ও মেয়ে,
এভাবে বৃষ্টিতে বেরোতে নেই
বলতে বলতে কারা যেন পাশ কাটিয়ে হুড়মুড় দৌড়ে গেল কাটা ঘুড়ির খোঁজে।
তখন রাস্তা শুনশান, অচেনা বয়স্কাদের, আড়ষ্ট বালকদের
‘এখনো তো বেলা আছে, বাড়ি যাও, যাবে না বাড়ি?’
বলে খোঁজ নেওয়ার পালা ততক্ষণে শেষ। ফুটপাথে পড়ে রয়েছে খালি
কার যেন হারানো লেসের রুমাল, ছেঁড়া কাগজ
পানগুমটির আয়নায় একঝলক টেরিকাটা যুবকের চোখ,
ওপারের ঘুমন্ত ট্যাক্সিওয়ালা।
এইসবের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে বৃষ্টি নেমেছিল
শরীর জুড়ে জল, পথ জুড়ে জল, ঠাণ্ডা জল,
যেখানে জমেছে সেখানে জুতো দিয়ে বাড়ি মারতে ইচ্ছে করে, জল ছিটকে উঠবে,
সেইসঙ্গে ক্রোধের মতো কাদা ও কাঁকর…
ইচ্ছে করে ফুচকার ঝালে উস-আস করার মতো তীব্র আশ্লেষে বৃষ্টিজল জিভে নিতে
অথচ কিছুই হয় না, বরং
সেইসব অনামী পথিকেরা উলটোপথে ফিরে আসে, দ্রুত পায়ে, তাদের
দেরি হয়ে গেছে বলে নাকি পৃথিবী ঘূর্ণন থামিয়েছে এক পল
আর বৃষ্টির ফোঁটারা মাঝপথে থেমে, অনির্দিষ্ট চেয়ে আছে সন্ধ্যার আলোর পানে।
এভাবে বেরোতে নেই, গন্তব্য না জেনে, বর্ষাকালে ছাতা না নিয়ে
অথচ হাঁটা থামাতে পারছি না,
এক চিতা অন্ধকার বুকে নিয়ে
যাব না কোথাও, তবু যাচ্ছি, আর চরাচরে রাত্রি নামছে শৃগালের ডাকে।