আমৃত্যু বামপন্থায় বিশ্বাসী ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সমরেশ বসু, ঋত্বিক ঘটক, ইন্দ্র দুগার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, নবেন্দু ঘোষ প্রমুখদের বন্ধু দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ২৫ ডিসেম্বর, ১৯১৮ কলকাতার বাদুড়বাগানে। শিল্পাচার্য ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দীক্ষিত দেবব্রত মুখোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন, ‘ভোলাদা কোনোদিনই আমাকে হাতে কলমে শিক্ষা দেননি। যা তিনি দিয়েছেন, তা সবই দর্শনলোকের ব্যাপার। অর্থাৎ আমার মনের দর্শন-দরওয়াজা তিনি খুলে দিয়েছেন একটার পর একটা।'
পবিত্রকুমার সরকারের সম্পাদনায় দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনচরিত ‘জীবন এত ছোট কেন’ গ্রন্থটি শিল্পীর জীবনের নানাদিক উদ্ভাসিত করেছে। এটি শিল্পীর পূর্ণ আত্মজৈবনিক কাহিনি নয়, কিছু টুকরো টুকরো আত্মকথন। শারদীয় ‘কালান্তর’-এ ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮১, ও ১৯৮২ সালে ‘জীবন এত ছোট কেন’ শিরোনামে ধারাবাহিক রচনায় দেবব্রত নিজের জীবনের কিছু কথা ব্যক্ত করেছেন, বলা প্রয়োজন এই লেখাগুলি দেবব্রতর স্বহস্তে লিখন নয়, অনুলিখন। ১৯৮৩ সালে ‘নন্দনসাগর নন্দলাল বসু’ নামে একটি পৃথক লেখা লেখেন। আর আছে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কিত কিছু লেখা ও অমিতাভ দাশগুপ্তের একটি অসাধারণ কবিতা ‘বজ্রকুসুম’। এইসব লেখাগুলির সমন্বয়ে ‘জীবন এত ছোট কেন’ গ্রন্থটি নির্মিত হয়েছে।
দেবব্রত মুখোপাধ্যায় গণশিল্পী হিসেবে বন্দিত ও নন্দিত এবং একইসঙ্গে চলচ্চিত্র-নাটকের শিল্পনির্দেশক ও বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের এক নির্ভীক যোদ্ধা। তিরিশের দশকে শেষদিকে, যখন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের বয়েস আঠারো-উনিশ সেসময় থেকেই বাম আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন থেকে গণআন্দোলনের মধ্যে পদক্ষেপ। ভিয়েতনাম মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন এক সভায় তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘যে আদর্শের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা নিয়ে যে ছাদের তলায় প্রথম আশ্রয় নিয়েছি- সেখানে যতই দারিদ্র্য ও বঞ্চনা থাক-বিপরীত ছাদের তলায় যতই প্রাপ্তির সমারোহ থাক-জীবনে ছাদ কখনো পাল্টাইনি, পাল্টাবনা।' কম্যুনিস্ট আদর্শের প্রতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় আজীবন বিনত থেকেছেন বামপন্থী দর্শনকে বুকে নিয়ে। পিসতুতো ভাই নিতাইদাস গাঙ্গুলির মাধ্যমেই মার্কাস স্কোয়ারের কম্যুনিস্ট পার্টির দপ্তরে শিল্পী চিত্তপ্রসাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। বাবা অচিন্ত্য কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের কাছে সাম্যবাদী আন্দোলনে হাতেখড়ি।
চল্লিশের দশকে ৪৬, ধর্মতলা স্ট্রিটে প্রগতি লেখক ও শিল্পী সংঘের আড্ডায় পরিচয় হয় শিল্পী রথীন মৈত্র ও নীরদ মজুমদারের সঙ্গে। আবার কফি হাউসের তুমুল আড্ডায় ঘনিষ্ঠতা হয় বিজন ভট্টাচার্য, নীহাররঞ্জন রায়, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, শক্তি, সুনীল, সমরেশ, রাম বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র প্রমুখদের সঙ্গে। এঁদের সঙ্গে বিনিময় হয়েছে চিন্তাচেতনার। তরুণ সাহিত্যিক, সম্পাদকদের বইয়ের ও পত্রিকার প্রচ্ছদ করে দিয়েছেন সহজাত ঔদার্যে। কফি হাউসই ছিল তাঁর প্রাণের আরাম ও বৈকালিক আড্ডার স্থান। সত্তর দশকে কফি হাউস হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শিবির। এখানকার আড্ডাতেই সিকান্দার আবু জাফর, আল মাহমুদ, নির্মলেন্দু গুণ প্রমুখ অনেকে কবিতা রচনা করেন। আবু জাফরের সেই বিখ্যাত কবিতা ‘প্রয়োজন হলে দেব এক নদী রক্ত’ কফি হাউসে বসেই লেখা। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা তখন কফি হাউসের আড্ডাকে এমন প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছি, যে এর একটা আন্তর্জাতিক খ্যাতি হয়েছিল।' একসময় দেবব্রতর নাম উঠে যায় নকশালদের শ্রেণিশত্রু খতমের তালিকায়। একেবারে প্রথম সারিতে নাম। সেসময় দেবব্রতর আঁকা মাও সে তুঙের প্রতিকৃতির ছবি সারা ভারতের দেয়ালে দেয়ালে ছেয়ে গিয়েছিল। এই ছবির কল্যাণে সরোজ দত্ত নবীন বিপ্লবীদের খতমের তালিকা থেকে দেবব্রতর নামটি বাদ দিতে বলেছিলেন। উত্তপ্ত সত্তর দশক নিয়ে দেবব্রত বেশ কিছু ছবি এঁকেছিলেন এবং স্বপ্নমাখা দামাল ছেলেদের প্রতি তিনি ছিলেন সহমর্মী।
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের রং-তুলি চিরসঙ্গী হলেও এবং গণসংযোগের প্রয়োজনে আসমুদ্র হিমাচল বারেবারে ভ্রমণ করা সত্ত্বেও নিজের সুস্থতার সময় পর্যন্ত দেশে এমন কোনো বাম আন্দোলন ঘটেনি যাতে তিনি অংশীদার ছিলেন না। প্রসঙ্গক্রমে নানা ঘটনার উল্লেখ আছে গ্রন্থটিতে। দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘জীবন এত ছোট কেন’র রচনার অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে শিল্পী গোপাল ঘোষের কথা। গোপাল ঘোষের শিল্পশৈলীতে মুগ্ধ ছিলেন তিনি। গোপাল ঘোষ মূলত নিসর্গচিত্রের শিল্পী হলেও, তিনি ছিলেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম দরদি শিল্পী । প্রদোষ দাশগুপ্তর হাতে গড়ে ওঠা ক্যালকাটা গ্রুপের অন্যতম সার্থক শিল্পী গোপাল ঘোষ। দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে নৌবিদ্রোহের আগুন ধরা পড়েছিল তাঁর তুলিতে। জলরঙ বা রেখাচিত্রের মতো গোপাল ঘোষের প্যাস্টেল বা রঙিন খড়ির কাজ নিজস্ব বৈশিষ্ঠে বিকশিত। তাঁর এইসমস্ত ছবির প্রদর্শনী হয়েছিল আমেরিকায় এবং আমেরিকান শিল্পরসিকরা এ ছবিগুলির ভূয়সী প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
গোপাল ঘোষের মতো এই লেখার বেশ একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কবি অরুণাচল বসু ও কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। এঁদের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা ও ভালোবাসার এক আশ্চর্য দলিল তৈরি করেছেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। অরুণাচল বসুর সাহিত্যপ্রেম, তাঁর সাম্যবাদী চেতনা, জীবনের জন্য লড়াই, বন্ধু সুকান্তর মৃত্যুর পর নিজেকে ভুলিয়ে রাখার জন্য বেলেঘাটার কম্যুনিস্ট পার্টির সঙ্গে সমবেতভাবে আই.পি.টি.এ-র স্থানীয় শাখা গঠন, দুর্ভিক্ষ ও দাঙ্গাবিরোধী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্বলিত ছবির পথ প্রদর্শনী সম্ভব হয়েছিল অরুনাচলের আন্তরিক নিষ্ঠায়। অরুণ কবিতা অন্তপ্রাণ। তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয় মাত্র দুটি বই-‘পলাশের কাল’ ও ‘দুরন্ত রাধা’।
সুকান্ত ভট্টাচার্যর মেজদা অশোক ভট্টাচার্য শিল্পী দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিসত্তা প্রসঙ্গে দেবব্রতর সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়ের কথা জানিয়েছেন। তখন দাঙ্গাবিধ্বস্ত কলকাতা। অসুস্থ সুকান্তকে দেখতে আসতেন শিল্পী দেবব্রত। সেই শুরু, তারপর একটানা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। সুকান্তর প্রথম কবিতার বই ‘ছাড়পত্র’র কভার আঁকাতে দেবব্রতর বাড়িতে নিয়মিত যেতেন অশোক ভট্টাচার্য। মানুষটিকে দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে। লক্ষ্য করেছিলেন পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ। দেয়াল জুড়ে মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত নানা সাইজের র্যাকে সাজানো শিল্প, সাহিত্য ও ভ্রমণের বই। গভীর অভিনিবেশে অর্জন করেছিলেন শিল্পজ্ঞান, দেশের শিল্পকে নিজের চোখে দেখার উদ্দেশ্যে পরিভ্রমণ করেছিলেন সারা ভারত। দেবব্রত ছিলেন মূলত অবনীন্দ্রনাথ-নন্দলাল ধারার অনুগামী। চিত্রকলার জ্ঞানকে পরিপূর্ণ করতেই তাঁর শিল্পের চর্চা প্রসারিত হয়েছিল ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে ও নৃত্যে। টালার বাৎসরিক সঙ্গীত সম্মেলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।
পবিত্রকুমার সরকার আলোচনা করেছেন গণশিল্পী দেবব্রত মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গে। দেবব্রত প্রকৃত অর্থেই ছিলেন পুরোদস্তুর কমিটেড শিল্পী। তাঁর ফ্ল্যাটের ঘরটি ছিল একাধারে স্টুডিও, ড্রইংরুম আর পার্টি কর্মীদের আশ্রয়স্থল। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। তাঁর তুলির টানে মানুষের প্রতিবাদ আন্দোলন গতি পেত। পঞ্চাশের দশকে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় পুরোপুরি রাজনৈতিক ছবি আঁকায় মনোনিবেশ করেছিলেন। বন্ধু ইসমাইল মহম্মদের সূত্রে চলচ্চিত্রে শিল্পনির্দেশনায় তাঁর হাতেখড়ি। পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন শিল্পনির্দেশনাকে। বিখ্যাত ফরাসি চিত্রপরিচালক রেনোয়ার ছবি ‘দ্য রিভার’-এর শিল্প উপদেষ্টার কাজে অংশ নিয়েছিলেন তবে পরবর্তী সময়ে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নাটক ও মঞ্চ-পরিকল্পনায় অভিনবত্বের দিশারী ছিলেন দেবব্রত, ভেঙে দিয়েছিলেন প্রথাগত রীতি। বিজন ভট্টাচার্যের একাধিক নাটক, বাদল সরকার ও ঋত্বিক ঘটকের বিভিন্ন নাটকেও মঞ্চ পরিকল্পনা করেছিলেন।
দেবব্রত মুখোপাধ্যায় যে সুলেখকও ছিলেন সেকথা তুলে ধরেছেন সুব্রত দাশ। ছবি আঁকতে আঁকতে হঠাৎ লেখায় উৎসাহিত হয়েছিলেন ‘দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষের বিশেষ অনুরোধে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘ধারা থেকে মাণ্ডু’ প্রথম প্রকাশিত হয় পৌষ ১৩৬৩ বঙ্গাব্দে। নন্দলাল বসু এই বইটির যথেষ্ট প্রশংসা করেছিলেন। নন্দলালের সঙ্গে দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটেনি, কিন্তু তাঁর চিত্রধারায় আপ্লুত ছিলেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। নন্দলালের লেখা ‘শিল্পকথা’ ও ‘শিল্পচর্চা’ বইদুটি আগামী প্রজন্মের শিল্পীদের অবশ্যপাঠ্য বলে মনে করতেন দেবব্রত।
তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘বাঘ ও অজন্তা’। প্রকাশিত হয় বৈশাখ ১৩৭৭-এ। ‘বাঘ’ বিশেষত অজন্তা সম্পর্কে দীর্ঘকাল যে সমস্ত লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছিল, তা দেবব্রতকে মানসিক ভাবে পীড়িত করে তুলেছিল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইতালীয় প্রাচ্যতত্ত্ববিদ ড. জোসেফ তুচ্চির অনুপ্রেরণামূলক চিঠি দেবব্রতকে নতুন করে এই গ্রন্থ প্রকাশে উৎসাহী করে, নবকলেবরে বেরুল ‘বাঘ ও অজন্তা’। প্রচ্ছদ করলেন নিজেই। এই গ্রন্থে দেবব্রতর আঁকা তেত্রিশটি ছবি আছে যা বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য। শিল্পানুরাগী পাঠকের কাছে পরম প্রাপ্তিও বটে। দেবব্রত অজন্তার শিল্প-ভাস্কর্যকে মর্মস্পর্শী ভাষায় নতুন প্রজন্মের কাছে আলোকিত করেছেন, যা বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্টতা দিয়েছে। তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ ‘রূপকথা’। প্রকাশিত হয় বৈশাখ ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে। গ্রন্থের ভূমিকায় লেখকের কলম যেন কবিতার ছন্দময় রূপ। তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ ‘কফির কাপে সময়ের ছবি’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৯ এর জানুয়ারি মাসে। দেবব্রত তখন শারীরিক ভাবে অসুস্থ। গ্রন্থটি চারের দশক থেকে সাতের দশকের সময়প্রবাহের মধ্যে লেখকের স্মৃতিকথা। এই গ্রন্থেই কবি সুকান্তর জীবনের অনেক অকথিত ও উজ্জ্বল ঘটনার কথা চিত্রিত করেছেন দেবব্রত মুখোপাধ্যায় যা সুকান্তর জীবন মূল্যায়নের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেখক দেবব্রত মনে করেছিলেন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা ছাড়াও পার্টির প্রতি একনিষ্ঠতাই সুকান্তর মৃত্যুর অন্যতম কারণ। দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষগ্রন্থ স্মৃতিকথামূলক রচনা ‘কিছু বনফুল’। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘আজকাল শারদীয় ১৩৯০ সংখ্যায়। ষাটের দশকে তিনি ‘দর্শক’ নামে একটি উন্নতমানের শিল্পপত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন। পরম যত্নে, গভীর ভালোবাসায়, অক্লান্ত পরিশ্রমে ও অভিনব শিল্পভাবনায় তিনি গড়ে তুলেছিলেন এই পত্রিকাটিকে। লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন অনেকটা উদাসীন। আর্থিক অনটন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা, অগোছালো জীবনধারা হয়তো এর কারণ। জীবদ্দশায় কোনো পুরস্কারের সম্মানে তিনি ভূষিত হননি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত ‘অবনীন্দ্র পুরস্কার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সাম্মানিক ডি লিট—সবই মরণোত্তর। ১৯৯১এর ৪ ফেব্রুয়ারি ঊষার আলোয় চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়লেন শিল্পী দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।