দিবাকর সেনের বাড়িতে ড্রাইভারের চাকরিটা পেয়ে শুভম প্রচণ্ড খুশি হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর থেকে বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। যমজ ভাই-বোন দুটো এখনও স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি। শুভমের তাই একটা চাকরি পাওয়া খুব দরকার হয়ে পড়েছিল। গাড়ি চালানোটা শিখে নেওয়ার পর থেকেই সে চেষ্টা করছিল। তবে ও পড়াশোনা ছাড়তে চায় না। সারা জীবন ড্রাইভারি করার ইচ্ছে তার মোটেও নেই। সে নাইট ক্লাসে এম কম পড়ছে। সেই জন্যেই তার চাকরিটা সকালে যখনই শুরু হোক না কেন পাঁচটার সময় শেষ হলেই ভালো। তা এই চাকরিটা সেরকমই। সকাল ছটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তারপর অন্য ড্রাইভার আসে সে বিকেল পাঁচটা থেকে অনেক রাত অবধি কাজ করে। একজনের পক্ষে চব্বিশ ঘন্টা ডিউটি করা সম্ভব নয় বলেই দুটো শিফটে কাজ করান দিবাকর স্যার। বিশাল কোম্পানির মালিক দিবাকর সেনের টাকাপয়সার অভাব নেই তাই মাইনেটাও বেশ ভালো। সব ইন্টারভিউ ইত্যাদি হয়ে যখন চাকরিতে বহাল হল শুভম তখন ম্যানেজার স্বপনবাবু বললেন, “শোনো কাল থেকে কাজ তো তোমার। কিন্তু আজ বিকেল তিনটে নাগাদ তোমাকে একবার বড়ো বাড়িতে যেতে হবে। দিবাকর স্যার তোমার সঙ্গে একবার কথা বলতে চান তুমি শুরু করার আগে। পারবে তো যেতে? তোমার তো কী সব ক্লাস-ট্লাস থাকে বিকেলে বললে।”
শুভম শুনে বলল, “না, ক্লাস ছটা থেকে তাই তিনটের সময় দেখা করতে যেতে অসুবিধা নেই। কেন দেখা করতে চাইছেন কিছু বলেছেন? আমার তো একটু ভয় ভয়ই করছে!”
“না, না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দিবাকর স্যার খুব মাই ডিয়ার লোক। আমার মনে হয় উনি দেখতে চান আমরা কাকে ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত করেছি। কোন ভয় নেই!”
বললেন বটে স্বপনবাবু কিন্তু তাও তিনটে নাগাদ প্রকাণ্ড সাদা বাড়িটাতে ঢোকার আগে শুভমের বুকে ধুকপুক হচ্ছিল ভালো মতন। দরজা খুলল যে সে এক গাল হেসে বলল, “নতুন ডেরাইভার তো? আমি অনন্ত, এখানে কাজ করি। তা চলো তোমার জন্যে অপেক্ষা করছেন। তুমি যে দেরি করোনি সেটা ভালো। উনি দেরি একদম পছন্দ করেন না।!”
শুভম চট করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নিল একবার। দুটো পঞ্চাশ, এখনও দশ মিনিট সময় আছে হাতে। অনন্তদা ওকে একটা বড়ো ঘরে নিয়ে গেল। সেখানে সোফায় বসে ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিলেন একজন। তিনিই যে দিবাকর সেন সেটা আর বলে দিতে হল না। ঝকঝকে বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা, চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা কিন্তু দৃষ্টি প্রচণ্ড তীক্ষ্ণ।
“এসো, কী যেন নাম তোমার? ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, শুভম, তাই তো?”
“হ্যাঁ স্যার।”
“তা বসো, বসো। মোতিলাল? শুভমের জন্যে কিছু খাবার এনে দাও।”
“না স্যার। আমি খেয়ে এসেছি। এখন আর কিছু খাব না,” শুভম ভদ্রতা করে বলল।
“আরে খাও, খাও। তোমাদের বয়সে আমরা লোহা খেয়ে হজম করতে পারতাম!”
মোতিলাল একটা প্লেটে করে দুটো সিঙ্গাড়া আর রসগোল্লা এনে দিল।
শুভম প্লেটটা তুলে সিঙ্গাড়ায় একটা কামড় দিয়েছে এমন সমর দিবাকর স্যার বললেন, “আমি কিন্তু সময় নিয়ে খুব কড়া। দেরি কোনমতে হওয়া চলবে না!”
শুভম প্রায় বিষম খেয়ে যাচ্ছিল, কোনরকমে নিজেকে সামলে নিল।
দিবাকর স্যার আবার বললেন, “একটা কথা জেনে রাখো শুভম, আমার হয়ে অনেক ড্রাইভাররাই কাজ করে কিন্তু তুমি হবে তাদের সবার চেয়ে ওপরে কারণ তুমি মিকা আর মিশাকে রোজ স্কুলে নিয়ে যাবে আর তাদের স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসবে। স্বপন তোমাকে বলেছে নিশ্চয়ই? মিকা-মিশা আমার যমজ মেয়ে, তারা দুজনেই ক্লাস থ্রিতে পড়ে। ওদের স্কুলটা এখান থেকে মিনিট চল্লিশের পথ এবং সেই সময়টুকু ওরা তোমার দায়িত্বেই থাকবে। আমি আর আমার স্ত্রী আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় দুটি মেয়েকে তোমার হেফাজতে রাখছি ওই সময়টা তাই আমি তোমার সঙ্গে আজ একটু কথা বলতে চাইছিলাম।”
শুভম হেসে বলল, “মিকা আর মিশার সঙ্গে আমি আলাপ করে নেব স্যার। আমারও দুই যমজ ভাইবোন আছে। তারা এখন ইলেভেনে পড়ে। তাদের জন্যেই চাকরিটা নেওয়া স্যার। মিকা-মিশাকে আমি খুব যত্ন করে স্কুলে নিয়ে যাব আর স্কুল থেকে নিয়ে আসব। আপনারা কিচ্ছু চিন্তা করবেন না।”
“চিন্তা তো হয়ই। রাস্তা ঘাটে কত কী শুনি আজকাল। তা ছাড়া আমি যেহেতু একটা কোম্পানির মালিক আমার শত্রুও কিছু কম নেই। তারা সবাই আমাকে শায়েস্তা করতে চায়। আর আমাকে সাজা দেওয়ার সব চেয়ে সহজ উপায় হল আমার মেয়েগুলোকে কষ্ট দেওয়া। তাই খুব সাবধানে থাকতে হবে তোমাকে। আশপাশে নজর রাখতে হবে। কোন রকম বিপদের আভাস পেলেই আমাকে ফোন করবে। আমি লোকজন পাঠিয়ে দেব, কেমন?”
“আপনি একদম ওসব নিয়ে ভাববেন না স্যার। আমি এক সময় ক্যারাটে ক্লাস করেছি। আর আমি এমনিতে খুব সাবধানী।”
“হুঁ। তুমি তো পড়াশোনা করছ না?”
“হ্যাঁ স্যার। নাইট ক্লাসে এম কম করছি।”
“বাহ খুব ভালো! স্বপন ঠিকই বেছে নিয়েছে তোমাকে! তোমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে খুব ভালো লাগল। আর মনে থাকে যেন দেরি না হয়। ওরা স্কুলের জন্যে বের হবে সকাল সাতটা নাগাদ। স্কুল শুরু হয় আটটা থেকে। স্কুলের ছুটি হয় দুপুর তিনটে নাগাদ, চারটের মধ্যে ওরা যেন বাড়িতে ঢুকে যায়। ওই পথে জ্যাম হয় না তেমন, যদি জ্যামে আটকাও তাহলে মন্দিরা, মানে ওদের মাকে একটা ফোন করে দিয়ো, নাহলে সে ভয়ানক চিন্তা করে। ফোন নম্বর সব তোমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। ঠিক আছে, গুড লাক! আচ্ছা, এবার তুমি যেতে পারো।” বলে দিবাকর স্যার আবার নিজের ল্যাপটপে মন দিলেন।
(২)
পরদিন ভোর ছটায় পৌঁছে গেল শুভম। গাড়ি ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিয়ে তেল ভরিয়ে নিয়ে এল। ঠিক সাতটার সময় মিশা আর মিকা বেরিয়ে এসে গাড়িতে বসল। কী ফুটফুটে মিষ্টি দেখতে দুজনকেই। যদিও এক রকম দেখতে নয় মোটেই, তাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
দুজনকে গাড়িতে নিয়ে শুভম চলল। দুজনে সারা রাস্তা অনর্গল বক বক করতে করতে গেল। খুব মজা লাগছিল শুভমের ওদের কথা শুনতে। সত্যি যে রাস্তাটা দিয়ে যেতে হয় সেটাতে তেমন ভিড় নেই তাই চল্লিশ মিনিটে অনায়াসেই পৌঁছে গেল ওরা। ঠিক সাতটা চলিশে ওর ফোনটা বেজে উঠল।
“হ্যালো শুভম, আমি মন্দিরা বলছি। মিকা-মিশা স্কুলে পৌঁছে গেছে তো?”
“হ্যাঁ ম্যাডাম। পাঁচ মিনিট আগেই ভিতরে ঢুকে গেছে। ওরা ঢুকে যেতে আমি বাড়ির পথে রওনা হয়েছি।”
“বাহ, খুব ভালো। চলে এসো। আমার কয়েকটা কাজ আছে সেখানে নিয়ে যাবে আমাকে,” বলে উনি ফোন ছেড়ে দিলেন।
ফিরে এসে মন্দিরা ম্যাডামকে নিয়ে কয়েক জায়গায় গেল শুভম। ঠিক দুটো নাগাদ বাড়ি আসা হল আর তখন ম্যাডাম বললেন, “ঠিক আছে, এবার তুমি রওনা দাও। পৌঁছতে দেরি হয়ে গেলে ওরা অপেক্ষা করবে।”
“আচ্ছা ম্যাডাম,” বলে শুভম গাড়ি নিয়ে বের হল।
আর ঠিক তখন থেকেই শুরু হল গন্ডগোল। মিনিট পাঁচেক যাওয়ার পরই ওর মনে হল একটা বড়োসড়ো কালো গাড়ি ওর পিছন পিছন আসছে। শুভম তাকে রাস্তা দিল এগিয়ে যাওয়ার কিন্তু সে এগিয়ে গেল না, উলটে শুভম স্পিড কমাতে সেও স্পিড কমিয়ে ফেলল। আচ্ছা জ্বালাতন তো! অনেক চেষ্টা করল শুভম কিন্তু কিছুতেই কালো গাড়িকে ঝেড়ে ফেলতে পারল না। গাড়ি ওর পিছন পিছন স্কুল পর্যন্ত গেল। তখনও ছুটি হয়নি তাই শুভম গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। এদিক-ওদিক তাকিয়ে গাড়িটাকে দেখতে না পেয়ে সে মনে মনে ভাবল, “যাক বাবা ভেগেছে! আমারই মনের ভুল মনে হয়।”
ছুটি হতেই কল কল করে সব বাচ্চারা বেরিয়ে আসতে লাগল। মিকা-মিশাও বেরিয়ে এসে সোজা গাড়ির দিকে এগিয়ে এল। শুভম দরজা খুলে দিতে দুজনেই চড়ে বসল।
মিকা বলল, “শুভমদা, জানো আজ মিশা ক্লাসে মারামারি করেছে! মিস আমাকে চিঠি দিয়েছেন! মা-বাবাকে মিসের সঙ্গে কথা বলতে হবে!”
শুভম শুনে বলল, “এই খেয়েছে! কেন মিশা, মারামারি করলে কেন?”
“আরে শুভমদা তুমি জানো না! বলার্ক ছেলেটা একেবারে পাজি বদমাইশ! রোজ সবার টিফিন চুরি করে খেয়ে নেয়! মিসকে বলেও কোন লাভ হয়নি তাই আজকে দিয়েছি বেশ করে!”
ওর কথা শুনে শুভমের হাসি পেয়ে গেল, কী মিষ্টি নিষ্পাপ শিশুরা।
হঠাৎ সে লক্ষ করল কালো গাড়ি আবার ওর পিছনে চলে এসেছে। কী মতলব রে বাবা! ভাবতে ভাবতেই কালো গাড়ি ওদের গাড়িটার খুব কাছে চলে এল। তাকে কাটাতে গিয়ে শুভম রাস্তার একেবারে ধারে চলে গেল কিন্তু তাও কালো গাড়ির মন ভরল না। শুভমকে একেবারে রাস্তা থেকে খেতে নামিয়েই ছাড়ল। এই পথে আর তেমন গাড়ি নেই! কী করবে শুভম? ফোন করার তো সময় নেই, যা করার ওকেই করতে হবে।
কালো গাড়িটা ওর গাড়ির পিছনে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। দরজা খুলে দুজন ষণ্ডামার্কা লোক বেরিয়ে এল। মাথায় ফেট্টি বাঁধা। বাচ্চা মেয়েদুটোও বুঝতে পেরেছে কিছু একটা গন্ডগোল হতে চলেছে; তারা ভয়ে জড়সড়। শুভম দরজা খুলে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল চটপট। আর কোন উপায় নেই, যা করার ওকেই করতে হবে। বাচ্চাগুলোকে অপহরণ করতে চায় মনে হয় ব্যাটারা। ঠিক যেমন স্যার বলেছিলেন। গাড়ির দরজা লক করে দিল শুভম আর মেয়েদুটোকে নিজের ফোনটা দিয়ে বলল, “তোমাদের বাবাকে ফোন করে বলো বিপদ হয়েছে। আমরা মিঠেপুকুর রাস্তার পাশে রয়েছি। গাড়ি লক করেছি। ওই বদমাইশরা ঢুকতে পারবে না আমি বেঁচে থাকতে। তোমরা বেরিয়ো না, কেমন?”
লোকদুটো এগিয়ে আসছে দেখে শুভম তৈরি হল। পাঁচ মিনিট লাগল ওর ক্যারাটের প্যাঁচে হোঁৎকা দুটোকে কাবু করে ফেলতে। তারা রাস্তার ধারে পড়ে পড়ে কোঁকাচ্ছে। শুধু কী ক্যারাটের মার, কিল চড় ঘুঁসি কিছুই বাদ রাখেনি শুভম। মেয়েগুলো গাড়ির ভিতর থেকে মজা দেখছিল। শুভম ফিরে এসে বলল, “বাবাকে ফোন করেছিলে?”
“হ্যাঁ করেছিলাম। বাবা তুলল না। মিটিং করছে মনে হয়। আবার করব?” মিশা জিগ্যেস করল।
ঠোঁটের কোণের রক্তটা মুছে শুভম বলল, “না, আর করতে হবে না কারণ আর চিন্তা নেই, শত্রু কুপোকাত। আমরা এবার বাড়ি যাব।”
বলে গাড়িটাকে রাস্তায় তুলে বাড়ির পথে রওনা দিল শুভম।
ঠিক চারটের সময় বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছতে শুভম দেখল স্যার আর ম্যাডাম দুজনেই বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
মিকা আর মিশা তো গাড়ি থেকে নেমেই হইহই করে কী হয়েছিল সেইসব বলতে লাগল। ওদের চোখে তো শুভম একেবারে হিরো। শুভম নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিল না যে সে কী করে ফেলেছে। ওদের কাছে বন্দুকটন্দুক থাকতে পারত। যা খুশি করতে পারত ওরা। কাজের প্রথম দিনেই কিনা এত কিছু হয়ে গেল! কেউ বললে বিশ্বাস করবে?
ম্যাডাম শুভমকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে বসালেন। ওর আঘাতগুলোর জন্যে ডেটল আনতে বললেন মোতিলালকে।
একটু পরেই স্যার এসে ঢুকলেন কিন্তু ওঁর সঙ্গের দুজনকে দেখে শুভমের মাথায় বাজ পড়ল! তারা ওই কালো গাড়ির দুই শয়তান!
শুভমকে দেখে তারা হাঁউমাউ করে উঠল, “ওরে বাবারে কী ছেলে! আমাদের শুধু মেরে ফেলতে বাকি রেখেছে!”
স্যার হেসে বললেন, “আরে শুভম এবার তোমাকে সব সত্যি করে বলে দেওয়ার সময় এসেছে। আসলে কী জানো তো এর আগে যে মিশা-মিকাকে স্কুলে নিয়ে যেত সে আমাদের সঙ্গে গত তিরিশ বছর ধরে ছিল।”
মিকা বলল, “হ্যাঁ, মহাবীরচাচা।”
“মহাবীর যে প্রাণ দিয়েই মিকা-মিশাকে রক্ষা করবে তা নিয়ে আমাদের মনে কোন সংশয় ছিল না। কিন্তু তুমি নতুন তাই তোমাকে একটু পরীক্ষা করে দেখছিলাম আর কি। অনেকেই তো বলে দেয় ক্যারাটে জানে কিন্তু আসলে হয়তো খুব ছোটবেলায় দুয়েকটা ক্লাস করেছিল! তাই এই এক্সপেরিমেন্টটার দরকার হয়ে পড়েছিল। তোমাকে তো আগেই বলেছি আমার বেশ কিছু শত্রু আছে। হয়তো কিছু হবে না। কিন্তু যদি কিছু হয় সেই দিনটা কীরকম হতে পারে তার একটা নমুনা তোমাকে দেখাবার চেষ্টা করছিলাম আর কি। রঘু আর মাধব আমার কোম্পানিতেই কাজ করে। অনেকদিন ধরেই আমাদের ওয়েরহাউস আর গোডাউনগুলো সামলাচ্ছে! তা আমি যদি জানতাম ওদের তুমি এই দশা করবে তাহলে হয়তো আরেকবার ভেবে দেখতাম!” বলে দিবাকর স্যার হা-হা করে হেসে ফেললেন।
শুভমও হেসে ফেলে বলল, “সরি দাদারা, একটু বেশিই মেরে দিয়েছি তাই না? আসলে আমি এক সময় ক্যারাটেতে বেশ ভালোই ছিলাম। ব্ল্যাক বেল্ট ছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর চর্চাটা ছেড়ে দিতে হল। ইস্ খুব লেগেছে না! ভেরি সরি!”
মিকা আর মিশা তো পুরো ব্যাপারটা শুনে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। মোতিলাল ততক্ষণে সবার জন্যে অনেক খাবারদাবার নিয়ে চলে এসেছে। শুভম পরীক্ষায় ভালোভাবে পাশ করে গেছে জেনে সবার মুখেই আনন্দের হাসি।