পাখি আর নদীদের মত সব মানুষেরও একটা ফেরার ঠিকানা থাকে, সে ফুটপাথ হোক বা বিলাসবহুল অট্টালিকা। সেটাই তার বাড়ি। কিন্তু আমাদের একটা ‘ও বাড়ি’-ও ছিল। আমাদের তিন ভাইবোনের মামার বাড়ি। আমাদের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়ালে রাস্তার অপর পারে, কিছুটা ডানদিকে, গোলাপি রঙের বাড়িটা চোখে পড়তো। চোখের নাগাল বা পায়ের নাগাল যাই বলো না কেন, তার এত কাছে মামার বাড়ি থাকা সত্ত্বেও সেখানে যাবার আকর্ষণ কিছুমাত্র কমতো না। একতলায় সামনের দিকে কিছু দোকানঘর, ভাড়া দেওয়া, তার পাশে গলির গেট ঠেলে ভিতরবাড়িতে যাওয়ার পথ। ভিতরবাড়িটা অন্যরকম, সেখানে পাতকুয়োতলার পাশেই ঝাঁকড়া নিম গাছ। উপরের ঘরগুলির মেঝে লাল, উঁচু চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভাঁড়ার-ঘর। ঠিক তার মুখোমুখি দাদুর ঘরে তেপায়া টেবিলের উপর কাঁসার গেলাসে ভিজানো রয়েছে লাল বাতাসা। মাসিদের ঘরে কালচে পালিশের কাঠের দেরাজের মাথায় কিমোনো পরা সুন্দরী জাপানি পুতুল, আমার চিরকুমারী ছোট্টোখাট্টো মেজ মাসি চেয়ারে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন সযত্নে বিদেশিনীর বাক্স-বাড়ির ধুলো মুছে নেয়। শোকেসে পান রসিক এক শিম্পাঞ্জি, বোতাম টেপা মাত্র সে হাতের পান পাত্রে পানীয় ঢালতে তৎপর। তার পাশে রক্তচক্ষু গর্জনশীল গরিলা, তিনটি প্রজন্মের শিশুদের সে ভয় দেখিয়ে দুধ খাওয়ানোর কর্তব্য পালন করেছে। কাঁচের বাসনের আলমারিতে হলুদ রঙের পেয়ালা, আলোর সামনে তুলে ধরলে তার দুধসাদা অন্দরমহল থেকে ভেসে ওঠে হাস্যমুখী মেমসাহেবের প্রতিচ্ছবি। হোয়াট নট ঠাসা গল্পের বইয়ের সম্ভার।
দাদু, মামা-মামিমা, মাসিদের ভালোবাসার সঙ্গে এমন বিচিত্র জিনিসে ভরা ও বাড়িটা যেন হাতছানি দিয়ে আমাকে ডাকতো। আমার থেকে তিন বছরের বড় দিদিভাই ছোটবেলা থেকে ওই বাড়িতেই কাটিয়েছে। মামার বাড়ি ওর ফার্স্ট হোম। কিন্তু আমার তো তা নয়, আমি অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখি এবাড়ির ঝুলবারান্দা, প্রমাণ সাইজের মানুষসমান জানালাওয়ালা ঘর, দালান। দালানের দেওয়ালে বিবেকানন্দ, নেতাজি, লেনিন, চে গেভারার বাঁধানো ছবির সঙ্গে আমার অকালপ্রয়াত দিদিমণির সাদাকালো ফোটোগ্রাফ। তাঁকে দেখে কখনোই দিদিমা মনে হয় না, মনে হয় মা-মাসিদের সমবয়সি সখি। এই বাড়িটা নয় ভাইবোন, দুই মামা ও মায়েদের সাত বোন আর আমার দোর্দণ্ডপ্রতাপ দাদুর বাড়ি।
বাবা চলে যাওয়ার পর তেত্রিশ বছর বয়সি আমার মা আমাদের নিয়ে মাস ছয়েক এই বাড়িটায় থেকেছিল। ঝড়ে ভাঙচুর হয়ে যাওয়া জাহাজ যেমন পোতাশ্রয়ে স্থান পায়। দাদুর ডানার তলায় আধ বছর কাটানোর পর আমরা বাড়ি চলে আসি। সকলে ভালোবাসা দিয়ে মুড়ে রেখেছিল আমাদের, কিন্তু মা চাইছিল বাড়ি ফিরতে, যার ঘরে বারান্দায় তখনও বাবার পায়ের ছাপ। এরপর থেকে ও বাড়িতে আর এরকম দীর্ঘ যাপন হয়ে ওঠেনি। কালেভদ্রে রাতে থেকেছি। মা-মাসিরা ঘুমিয়ে পড়লে তাদের গভীর শ্বাসের সঙ্গে শুনেছি সারারাত বাড়ির সামনের বড় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিন নম্বর বাসের হর্ন, মাঝরাতে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে যাওয়ার ঝমঝম শব্দে রহস্যময় সুদূরের হাতছানি।
বাড়িটার অস্তিত্ব এখন শুধু স্মৃতিতে। নিচের তলায় ভাড়া দেওয়া বস্ত্রবিপণি বাড়িটিকে আস্ত গিলে নিয়েছে। মানুষগুলির দু-একজন চিরতরে চলে গেছে, বাকিরা অতীতের ছায়া। তবু চোখ বুজলে এখনো আমি ও বাড়িতে যেতে পারি, ফিরে আসি বাবার হাত ধরে। ৪১ বছর আগের সেই বর্ষণমুখর দিনটিতে, যেদিন আমার ভাই হল। সারাদিন ও বাড়িতে কাটানোর পর রাত্তিরে বাবা এসে চার বছর বয়সি নতুন দিদিটিকে রেনকোট পরিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। শুনশান রাস্তা, ভিজে হাওয়া, বাবার হাতে ধরা আমার হাত।
এত কথা, টুকরো ছবি ভেসে উঠল যে বইটির প্রভাবে, স্মৃতিজাগানিয়া সেই বইটির নাম ‘নয় বোনের বাড়ি’। সদ্যপ্রয়াত লেখিকা প্রতিমা ঘোষের প্রথম গদ্যগ্রন্থ। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণার আধারে রচিত ছয়টি বিভিন্ন আকারের নিবন্ধ। প্রথম প্রকাশকাল মহালায়া ১৪১৫, লেখিকার বয়স তখন সত্তরের কোঠায়। পরিণত বয়সে পৌঁছে তিনি পিছন ফিরে দেখেছেন ফেলে আসা সময়, ছেড়ে যাওয়া মানুষদের। তাঁরা কেউ রক্তের সম্পর্কে আত্মীয়, কেউ বিবাহসূত্রে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, কেউ শুভাকাঙ্ক্ষী পারিবারিক বন্ধু। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সত্যপ্রিয় ঘোষ ও কিয়দংশে লেখিকার মাতামহ অম্বিকাচরণ রায়কে বাদ দিলে বাকিরা কেউ ব্যাপকভাবে পরিচিত নন, সীমিত মানুষজনের মধ্যে তাঁদের স্বীকৃতি। তাঁদের সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শৃঙ্খলা ও সৌজন্যবোধ, উদার সমাজ-ভাবনা, রুচি ও পাঠাভ্যাস লেখিকার জীবনকে রূপ দিয়েছে, তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে।
নাম প্রবন্ধটি এ গ্রন্থের দীর্ঘতম রচনা— ‘নয় বোনের বাড়ি’। লেখিকার মা বেদনাভরে বলতেন, গাঙে গাঙে দেখা হয়, বোনে বোনে হয় না। অথবা দেখা হয়তো হয়, কিন্তু একই উৎস থেকে শুরু হয়ে ভিন্ন ভিন্ন নয়টি খাতে বয়ে গেছে নয়টি জীবন। নয়জনের একই সঙ্গে সেই উৎসে ফেরা হয়ে ওঠে না। সময় বদলায়, মানুষও। তাই শূন্যতা রয়েই যায়। এ গল্প মামাবিহীন মামার বাড়ির গল্প। বিগত শতাব্দীর প্রথম তিন দশকে বেড়ে ওঠা নয়টি বোনের সূত্রে শিক্ষিত বাঙালি পরিবারের নারীদের জীবনকাহিনী। এই বোনেদের অধিকাংশই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা পাননি, কিন্তু নিজেদের চেষ্টা ও পরিবারের উদ্যোগে তাঁরা সুশিক্ষিত। বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজি ভাষাসাহিত্যে তাঁদের জ্ঞান যথেষ্ট, কাব্য পাঠের ফলস্বরূপ তাঁরা গড়ে তুলেছেন নিজস্ব চিন্তাভাবনার জগৎ। অকালবৈধব্য, আকস্মিক নিদারুণ ভাগ্যবিপর্যয় তাঁদের সুচারু জীবনবোধকে বিঘ্নিত করতে পারেনি। তাঁরা ব্যক্তিত্বময়ী ও স্বাবলম্বী। লেখিকা মধুর স্মৃতিগুলিকে মধুরতর ভাষায় প্রকাশ করেছেন। যে স্মৃতির মধ্যে মিশে আছে কিছু মালিন্য, কিছু ছন্দপতন, সেগুলিকেও বড় মমতায়, কোমল ভাষার আবরণে তিনি সযত্নে রূপ দিয়েছেন। মা মাসিদের জীবনের মধ্য দিয়ে চিনেছেন জীবনের আয়াসহীন চলমানতাকে। বুঝিয়েছেন জীবন কোথাও, কারো জন্য থেমে থাকে না। তবু মনের ফ্রেমে চিরতরে বন্দী থেকে যায় কিছু দৃশ্য, কিছু সংলাপ। “১৯৫৭ সালে, শঙ্খের জন্ম তারিখটা হঠাৎ জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আঁচল থেকে দশটা টাকা দিয়ে বলেন মণিমাসি - একটা বই কিনে নিতে। দৌড়ে গিয়ে ও কিনে আনে ‘রবীন্দ্রজীবনী’র একটা খণ্ড। আর মণিমাসি একতলার রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে, আঁচলে হাত মুছে, লিখে দেন বইটিতে: ‘গ্রহণ করার যোগ্য তুমি, দানেও তুমি অধিকারী,/ জ্ঞানের শিখা উজল হউক, শূন্য যেন না হয় ঝারি”।
প্রথম প্রবন্ধ দুটি রচিত লেখিকার পিতামহ ও মাতামহকে নিয়ে। পিতামহ জলপাইগুড়ি জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। কিছুটা খামখেয়ালি, শৌখিন এবং নিবিড় পাঠানুরাগী। পিতামহের বিচিত্র পাঠাভ্যাসকে লেখিকা যুগপৎ শ্রদ্ধা ও কৌতুকের সঙ্গে স্মরণ করেছেন। বইয়ের কালো ছাপার অক্ষরের পাশেই রঙিন কালিতে পিতামহের নিজস্ব ও মৌলিক টুকরো মন্তব্য বা বইয়ের আগে-পিছে আলাদাভাবে বাঁধাই করানো সাদা কাগজে সুদীর্ঘ মতামত ছিল সেসব বইয়ের বিশেষত্ব। পছন্দসই পঙ্ক্তিকে ঘিরে উড়ত জয়ধ্বজা। সেইসঙ্গে অধ্যাপিকা-লেখিকার তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী শক্তি ধরা দেয় এই রচনায়—“একজন শক্তিমান পড়ুয়া যেখানে পড়ার অভিজ্ঞতা পদে পদে রেখে যান, সেখানে দ্বিতীয় পাঠক তাঁকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পারবেন না কোনোমতেই। … ফলে দ্বিতীয় পাঠকের কাছে বইটি আসে মূল লেখকের কথা আর প্রথম পাঠকের পাঠচিহ্নগুলি - একসঙ্গে এই দুই অভিঘাত জুড়ে নিয়ে।” এই অভিজ্ঞতা কি আমাদেরও হয়নি? স্কুল-লাইব্রেরিতে অনেক হাত-ফেরতা কোনো গল্প সংকলন নিয়ে দেখেছি আগে কোনো একজন লিখে রেখেছে এ বইয়ের সেরা গল্পটি হল অমুক। এই দুষ্টুমি কারো অপকীর্তি জেনেও পাতা উল্টিয়ে চোখ রেখেছি সেই গল্পে।
লেখিকার দাদামণি খ্যাতনামা ব্যক্তি ছিলেন। অশোক মিত্র রচিত ‘তিনকুড়ি দশ’ গ্রন্থে এই মানুষটির কর্তব্যপরায়ণতা, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়নিষ্ঠার কথা বর্ণিত। ব্যক্তিগত পরিসরে মাতামহের স্নেহশীল, কোমল, সদাপ্রসন্ন ও ভ্রমণপিপাসু রূপটির ছবি এঁকেছেন লেখিকা।
শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা ও প্রগাঢ় ভালোবাসা মিশ্রিত রচনা ‘মাতৃমঙ্গল’ ও ‘পরিবারের বাঁধন’। প্রথমটিতে জন্মসূত্রে ও বিবাহ সূত্রে পাওয়া দুই মায়ের স্মৃতি বর্ণিত। ‘শাশুড়ি মা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় নবাগত, হিন্দি অনুসরণে নির্মিত। তবু রুক্ষ, শুষ্ক ‘শাশুড়ি’ শব্দের তুলনায় তা মার্জিত ও শ্রুতিমধুর। গর্ভধারিণী মায়ের পাশাপাশি লেখিকা নিজের ‘শাশুড়ি মা’র স্মৃতিচারণা করেছেন। বিচক্ষণ, সাহিত্যপ্রেমী, সুরসিকা, স্নিগ্ধ এই মাতৃমূর্তি প্রথম দর্শনে লেখিকার মন জয় করে নিয়েছিল। লেখিকার বড়োদাদার সমান জ্যেষ্ঠ ভাশুর, কবি শঙ্খ ঘোষের দাদা সত্যপ্রিয় ঘোষ ছিলেন ছিন্নমূল এই বৃহৎ পরিবারটির বন্ধন। তাঁর জীবনাবসানে কোথাও যেন সম্পর্কের গ্রন্থিগুলি শিথিল হয়ে যায়।
বইয়ের সর্বশেষ প্রবন্ধের কেন্দ্রবিন্দু চিরযুবা, পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। লেখিকা যখন তাঁকে নতুন বাড়িতে নতুন বাগানের ফুলের বহুবর্ণ শোভা দেখিয়ে মুগ্ধ করতে চান, তখন তিনি তার বদলে তরিতরকারির বাগানের উপযোগিতার কথা বলেন। মাছধরা কিংবা মাছ ধরার গল্প করায় তাঁর ক্লান্তি নেই। বিকল ঘড়ি বা অচল টেবিলল্যাম্প সারানোতে তাঁর অদম্য আগ্রহ। তাঁর সান্নিধ্যে কথার রসে ভরে ওঠে দিনগুলি। তবু তারই মধ্যে প্রতিমাকে বলে যান প্রয়োজনীয় কথাটি—‘মেয়েদের কথা মেয়েদেরই লিখতে হবে’।
তালপাতা থেকে প্রকাশিত ‘নয় বোনের বাড়ি’ গ্রন্থে ছয়টি নিবন্ধ জুড়ে প্রতিমা ঘোষ সেই কথাই বলেছেন। বইয়ের ‘ভূমিকা’ অংশে তিনি মৃদুসুরে লিখেছেন— ‘আমার মতো একজন অচেনা মানুষের স্মৃতির কী বা মানে!’ কিন্তু নিতান্ত অচেনা মানুষই বা তাঁকে বলা যায় কীভাবে? ব্যক্তি জীবনে তিনি কিংবদন্তি-প্রতিম কবি শঙ্খ ঘোষের সহধর্মিণী, কর্মজীবনে বিশিষ্ট অধ্যাপিকা। এই পরিশীলন, এই বিনম্রতাই তাঁদের দুজনকে ছয় দশক ধরে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছিল। মৃত্যুও সেই বন্ধন ছিন্ন করতে পারে না। তবু মানুষের একার কথা তো কিছু থেকে যায়, মনের ভিতরে বসত করে নিজস্ব ভাবনা, স্মৃতি, দৃশ্য। একই অতীত দুটি আলাদা মানুষের মধ্যে ভিন্ন ছায়া ফেলে। সেই ছায়ারই ছবি ‘নয় বোনের বাড়ি’।
কবি শঙ্খ ঘোষের গৃহে কবি-অকবি, নবীন-প্রবীণ সকলের জন্যই ছিল অবারিত দ্বার। গৃহকর্তার প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ের সঙ্গে নিশ্চয়ই ছিল গৃহিণীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন ও সহযোগিতা। তাই তো বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘ একটা সময় এসে মিশেছিল তাঁদের উদার ঘরটিতে। এমনই কোনো এক ঘরোয়া আসরে কবি-লেখক রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রতিমা ঘোষের হাতে তৈরি ‘ক্ষীর কমলা’ খেয়েছিলেন। কবিপত্নীর হাতের গুণে কমলালেবু তার স্বভাবগত অম্লতা হারিয়ে স্বাদ ও সৌরভ নিয়ে রজতেন্দ্রর কাছে ধরা দিয়েছিল সেই পরমান্নে।
একইভাবে তিনি জীবনের সব তিক্ততা, অপূর্ণতা অতিক্রম করে ডুব দিয়েছেন স্মৃতির সমুদ্রে। মুক্তাবিন্দুর মতো তুলে এনেছেন অপার্থিব সব মুহূর্ত। অমূল্য রত্নের মতো কিছু দৃশ্য, কিছু কথা। ক্ষীণকায় গ্রন্থটির পাঠ সাঙ্গ হলেও মনে থেকে যায় স্মৃতির ছবিগুলি, রত্নের দ্যুতির মতোই তা কালজয়ী, চিরস্থায়ী।