জন্মসূত্রে প্রতিমা বিনয়িনী দেবী ও শেষেন্দ্রভূষণ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা। জন্ম ১৮৯৪ সালের ৫ নভেম্বর। বাবা শেষেন্দ্রভূষণ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রতিমা দেবীর মামা এবং সুনয়নী দেবী ছিলেন মাসি।
সম্প্রতি (প্রথম প্রকাশ, মার্চ ২০২৪) ‘বিচিত্রপত্র গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা’ ‘প্রতিমা দেবী’ শীর্ষক একটি সংকলন গ্রন্থ সৌম্যকান্তি দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন। প্রতিমা দেবীকে নিয়ে এত বিস্তৃত কাজ বোধহয় ইতিপূর্বে হয়নি। যারা রবীন্দ্রচর্চায় নিয়ত আত্মনিবেদিত, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের মূল্য অপরিসীম কারণ রবীন্দ্রনাথের জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে প্রতিমা দেবী— তাঁর স্নেহের মা-মনি। শান্তিনিকেতনের আশ্রমবাসীদের কাছে প্রতিমা দেবী ছিলেন আশ্রমজননী। যে কথাটা বলার, রবীন্দ্রনাথের জন্যই আমরা প্রতিমা দেবীকে চিনেছি, তাঁকে আলাদা করে আবিষ্কারের কথা তেমন ভাবিনি। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিমা দেবী যতখানি সাক্ষ্যদানের ভূমিকায় অবতীর্ণ থাকেন, তাঁর প্রতিভা নিয়ে আলোচনা বরং অন্তরালেই। ব্যক্তিগত জীবনে রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যে না এলে প্রতিমা দেবীর জীবন কোন দিকে মোড় নিত বলা মুশকিল। তবে তাঁর ভাবনার প্রসারতা রুদ্ধ হওয়ার কথা নয়। এমনকি বিখ্যাত ঠাকুরবাড়ির বাসিন্দা হয়েও প্রতিমা বুঝতে পেরেছিলেন, ‘সেদিনের জীবন মেয়েদের পক্ষে যে খুব একটা আরামের ছিল তা বলতে পারি না। একদিকে মনুর আইন আর একদিকে মুসলমানের পর্দা মেয়েদের অন্তঃপুরের আসবাব করে তুলেছিল, আর বাইরে পুরুষদের ছিল পরিপূর্ণ স্বাধীনতা।’
সংকলনের শুরুতেই প্রতিমা দেবীর উদ্দেশ্যে কবিগুরুর দুটি কবিতা ‘প্রতিমা' ও ‘আশীর্বাদ’। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধু ছিলেন বোঝা যায় যখন ‘বন্ধুপত্নী শ্রীমতী প্রতিমা দেবী’ শীর্ষক কবিতাটি তাঁর কলম থেকে উৎসারিত হয়। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ঘিরে যে সমস্ত বিশিষ্টজন ও আত্মীয়-স্বজন ছিলেন, যেমন নির্মলকুমারী মহলানবিশ, অমিতা ঠাকুর, মৈত্রেয়ী দেবী, প্রমথনাথ বিশী, সাহানা দেবী, নন্দিনী দেবী, পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায়, সাগরময় ঘোষ, হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, সুনন্দন লালা প্রমুখ সকলেই আন্তরিক স্মৃতিচারণ করেছেন। এইসব স্মৃতিচারণায় উন্মোচিত হয়েছে প্রতিমা দেবীর ব্যক্তিত্ব, তাঁর কর্তব্যপরায়ণতা, অতিথি সেবা, শিল্পচর্চায় পারদর্শিতার কথা। কিন্তু বিশিষ্টজনদের লেখায় একই তথ্যের পুনরাবৃত্তি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্লান্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে। শ্রী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, শ্রী দিনকর কৌশিক ও মহাশ্বেতা সিনহা ইংরেজিতে লিখেছেন। বিনোদবিহারী যখন লেখেন, ‘Among the ladies who had the good fortune of coming into contact with Abanindranath and Nandalal in the Vichitra Sabha, Protima Devi deserves special mention because in her we meet with true reflection of the Sabha’s ideals, in that she strove after living realization of her artistic sense in literary work, dramatics, various forms of handicraft as well as painting’, তখন দিনকর কৌশিক উল্লেখ করেন, ‘Bouthan has left behind a legacy of cultural heritage that is pristine, full of grace and fragrant with her virtues and aristocratic homeliness and beauty. Verily she might be called Kalyansundari of the Ashram. মহাশ্বেতা সিনহা ‘Bauthan as I saw her,’ এই ছোট্ট লেখাটিতে তাঁর স্মৃতিমেদুর অনুভূতির পালক জুড়ে দিয়েছেন।
প্রতিমা দেবী শুধু নিজের সংসারযাপনের কথা চিন্তা করেননি, গ্রামের চারপাশের মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষাদীক্ষা, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি ছিল তাঁর। জাগতিক বিষয়ে কোনো আসক্তি ছিল না তাঁর। অমিতা ঠাকুর তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন, ‘গুরুদেব আমায় অনেকবার বলেছেন, "বউমা খুব নিরাসক্ত। কিছু দিলে খুশি হয়ে নেন কিন্তু বুঝতে পারি ওঁর তাতে আসক্তি নেই"। উত্তরায়ণের অত বড় বাড়ি সব চলে গেল— সংসারের জাঁকজমক সব যেন হঠাৎ উবে গেল— মস্ত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হল— কিন্তু প্রতিমা দেবীর নিরাসক্তি ছিল বলেই কত সহজে ও বিনা অভিযোগে সব কিছুকে গ্রহণ করলেন। একদিনও কোনো খেদ করেতে শুনিনি এজন্য।’
কেবল প্রথাগত বিদ্যাচর্চা নয়, শিক্ষার সামগ্রিক রূপটি প্রতিমা দেবীর মনে প্রোথিত করতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই পরিসরেই শুরু হয়েছিল তাঁর চিত্রচর্চার পাঠ। গগনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ ও সমরেন্দ্রনাথ ছিলেন প্রতিমা দেবীর মামা এবং সুনয়নী দেবী ছিলেন মাসি। সুতরাং ভারতীয় চিত্রকলার দিকপাল ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য ও স্নেহচ্ছায়ায় বড় হয়ে উঠেছিলেন প্রতিমা দেবী। স্বাভাবিকভাবেই এক শিল্পআবহাওয়ার পরিমণ্ডলে যাপিত হয়েছিল তাঁর শৈশব। শ্রী সুশোভন অধিকারী ‘প্রতিমা দেবী: এক শিল্পিত জীবন’ নিবন্ধে যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা থেকে জানা যায়, ইতিহাস ও পুরাণ অবলম্বনে ছবি আঁকার পাশাপাশি প্রতিমা দেবী নিসর্গ দৃশ্যের ছবিও এঁকেছেন। শিলাইদহে সূর্যাস্ত, ভীমবাঁধের ইত্যাদি অন্যতম। সেই সঙ্গে এঁকেছেন বেশ কিছু নৃত্যনাট্যের ভঙ্গিমার ছবি। তাঁর আঁকা প্রতিকৃতির সংখ্যাও কম নয়। সেখানে ‘বাবামশায়’ রবীন্দ্রনাথ থেকে স্বামী রথীন্দ্রনাথের মুখচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। দেশে ও বিদেশে প্রতিমা দেবীর আঁকা ছবির প্রদর্শনী হয়েছে। ১৯৩৫ সালে লন্ডনে তাঁর প্রদর্শনীর দ্বারোদঘাটন করেন শিল্পী উইলিয়াম রোদেনস্টাইন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিলেতের একাধিক শিল্পরসিক ও কলাসমালোচক। তাঁর ছবি মুদ্রিত হয়েছে ‘প্রবাসী’ ও ‘মডার্ন রিভিউ’ পত্রিকায়। প্রতিমার সাহস শুধু চিত্রকলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা অন্যত্র প্রকাশ পেয়েছে। একবার মার্কিন দেশে থাকার সময়ে সেখানে মেয়েদের ভোটাধিকারের আন্দোলন হয়েছিল। প্রতিমা দেবী সেই আন্দোলনের শরিক হয়ে পথে নেমেছিলেন।
সবুজকলি সেন ‘রথী-প্রতিমার এক টুকরো জীবনালেখ্য’ নিবন্ধে রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমা দেবীর বিবাহ ও বিবাহ পরবর্তী জীবনের কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করেছেন। জানতে পারা যায়, ১৯০৩-এর মার্চে নীরদনাথ মুখোপাধ্যায়ের পুত্র নীলানাথের সঙ্গে প্রথমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন প্রতিমা। কিন্তু বিয়ের দু-মাসের মধ্যেই নীলানাথ গঙ্গায় ডুবে মারা যান। দশ বছরের কিশোরী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতে বিশেষিত হলেন ‘অপয়া’ অভিধায়। বালিকার প্রতি অমানবিক ও অশুভ আচরণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে অবিচলিত রবীন্দ্রনাথ প্রতিমার সঙ্গে রথীন্দ্রনাথের বিবাহ দিয়েছিলেন। রথীন্দ্রনাথ-প্রতিমার বিয়ে ঠাকুরবাড়িতে প্রথম বিধবা বিবাহ। কিন্তু রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীর বৈবাহিক সম্পর্ক— যা একসময় প্রণয় থেকে ক্রমশ প্রণয়হীনতার দিকে এগিয়ে গেছে এবং যার অভিঘাতে প্রতিমার জীবনকে যে বাঁকে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো আলোকপাত লেখক করেননি। কিন্তু চিঠিপত্র বিভাগে ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩ তে দেরাদুন থেকে প্রতিমা দেবীকে লেখা রথীন্দ্রনাথের চিঠিতে বেদনার যে নিবিড় রেখা দেখতে পাওয়া যায়, তাতে পারস্পরিক সম্পর্কের বুনোটকে খুব একটা দৃঢ় করে না। রথীন্দ্রনাথ প্রতিমা দেবীকে লিখছেন, ভাই প্রতিমা, আমি ছুটি নিয়েছি। বিশ্বাস কর বা না কর ছুটি নেবার ইচ্ছা অনেক দিন থেকেই হয়েছে। মীরার সঙ্গে পরিচয় হবার অনেক আগে থেকেই। আমি কেবল দিন গুনছিলুম কবে মুক্তি পাব। সংসার, সমাজ, কাজ সবের উপর ভয়ানক বিতৃষ্ণা জন্মেছিল। মানুষের পরিচয় যা পেয়েছি তাতে মানুষের সংসর্গ থেকে যতদূরে যেতে পারব ততই শান্তি পাব। আমি এতদিন ছিলুম একটা মেশিন, বোতাম টিপলেই কাজ পাওয়া যায় লোকে মনে করত, আরো ভাল করে টিপলে টাকা বেরিয়ে আসে। আমাকে human বলে কেও কখনো দেখেনি, আমার সঙ্গে স্বাভাবিক human relationship সেইজন্য কারো সঙ্গে ছিল না। …আমি এখন চাই—আমাকে সবাই ভুলে যাক। নিন্দা করে করুক, সে নিন্দা আমার কাছে পৌঁছবে না। তোমার কাছে যে অপরাধ করেছি তার জন্য ক্ষমা চাইতে ইচ্ছা করে, কিন্তু ক্ষমা চাইবার আমার অধিকার নেই। তোমাকে যে কষ্ট দিয়েছি তার জন্য আমার বেদনা কোনো দিনও যাবে না। …ইতি রথী—
চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রতিমা দেবী: রবীন্দ্রনাথের ব্রাইড-মাদার’ লেখাটিতে প্রতিমা দেবীর রবীন্দ্র গীতিনাট্যে তাঁর পারদর্শিতার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রতিমা দেবী মঞ্চে উঠতেন না, নেপথ্যে থেকে পরিচালনা করতেন সবকিছু। তিনিই রবীন্দ্রনাথকে নৃত্যনাট্য লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। শান্তিনিকেতনের নারীকল্যাণ ও নারী শিক্ষার উন্নতির অভিপ্রায়ে অধ্যাপকদের স্ত্রীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘আলাপিনী মহিলা সমিতি’। অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রয়োগ শিল্পী প্রতিমা ঠাকুর’ রচনায় আমরা পাই প্রতিমা দেবীর লোকশিল্প ভিত্তিক রুচি-তাঁতের বুনন, সেরামিক, পটারি, ফেব্রিক, কাঁথা, পর্দা, কাঁসা-পিতলের বাসন প্রভৃতি উপাদান দিয়ে বাড়ি-ঘরে অভিনব অন্দরসজ্জা তাঁর শৈল্পিক মনের পরিচয়। প্রতিমা গুরুত্ব দিয়েছেন- ‘art industry’ ও ‘self supporting’ এর আদর্শে। স্বাবলম্বী মহিলা শিল্প সমাজের কথা ভেবেছেন। তিনি মনে করতেন কারুশিল্প ‘সর্বসাধারণের শিল্প’, যা থেকে রুচির চর্চা গড়ে উঠবে।
এই সংকলনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে প্রতিমা দেবীর রচনা। গদ্য ও কবিতা উভয়েরই সমাবেশ ঘটেছে। স্মৃতিকথার ‘অংশ বিশেষ’ সংযোজিত হয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য লেখা-‘গুরুদেবের ছবি’। রবীন্দ্রনাথের ছবির সারবত্তা কত সহজে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। ‘মহাত্মা স্মরণ’ একটি ছোটো নিবন্ধ। প্রতিমা দেবী এই মহৎ মানুষটির সান্নিধ্যে এসেছিলেন অল্প সময়ের জন্যে, সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন যৎকিঞ্চিত। তাঁর অনুভব তিনি ব্যক্ত করেছেন, ‘কেউ জেনেছে মহাত্মাকে রাজনৈতিক নেতা বলে, কেউবা জেনেছে তাঁকে জনসাধারণের নেতা হিসেবে। কেউ তাঁকে বলেছে—উদার, কেউবা হেসে বলেছে—সঙ্কীর্ণ। কিন্তু তাঁর প্রকৃত স্বরূপ যারা জেনেছে, তাঁরা বুঝছে—তাঁর ভালোমন্দ, তাঁর শক্তি ও দুর্বলতা, তাঁর ক্ষমতা অক্ষমতা সব নিয়ে তিনি একটি বিশিষ্ট মানুষ। তাঁর ব্যক্তিত্ব ছিল সকলের থেকে স্বতন্ত্র। পৃথিবীর যে দাবি মেটাতে তিনি এসেছিলেন সে কাজ তিনি সম্পূর্ণ করে চলে গেছেন। যারা তাঁকে বোঝেনি, তারাই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে…।’ ‘রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রচিন্তা’— এই অংশের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। ‘নন্দলাল বসু-স্মরণে’ লেখাটিতে একটি মনোরম ছবি তুলে ধরেছেন প্রতিমা দেবী, ‘গুরুদেব নন্দলাল বাবুকে পেয়ে খুব তৃপ্ত হলেন এবং যাতে তিনি কাজের পরিধি বেশি পান, সেইজন্য একটি নতুন আর্ট স্কুল খোলা হল। বাড়িটা পিয়ারসন সাহেবের তৈরি, নন্দলাল বাবু সেখানে চিত্রবিদ্যালয় খুলবেন শুনে সাহেব সেই বাড়িটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নন্দলাল বাবু কয়েকটি ছাত্রছাত্রী নিয়ে সেই দোতলা ঘরে চিত্রবিদ্যা শেখানোর কাজ শুরু করে দিলেন। বাড়ির নিচের তলায় দিনুবাবু সঙ্গীত-শিক্ষালয় খুললেন। সকলে তাঁর গলার সুরে মুগ্ধ হত, কর্মে খুব উৎসাহ পেত—বিশেষত চিত্রশিল্পীরা প্রেরণা পেত। এই সূত্রে এখানে সঙ্গীত ও চিত্রশিল্পের সহযাত্রা শুরু হল।’ এই সংকলনের অন্যতম সম্পদ প্রতিমা দেবী অঙ্কিত ও নামাঙ্কিত তেষট্টিটি ছবির তালিকা। যদিও ছবিগুলিতে তারিখ ও সালের উল্লেখ নেই। আছে রবীন্দ্রনাথ, পুলিনবিহারী সেন, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কালিদাস চট্টোপাধ্যায়-কে লেখা দু-একটি চিঠির প্রতিলিপি।
প্রতিমা দেবীর মুখাবয়বে সুন্দর প্রচ্ছদে শোভিত সংকলন গ্রন্থটি প্রতিমা দেবীকে নিয়ে নতুন আলোর সঠিক চর্চা হয়তো শুরু হল। এজন্য ‘বিচিত্রপত্র গ্রন্থনবিভাগ’কে অভিনন্দন। রবীন্দ্র চর্চায় যারা নিয়ত নিয়োজিত তাঁদের কাছে এই গ্রন্থটি অপরিহার্য।