• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৯০ | এপ্রিল ২০২৩ | ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
    Share
  • পুব ডুয়ার্সের বনে বনে : সুব্রত সরকার



    বনে যাওয়ার একটা গোপন বাসনা মনের কোণে বহুদিন ধরেই তা দিচ্ছিল। কিন্তু দুয়ারে করোনা তাই কোথাও যাওয়ার কথা মনেও কোরো না!...

    ফাগুনে আগুন লাগল বনে, খবর পাই। মন আনচান করে, ফুল ফোটা সত্যিকারের বসন্ত বনে গিয়ে আর দেখা হল না। দ্বিতীয় ঢেউ দাপটে ব্যাট করছে।


    বৈশাখি গরমেও ডুয়ার্সের জঙ্গলে একটা মাদকতা আছে। বনে বনে তখন কত ফুল, কত কুসুম তার শোভা সুন্দর রূপ নিয়ে পান্থজনের প্রতীক্ষায় অধীর হয়ে থাকে। কিন্তু পথিক যে পথহারা, ভ্যাকসিন দু'ডোজ আগে হোক, তারপর নয় রণে বনে জলে জঙ্গলে যেখানে খুশি তুমি যাও হে মুসাফির!...

    অবশেষে বর্ষার জঙ্গল ভিজে যখন সবুজ হল, সেগুনের মঞ্জরী এলো শাখায় শাখায়, আমার যাওয়ারও সময় হলো। গ্রীন সিগনাল দেখতে পেলাম... "যাও হে, গাও হে গান এবার," "রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও, যাও গো এবার যাবার আগে..."

    ডুয়ার্সে কতবার গেছি গুনি নি। গুনতে চাইও না। তাই রেলকম ঝমাঝম, আসা যাওয়ার দুটো টিকিট বুক ঠুকে কেটে ফেললাম আমার প্রিয় ট্রেন কাঞ্চনকন্যার।

    সফরসূচি সংক্ষিপ্ত। পুব ডুয়ার্সের খুব প্রিয় কয়েকটা জায়গাকে বেছে নিলাম। শুরু করলাম পাটকাপাড়ার বিখ্যাত খামারবাড়ি "ইস্টিকুটুম" দিয়ে। তারপর চিলাপাতার জঙ্গল, রাজাভাতখাওয়ার গভীর অরণ্য, জয়ন্তীর ছলাৎ ছল নদীর জল, আটিয়াবাড়ির চা বাগান কেন্দ্রিক আরণ্যক সৌন্দর্য ও গারো বস্তির শান্ত সবুজ নির্জনতা।

    আসাম - বারোবিশা চওড়া হাইওয়ের ধারে গরম বস্তি। পুব ডুয়ার্সে পা ফেললেই গরম বস্তির তপনের চায়ের দোকানে একবার আসবই। তপনের গরম সিঙাড়া, চা আর হাতির গল্প শোনার লোভ সংবরণ করতে পারি না। এবারও কদিন আগে মাঝরাতে হাতির পাল এসে ওর দোকানে 'ভিজিট' করে গেছে। মাটির উনোন, বসার চেয়ার মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে বেমালুম চলে গেছে। পাশের জমির সোনালি ধান ক্ষুধার্ত হাতির দল অসহায়ভাবে খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। এসবই পুরনো পরিচিত গল্প। তবু যখন ওদের মুখে এসব গল্পকথা শুনি এবং ওদের করুণ অসহায় মুখগুলোকে দেখি, তখন আমার মনটাও কেমন ভিজে নরম হয়ে যায়। সত্যিই তো সুন্দরবনে যেমন বাঘ নিয়ে বনবাসী মানুষগুলোর নিত্য ভয়, উপদ্রবের যন্ত্রণা। উত্তরবঙ্গের এই সব প্রান্তিক জনজাতি, বনবাসী মানুষগুলোর জীবনেও হাতির ভয় ও উপদ্রব প্রতিদিনের জীবনে লেগেই আছে।

    গরম বস্তির গরম চা ও সিঙাড়া খেয়ে আলিপুরদুয়ারের জনপ্রিয় মানুষ, আমার বহুদিনের বন্ধু শিবুনদার সাথে আরও কিছু গল্প করে পাটকাপাড়ার উদ্দেশে রওনা দিলাম। গারোবস্তি থেকে অটোয় করে আসাম বারোবিশা চওড়া হাইওয়ে ধরে চলেছি। এই পথটুকু দারুণ উপভোগ্য। বেশ থ্রিলিং। দুরন্ত, দুর্ধর্ষ সব ট্রাক, বাস, ছোট গাড়ি সোঁ সোঁ করে তীব্র গতিতে ছুটে চলে যাচ্ছে একদম পাশ দিয়ে। সেই রোমাঞ্চ মনকে নাড়া দিয়ে যায়। আর অন্যদিকে রাস্তার দুধারে সবুজ গাছপালা, ধানক্ষেত, নদী, বিল, নীল আকাশে পাখিদের ওড়াউড়ি দেখতে দেখতে আনমনা আনন্দে বিভোর হয়ে কখন যেন পৌঁছে গেলাম ইষ্টিকুটুম খামারবাড়ির দুয়ারে।


    কুটুম আসবে, ভাইরাম জানত। সুব্রত কুন্ডু মহাশয় আগাম সংবাদ দিয়ে রেখেছিলেন। সুব্রতদার এই খামারবাড়িতে এর আগেও এসেছি। বড় প্রিয় এই ফার্ম স্টে। চোখের সামনেই চা বাগান, কালজানি নদী, দিগন্ত জুড়ে ডুয়ার্সের অপরূপ ল্যান্ডস্কেপ আর উদার উন্মুক্ত নীল আকাশ। কালজানি নদীর ওপারেই চিলাপাতার জঙ্গল।

    শ্রাবণের আকাশ মেঘে মেঘে ঢেকে আছে। বারান্দার নির্জনতায় চায়ের পেয়ালা নিয়ে বসে আছি। ইষ্টিকুটুম-এর এই ঘর-বারান্দা থেকে প্রকৃতিকে মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখা যায়। ছোঁয়াও যায়। মন উদাস করা চারপাশের নির্জনতাকে রবি ঠাকুর শুনতে শুনতে দারুণ উপভোগ করলাম, "আমার প্রিয়ার ছায়া, আকাশে আজ ভাসে, হায় হায়! বৃষ্টি সজল বিষন্ন নিশ্বাসে হায়..."

    কলঘরে ঝর্ণার জলে স্নান করতে করতেই শুনতে পেলাম ভাইরামের ডাক, "রসুই ঘরে চলে আসুন। খাওয়ার রেডি।"

    গরম গরম ভাত, উচ্ছে ভাজা, আলু-পেঁপের তরকারি, রাইচ্যাং মাছের ঝাল ও স্যালাড দিয়ে দিলখুশ মধ্যাহ্নভোজন সেরে ফেললাম। একটু পরেই চিলাপাতা থেকে এক বনবাসী বন্ধু আসবেন, সে এসে আমায় নিয়ে যাবে তার বনকুটীরে। বিকেলটা সেখানে তার সাথে গল্পে ও চিলাপাতা বন ভ্রমণে কাটবে। সফরসূচি সেভাবেই সাজানো।

    অপরাহ্নের নরম আলোয় তার দু'চাকার গাড়িতে সওয়ারি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাটকাপাড়া থেকে। নিমতি চৌপথি হয়ে ৩১ নং জাতীয় সড়ক ধরে কিছুটা এগিয়ে এসেই বাঁ-দিকের লাকড়া রোডে ঢুকে পড়লাম। শুরু হয়ে গেল দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি। এখানে রাস্তার দু'ধারে ছোট ছোট গ্রাম। ঘর বাড়ি। রাভা, মেচ, বরাইক, রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজনরাই বসবাস করেন।

    রাস্তার দু'ধারে সার বেঁধে সেগুন গাছ চোখে পড়ল। হাতির কানের মতো বড় গোল গোল সেগুন পাতায় ভরে আছে গাছ। আর ডালে ডালে সেগুন মঞ্জরী। বর্ষার বৃষ্টি ভেজা এই গাছের রূপ দেখে মন ভরে গেল।


    দক্ষিণ মেন্দাবাড়িতে গেছোদাদা অভিজিৎ চৌধুরীর "ক্যানোপি ড্রিমজ রিট্রিটে" দু'বছর আগে এক বর্ষা রাতেই থাকার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বুড়ি বাসরা নদীর ধারেই ক্যানোপির সাম্রাজ্য। চিলাপাতার গভীর জঙ্গলকে গন্ধ শুঁকে দেখা যায় এখানে বসে। এ জঙ্গল হাতি, লেপার্ড, হরিণ, বাইসন, অজগর, রাইনো, ময়ূরের ঘর বাড়ি। ওরাই জঙ্গলের রাজা রাণী। আমরা কতগুলো উটকো পর্যটক মাঝে মাঝে এসে ওদের দেখার ছলে উপদ্রব করে যাই!..

    চিলাপাতার ছোট্ট হাট দেখা হল বিকেলে। বনবাসী বন্ধুর বনকুটীরে চা খেয়ে গল্প করে চিলাপাতার জঙ্গলের চারপাশে এক বার রাউন্ড মেরে দেখে নিলাম অরণ্যের আলো ছায়াকে। তারপর বুড়িবাসরার জলে ঢলে পড়া সূর্যাস্ত দেখলাম। ভ্রামণিক জীবনে কত বার কত জায়গায়, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখেছি, তবু ভালো লাগে এমন জঙ্গলে নদীর জলে সূর্যাস্ত দেখতে।


    সন্ধ্যা নামার মুখেই ফিরে এলাম পাটকাপাড়া।

    বনবাসী বন্ধুই নামিয়ে দিয়ে বলে গেল, "দাদা, আবার আসবেন। খবর পাঠাবেন। এসে নিয়ে যাব।"

    ইষ্টিকুটুমে সন্ধ্যার আলোছায়ায় চারদিকে আঁধারমানিকরা জ্বলে। বারান্দার নির্জনতায় বসে এই সব জোনাকির ঝিলমিল দেখছি। শহরে এসব দুর্লভ। তাই বেশ লাগছে, জোনাকি ও জোনাকি কি সুখে ঐ ডানাদুটি মেলেছো, ও জোনাকি... রবিঠাকুর এখনও যেন আড়াল থেকেই সব দেখছেন!...

    আকাশ মেঘে মেঘে ঢেকে গেল। বিদ্যুৎ ঝলকালো। হাওয়া দিচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়া। গাছগাছালি দমকা হাওয়ায় দুলছে, উড়ে যাচ্ছে পাতা, খড়কুটো। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ঝমঝমাঝম নয়। কিন্তু একই ছন্দে বৃষ্টির গান বাজছে বাতাসে। ভাইরাম এসে এক পেয়ালা চা দিয়ে চলে গেল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কালজানির দিকে মুখ করে ইষ্টিকুটুমের অলিন্দের অন্ধকারে বসে এই বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যাকে নিজের মত করে উদযাপন করছি।

    রাত গভীর হলে ঘুম নেমে এল চোখে। এক ঘুমেই সকাল। ভোরের আকাশ আজ ফর্সা। নীল আকাশ হাসছে। ইষ্টিকুটুম-এর এক রাতের অতিথি ছিলাম। পাটকাপাড়ার আশপাশে, কালজানি নদীর ধারে, চা বাগানে সকালবেলায় পায়ে হেঁটে আবারও অল্প ঘুরে দেখে নিলাম। এখানে আগে এসেও থেকেছি। এসব দেখেছি। আবার দেখায় কোনও ক্লান্তি নেই। এবার বেরিয়ে পড়তে হবে রাজাভাতখাওয়া হয়ে গারো বস্তির ডাকে।

    গারো বস্তির লালদা, লাল সিং ভুজেল ইতিমধ্যেই বার দুয়েক ফোন করে খবর নিয়েছেন, "দাদা, কতদূর? কখন এসে পৌঁছবেন?" গারো বস্তির এই সুভদ্র মানুষটার সাথে আমার গাঢ় বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।

    আসাম-বারোবিশা হাইওয়ে ধরে রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলের পথে পড়লাম। রাজাভাতখাওয়ার চৌপথিতে এসে পরিমলের চায়ের দোকানে একটু থামলাম। গলা ভেজালাম। বহুদিন পর দেখা হল দুজনার। খবর দেয়া-নেয়া হল। পরিমল এখন সুস্থ আছে। দোকান সামলাচ্ছে। হোম স্টে-ও খোলা আছে। করোনাকালে বিপর্যয় নেমে এসেছিল পর্যটন শিল্পে। সেই ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় পরিমলও আছে।

    রাজাভাতখাওয়া রেলগেট থেকে গারো বস্তির লাল সিং ভুজেলের হামরো হোম সামান্য পথ। সড়ক থেকে গ্রামের পথে ঘুরলেই চোখে পড়বে বৌদ্ধমন্দির। নবনির্মিত এই মন্দির থেকে ভেসে আসছে শান্তির বাণী বৌদ্ধং শরণং...

    লালদা আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। বহুদিন পর মুখোমুখি দেখা দুজনার। দুজনেই আনন্দে হাসলাম। কুশল বিনিময় করলাম।

    চা খেতে খেতে গল্প জুড়ে দিলাম। লালদা মানেই গল্প। এই জঙ্গল, জনজাতি, বন্যপ্রাণ এই সব নিয়ে লালদার জীবনযাপন। "বন্যপ্রাণ উন্নয়ন সমিতি"-র একজন সক্রিয় সদস্য। আলিপুরদুয়ারের চারপাশের প্রান্তিক জনজাতি, আদিবাসী মানুষজনদের নিয়ে কত সামাজিক-অর্থনৈতিক ও শিক্ষামূলক কাজ করে চলেছেন নীরবে নিষ্ঠাভরে। সে সব কথা কাহিনি শুনতে শুনতে ভ্রমণকে সমৃদ্ধ করে নিলাম। ঘুরে বেড়ানো মানে শুধু প্রকৃতিকে দেখা, উপভোগ করা তো নয়, সেখানকার মানুষজনদেরও খোঁজ খবর নেওয়া, জানাও ভ্রমণের একটা শর্ত বৈকি।

    লালদার কাঠবাংলোর সংস্কারের কাজ চলছে। তাই এবার আর দোতলার বারান্দায় বসে দূরের ভুটান পাহাড়, বক্সাপাহাড়কে সেভাবে দেখা হল না। নবনির্মিত বাড়ির বারান্দায় বসে এই বর্ষার মেঘে ঢাকা দূরের পাহাড়কে দেখলাম। লালদার নতুন এক বন্ধু হয়েছে। এই ছোট্ট ময়ূরটাকে লালদা প্রথম দিন থেকে পুষছেন। যত্ন করে বড় করে তুলছেন। সেও খুব লালদার ভক্ত। ডাকলেই কাছে চলে আসে। কাঁধে চড়ে বেড়ায়। পায়ে পায়ে ঘোরে।

    গারো বস্তির আসল মজাই হল এর নির্জনতা। ও নির্মল গ্রাম ভ্রমণের আনন্দ। এখানে এলে দুটো দিন মন প্রাণকে সজীব করে তোলা যায়। কি শান্ত, কি প্রশান্তি চারপাশে। কথা বলা যায় নিজের সাথে। চোখ জুড়িয়ে যায় সবুজের সাম্রাজ্যকে দেখে।

    অপরাহ্নের নরম আলোয় অটোয় চেপে বসলাম। গন্তব্য সোজা জয়ন্তী। সেখানে অপেক্ষা করছে আরও এক সুজন। উত্তরবঙ্গে বারবার আসার দরুণ পাহাড়ে, বনপথে আমার অনেক সুজন বন্ধু তৈরি হয়ে গেছে। এখানে এলে তাঁদের সাথে দেখা হয়। প্রাণের দুটো কথা হয়। জল জঙ্গলের গল্প শুনি। বন দেখি। পাখি দেখি। পাহাড়, নদী সব দেখি। এই সব দেখার আনন্দ বন্ধুর সঙ্গলাভে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।

    অয়ন নাইডু খুব পরিচিত এক নাম। "ডুয়ার্সে আসুন, ডুয়ার্সকে ভালোবাসুন" সংস্থার সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও অয়ন এক প্রকৃতিপ্রেমিক যুবক। নানান ধরনের সামাজিক কাজ করে। ভূমিপুত্র অয়নের সাথে জয়ন্তী নদীর ধারে দেখা হল। নদীর ওপারে ভুটান পাহাড়। এপারে জয়ন্তীর ছোট্ট জনপদ ও গভীর জঙ্গল মাঝে জয়ন্তী নদীর জল কুলকুল করে বইছে। অয়নের সাথে পা ভিজিয়ে নেমে পড়লাম নদীর জলে। হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম ভুটিয়া বস্তি। চারপাশের এই আরণ্যক সৌন্দর্যের মধ্যে আমরা হাঁটছি। পড়ন্ত বিকেলের রোদ গায়ে আলতো করে পরশ রেখে যাচ্ছে।

    জয়ন্তীর জঙ্গল, জনপদ আগেও দেখেছি। এবার আবার এলাম। নদীর চরে দাঁড়িয়ে শেষ বিকেলের আলোয় বড় আশ্চর্য সুন্দর দেখাচ্ছিল জয়ন্তীকে। সন্ধের অন্ধকার গাঢ় হওয়ার আগে ফিরে চললাম গারো বস্তি। এই পথে হাতির হানাদারি আছে।

    আগামীকাল সকালে আটিয়াবাড়ি চা বাগান, কালকূট নদী, গদাধর বিট দেখতে যাব। দমনপুর থেকে শিবুন ভৌমিক আসবেন। শিবুনদা প্রজাপতি বিশারদ। পাখি চিনতে পারেন চটজলদি। জঙ্গলে শিবুনদার সাথে বেড়ানোর বাড়তি পাওনা এসব।

    গারো বস্তির সন্ধ্যা বড় সুন্দর। বারান্দায় বসে দূরের ভুটান পাহাড়ের দিকে চেয়ে ভাবছি, ডুয়ার্সের বনে বনে ঘুরে বেড়ানোর এই আনন্দ আমাকে কখনো ক্লান্ত করে না।

    কাল শুরু হবে একটা নতুন সকাল। আবার নতুন আনন্দ-ভ্রমণে মেতে যাব। হারিয়ে যাব চা বাগানে। হারিয়ে যাব নদীর চরে।..



    অলংকরণ (Artwork) : লেখক
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments