আপনার থেকে দূরত্বটা বড্ড বেশি হয়ে গেছে
সময়ের, চিন্তার ব্যবধান পীড়া দেয় খুব
যদি একদিন আধুনিক অবিশ্বাসের বেড়া টপকে
মধ্যরাতে আপনার জানালায় টোকা দিতে পারতাম
পায়ের কাছে বসে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ছেদ করে বলতাম
প্রভু, দেখুন, ভাষার ফসল ছারখার হয়ে যায়
কবিতার কৃষিকাজ শিখতে এসেছি
দূরে কোথায়
যে বাৎসল্য ডিঙিয়ে চলে যাবে তাকে আমি দিবানিদ্রার ভেতর লুকিয়ে রাখি ঝনঝন করে ভেঙে যাওয়া ঘুমের টুকরোরা তাকে মমতা দিয়ে ঘিরে থাকে আর আগামীকাল ঘন্টা বাজবে বলে স্বপ্নের মধ্যে এসে বসে মহাকাল
অনেক দূরে গিয়ে যদি তার আবার ফিরে আসার সাধ জাগে যদি ক্লান্তি নামে যদি খিদে পায় যদি কপালের আঁচ বাড়ে যদি দুধে ভাতে না থাকে এইসব চিন্তায় আমি ছটফট করি আর দু চোখের পাতা কিছুতেই এক হতে চায় না
প্রলয়
দৈবের বশে পরবাসে চাঁদ সূর্য আঁকড়ে ধরে জেগে আছি
তীব্র গনগনে ঘোর কৃষ্ণবর্ণ দ্বিপ্রহর, শ্রবণ অন্ধ দৃষ্টি বধির
খসে পড়া তারাদের নেড়ে চেড়ে অঞ্জলি ভরে ওঠে অঙ্গারে
আর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে থাকি অভিমানী জলের ঠিকানা
কথা ছিল খুলে যাবে স্নিগ্ধ বনানী, পাওয়া যাবে চিরঞ্জীব মলম
সমস্ত গভীর রহস্যের ক্রমশ সমাধান হবে আগামী সংখ্যায়
শুধু সামান্য উদাসীনতায় বিস্মৃত রহিয়া গেল একান্ত স্বদেশ