ঘর ও বারান্দা
গৌড়ীয় সারঙ ছিল
আর ছিল কোঠা, পাকশাল।
দরজার গোড়ায় এনে দিলাম সংহত শীতঋতু,
একখানা আলোয়ান অথবা
মামুলি কম্ফর্টারে বেজায় আরাম
মা তবু বলে একটা বারান্দা চাই,
হাতায় যার একফালি রোদ এসে পড়বে সকাল সকাল।
ডিসেম্বর সূর্য দক্ষিণায়নে,
বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ল ক্যাকটাস
মন চল নিজ নিকেতন...
br>
মা সে কথা বুঝলো কোথায়?
ঘরের ভিতরে শীত
ঘরের ভিতরে আরও কত লোকজন
মা বসে রয়েছে বারান্দায়
কবে থেকে একফালি রোদের আশায়!
ক্রন্দসী
ফাঁপা চাঁদকে ঢেকে দিচ্ছে
রূপোলী ঘাস, স্বপ্ন সাদাকালো--
পেঁপেগাছের ছড়ানো পাতার ওপর
আছড়ে পড়ছে বৃষ্টির কান্না
ঝোড়ো বাতাস আর বয়ঃসন্ধির ঢেউগুলো
হারিয়ে ফেলেছে কেউ সমুদ্রকিনারায়।
প্লাস্টিক পৃথিবীর ওপর বৃষ্টি পড়ছে।
প্রাচীনা কোন মেঘমেখলার ছায়া
মুখখানা আড়াল করেছে তার--
নিমজ্জন আমি যদিও বা চিনি
ক্রন্দন আগাগোড়া সাবেক অচেনা।
রামধনুর জন্ম
গর্ভিণী বাতাস আজ বহে গেল
প্রপাতসীমায়।
এক রামধনুর জন্ম হবে সময়নির্ঘণ্ট মেনে
এমনটা জেনেছিল প্রায় সকলেই
সকলেরই জানা ছিল প্রসবের কাল।
প্রায় একই সময়ে অদূরে কোথাও
এক প্রকাণ্ড দর্পণ চূর্ণ হয়ে
মনোজাগতিক পারদ গড়িয়ে নামে জলে।
সাতরঙা অভিপ্রায়ের গায়ে শুধু রূপোলী পেখম,
ভারী তারা, উড়ানে অক্ষম।
ছাই থেকে মাথা বাঁচাতে আমরা সকলেই অতঃপর
হেলমেট পরে নিই, খুঁজি ভূগর্ভ বাঙ্কার।
ভয় হয়, জাতকও বিবর্ণ হবে অথবা ধূসর।
অলংকরণ (Artwork) : অনন্যা দাশ