...নাম উল্লেখ না থাকলেও বৈশিষ্টের নিরিখে বিষহরির পছন্দের বস্ত্রটি যে মসলিন, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ‘মসলিন’ মাত্র চার বর্ণের একটি হালকা শব্দ। রোমান্সের সূক্ষ্ম বুননে স্মৃতিমেদুর। উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে হাজার একটা মিথ স্বপ্নের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার আপনার চোখের ওপর। বর্তমান সময় এই ভূবনজয়ী বস্ত্র- সুন্দরীকে চাক্ষুষ করেনি। করা সম্ভবও নয়। কারণ প্রায় শ-দুয়েক বছর আগে পৃথিবী থেকে মুছে গেছে আসলি মসলিন। অনুসন্ধিৎসু গবেষক ও পাঠক তার হদিস পেতে আশ্রয় নেন বইয়ের পাতায় বা কোনও ব্রিটিশ সংগ্রহশালার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্বল্প আলোয় প্রায়ান্ধকার কুঠুরিতে। এই সুযোগ বা সুবিধে সাধারণ মানুষের নেই। ফলে কয়েকশো বছরের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিস্মৃতই রয়ে গেছে। অথচ মহাকালের শিলালিপিতে খোদাই হয়ে রয়েছে মসলিনকে ভিত্তি করে বাঙালির শৈল্পিক সত্তার বিশ্বজয়ের গৌরব, বিলুপ্তির দীর্ঘশ্বাস, বাণিজ্যিক অর্থনীতির হিসেবি টানাপোড়েন, ঔপনিবেশিক শোষণ-নিপীড়নের অমানবিক কটুগন্ধ। অস্থিবিশারদ শল্যচিকিৎসক ভাস্কর দাস এই বিস্মৃতির অন্ধকার থেকে সূক্ষ্ম মসলিনের মহাকাব্যিক জীবনকথাকে আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন তাঁর লেখা ‘স্বপ্নের মসলিন' গ্রন্থে।
বহুত বসন লয়্যা ধরিল যোগান।।
ক্ষীরোদ তসর ক্ষোম রতন অম্বর।
না ভায় দেবীর মনে রেশমী তসর।।
সোনাগাই পট্টবাস পেলাইল দূরে।
আপন বাছিয়া বস্ত্র বিষহরি পরে।।
রূপার পড়্যান তার হেম গুণাটান।
বিশ্বকর্ম্মা বুন্যাছিল সেই বস্ত্রখান।।
মাপিলে শতেক হাত সমান বসন।
মুঠিতে রাখিতে পারে গুড়াই যখন।।
(মনসামঙ্গল — কেতকাদাস খেমানন্দ)
কিছু বইয়ে বৃহত্তর সামগ্রিক প্রেক্ষিতে আলোচনায় এলেও, তথ্যের লেখাজোকায় শুধুমাত্র মসলিন নিয়ে লেখা এই বইটি এপার বাংলায় প্রকাশিত মসলিন বিষয়ক দ্বিতীয় গ্রন্থ। প্রথমটি প্রশান্ত ঘোষের লেখা ‘মসলিন যুদ্ধের ইতিহাস’। মসলিন নিয়ে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশের কৃতিত্ব ওপার বাংলার। দুই বাংলার মধ্যে এই ধরনের গ্রন্থ প্রকাশের সংখ্যাগত পার্থক্যের কারণটি কি খাঁটি মসলিনের উৎস তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা আজকের বাংলাদেশ? হয়তো বা।
লেখকের প্রায় সাড়ে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ‘স্বপ্নের মসলিন’ একটি ঐতিহাসিক দলিল। এই বৌদ্ধিকশ্রমের একদিকে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত অসংখ্য গ্রন্থের নিবিড় পাঠ ও অনুসন্ধানী ফিল্ড ওয়ার্ক। বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্রশেখর সাহার লেখা ভূমিকা ও লেখকের নাতিদীর্ঘ প্রাক্কথন অংশ ছাড়াও মোট বারোটি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে স্বপ্নের মসলিনের ট্র্যাজিক জীবনকথা — সৃষ্টি, সাফল্য ও অবলুপ্তির সাদাকালো ছবি। তবে লেখক থেমে যাওয়াতেই দাঁড়ি টানেননি। উপসংহারে শুনিয়েছেন পুনর্জন্মের সুসমাচার।
‘মসলিন’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি আবিষ্কারেও লুকিয়ে রয়েছে ঔপনিবেশিক দখলদারি মানসিকতা। বার্নেল ও হেনরি উইল ‘হবসন জবসন’ অভিধানে উল্লেখ করেছিলেন ‘মসলিন’ শব্দটি এসেছে ‘মসুল’ শব্দ থেকে। মসুল ইরাকের একটি বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র। এখানেও সূক্ষ্ম কাপড় তৈরি হত। কিন্তু ধারেভারে বৈচিত্রে তা কখনই বাংলার মসলিনের সমতুল্য ছিল না। 'মসলিনের নামগোত্র’ অধ্যায়ে ভাস্করবাবু বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন একান্তভাবে বাঙালির কারুশিল্পের ঐতিহ্য ও কৃতিত্বকে নস্যাৎ করার জন্যই ‘মসলিন’ শব্দের উৎস হিসেবে ইরাকি মসুলকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে, “ঔদ্ধত্যের চরমতম উদাহরণ হিসেবে তারা বাংলার সঙ্গে মসলিনের চরমতম সম্পর্কটি পর্যন্ত উল্লেখ করছে না।” (পৃ ৬) শুধু নামের দখলদারি নয়, মসলিন তাদেরই তৈরি করা একটি ‘ব্র্যান্ড’, এটা বোঝাতেও পাশ্চাত্য দেশগুলির চৌর্য-মানসিকতার প্রসঙ্গটি সতথ্য উঠে এসেছে ‘স্বপ্নের মসলিন’-এর পাতায়। “তারাই যেন এক-একটি ‘ব্র্যান্ড’, এই হাস্যকর বিশ্বাসে বাজারে এসেছে স্কটল্যান্ডের মসলিন বা আমেরিকার মসলিন। দেশে দেশে সংগ্রহশালায় সেই নকলনবিশের উদাহরণ আজও স্পর্ধাভরে প্রদর্শিত হচ্ছে মসলিন নাম দিয়ে।” (পৃ ৬)
মসলিন বিশেষ ধরনের অতি সূক্ষ্ম সুতোয় বোনা কাপড়। এর প্রাকৃতিক ও শৈল্পিক নির্মাণে মিশে রয়েছে বাংলার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও বাঙালির কারু-কৃতিত্ব। তবে মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার শান্তিপুর, বর্ধমানের কালনায় মসলিন তৈরি হলেও খাঁটি মসলিনের আঁতুড়ঘর সেকালের পূর্ববঙ্গ, আজকের বাংলাদেশের মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীতীরবর্তী সোনারগাঁ। লেখকের কথায়, “... এই বস্ত্রখণ্ডের বীজটি লুকিয়ে আছে এক বিশেষ শ্রেণিভুক্ত তুলোর মধ্যে, এক দৈবী ইচ্ছায় যার উৎপাদন সীমায়িত মেঘনার পশ্চিমপারের চল্লিশ মাইল দীর্ঘ আর তিন মাইল প্রস্থের এক ভূখণ্ডে। চলতি ভাষায় এর নাম ফুটি কার্পাস,” ( পৃ ৭) এই ভূখণ্ডের ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক বিশেষত্ব যা ফুটি কার্পাসের অনুকূল তার প্রাণভোমরা মেঘনার জলধারায় মিশে থাকা মেঘালয়ের সিলিকা মিশ্রিত ব্রহ্মপুত্রের জলধারা। ব্রহ্মপুত্র মেঘনা হয়েই মিলিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে, এ তথ্য মনে হয় কারোরই অজানা নয়। এই ফুটি কার্পাস থেকেই তৈরি হত মলমল-খাস, সরকার-ই-আলা, আব-ই-রওয়ান, ঝুনা, শবনম, নয়নসুখ এবং অবশ্যই রঙিন ফুলেল নকশাদার জামদানি (জাম শব্দের অর্থ ফুল)। মূল উপাদানে পার্থক্য না থাকলেও এই রঙবাহারি ফুলের নকশার কারণেই মূলত সাদা, স্বচ্ছ মসলিনের থেকে আলাদা হয়ে গেছে জামদানির ঘরানা।
মসলিনের সুতো কতটা সূক্ষ্ম ,সে বিষয়ে গ্রিনউইচ ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়ামের কিউরেটর অফ টেক্সটাইল শ্রীমতী অ্যামি মিলার, বাংলাদেশের ‘দৃক’ সংস্থার কর্ণধার সইফুল ইসলামের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, “Oh, it's in the feel, it's in the fall… you will know when you handle it.” ( পৃ ৫) এতো গেল অনুভবের কথা, বয়নশিল্পের কারিগরি হিসেবের উল্লেখ করে ‘স্বপ্নের মসলিন’ গ্রন্থে মসলিনের সূক্ষ্মতার পরিমাণ দিয়েছেন লেখক। সুতোর মাপকাঠি কাউন্ট। “যত বেশি কাউন্ট, তত সূক্ষ্ম সে সুতোর বহর।" ( পৃ-১৩) কাউন্টের হিসেবে, “বাদশাহি মসলিন তৈরি করতে লাগে ৮০০ থেকে ১২০০ কাউন্টের সুতো। .. আর রাজকীয় মসলিন থান মলমলখাসের জমিতে সুতোর কাউন্ট ১০০০ থেকে ১৮০০।” (পৃ ১৩) মসলিন এতটাই সূক্ষ্ম “যে তাকে সাতফেরে পরেও নগ্নিকার অপবাদে বিদ্ধ হতে হয় রাজসভায় উপস্থিত সম্রাট ঔরঙ্গজেব কন্যা জেবউন্নেসাকে। আর চৈনিক পরিব্রাজক উয়ান চং তার তুলনা খুঁজে পান হেমন্তের ভোরে নদীর বুকে ওঠা বাষ্পের স্তরের মধ্যে...” (পৃ ২) মসলিন বা ঢাকাই জামদানি গলে যেত আংটির মধ্যে দিয়ে বা এঁটে যেত ছোট্ট দেশলাইয়ের খোলে — এসব বহুশ্রুত মিথ আসলে যে একসময় বাস্তব সত্যই ছিল তা বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপাদানের ভিত্তিতে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন ‘স্বপ্নের মসলিন’ গ্রন্থের লেখক ভাস্কর দাস।
‘স্বপ্নের মসলিন’ গ্রন্থের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এর অন্তঃপুরের জীবন চিত্র। ‘জীবন চিত্র’ শব্দটি সচেতনভাবেই ব্যবহার করলাম কারণ মসলিন নির্মাণের পেছনে রয়েছে এক বৃহত্তর সামাজিক ব্যবস্থা। সেখানে যেমন রয়েছে বহু মানুষের অংশীদারিত্ব তেমনি নারী ও পুরুষের যৌথ কর্মকুশলতা এবং অসাম্প্রদায়িক ভাবনার মিশেল। ফুটি কার্পাস উৎপাদনের দায়িত্ব পুরুষের থাকলেও বোয়ালমাছের চোয়ালের হাড় দিয়ে ফুটি কার্পাসের তুলো থেকে বিশেষ ধরনের সুতো কাটার কাজটি ছিল বিশেষকরে ১৫ থেকে ৩০ বছরের মেয়েদের। তাঁতিদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের পুরুষদের দেখা যেত। “তবে হিন্দুরা ছিলেন ঢালা জমির কাপড় বোনার কাজে বেশি। মুসলমানদের চোখ ছিল নকশাদার কাজে।” ( পৃ ১৫) শুধু চাষি, কাটনি বা তাঁতি না, মসলিন নির্মাণকর্মীদের মধ্যে ছিলেন আরও কিছু মানুষ — ধোপা ও কুন্ডগার, নারদিয়ার ও রিফুকার, ইস্তিরিওয়ালা ও বস্তাবন্দ, সিলাই, দর্জি ইত্যাদি। নারী-পুরুষ ও হিন্দু - মুসলমানের এই যৌথ উদ্যোগে বিদ্বেষের ছিটেফোঁটাও ছিল না। বর্তমান সময়ে এই ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে মসলিনের মতোই স্বপ্ন বলে মনে হয়। নিরক্ষর খেটেখাওয়া মানুষের ধর্মীয় সম্প্রীতির চিত্রটিকে লেখকের ভাষাতেই তুলে ধরা যাক,
বিশ্বকর্মা ধলেশ্বরী/ ওস্তাদের চরণ ধরি
যে কাম ওস্তাদে শিখায়/ সে কাম শিক্ষা করি
মা লক্ষ্মী ভর কর/ অলক্ষ্মী দূর কর।” (পৃ ১৭)
চর্যার মহাজন পদকর্তারা লিখেছিলেন, হরিণের শত্রু তার মাংস — আপনা মাংসে হরিণা বৈরী। মসলিনের শত্রুও তার সূক্ষ্ম শৈল্পিক উৎকর্ষ। প্রাথমিকভাবে যা ছিল শুধুমাত্র দরিদ্র শিল্পীর অধিকারে তাই একসময় খ্যাতির কারণে কুক্ষিগত হল শাসক ও মুনাফালোভী বণিকের। মসলিন ছড়িয়ে পড়ল দেশে-বিদেশে — মুঘল রাজাবাদশার হারেম থেকে ফরাসি সম্রাজ্ঞী মারী আঁতোয়ানেৎ-এর অমূল্য বস্ত্র ভান্ডারে। এই ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বিলুপ্তির বীজ। ‘স্বপ্নের মসলিন’ গ্রন্থে প্রায় চল্লিশ -পঞ্চাশ পাতা জুড়ে অসংখ্য তথ্যের বুনটে আঁকা হয়েছে মসলিনের ট্র্যাজিক অবলুপ্তির নকশিকাঁথা।
লেখকের মতে মুঘল শাসকরাই একইসঙ্গে মসলিনের বিশ্বখ্যাতি ও অবলুপ্তির হোতা। মুঘল রাজপ্রাসাদ থেকেই বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল সূক্ষ্ম মসলিনের শৈল্পিক উৎকর্ষের মিথ; তেমনি তাদের তৈরি ‘কারখানা’ সিস্টেমে বাঁধা পড়েছিল স্বাধীন শিল্পীর আত্মাধিকার। শুরু হয়েছিল দালালরাজ, শারীরিক নির্যাতন। শোষণের এই ধারাই আকাশ স্পর্শ করল বেনিয়া ইংরেজের হাত ধরে। দালালরাজ তো ছিলই, যুক্ত হল দাদনি প্রথা। ঋণের বোঝা ও উপযুক্ত মজুরি না পাওয়ায় মসলিন তাঁতিরা বাধ্য হল জীবিকা পরিবর্তন করতে। অন্যদিকে ম্যানচেস্টারের বস্ত্র বাণিজ্যের দায়, শৌখিন উচ্চমূল্যের মসলিনের মন্দা বাজার — ইংরেজ বণিকের মসলিন বাণিজ্যের আগ্রহ কমিয়ে দিল, বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলল বাংলার মসলিন।
মানুষ স্বপ্নসন্ধানী, হার না মানা, অনুসন্ধিৎসু। ধ্বংসের মধ্যে থেকে সে কল্পনা করে ফিনিক্সের উড়ান। তাই বিলুপ্ত, যাদুঘরে সংরক্ষিত সামগ্রী থেকে পুনর্জন্ম হয় মসলিনের। ‘স্বপ্নের মসলিন’ অসম্পূর্ণ থেকে যেত মসলিনের নবজন্ম কথা সম্বন্ধে লেখক যদি আলোকপাত না করতেন। শেষ তিনটি অধ্যায়ে লেখক সবিস্তারে স্বাধীনোত্তর দুই বাংলায় মসলিনকে ইতিহাসের পাতা থেকে বর্তমানে ফিরিয়ে নিয়ে আসার অক্লান্ত প্রচেষ্টার কথা বর্ণনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে শ্রীমতী দর্শন শাহ্ ও শ্রীমতী রীতু শেঠির দুটি সাক্ষাৎকার এই বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
‘স্বপ্নের মসলিন’ নিছকই ইতিহাস ও তথ্যের কোনও গবেষণা গ্রন্থ নয়। এর গঠন ও ভাষায় মিশে রয়েছে সাহিত্যের প্রসাধন। কোনও এক রহস্যময়ী শীতরমণীর মুখ থেকে লেখক শুনছেন মসলিনের গল্প। সেই কাহিনিই শোনাচ্ছেন পাঠককে। তথ্যময় ইতিহাস থেকে লেখক মাঝেমাঝেই ফিরে গেছেন শীতরমণীর কাছে। তৈরি হয়েছে ঐতিহাসিক রোমান্সের মায়াবী আবহ। তার রেশ চারিয়ে গেছে শব্দ থেকে বাক্যে, অনুচ্ছেদে অনুচ্ছেদে। বৈঠকি গল্পের মেজাজ, গল্প-কবিতার উদ্ধৃতি তথ্য সংগ্রহের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিয়েছে গ্রন্থটিকে,পাঠককেও। আট পাতার ছবির অ্যালবাম ও প্রচ্ছদে কাকলি গুহর আঁকা মসলিনের স্কার্ফ ভাস্কর দাসের লেখা ‘স্বপ্নের মসলিন’-বইটির বিষয়বস্তুকে সবদিক থেকে পরিপূর্ণ করে তুলেছে।