না-লেখা চিঠি
যেওনা আজকে কাজে, ভারি বৃষ্টি বলেছে খবর। প্রবল গতিতে হবে ঝড়।
চলো যাই ঘূর্ণিঝড়ে; চলো যাই তার ঠিক চোখের তারায়।
অভুক্ত মেছুয়ারা নিষেধ অগ্রাহ্য করে কালো মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেমন নৌকোখানি সাগরে ভাসায় আঁধারিত দারুণ সন্ধ্যায়।
বুক পেতে নেব ঝড়, একসাথে হাঁটব দুজনে। এলোমেলো করে দিলে ভীষণ সে ঝড়, ঠিকঠাক করে দিয়ো শাড়ি।
মুখ থেকে সরিয়ো খুচরো চুল কিছু, আদরে ডোবানো স্নিগ্ধ স্নেহের আঙুলে।
কৃতাঞ্জলিপুটে ধোরো ঠোঁট। আশ্রয় পেয়ে যাব তোমার ঠোঁটের আঙিনায়।
ঝড়ের তাণ্ডব তালে নাচব দুজনে; নটরাজ অর্দ্ধনারীশ্বর।
ওগো, তোমার দেশের মাটি বরফে ভিজছে কি আজ? এদেশে আমার ঘরে বাহির ভিতর জুড়ে অবিরল ঝরে যায় বৃষ্টি সে তোমার।।
শব্দ বিরহ
শব্দরা উড়ছে বাতাসে
নাগালের বাইরে অনেক। যত-ই চেষ্টা করি
আঙুল ছড়াই, মুঠো ভর্তি বাতাস, বাতাস;
শব্দ কোনো নেই তো কোথাও।
কবিতারা তবু শব্দ চায়। অদ্ভুত বেদনায়
ছটফট করে।
মুখ ব্যাদান করে বুভুক্ষু রাক্ষসী যেন, ছুটে ছুটে আসে খেতে গিলে।
অন্ধ চোখে হাতড়াই, শব্দ খুঁজি;
স্রোতস্বিনী বয়ে যায় বুকের ভিতর লোনা জলে।
শব্দ আমায় ছেড়ে বিষাদ ডানায় ভর করে
মহাশূন্যে কবে যেন, গেছে উড়ে চলে !