ধাতু মুদ্রায় লোভ নেই, লাভ নেই মোহিনী আড়ালে
কেন তুমি নিদ্রাতুরা, ছিন্নমস্তা, সামনে দাঁড়ালে!
আমাদের জিয়ন সাগরে ঢেউ ওঠে, ফেনা রাশি রাশি
বিকলাঙ্গ সাইকেল চেপে, ভগ্ন স্বাস্থ্য আমি কেন আসি
একথা বোঝবার কাল, অতিক্রান্ত হয়নি এখনও
নির্জীব হলেও সাপ, নিদ্রাকালে, পাশ ফেরে কখনো সখনো
তর্কের অতীত কথা বলতে শিখিনি আমি আজও
আনো শঙ্খ নীলাম্বরে, স্মিত হাস্যে, বাজো তবে বাজো
নিজের ছায়া
পাঁজি বা তুলোট কাগজে লেখা সব অক্ষর
আত্মকলহে নিজেরাই ভেঙে ভেঙে যায়--
খুব নিরীহ তাকানোর ভূমিকা সম্বল করে
ছাতা খুলে পথে নামি।
মাটির ফাটা দাগে প্রত্ন বর্ণলিপির পাতা--
শহরের পৌরপ্রধানও পড়তে পারে না।
সে দাগের নক্সা এঁকে রাখে বুটিক মালিক
বিবাহের পর্ব নাকি শুরু হয়ে গেছে...
দশ রাস্তার সঙ্গমে দাঁড়িয়ে আমি
নবাব ও বেগমের সঙ্গে সমাচার বিনিময় করি
আর
নিজের ছায়ায় দেখি বাজ পড়া গাছের আকার
আঁধি
সহস্র দাগ নিয়ে শুয়ে থাকে রণক্ষেত্র, আমি ধুলো সংগ্রহ করি তার। সে কণায় মিশে থাকে হাজার
সভ্যতার আঁকিবুকি, লুন্ঠন ও ধর্ষণের চাপ চাপ রক্তের ক্রোধ। আমি তল্লাসী চালাই সেনাদলে--
তারা সব কাঠের পুতুল।
ত্রিবেণী সঙ্গমে জল কমে গেছে দেখি এই সন্ধ্যায়-- উৎসের মুখ নত হয়ে এলো। খেয়া বন্ধ, আসন্ন
আঁধি।
চোখ বেঁধে নেবার সময় এসেছে এবার?