বোঝা যাচ্ছে, সাহিত্যের জগতে বেশ মন্দা সময় চলছে। পরিবর্তন দরকার। ভাবের ঘরে চুরি আর নেই, বাইরের রঙ্গই পেয়ে যাচ্ছে রাজার আসন। একই জিনিষ চলছে সাহিত্যে—জীবনে। আজকাল মানুষের মূল্যায়ন আর তার অন্তরের মূলধনের দিকে তাকিয়ে করা হয় না। তার বহিরাবরণই তাকে সমাজে স্থান করে দেয়। মাপকাঠি এ রকমই। তাই প্রয়োজন বেশ জোরালো এক ধাক্কার। গত দু’এক দশক—বরং দু’দশকই বলা ভালো—বেশ ভালোভাবেই বন্ধ্যা। এ সময়ে শুধুমাত্র সো-কেসে যত্ন করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পুতুল সাজানো হয়েছে। দরকার সেগুলোকে ধাক্কা দেওয়া। আসলটা টিঁকে যাবে নিঃসন্দেহে। বাকী সব গুঁড়ো হয়ে ধূলিস্মাৎ হবে।
কিছু কিছু লেখক যাদের সত্যি অর্থে লেখক হিসেবে গণ্য করা যায় কি না সন্দেহ, আপন দূর্গ গড়তে সচেষ্ট। একদিকে এই সমস্ত দূর্গ-সচেতন লেখকগোষ্ঠী যেমন নিজেরাই নিজেদের ভাবমূর্তি গড়তে সচেষ্ট, অন্যদিকে একই সাথে নামী-দামী লেখকেরা পাল্লা দিয়ে স্বনাম কীর্তন গেয়ে চলেছেন। কখনো কোথাও হচ্ছে কবিতামেলা—যেখানে কবিতার গুনাগুন বিচারের বদলে চলছে কবির পৃষ্ঠলেহন সাহিত্যের চাইতে সাহিত্যিকের পদমর্দনই হয়ে দাঁড়াচ্ছে মুখ্য প্রতিপাদ্য বিষয়। কবি-সাহিত্যিকেরা এগোচ্ছেন সিঁড়ি ধরে—সূক্ষ্ম কৌশলে, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য জলাঞ্জলি দিয়ে। এ ভাবেই গড়ে উঠছে কবির অবয়ব—তাঁর ভাবমূর্তি। কবিতার স্থান খুঁজতে গেলে সেখানে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই। কবিতা না থাকলেও কবি থাকবেই—এমন একটা ভাব।
আসল ব্যাপার হলো লেখাটাকে লেখার নিরিখে দেখা হয় না আর সেই জন্যই তথাকথিত কবি-সাহিত্যিকের হাটে আসল লিখিয়েরা হারিয়ে যান ; তাঁরা হয়ে পড়েন লেখক নামের অযোগ্য। দলাদলি তাঁদের ধাতে কুলোয় না বলে সাহিত্যের সাথে সংশ্রব রাখা দুঃসহ হয়ে ওঠে। মেকীর সংখ্যা হয়ে যায় বেশী। সাহিত্যের বাজারে চলে সখের মৌতাতী।
সাহিত্যের স্বার্থে তাই দূর্গ নস্যাৎ করা দরকার। সত্যিকারের লেখক যাঁরা, তাঁরা পিছিয়ে থাকলে চলবে না। লেখা যদি সত্যিই অন্তরের তাগিদে হয়, তবে তা উপহার দেয়া যেতে পারে সময়ের দরজায়। মা ফলেষু কদাচন। সময় ঠিক চিনে নেবে। আসল নকল বিচার হবে সময়ের মাপকাঠিতে সত্যের নিরিখে।
‘অন্যস্বর’ সাহিত্যের ছোট কাগজ—সাহিত্য করার নীতিতে গড়া। ‘অন্যস্বর’ দূর্গ গড়তে চায় না। অন্য রকম স্বরকে সুরে বাঁধতে চায়। সাহিত্যকে দেখতে চায় সাহিত্যের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে। তাই তো ‘অন্যস্বর’। নতুন এ, আর সব হারানো পুরনো।”
পরীক্ষানিরীক্ষার প্রবণতা স্বপন কুমার রায় সম্পাদিত ‘অন্যস্বর’-র প্রথম সংখ্যা থেকেই লক্ষ্য করা যায়। আলাদা করে পৃষ্ঠাসংখ্যা দেওয়া হয়নি। প্রচ্ছদে লেখার বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ‘বিজ্ঞাপন সাহিত্য’ অংশটি বেশ আকর্ষণীয়।
স্বপনকুমার রায় দীর্ঘদিন ধরে কোচবিহারের ইতিহাস নিয়ে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হল—‘প্রাচীন কোচবিহারের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত’, ‘প্রাচীন কোচবিহারের আর্থ-সামাজিক ইতিহাস’, ‘কোচবিহার রাজদরবারের সাহিত্যচর্চা’, ‘কোচবিহার বৃত্তান্ত’। তাঁর লেখালেখির জীবনের সূচনা হয়েছিল কবিতা লেখা ও পত্রিকা সম্পাদনার মধ্য দিয়েই। কবিতার বই : ‘প্রতিবিম্ব মুখ’, ‘পাথরেও জল আছে’ প্রভৃতি। পত্রিকা আলোচনার সূত্রে আমরা সম্পাদকেরও বিভিন্ন পরিচয় খুঁজে পাচ্ছি। প্রথম সংকলনে প্রকাশিত হয়েছিল ‘দুঃখের মমতায় জন্ম নিক’ কবিতাটি—“না-ই যদি দেবে ভালোবাসা দু’হাতে জড়িয়ে কেন/ দুঃখ দাও, অনুভবে যদি না-ই দেবে সুখ/ শব্দের প্রতীকে কেন এনে দাও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি--/ তার চেয়ে বেশী ভালো স্বেচ্ছায় যদি আমি হেরে যাই,/ বিজেতার ভূমিকায় শুদ্ধস্নানে গেঁথে যাই শব্দকল্পমালা/ কবিতা জন্ম নিক আন্তরিক দুঃখের মমতায়।”
১ম বর্ষ ২য় সংকলনটি (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৭৯) ‘প্রয়াত শিল্পী অসীম সেনকে নিবেদিত সংখ্যা’ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। শিলিগুড়ি প্রতিনিধি হিসেবে এই সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে কমলেন্দু পালের নাম ও ঠিকানা। ব্যাক কভারে ‘‘অন্যস্বর’ বনাম ক্ষুদ্র পত্রিকার সমস্যা’ লেখায় মফস্সল শহরে বসে ম্যাগাজিন করবার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধার কথা উঠে এসেছে। শেষপর্যন্ত নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকা—সেতো সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসাকে পুঁজি করেই। শেষাংশে লেখা হয়েছে—“শিল্পী অসীম সেন আর নেই।…শিল্পীর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে ‘গ্রাম-শহরের ইতিকথা’ প্রচ্ছদটি নিবেদন করলেন সমর দে ; রূপ দিলেন গণেশ ভট্টাচার্য।”
এই সংখ্যায় অসীম সেনের ‘চারুকলার সমস্যা’ লেখাটির দ্বিতীয় অংশ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন—“যেদিন এদেশের চারুকলা জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশেষ শহরাঞ্চলে কুক্ষিগত হয়ে পড়লো, সেদিন থেকে এদেশের চারুকলা জগতের বিবর্তন গেল থেমে। আমি পালযুগীয় শিল্পকলা বা ভাস্কর্য-কলা পর্যন্ত কলাকার জগতে একটা গতি দেখতে পাই। কিন্তু তাঁর পরবর্ত্তিতে ভারতীয় কলাজগৎ নিছক অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই করেনি—যে স্পৃহাটা আমার ভেতরও বর্ত্তেছে। তবু বলো এহেন পরিস্থিতির ভেতরেই আমাদের কলকাতার শিল্পজগতে কিছু কিছু আলোড়ন দেখা যায়। এবং সেটা হয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের জিয়নকাঠির স্পর্শে। (প্রসঙ্গত : উল্লেখ্য, যতটুকুন স্থবিরতা ততটুকুন হয়েছে ওদেরই মরণকাঠির স্পর্শে।) তাই আমরা বেশ কিছুদিন বাদে কলকাতায় দেখলাম আর্ট কলেজের পত্তন—দেখলাম অবনীন্দ্রনাথ, হেমেন মজুমদার, স্যার টমাস্, নন্দলাল বোস, বাংলা ঘড়ানা, পাশ্চাত্য ঘড়ানা এবং রবীন্দ্রনাথের মতন সেকালে চাপা পড়ে থাকা একজন যথার্থ মৌলিক শিল্পী, যাকে শিল্পজগতে একমাত্র গতিশীল মানুষ বলা যায়। তখনই আবার শুরু হল বাংলা ঘড়ানা, পাশ্চাত্য ঘড়ানা এবং আধুনিক চিত্রকরদের মধ্যে আদর্শগত দ্বন্দ্ব এবং যার ফল হিসেবে কলকাতাবাসী পেল আর্টগ্যালারী, আর্টস্কুল, কিছু ঘড়কুনো চিত্র প্রদর্শনী, আর সেই Movement সীমাবদ্ধ রইলো শুধু কলকাতাতে—বিকেন্দ্রিত হোলো না কলকাতার বাইরে।” খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সন্দেহ নেই। শিল্পী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধনের উদ্দেশে ইন্ডিয়ান আর্ট উদ্যোগে বাৎসরিক চিত্রমেলা আয়োজনের কথা উঠে এসেছে আলোচনায়। কিন্তু এতেও যে শিল্প ও শিল্পীর উন্নতি হল তা নয়। কেননা দূরত্ব ঘুচল না। শিল্পীরা হতাশ ‘এদেশের জনগণ ছবি বোঝে না’ ভেবে—“পাশাপাশি দর্শক, আপনিও দেখুন, আপনি চিত্রকলার ব্যাপারে কেমন অহেতুক নাক-সিট্কান অথবা বোঝেন না নতুবা বোঝার ভাণ করেন নিজেকে সংস্কৃতিবান প্রমাণ করবার জন্য!”এই সময়ের প্রেক্ষিতেও কথাগুলি প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবন্ধের শেষের অংশটুকু উদ্ধৃত করছি—“অতীত দিনের ছবি বা ভাস্কর্য আমরা যা দেখি তাতে স্পষ্টই বুঝি যে তা কখনোই বাস্তবের হুবহু অনুকরণ নয়, পরন্তু বাস্তব কিছুর নবরূপে রূপায়ণ। আবার জগন্নাথ পট কিম্বা শিবলিঙ্গ ইত্যাদিতে বিমূর্ত্ত বলেই মনে হয়। অথচ দেখুন, আমাদের অতীত দিনের শিল্পীরা কি অভিনব কৌশলে শিল্পকে মানুষের চলার পথের বন্ধু করে দিয়েছিলেন। তাঁরা সার্থক হয়েছিলেন শিল্পকলাকে সমগ্রের করে তুলতে। স্পষ্টতই, তাঁদের পক্ষেও যখন এমন শিল্পের সাথে দর্শকদের সম্পর্কস্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল, আমাদের পক্ষেও সেরকম সম্পর্ক গড়ে তোলা আজ অসম্ভব কিছু নয়। তাই এ প্রবন্ধে আমি যা বলতে চেয়েছি তা হোলো, শিল্প এবং দর্শকের মধ্যেকার ব্যবধান দূরীকরণের চেষ্টা আমরা করতে পারি সহজেই।” এই সংকলনে পৃষ্ঠাসংখ্যা চিহ্নিত হয়নি।
‘অন্যস্বর ৭’ এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করি প্রচ্ছদে পত্রিকার নামের আগে লেখা হচ্ছে—‘উত্তর বাংলা থেকে সাহিত্য ও শিল্প ত্রৈমাসিক’। এই সংখ্যায় পরিচালন সমিতির সদস্যদের নাম দেওয়া হয়েছে—গণেশ ভট্টাচার্য, জীবন কুমার ভদ্র, প্রদীপ্ত সামন্ত, স্বপন মিত্র। পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল বলাকা প্রেস থেকে, প্রকাশক চন্দন চক্রবর্তী। ত্রৈমাসিক ‘অন্যস্বর’ –এর প্রকাশক ও মুদ্রক হিসেবে আমরা পরবর্তীকালে পাব কৃষ্ণা রায়ের নাম। প্রকাশস্থান : সাহিত্যসভা লেন, কোচবিহার-৭৩৬১০১। পত্রিকার প্রচ্ছদে কখনও সম্পূর্ণ সূচিপত্র, কখনও সম্পাদকের কথা স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে ‘অন্যস্বর’ নিজেকে উল্লেখযোগ্য লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল।
‘অন্যস্বর ১৯’-এর সম্পাদকীয়তে লেখা হচ্ছে—“আমাদের ইচ্ছা ছিল অনেক কিছু। কিন্তু প্রতিকূলতা তার চেয়ে আরো বেশী। সাহিত্যের একটি ছোট কাগজের নিজস্ব চরিত্র গড়ে যে শ্রম নিষ্ঠা বা সততা দরকার এতদিন আমাদের মধ্যে তার কোনকিছুর ঘাটতি ছিলো না। কিন্তু আজ যেন আমরা মাঝেমাঝেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছি ; প্রতিকূল আবহাওয়া এতটা দুঃখজনক বিকারগ্রস্ত এবং বিবরবাসী। আমরা সাহিত্য-পঞ্চায়েতদের কূটকচালীর চোটে বারবার বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়ছি, যদিও জানি সবকিছুরই সমাপ্তি একদিন অনিবার্য। আর সবকিছুর মতই আমাদের এই ছোট কাগজ একদিন স্তব্ধ হয়ে আসলেও আমরা আশ্চর্য্য হবো না।” (পৃ: ১) মফস্সল শহর থেকে পত্রিকার নিজস্ব শিল্পবোধের প্রতিষ্ঠা ও ‘সাহিত্যের কাগজের নিজস্ব চরিত্র’ গড়ে নেবার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল এই লেখায়। বিগত বছরগুলিতে যে সমস্ত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে সম্পাদকীয়তে। লেখার শেষে বলা হচ্ছে—“এখনো নয়, অন্যস্বর-এর সার্থকতা সেইদিন আসবে যেদিন বাঙ্লা সাহিত্যের জন্য সে কিছু অবদান রেখে যেতে পারবে।” (পৃ : ৩) ত্রৈমাসিক ‘অন্যস্বর’ ২৫শে বৈশাখ ১৩৯১ সংখ্যায় তৃতীয় প্রচ্ছদে দেখছি পত্রিকা সংরক্ষণের প্রয়াস—“অনেক সৃষ্টিশীল প্রতিশ্রুতির জন্ম/ ছোট পত্রিকায়/ অথচ আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি/ ছোট পত্রিকা সংরক্ষণের জন্য/ তেমন কোন একক বা সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াস নেই/ছোট পত্রিকার সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য/ আমরা তাই/ সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়েছি/ যা ভবিষ্যতে গবেষণায়ও সাহায্য করতে পারে”—আর তাই পত্রিকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে দপ্তরে।
‘অন্যস্বর’-এর ‘এক টাকার এক ফর্মার বই’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল কবি পরেশ সোমের ‘চিহ্নিত ফুল’, বিশ্বনাথ দাসের ‘স্থির চিত্র’, সমীর চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমার জন্য নয়’ কিংবা স্বপন কুমার রায়ের ‘রাতভর জ্যোৎস্না’। ‘অন্যস্বর’ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল সমীর চট্টোপাধ্যায়ের ‘মাটিতে পড়ে আছে ফুল’, স্বপন কুমার রায়ের ‘পাথরেও জল আছে’, বিশ্বনাথ দাসের ‘বীণাদি ও আমাদের সাগরদীঘি’, শংকর কুণ্ডুর ‘কতিপয় কুমারী কবিতা’, সন্তোষ সিংহের ‘সন্ধিপ্রস্তাব’, অমর চক্রবর্তীর ‘পাথর ঝোরায় বৃষ্টি’। এছাড়া স্বপন কুমার রায়ের ‘প্রতিবিম্ব মুখ’, সমীর চট্টোপাধ্যায়ের ‘স্বজনে নির্জনে’, অমর চক্রবর্তীর ‘এই জীবন এই অনিয়ম’, সন্তোষ সিংহের ‘মাটির কাছে যাও’ কাব্যগ্রন্থের উল্লেখ পাচ্ছি পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা থেকে। ‘অন্যস্বর ৭’-এ একজায়গায় পাচ্ছি—“সাহিত্যের আন্দোলন এমন হওয়া দরকার যাতে মানুষের অন্তদৃষ্টি খুলে যায়। এখানেই আন্দোলন সার্থক হতে পারে। ‘অন্যস্বর’ এমনই একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়।” (পৃ: ৭)
‘অন্যস্বর ২০’ (জানুয়ারী-ডিসেম্বর ১৯৮৭)- তে পরবর্তী ‘কোচবিহারের প্রাচীন সাহিত্য’ সংখ্যার সম্বন্ধে বলা হয়েছিল—“ষোড়শ শতাব্দীতে রাজা নরনারায়ণের রাজত্বকালে অহোমরাজকে লেখা চিঠিই যে বাঙ্লা গদ্যের আদি নিদর্শন তা আজ সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু কোচবিহার রাজ্যে সাহিত্যের পরিমণ্ডল আরো আগে গড়ে উঠেছিলো, যার ফল হিসেবে বংশপরম্পরায় সপ্তদশ, অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দীতে রাজন্যবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় বাঙ্লা সাহিত্যের একটি বিস্ময়কর অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিলো। একদিকে যেমন বাঙ্লা গদ্য লালিত হয়ে উঠেছিলো রাজনৈতিক চিঠিপত্র এবং রাজ পরিবারের ইতিহাস রচনায় অন্যদিকে তেমনি কবিতার ক্ষেত্রে চলেছিলো পুরাণ ও রামায়ণ-মহাভারতের অনুবাদ ও মৌলিক রচনা। আবার ষোড়শ শতাব্দীতে নরনারায়ণের রাজত্বকালে শঙ্করদেব-রচিত অঙ্কীয় নাটগুলিই সম্ভবত বাঙ্লা নাটকের আদিপর্ব্ব সূচিত করেছিলো। সেই ষোড়শ শতাব্দী থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে বিংশ শতাব্দীতে রাজানুগ্রহপুষ্ট সাময়িক তথা সাহিত্য পত্রিকা ‘পরিচায়িকা’ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নানাদিক নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে অন্যস্বর-এর বিশেষ সংখ্যা।” এই সংখ্যার লেখকসূচিতে ছিলেন ড. ভবতোষ দত্ত, ড. দিলীপকুমার কাঞ্জিলাল, ড. নির্মলকুমার দাশ, ড. সুবোধ রঞ্জন রায়, ড. প্রশান্ত দাশগুপ্ত, অধ্যাপক তরণীকান্ত ভট্টাচার্য, ড. অজয়কুমার চক্রবর্তী, ড. বিমলেন্দু দাম, ড. সুরঞ্জন দত্তরায়, ড. হিমাংশু মণ্ডল, শ্রীমতী কৃষ্ণা দাশ প্রমুখ। আনুমানিক আড়াইশো পৃষ্ঠাসম্বলিত সংখ্যার দাম নির্ধারিত হয়েছিল কুড়ি টাকা। অবশ্য পরিকল্পিত সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়নি।
‘অন্যস্বর ৩২’ (বইমেলা ১৪১৮) এর শুরুর কথা হিসেবে সম্পাদক জানিয়েছেন—“Originating from Cherapunji, the Great Earthquake of 1897 showed its grim face throughout North-Eastern India so much so that it devastated a vast area of Assam, Bengal, Bihar and Orissa, from South Lusai hills on the east to Shahabad on the west, and from Puri on the south to Sikim on the north, and the force of the wave, nevertheless, surpassed all other earthquakes of the 19 th century.
In this Special Number of Anyaswar, we have endeavoured to recall the effects of this earthquake as recorded in Cooch Behar papers a century and one decade ago, for general awareness of the people. The reports have been bundled together under one cover for authoritative use of it by the kind scholars, Nevertheless, it is a documentation of old records. (p. 4)
পত্রিকার পাতায় পাতায় কত যে ভাবনার উপাদান লুকিয়ে থাকে! ১৯৮৩ সালের ২৫শে বৈশাখ সংখ্যায় বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুটি অপ্রকাশিত কবিতা মুদ্রিত হয়েছিল। তারপর বন্ধনীর মধ্যে সম্পাদকের সংযোজন—
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং অমিয়ভূষণ মজুমদারের যোগাযোগ সেই পূর্বাশার দিনগুলি থেকে। এক নতুন কবি এবং নতুন ঔপন্যাসিক পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই হৃদয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন। তারপর তো কত দিন গেল, তবু দুজনের আন্তরিক যোগাযোগ এখনও নিবিড়। দুজনের পত্রাবলী প্রকাশিত হলে সেই বন্ধুত্বের কাহিনী জানা যেত। অমিয়ভূষণকে লেখা বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের চিঠিতে থাকত বিচিত্র রেখাঙ্কন এবং কবিতাও। সেই রকম দুটি অপ্রকাশিত কবিতা সংগ্রহ করে দিয়েছেন অমিয়ভূষণের পুত্র অম্লান মজুমদার।
প্রথম কবিতা, এক্ষেত্রে রচনার তারিখ হিসাব করতে হচ্ছে, ‘গণবার্তা’ কাগজের পোস্টকার্ডে ছাপা। রচনাকাল বর্ষশেষ ১৩৬১ অর্থাৎ ইংরেজি এপ্রিল ১৯৫৫ সাল। কবিতাটির শিরোনাম দেওয়া ছিল ‘আর এক আরম্ভের অস্বস্তি (অমিয়কে)’। অন্যস্বরে প্রকাশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে পাঠালে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে অম্লান মজুমদারকে যা লেখেন উদ্ধৃত হল :
‘অমিয়কে লেখা কবিতাটি অবশ্যই ছাপতে পারো। তারিখ যেন থাকে। কবিতাটির নাম কি পরিবর্তন করা যায়? ‘কাজ নেই তার’। অবশ্য Foot noteএ আগে যে নাম দেওয়া ছিল তার উল্লেখ থাকতে পারে।’
দ্বিতীয় কবিতাটিও পোস্টকার্ডে, তারিখ ৫/১০/৫৮, মধ্যরাত্রি, দেওয়া আছে। ‘সংস্কৃতি পরিষদ’ নামাঙ্কিত পোস্টকার্ডের বা দিকের মার্জিনে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা—‘এ কবিতার কোনো copy রাখলাম না। একদিন যদি দরকার হয়, তুমি কি তখন Copy করে দেবে?’ (পৃ: ২০)
‘অন্যস্বর’ পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে। উৎসাহী পাঠকের জন্য নির্বাচিত সূচিপত্র প্রস্তুত করলাম। ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন। প্রসঙ্গত, ‘অন্যস্বর’, ২৫ বৈশাখ ১৩৯১ সংখ্যায় অরুণেশ ঘোষের লেখা ‘মুক্তি’ কবিতার শেষাংশ উদ্ধৃত করছি—“শব্দেরা কি পথে পথে নক্ষত্রের চোখ হয়ে জ্বলে?/ অক্ষরের শিখা শুধু গান গায়?/ অক্ষরের মুখ আমি দেখি, বার বার মুছে গিয়ে/ আকাশের শেষে ফুটে ওঠে, সাদা-নীল-কালো”
দুটি কবিতা—জটিলতা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে, তির্যক : বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
কবিতা—রূপান্তর : বিশ্বনাথ দাস, মন, মন : চন্দন রায়, সহজ হয়ে যায় : সমীর চট্টোপাধ্যায়, একটি সূর্য্যের প্রার্থনা : বিপ্লব রুদ্র, প্রেম আছে কিনা : সুব্রত পাল, দুই আর দুই মিলে চার হয় : গৌরী ভাওয়াল, অকালকুষ্মাণ্ড : সুমিত ভাদুড়ী, তোমার শরীর থেকে আনন্দ : বারীন পাকড়াশী, সুখ : কুমকুম রায়, হয়তো এর নাম ভালোবাসা : চঞ্চল পাল, মধ্যমানব : ইন্দুভূষণ ভদ্র, সময়ের সাথে : প্রদীপ বাগচী, ওঠো : দিবাকর ভট্টাচার্য, কে বলে নেই : ত্রিদিব চক্রবর্তী, খুঁজি সুন্দর : শীতল পাল, দণ্ডদাতা : বিপ্লব রক্ষিত, জন্মের শৃঙ্খল : জগন্ময় মজুমদার, ধানের খোসার নীচে : শ্যামল চৌধুরী, দুঃখের মমতায় জন্ম নিক : স্বপন কুমার রায়
অনুবাদ কবিতা—পল ভেরলেন এর কবিতা : অর্ণব সেন (অনু.)
প্রবন্ধ—চারুকলার সমস্যা : অসীম সেন
সংস্কৃতি পরিক্রমা— চিত্রকলা : ‘সবুজের অঞ্জলী’র উদ্যোগে চিত্র-প্রদর্শনী, সঙ্গীত : ‘আনন্দম’ এর রবীন্দ্র-নজরুল প্রভাত, নাটক : ‘থিয়েটার ইউনিট’ এর ‘কেননা মানুষ’—প্রতিবেদক : অমর চক্রবর্তী
গদ্য—মালার্মের সূত্র : অ্যাড্রিয়ান্ হেন্রি (অনুবাদ : অর্ণব সেন)
প্রবন্ধ—‘জর্জীয় আধুনিকতা’ ও জীবনানন্দ : সুশান্ত কুমার চক্রবর্ত্তী, সাহিত্যে কৃষক সম্প্রদায় : দুর্গেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, চারুকলার সমস্যা : অসীম সেন
কবিতা—মুখোস : সমীর চট্টোপাধ্যায়, কে কাকে ( ‘উলঙ্গ রাজা’ পড়ে ) : চিত্রভানু সরকার, এখন : জীবন কুমার ভদ্র, সঙ্কোচ : স্বপন কুমার রায়, ছবি : বার্ণিক রায়, হিংস্র থাবা লুকিয়ে থাকে : কুমার অজিত দত্ত, ধারাবাহিকতা/পাখি : সুমিত ভাদুড়ী, বন্যা : সমর দে, নিঃস্ব ভাণ্ডারে একা : জগন্ময় মজুমদার, অথচ আশা ছিলো : প্রদীপ বাগচী
অনুবাদ কবিতা—শরৎ প্রভা : তোশমু ফুকুদা (অনুবাদ : অমর চক্রবর্ত্তী)
গল্প—অনুসঙ্গ : দেবাশীষ মজুমদার
অনুবাদ গল্প : দু’টি উপকথা : কুয়ো-মো-জো (অনুবাদ : সৌজেন সরকার)
সমর দে-এর প্যাস্টেল অঙ্কিত ছবি
প্রবন্ধ—উপন্যাসকার সার্ত্রে : অর্ণব সেন, হঠাৎ নীরার জন্য : যে হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ : স্বপন কুমার রায়
কবিতা—ইদানীং কষ্ট হয় : তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, তোমাদের বাড়ি : বেণু দত্তরায়, রাজা : পরেশ সোম, মানুষের জন্য : বিশ্বনাথ দাস, নতুন ভুবন : সমীর চট্টোপাধ্যায়, এই আকালে : শঙ্কর চক্রবর্ত্তী, বর্ণপরিচয়ের স্বাধীনতা এখন : নীরদ রায়, অমিতাকে : কঙ্কণ নন্দী, আগুনে পোড়ে না তার কালো চুল [বেণু দত্তরায়কে] : অজিতেশ ভট্টাচার্য, গোপনে অন্তরে : চিত্রভানু সরকার, অপ্রকাশিত কবিতার ভিড়ে/ দুই : নীতীশ বসু, বিমান সেবিকার জন্য : মনোজ রা, অলস রোদ : কল্যাণ দে, আমার গল্প : অমর চক্রবর্তী, ঘুম : ত্রিদিব চক্রবর্তি, পড়ে আছে ফুল, ফুটে আছে : দিবাকর ভট্টাচার্য, তোমাকে, হে প্রিয় : নির্মল চক্রবর্ত্তী, বসবাস-মনস্ক হলে : মলয় সরকার, দাম : অমর দে
রথীন্দ্র নাথ রায়ের কবিতাগুচ্ছ : ব্যক্তিগত/ ১, ব্যক্তিগত/২
গল্প—“যাওয়া” : দেবাশীষ মজুমদার
অনুবাদ গল্প—দি ফ্যাট অ্যান্ড দি থিন : আন্তন চেখভ্ (অনুবাদ : জীবন কুমার ভদ্র)
প্রসঙ্গ/ চিত্রকলা—সমর দে-র ছবি : সাক্ষাৎকার : অরূপ রায়চৌধুরী
প্রবন্ধ আলোচনা কবিতা নির্মাণ : শরৎ অনুসারী উপন্যাসিক জরাসন্ধ : ক্ষুদিরাম রাউৎ, কবিতায় অনুভবে : বেণু দত্তরায়, কবিতা বিষয়ে : রিচার্ড এবেরহার্ট (অনুবাদ : অম্লান মজুমদার), জন্ম শতবর্ষে কবি কুমুদরঞ্জন : সুবোধরঞ্জন রায়, শূন্যগর্ভ ভাষা ও কবিতার অপমৃত্যু : অরুণেশ ঘোষ, জ্যোৎস্নাপ্লাবিত উপত্যকা ও নির্জন তুষার : সমীর চট্টোপাধ্যায়, বাংলা ছোটগল্পের কালান্তর : অর্ণব সেন
কবিতা—পাহাড়ের স্মৃতি : জগন্ময় মজুমদার, চতুর্দশপদী : বেণু সরকার, চিহ্ন : কঙ্কণ নন্দী, নির্বাসনের দিনলিপি/ ২ : ঊর্ধ্বেন্দু দাশ, পাপ বলে কিছু নেই : সুশান্ত নিয়োগী, ঋতু নির্ণয় করে : কল্যাণ দে, শব্দ : নির্মল চক্রবর্তী, বৃত্ত : নির্মলকুমার ঘোষ, কার হাতে তুলে দেবো : কুমকুম রায়, তার ভেতরে ফুরুৎ পাখি : দীপক হালদার, জন্মি যেন পদ্মের ভ্রুণে : দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়, গাছ : বাসুদেব মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়, এখন : রথীন্দ্রনাথ রায়, ঘটে গেছে জন্মান্তর : গৌরী ভাওয়াল, রাজবাড়ির ঘর বড় অন্ধকার : অরুণ ভট্টাচার্য, হারানো-প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ : বিজয় কুমার দত্ত, ভেসে যায় সুখের শরীর : পরেশ সোম, সেই মানুষ সেই নাম সুব্রত রুদ্র : প্রদোষ দত্ত, নির্বাসন ও ব্যক্তিগত কথামালা : প্রদীপ বাগচী, কবি : অমর চক্রবর্তী, পাখি : দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, নিরালায় সুখ খুঁজি : স্বপন মিত্র, যেতে হবে : শঙ্কর চক্রবর্তী, শব্দহীন শূন্যতার মাঝে : শুভেন্দু মজুমদার, উদাসী ও শিবরঞ্জনী : স্বপনকুমার রায়
বিদেশী কবিতা— ভাবানুবাদ : নীলাঞ্জন সেন
বিশ্বনাথ দাসের কবিতাগুচ্ছ-- আত্মস্থতা/৬, আত্মস্থতা/৭, আত্মস্থতা/২১, আত্মস্থতা/২২
জীবতোষ দাসের কবিতাগুচ্ছ—চোখ, জীবনের গান
গল্প—ইদ্রিসেরা : জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তী, সময় অসময় : সরোজ দাস, ওরা তিনজন : জীবন সরকার
গল্প—সুশোভনার কাহিনী : অমিয়ভূষণ মজুমদার
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুটি অপ্রকাশিত কবিতা—কাজ নেই তার, নদী-কে
কবিতা—বুনো হাঁস : পরেশ সোম, প্রিয় জিজ্ঞাসায় : সোফিওর রহমান, একা : কঙ্কণ নন্দী, পিতৃ বিরহ : বাসুদেব মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়, রাত হ’ল, কেবল তুমি : বেনু দত্তরায়, চ’লে যেতে যেতে : জগন্ময় মজুমদার, হেসে খেলে কাটাতে জীবন : তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, অথচ হেমন্তমাস : দেবাশীস পাল, কিছু স্মৃতি কিছু ছবি : সমীর চট্টোপাধ্যায়, এপিটাফ : পরিমল ভট্টাচার্য, আসন্ন রাত্রির দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি বোবামুখ : শংকর চক্রবর্তী, আলোকবর্ষ দূর ব্যবধানে : সুশান্ত নিয়োগী, ঝর্ণা : দীপক হালদার, তুমি বদলে যাচ্ছ : নীতীশ বসু, প্রেম : কুমকুম রায়
প্রবন্ধ—দ্বিজ হৃদানন্দের চৈতন্যজীবনী : স্বপন কুমার রায়, বাংলাদেশের প্রেমের কবিতা : চার কবি : ক্ষুদিরাম রাউৎ
প্রবন্ধ আলোচনা—প্রতীকী অনুভব : অজিত দত্ত-র ‘জানালা’ : বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘প্রাচীন সাহিত্য’ : ভারতকথার রসমূর্ত্তি, বিস্মৃত সমালোচক শশাঙ্কমোহন সেন : সুবোধরঞ্জন রায়, দার্জিলিঙের নেপালী সাহিত্য : হরেন ঘোষ, বিতর্কিত অথবা স্ববিরোধী সার্ত্র : মিহিররঞ্জন লাহিড়ী, বিষ্ণু দে ও এলিয়ট : অর্ণব সেন
কবিতাগুচ্ছ—হঠাৎ দেখা : কঙ্কণ নন্দী, বন্ধুত্বের দৃঢ় শেকড় : নীতীশ বসু, শব্দেরও ওপরে তুমি : সুশান্ত আচার্য, ঘৃণায় ফিরাব মুখ : দুলাল সরকার, পাপমুক্তি : শম্ভু রক্ষিত, শব্দেরা গভীর : তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, তোমার জন্যে : রথীন্দ্রনাথ রায়, চোখ : শীতল চৌধুরী, সেই জায়গা : পরেশ সোম, ফুন্টশোলিঙ্ : বেণু সরকার, প্রতিকৃতি : শোভন চক্রবর্তী, অহংকারের অলংকার : বিশ্বনাথ দাস, একফালি চেলাকাঠ : সলিল পঞ্চানন, যশমান লামা : বেনু দত্তরায়, ঘরের মেয়ে বড় হলে : গৌতমেন্দু রায়, ছেলেটা : কংকণ সরকার, মানুষের ঘরে এখন : নীরদ রায়, শূন্যতা : দেবাশিস পাল, আত্মসমীক্ষা : অমর চক্রবর্তী, বয়ে যায় কালজানি নদী : কুম্কুম্ রায়, যদি ঝড় ওঠে : সমীর চট্টোপাধ্যায়, সোফিওর রহমানের দুটি কবিতা : প্রিয় প্রভাতের জন্য, দাবানলে পুড়বে কেউ ; আমার ঢাকা শহর : জগন্ময় মজুমদার, মানুষ [কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শ্রদ্ধাস্পদেষু] : কেশব রঞ্জন দে, সাম্প্রতিক : নির্মলকুমার ঘোষ, আক্ষরিক : দীপক হালদার, স্বপন কুমার রায়ের দু’টি কবিতা : শুধু এই শোক ও দুঃখময় তোমার শরীর, এসো জনসমুদ্রে অসীম একাকী
অনুবাদ কবিতা : রতন বিশ্বাস
গল্প—শাদা হাড় : জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তী, রুমাল : সরোজ দাস
পুস্তক-আলোচনা—বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “খিলানের শাদা অহংকার” একটি সমীক্ষা : ক্ষুদিরাম রাউৎ
প্রবন্ধ আলোচনা—এক্সপেশনিজম : ম্যুনখ ও নোলড : অসীম রেজ, কাফকার স্বেচ্ছানির্বাসনের জগৎ : অর্ণব সেন, সাহিত্য-শিল্পতত্ত্বের ভূমিকা : হীরেন চট্টোপাধ্যায়, স্মৃতির শিল্প : ‘নগ্ন নির্জন হাত’ : তরুণ মুখোপাধ্যায়, কবিতা প্রসঙ্গে : আলোক সরকার ( ‘মহাপৃথিবী’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারের একাংশ), প্রসঙ্গ : বাংলা গান : সুবোধরঞ্জন রায়, গড় শ্রীখণ্ডে শ্রীঅমিয়ভূষণ : ক্ষুদিরাম রাউৎ
কবিতা—অনন্বয় ঠেকাতে : শুদ্ধসত্ত্ব বসু, স্বেচ্ছা-নির্বাসন : তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, দুধওয়ালি : বেণু দত্তরায়, চলন্ত : প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, এপ্রেম এবন্ধন : সুশান্ত আচার্য্য, সাজঘর থেকে : পরেশ সোম, কেউ যায় : মৃণাল দত্ত, দেখা হবে : প্রভাত লাহা, যাত্রা : রতন বিশ্বাস, সব ফেলে আসি : নির্মল কুমার ঘোষ, দাহ : অজিত বাইরী, এসো আমরা ফিরে যাই : নীতীশ বসু, তার নাম কবিতা : শুভ্রা চক্রবর্তী (বিশ্বাস), বিদায় কিংবা অভ্যর্থনা : সমীর চট্টোপাধ্যায়, প্রতিচ্ছবি : ডুয়ার্স : রাণা সরকার, আজ মনে হয় কৃষ্ণচূড়ার দিন : প্রদোষ দত্ত, পদ্য : রথীন্দ্রনাথ রায়, সে খবর : কঙ্কণ নন্দী, অন্ধকারে : বেণু সরকার, একদিন : নির্মাল্য দাশগুপ্ত, যুদ্ধ নিজেরই সঙ্গে : শীতল চৌধুরী, সম্ভাবনা : সুশীল রায়, স্থির চিত্র : বিশ্বনাথ দাস, ভাঙা স্বপ্নে : অমৃত নন্দী, অনিয়ম : অমর চক্রবর্তী, এ পাপ, শিখার জন্য : আনন্দ সরকার, আস্তানা : হরি চৌধুরী, রপ্ত হতে হয় : অন্যমন দাশগুপ্ত, ব্লিডিং হার্ট : নীরজ বিশ্বাস, চতুর্দশ পদী : দীপক হালদার, ঘুম : চিত্রভানু সরকার, সময় অসময়ের কবিতা : খোকন সরকার, পাথর হবার মতো : ঊর্ধ্বেন্দু দাশ, স্বাধীনতার তিলক : সলিল পঞ্চানন, দাগ : অমরনাথ বসু, নববর্ষের উপহার : শতরূপা সান্যাল, তন্ময়তা : অশোক কুমার মহান্তী
দীর্ঘ কবিতা-- সেই ল্যাঙড়া লোকটা : স্বপন কুমার রায়, আকাশ : জগন্ময় মজুমদার
উত্তরের সাম্প্রতিক কবিতা এবং কবিদের জবানবন্দী—
পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্তের কবিতা : ভূটানের ভিউকার্ড : গুম্ফা, ভূটানের ভিউকার্ড : ড্রাগন, ভূটানের ভিউকার্ড : মদফুল, ভূটানের ভিউকার্ড : রূপবতী, ভূটানের ভিউকার্ড : শীত, ভুটানের ভিউকার্ড : অর্কিড, ভূটানের ভিউকার্ড : রুপোর পিলসুজ
নীরদ রায়ের কবিতা : ভালোবাসার প্রতিষ্ঠা, পোড়ে খল খল শূণ্যতায় পোড়ে, যাবো একদিন, ফিরে আসা, সব কিছু পেয়ে গ্যাছি
গল্প-- বিবর্ণ মারীচ : বিনয়েন্দ্র নাথ রায়, বোবা ঢেউ : জ্যোৎস্নেন্দু চক্রবর্তী,
অনুবাদ গল্প—ফুলের ষড়যন্ত্র : সাদাত হুসেন মন্টো (অনুবাদ : পুস্পিত মুখোপাধ্যায়)
উত্তরের সাম্প্রতিক কবিতা এবং কবিদের জবানবন্দী—তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা : রাজারা সব বনে গেছেন, তোমাদের জন্য (১), তোমাদের জন্য (২), প্রস্থান, তাড়াতাড়ি ফিরে এসো, বলো হে শহর
সমীর চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা : সাজানো সংসারে, অশ্রুতে ভেসে যায়, মানুষ বড় একা, শোক ও স্মৃতি, আমার জন্য নয়
ষষ্ঠী বাগচীর কবিতা : স্বপ্নেরা ফেরেনা কখনও, নিজের খামারবাড়ী, আমাদের চারপাশে অরণ্য, অরণ্য, শর্তহীন সমর্পণ, স্বজন আপন ছিল, বৃষ্টি
পরেশ সোমের কবিতা : চিহ্নিত ফুল, বসন্ত, প’ড়ো বাড়িতে, খাম, যদি চাও
বিশ্বনাথ দাসের কবিতা : স্থিরচিত্র, আত্মস্থতা, স্থির চিত্র, স্থির চিত্র, তোমার ফিরে আসা বেণু সরকারের কবিতা : চতুর্দশপদী (পাঁচটি)
কবিতাগুচ্ছ—অমিয়-র জন্য, কয়েক লাইন : বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তর্পণ : সুশীল রায়, উজ্জ্বল ললামভূত প্রিয়তার দেশে : শুদ্ধসত্ত্ব বসু, কে যেন আমায় : প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত, ট্রেনে যেতে যেতে : বেণু দত্তরায়, প্রেম : পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত, মুক্তি : অরুণেশ ঘোষ, তোমার কাছে যাবো বলে : নীরদ রায়, দেবে? : কঙ্কণ নন্দী, থালঝোরায় পিকনিক : স্বপন কুমার রায়, কেউ চলে যাক : নীতীশ বসু, অনুবিশ্ব তৃষ্ণার বলয়ে : উর্ধ্বেন্দু দাশ, কথা রাখো : দেবাশিস পাল, সেই দিনাবলী, সেই কারুকাজ : ব্রততী ঘোষরায়, বাসাবদল : এনাক্ষী আচার্য্য, ভালোবাসার কবিতা : অমর চক্রবর্তী, গভীরে আঘাত করে : নির্মলকুমার ঘোষ, বসবাস : জীবতোষ দাস, নির্মানের পরে : জগন্ময় মজুমদার, স্মৃতির প্রত্যাখ্যানে : প্রভাত লাহা, যেতে চাই আলোয়, নির্মাণে : তরুণ মুখোপাধ্যায়, ক্রুসেডার : কৃষ্ণপ্রিয় ভট্টাচার্য, আমিও সমুদ্র হবো : উদয়কুমার চক্রবর্তী
গুচ্ছ কবিতা— শ্বেতবর্ণে দশ আঙ্গুলের দাগ, জবাবদিহি : রথীন্দ্রনাথ রায়, পাতালের গান, চাঁদের সঙ্গে দেখা, কবি শিকারীরা : কমলেশ সরকার
অনুবাদ কবিতা—অর্ণব সেন অনুদিত বিদেশী কবিতা (পল ভেরলেন, টমাস ক্যারু, গ্যুন্টার গ্রাস) রতন বিশ্বাস অনুদিত আঞ্চলিক কবিতা : গারোদের গান
পুস্তক-আলোচনা—এক মলাটে চার কবি : স্বপন কুমার রায় (প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য : বিকাশ সরকার, মনোজ রাউত, নীরদ রায়, রথীন্দ্রনাথ রায়), উত্তরের খোলা বারান্দায় : ক্ষুদিরাম রাউৎ (বিশ্বনাথ দাস সম্পাদিত ‘উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নিয়ে), প্রকৃতি ও নিজস্ব বোধের স্বাতন্ত্র্যে : সমীর চট্টোপাধ্যায় (হলুদ বনের অমনিবাসে : সমীর চক্রবর্তী)
প্রবন্ধ--সতীনাথ ভাদুড়ী : বস্তুবাদী চিন্তা ও অনিকেত মন : তরুণ মুখোপাধ্যায়, সতীনাথের উপন্যাসে রাজনীতি : শিখা দেবনাথ, জাগরীর সংরূপ বিন্যাস ও বিভাজন : উদয় কুমার চক্রবর্তী, ঢোঁড়াই চরিতমানস : অলোক রায়, ঢোঁড়াই চরিতমানস : একটি অসম্পূর্ণ সৃষ্টি, অস্তিত্ববাদের আলোকে সতীনাথের ‘দিগ্ভ্রান্ত’ : রণজিৎ চৌধুরী, সতীনাথ ভাদুড়ীর ছোটগল্প : অতীশ রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, পত্রপত্রিকায় সতীনাথ ভাদুড়ী : সন্দীপ দত্ত
প্রবন্ধ--শাব্দ মৃগয়া : হীরেন চট্টোপাধ্যায়, বিচূর্ণ দর্পণ : বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয় চক্রবর্তী : একট পূর্ণবৃত্ত জীবনের সন্ধানে : দিলীপ রায়, অমিয় চক্রবর্তীর একটি কবিতা প্রসঙ্গে : অর্ণব সেন, যেতে পারি নিরুদ্দেশ যাত্রায় : চেতনার উপলব্ধি ও সামগ্রিক জীবনদর্শন, অন্য সতীনাথ : শংকর ঘোষ, আধুনিক কবিতা দুর্বোধ্যতা দুরূহতা ইত্যাদি : পার্থসারথি চৌধুরী, কবিতার আধুনিকতা ও দুরূহতা বিষয় : অমিয়ভূষণ মজুমদার
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত চিঠিপত্র
কবিতা—সাচিফুতে-তে সন্ধ্যা : জগন্নাথ বিশ্বাস, কেন বেঁচে আছি : নীতীশ বসু, যে দিকে তাকাও : তুষার বন্দ্যোপাধ্যায়, দীঘা, ১৯৮২ : শিশির রায়নাথ, সমস্ত আশ্রয়ের সন্ধানে : অরুণেশ ঘোষ, জঙ্গলে যাওয়ার বিষয়ে (কবি সমীর চট্টোপাধ্যায় সমীপেষু) : সন্তোষ সিংহ, অদল-বদল : বেণু সরকার, আমি বিচলিত : পুণ্যশ্লোক দাশগুপ্ত, একদিন যাব : বেণু দত্তরায়, ভ্রমণ-বৃত্তান্ত : ষষ্ঠী বাগচী, ভালোবাসা পোড়ালে পাথর : নীরদ রায়, সামসিং পাহাড়ে : অমর চক্রবর্তী, ক্যানভাস : রথীন্দ্রনাথ রায়, জার্নাল ৮৬ : বিশ্বনাথ দাস, পাহারা : তাপস রায়, স্ববিরোধ : শংকর কুণ্ডু, অঙ্গীকারে : দুলাল মণ্ডল
পুস্তক সমালোচনা—আত্মবোধের জ্যোৎস্নায় এক সংসারী : সমীর চট্টোপাধ্যায় (ষষ্ঠী বাগচীর দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘এই সংসারে, ব্যবহারে’ ও ‘সমর্পিত বর্ণমালা’ নিয়ে), ষ্টেডিয়াম নেই হাততালি নেই অথবা শিলালেখ ও ঝড়ের গান : স্বপন কুমার রায় (সমীর চক্রবর্তীর কাব্যনাটকের বই ‘শিলালেখ কিম্বা ঝড় ও ষ্টেডিয়াম নেই হাততালি নেই’ নিয়ে)
কবিতাংশ--দুর্গাবর দাস (চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দী): রামায়ণ : অরণ্যকাণ্ড, পীতাম্বর (ষোড়শ শতাব্দী) : ভাগবত : ১০ম স্কন্ধ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, শঙ্করদেব (ষোড়শ শতাব্দী) : সংগীত : রাগ কেদার, ভাগবত : তৃতীয় স্কন্ধ, বলিছলন : ভাগবত-অষ্টম স্কন্ধ, গোপী উদ্ধব সংবাদ, ভাগবত : একাদশ স্কন্ধ, ভাগবত : দ্বাদশ স্কন্ধ, শ্রীগুণমালা পুস্তক, অনিরুদ্ধ রামসরস্বতি (ষোড়শ শতাব্দী) : মহাভারত, অনন্ত কন্দলী (ষোড়শ শতাব্দী) : মহাভারত : রাজসূয়, গোবিন্দ মিশ্র (ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দী) : শ্রীভগবদগীতা, কবিশেখর (সপ্তদশ শতাব্দী) : মহাভারত : কিরাতপর্ব্ব, মহারাজা প্রাণনারায়ণ (সপ্তদশ শতাব্দী) : ক্রিয়াযোগসার, শ্রীনাথ ব্রাহ্মণ (সপ্তদশ শতাব্দী) : মহাভারত : আদিপর্ব্ব, মহাভারত : দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর, মহাভারত : দ্রোণপর্ব্ব, দ্বিজ কবিরাজ (সপ্তদশ শতাব্দী) : মহাভারত : দ্রোণপর্ব্ব, দ্বিজ রাম (সপ্তদশ শতাব্দী) : মহাভারত : ভীষ্মপর্ব্ব, দ্বিজ নারায়ণ (অষ্টাদশ শতাব্দী) : নারদীয় পুরাণ, মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : প্রভাতী রাগিনী ভবানী বিশয়, শ্যামাসংগীত, উপকথা (প্রথম খণ্ড), রাজপুত্র উপাখ্যান, সুন্দরকাণ্ড রামায়ণ, মহাভারত : শান্তিপর্ব্ব, মহাভারত : ঐশিকপর্ব্ব, মহাভারত : শল্যপর্ব্ব, বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ : মধ্যখণ্ড, বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ : উত্তরখণ্ড, স্কন্দপুরাণ : ব্রহ্মোত্তর খণ্ড, দ্বিজ পরমানন্দ (অষ্টাদশ শতাব্দী) : মহাভারত : বনপর্ব্ব, দ্বিজ বৈদ্যনাথ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ : প্রকৃতিখণ্ড, পদ্মপুরাণ, শিবপুরাণ, মহাভারত : মৌষলপর্ব্ব, মহাভারত : শান্তিপর্ব্ব, রামনন্দন (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : ধর্ম্মপুরাণ, মহাভারত : গদাপর্ব্ব, মহাভারত : শল্যপর্ব্ব : গদাযুদ্ধ, দ্বিজ রঘুরাম (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : রামায়ণ : উত্তরকাণ্ড, রামায়ণ : অযোধ্যাকাণ্ড, মহাভারত : ভীষ্মপর্ব্ব, মহাভারত : শান্তিপর্ব্ব, দ্বিজ মহীনাথ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : মহাভারত : বনপর্ব্ব, মহাভারত : অশ্বমেধপর্ব্ব, মহাভারত : প্রস্থানিক পর্ব্ব, মার্কণ্ডেয় চণ্ডী, লক্ষ্মী (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : মহাভারত : কর্ণপর্ব্ব, শ্রীব্রজসুন্দর (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : কালিকাপুরাণ, নৃসিংহপুরাণ, রামায়ণ : লঙ্কাকাণ্ড, দ্বিজ কীর্ত্তিচন্দ্র (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী), মহাভারত : আশ্রমিকপর্ব্ব, দ্বিজ রুদ্রদেব (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : মহাভারত : আদিপর্ব্ব, রামায়ণ : অরণ্যকাণ্ড : দ্বিজ ভূতনাথ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : ষড়ঋতু বর্ণনা, শতানন্দ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : কাশী-খণ্ড, দেবীনন্দন (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : রামায়ণ : কিস্কিন্ধ্যাকাণ্ড, শ্রীনাথ দ্বিজ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : রামায়ণ : কিস্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সারদানন্দ (অষ্টাদশ-উনবিংশ শতাব্দী) : রামায়ণ : উত্তরকাণ্ড, মাধবচন্দ্র শর্মা (উনবিংশ শতাব্দী) : বিষ্ণুপুরাণ, মহাভারত : স্বর্গারোহণ-পর্ব্ব, চণ্ডিকার ব্রতকথা, মহারাজা শিবেন্দ্রনারায়ণ (উনবিংশ শতাব্দী) : সঙ্গীত : শ্যামাবিষয়ক, মহারাণী বৃন্দেশ্বরী দেবী (উনবিংশ শতাব্দী) : বেহারোদন্ত, রিপুঞ্জয় (উনবিংশ শতাব্দী) : ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ : ব্রহ্মখণ্ড, জয়দেব (উনবিংশ শতাব্দী) : মহাভারত : সভাপর্ব্ব, দ্বিজ জগন্নাথ (উনবিংশ শতাব্দী) : ভাগবত : ষষ্ঠ স্কন্ধ, ব্রজসুন্দর শর্মা (উনবিংশ শতাব্দী) : হিতোপদেশ, রাম-নারায়ণ (উনবিংশ শতাব্দী) : মহাভারত : নলদময়ন্তী-উপাখ্যান, দেবনাথ দ্বিজ (উনবিংশ শতাব্দী) : জন্মাষ্টমী, দ্বিজ পশুপতি (উনবিংশ শতাব্দী) : বৃষকেতু চন্দ্রাবলী উপাখ্যান, অর্জুন দ্বিজ (উনবিংশ শতাব্দী) : সম্পদনারায়ণ ব্রতকথা, দ্বিজ ভগীরথ (উনবিংশ শতাব্দী) : তুলসী মাহাত্ম্য, শ্রী মামুন্দ কালা (উনবিংশ শতাব্দী) : নিজমের পুঁথি, রাধাকৃষ্ণ দাস (উনবিংশ শতাব্দী) : গোসানী মঙ্গল : [দ্বাদশ লহরী] জালি জালিনীর কলহ, মহারাণী সুনীতিদেবী (বিংশ শতাব্দী) অমৃতবিন্দু : ৫৪, মহারাণী নিরুপমা দেবী (বিংশ শতাব্দী) : একসুর
প্রবন্ধ—আন্দোলিত ষাট ও কবিতা আন্দোলনে শ্রুতি : অশোক চট্টোপাধ্যায়, শ্রুতি : ফিরে দেখা : সজল বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যে শ্রুতি আন্দোলন : অর্ণব সেন, প্রতীকবাদী আন্দোলন ও সাহিত্যে আধুনিকতা প্রসঙ্গ : স্বপনকুমার রায়
প্রবন্ধ-- উত্তর-পূর্ব ভারতে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের সেই বিধ্বংসী ভূমিকম্প : স্বপনকুমার রায় সংকলন : Extracts from Report of the Earthquake of 1897 and the Damages done by it in the State of Cooch Behar by D.R. Lyall Superintendent of the State, Cooch Behar
Extracts Relating to the Frequency of the Earthquake Shocks between 12th June and 31st December 1897 from a note in Cooch Behar State Reports
EXTRACT Report of the Earthquake of 1897 and its effects on the Province of Bengal by C.E. Buckland Lieutenant-Governor of Bengal
বিশেষ কৃতজ্ঞতা : স্বপনকুমার রায়