১
একটা আস্ত মানুষ কাস্তে হাতে ফসলি মাটিতে নেমেছিল
অপেক্ষার আসনে স্নান করছিল শিশু
তাদের পূর্বজরা শস্য পাহারার রাতে এখানে নামহীন হারিয়ে গেছে
চিৎকার শোনে কার্নিশে ঝোলা রক্তাভ চাঁদ
একটা চাঁদ দুটো পক্ষ গুনতে গুনতে বেলুনমিছিল শুরু
গঞ্জের জমাট মেলায় ফেনা কাটে খাদ্য রহস্য রোমাঞ্চ আকুলতা
সদ্য প্রেম এবং পুরনো বাউলগান একটু দূরে উত্তাপ সেঁকে চলে
জরা ও পীতজ্বর সন্তর্পণের মইবাহক
শয্যা পাতবে জ্যোৎস্নাজলে
২
চাদর পোশাক থেকে টুপটুপ শরীর ঝরে পড়ে
কী যেন ডেকে চলে বাতাস বারবার
পুঞ্জীভূত ক্লেশ নিয়ে ফিরে আসে বৈকালিক ফ্রেম
বৃষস্কন্ধে আটকে থাকে একগুচ্ছ মলিন কেশ
একটা বাঁশি আর ক'টা কলম এই তো মাত্র সম্বল
এতে তো যুদ্ধ হয় না না হয় সন্ধি
রাতযাপনের মুদ্রাদোষে তুমি থামবে না অথবা নামবে না
মোম গলে শুধু
ডানা আর লেজে জড়িয়ে একটা বটগাছ
ছায়ায় ভিড় অবয়বের
ধুলোর বারান্দা মহাফেজখানা তৈরি করে
অন্য ভোর আসে না কোনো সহজ চুমুক জুড়ে
৩
ছায়াশরীরে মাঝেমাঝে দেখা দেয় পূর্বজ
জমি থেকে রাস্তার মোড়টাতে ঘ্রাণ জমে
স্থাপত্য হিমরাত এবং বিক্ষিপ্ত প্রতিষ্ঠানরা রোদ পোহায়
বৃত্ত ঘিরে যতিচিহ্নগুলো দোলাতে থাকে অবয়ব আর
দাঁত চুল নখ নিয়ে লাফিয়ে পড়ে বেহিসাবি