সকাল ১০.৩১
হাঁটু গেড়ে হাটু থেকে বিদায় নিলাম। নারকান্ডা বাজার ছাড়িয়ে জারি রইল অধোগতি।
সকাল সোয়া ১১টা
মতিয়ানা। আড়ে বহরে মন্দ বড় নয়।
সকাল ১১.৪৫
ঠিওগে এসে ঠেকল গাড়ি। এবার শিমলামুখী চলন।
দুপুর ১২.১৩
ফাগু। শীতকালে তার অন্য চেহারা; এখন কোনও জৌলুস নেই। তিন মিনিটে নিউ কুফরী।
দুপুর ১২.২৫
শীতসুন্দরী কুফরী এখন বড্ড সাদামাটা।
দুপুর ১২.৩৫
ঢল্লী। কোনদিকে ঢলল কে জানে!
বেলা ১টা
সঞ্জৌলী।চা-টা চাপানো স্টপ।
বেলা দেড়টা
শিমলার জ্যামে জ্যামজমাট হয়ে বসে আছি। তাড়া অবশ্য তেমন নেই। আজ মাঝরাতে কালকা থেকে ট্রেন। ঠান্ডার আমেজ প্রায় উধাও। দিবস প্রস্তাব দিল, বেলাটুকু ওর গ্রামের বাড়িতে কাটাতে। রাতে ও আমাদের পৌঁছে দেবে স্টেশনে। এমন সনির্বন্ধ অনুরোধ এড়ানো যায়! ফোনে ওর বাবাও অনুরোধ করলেন।
বেলা ২.০৫
জ্যাম ছাড়িয়ে শোঁ করে শোঘী। গরম লাগা আরম্ভ হয়েছে। ভিড়ও বেশ।
বেলা ২.৩০
কন্ডাঘাট। কী কাণ্ড! কোথায় বাপু ঘাট?
বেলা ২.৫০
পুরোনো মোহন মিকিন ব্রিউয়ারীজ-এর কারখানার পাশ ঘেঁষে ব্রিউউম্ করে বেরিয়ে এলাম।
বেলা ৩.০৫
সোলান। এখানে দিবস বাঁয়ে মোচড় মেরে উতরাই ধরল।
বেলা ৩.৩২
ঘট্টাগাঁও। ঘটটা অবশ্য চোখে পড়ল না।
বেলা ৩.৩৮
দেওথী। থী তো অব কহাঁ গঈ?
বেলা ৩.৪২
রণোঁ রইল পড়ে। গাড়ি চলল উড়ে।
বেলা ৩.৫৫
দিবসের গ্রাম সুবাথুর মন্দিরের চূড়া দেখা দিল।
তিন মিনিটে ছোট্ট মিষ্টি গ্রামটার ছোট্ট মাঠ পেরিয়ে দিবসদের বাড়ি। পৌঁছতেই আন্তরিক অভ্যর্থনায় আপ্লুত হয়ে গেলাম। দিবসের মা,বাবা, দাদা, ওর নতুন বউ সকলেই এত ভালো! পাঁচ মিনিটেই বাড়ির লোক হয়ে গেলাম।
গ্রামের মন্দিরে প্রতি বছরের মতো বড় পুজো হচ্ছে; আশপাশের গ্রাম থেকেও ভক্তরা আসছে। এখানকার সেনাছাউনি থেকেও দর্শন করতে আসছেন অনেকেই। যদিও কোভিডের কারণে এ বছর মেলা বসানোর অনুমতি মেলেনি। স্নান টান সেরে শেষবেলায় গিয়ে দেখে এলাম এই আয়োজন। সহজ সরল অথচ জমজমাট। প্রসাদও পেলাম। দিবসের বাবা অনেকদিন কলকাতায় সামরিক অসামরিক গাড়ি চালিয়েছেন। তাই গল্প জমতে সময় লাগল না।
ধীরে ধীরে দিনমণি বিদায় নিয়ে রজনীকান্তকে রাজ্য সঁপে দিলেন। আমরাও রাতের খাবার খেয়ে ক-ঘন্টায় আপন হয়ে যাওয়া পরিবারের থেকে ভারাক্রান্ত মনে বিদায় নিলাম।