যৌথ যাপন
সেসময় সব মানুষেরা ছিল মাংসভুক
ঝলসিয়ে নিত আগুনে হরিণ-লাবণ্য
চিনে নিতে ভুল হয়নি, তুইও জাতিস্মর
মনে পড়ে তোর? ছিলি তুই মেয়ে যা বন্য!
বৃষ্টির জল কুচো ফুল হয়ে পরাঙ্মুখ
ফুটে উঠে আহা ছড়াত আলোর আসঙ্গ
উড়ে যেত তোর অন্ধকারের অনশ্বর
উসকোখুসকো চুলে লেগে থাকা পতঙ্গ।
তারপর এল শীত, পৃথিবীতে তুষারযুগ
গুহার দেওয়ালে লিখলাম কত হাইরোগ্লিফ
তোকে নিয়ে গান, পশুপালনের ও শস্যর
তুইও জ্বালালি দেবতার পায়ে সন্ধ্যাদীপ।
কত বার এল দেবতা, আবার বিসর্জন
ফুরোল না তাও যৌথ যাপন বিষ অর্জন।
সে
এক কোণে পড়ে থাকে, টুঁ শব্দটি করে না কখনও
এত বোকা, তারা গোনে, হেঁকে যদি বলি যাও, গোনো
মাঝরাতে ছাদে উঠে। হাওয়া দেয়, কেঁপে ওঠে শীতে
বিড়বিড় করে বকে একা একা যদিও নিভৃতে।
হিজিবিজি গান লেখে, ধরাবাঁধা ছন্দমিল খুঁজে
পাখিদের ছোলা দেয়, কামরাঙা মুখে দেয় গুঁজে।
পাখিরাও সেরকম, উড়ে উড়ে কাঁধে এসে বসে
চিল চিৎকার করে, কখনও বা হাতে ঠোঁট ঘষে।
সে এমন ভাব করে যেন বোঝে পাখিদের ভাষা
অত্যন্ত বেসুরো গায়, বলতে নেই, শিস দেয় খাসা।
বেকার, গতর কোটে সারাদিন, অকম্মার ঢেঁকি
বলতে গেলে যুক্তি দেয়, উল্টোপাল্টা, অধিকাংশ মেকি।
হ্যাংলা বড়ো, আমাদের থেকে তার অনেক তফাৎ
মাছ-মাংস ফেলে খায় ভালবাসা মেখে মেখে ভাত।