হিয়েরোগ্লিফিক্সের চল আস্তে আস্তে উঠে যায় । একশো বছরের মধ্যে ব্যাপারটা বেমালুম লোপাট হয়ে গেল ।
- তা ওই হিজিবিজি লেখাটাই বুঝি গুপ্তধনের ক্লু ? - হাল ছাড়েননি সত্যসাধন ।
- একরকম তা-ই - অংকস্যারের উত্তর - হিয়েরোগ্লিফিক্সের রহস্যই এখানে গুপ্তধন । সেই রহস্যভেদে এটা যাকে বলে বিরাট ব্রেক-থ্রু । একই লেখা তিনটে লিপিতে লেখা - যার মধ্যে দুটো পড়া যাচ্ছে, অতএব তিন নম্বরটা উদ্ধার করা অসম্ভব নয় । ঘাড় গঁংউজে লেগে পড়লেন পণ্ডিতেরা । আস্তে আস্তে চেনা গেল 'টলেমি' বা 'আলেকজণ্ডারের' জন্য কী কী চিহ্ন ব্যবহার হয়েছে । অনেকের লাগাতার চেষ্টার পর শেষপর্যন্ত ফরাসী ভাষাতাত্ত্বিক জঁয ফঁরাসোয়া শ্যাম্পোলঁয (Jean-Francois Champollion) আঠেরোশো একুশে সবকটা চিহ্নকে চিনে উঠতে পারলেন ।
- এত কাঠখড় পুড়িয়ে সেই ভাষাতত্ত্বেই ঢোকালে মোহন ? দু' ঘড়া মোহর দিয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ করলে গায়ে ফোস্কা পড়ত ? - গজগজ করছিলেন মেজোদাদু । কিন্তু এই সময় একজন লোক গেট খুলে ঢুকে মেজোদাদুর সামনে একটা খাম রেখে সেলাম ক'রে গেল । মেজোদাদু অলসভাবে খামটা খুলতে একটা কাগজের মোড়ক বেরিয়ে এল । মোড়ক খুলে দেখা গেল ছঁংউচ আর সুতো ।
- তবে ? - মেজোদাদু তৃপ্তমুখে কাগজটা টেবিলে রাখলেন । হঠাৎ গ্যাঞ্জাম খেয়াল করল - ও কী !
কাগজের ওপর হিজিবিজি কয়েকটা আঁচড় । কিন্তু একটু ঠাহর ক'রে দেখলে বোঝা যায় আসলে খুবই খারাপ হাতের লেখায় এরকম কিছু লেখা রয়েছে -
জয় জননী নৃমুণ্ডমালিনী । তোমার কর্ম তুমি কর মা । মালা গাঁথিতে মুণ্ডের অভাব কী ? চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম ।
তলায় একটা করোটির অট্টহাসির ছবি ।
ঠিক এই সময় কানফাটানো হাততালির সঙ্গে একটা চেনা গলায় আর্টিকল তিনশো দুইয়ের আবৃত্তি শুরু হ'ল ।
পাশাপাশি | উপরনিচ |
(১) সাপে বর হয় বিদেশে (৪) জং না দিলে কারো, অপকর্ম সারো (৮) চেয়ে থাকে স্বরহীন -- এ কার ? এ কার ? (৯) ভবিষ্যতে নেই হে বান (১১) নগ্ন দেহে খায় গালি (১২) জমকাল সাজ, সরব সানাই (১৩) খালি, কি মা, মসি লেপন করি ? (১৪) মতামতের খাত সারাই (১৬) চোখের ভুলে দেয়ালে আয় (১৭) স্বরযোগে কত গুণ (১৮) মারা যাওয়ার পর বাম পকেটে শূন্য (১৯) বুড়ি থোড় বড়ো নয় মানে ইয়ে... (২০) স্বর্ণ প্রলেপ লহ (২১) আমিই সে, যাকে হোম দিস (২২) হ'ত আয়কর (২৩) বলদের দাড়ি কেটেই আরাম (২৪) নধর কি হে তুলে অহেতুক গ্রহণ করলে ? (২৬) আনন্দিত মাত্রা রেখেও জমালাম খেলা (২৮) নিম-সম স্রেফ অকরুণ (২৯) আগের বর্ণ হ'লে কঠিন ওষুধ (৩০) জনতার নানা রুপো (৩১) অভিধেয় নামে (৩২) মিষ্টি মাল সরাই (৩৩) উপযুক্ত সাইগল | (১) রাস্তায় বেরিয়ে পনের বার থেমে রবার ধবংস (২) বাড়ির সামনে করে (৩) সঙ্গে সব হ'ত (৪) নুন-ধরা কথা শোনানো থাক না-শোনা (৫) কৃষ্ণ-আকারে দেয়াল রাখি (৬) মালিকানা কাটায় না ময়লা (৭) গাড়িতে খুব চিজ, বনে নানান জিনিষ মেলানো মেশানো (১০) বাইরে বাতের নেতা (১২) হজম ক'রে বিরহে হবে শোভা (১৩) সময়ের সকালে রস গিলে খায় (১৫) তালুর রক্তের রং (১৬) আমরা আছি সুখে (১৮) অভ্যাসে মাড় হয় (১৯) থাকুক তিন কাক, কাটবো মুখের নিচে (২০) রহিমের টক কেনা-খাবার নেই (২১) সত্তর মোতি নাতির বিয়ের যোগ্য (২২) অন্দর মহলে, হায়, মরে (২৩) সস্তা হওয়া মাদক-যোগা মদে (২৪) পূজনীয় রাস্তার মোড়ে তর্জনে ধমকালো নাকো বিজনে (২৫) নির্লজ্জ নইলে সজ্জা (২৭) সাজ নিয়ে টের পেয়ো (২৮) আপনা-জনিত হঠাত্ (৩০) রসে বই নিয়ে ব'সে থাকি (৩১) সমকালে বিকল আমিষ |
আগের বারের শব্দজব্দের উত্তর পাঠিয়েছেন, ত্রক্রমানুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রুচিরা মজুমদার বসুমল্লিক, পেনসিলভ্যানিয়া থেকে শর্মিলা ব্যানার্জি, এবং অলবানি, নিউ ইয়র্ক থেকে ভাস্কর সেনগুপ্ত । সবাইকে আমাদের অভিনন্দন । প্রথম দুজনের পুরস্কার রওনা দিংএংএচ্ছ । এবারেও প্রথম দুজন সঠিক উত্তরদাতাকে পুরস্কার দেওয়া হবে ।
দয়া করে এবার থেকে ডাকযোগে উত্তর পাঠালেও ই-মেল (যদি থাকে, তো) জানাতে ভুলবেন না ।