লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
আবুল (মঃ নুঃ) আলম খুলনার বি, এল, কলেজ-এ পদার্থবিদ্যার অধ্যাপনা থেকে অবসর নিয়ে এখন থাকেন মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডাতে। মাঝে ইউনেসকো, প্যারিস-এর আইন বিভাগেও কাজ করেছেন। নিজের প্রিয় বাঁশের বাঁশি ও বেহালা বাজানো ছাড়াও এখন সময় কাটান লেখা-পড়ায়, ছবি তোলায়, এবং সমাজসেবাতে।
অতনু দে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। জন্মসূত্রে কলকাতার, কর্মসূত্রে প্রায় পনেরো বছর কলকাতার বাইরে। কিন্তু অবসর
সময় মন ঘুরে বেড়ায় সাহিত্যের খোলা আলো-ঝলমল বারান্দায়। নানান সময় নানান লেখালেখি করেছেন –
কবিতা, প্রবন্ধ, কিন্তু গল্প লেখা এই প্রথম। সাহিত্য ছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেছেন একসময়।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অনন্যা দত্ত আই,আই, টি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে থাকেন। মানসিক বিকাশ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় স্কুলের পড়া হয়নি। ছবি আঁকতে ও গান গাইতে ভালবাসেন।
অনিন্দিতা চক্রবর্তীর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা বাংলাদেশে। আই. সি. সি. আর স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন ২০০৩ সালে। সেই থেকে যাদবপুরে কেটেছে অনেকটা সময়। স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর, এবং গবেষণার জন্য পরবর্তী সময়গুলোতে কলকাতাই হয়ে উঠেছিল তাঁর দ্বিতীয় উপনিবেশ। কিছুদিন বস্টন-এ
থাকার পর সম্প্রতি ডেনভার শহরে।
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
আইভি চট্টোপাধ্যায়--জন্মকর্ম সবই জামশেদপুরে। সৃষ্টিশীল কাজ করতে ও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন। আকাশবাণী জামশেদপুরের নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ও আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বই
রাতপাখি (গল্প), অনির্বাণ এবং (গল্প), নিরবলম্ব (উপন্যাস) ও অপারেশন স্বর্গদ্বার (উপন্যাস)।
আর্যা ভট্টাচার্যের পড়াশোনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি। বহুবছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। শখঃ দেশভ্রমণ ও ভাষা শিক্ষা। প্রতিবিম্ব, চট্টগ্রাম-বার্তা, পূর্ব-পশ্চিম, সুবর্ণরেখা, আবহমান, ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে বা প্রকাশের মুখে।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
তাপসকিরণ রায়ের জন্ম ঢাকাতে, ১৯৫০ সালে। ১৯৫১ থেকে বাবা-মা'র সঙ্গে ভারতে — নানা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে শেষে দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টে। কলকাতা, রায়পুর ও ভোপাল থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছেন। পনেরো বছর বয়স থেকে নানা পত্রিকায় (বেতার জগৎ, কালী ও কলম ইত্যাদি) লেখালেখি। হিন্দিতেও নানা পত্রিকায় লিখেছেন। সম্প্রতি জব্বলপুর থেকে অবসর গ্রহণ করে পুনরায় বাংলা লেখার জগতে প্রবেশ।
চম্পাকলি আইয়ুবের (জন্ম ১৯৫৭) পড়াশুনো প্রধানত কলকাতায়; তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. ও সাহা ইন্সটিট্যুট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে এম. ফিল. করেন। চম্পাকলি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পি.এইচ.ডি. করেন ও সেই বিষয় নিয়েই ১৯৮৩ সাল থেকে মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিট্যুট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে গবেষণারত।
চম্পাকলির নানারকম শখের মধ্যে উল্লেখ্য নৃত্য-চর্চা, গানশোনা, ভ্রমণ, সাহিত্যচর্চা ও রান্নাকরা।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
পূষন্ আইয়ুব টাটা ইন্সটিট্যুট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের 'ঘন-পদার্থবিদ্যা বিভাগের' বরিষ্ঠ অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।
প্রণব বসুরায় এর জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬। অবসৃত। কবিতা প্রথম ছাপা হয় ১৯৬৪ সালে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ও লিটল ম্যাগে লেখা বেরিয়েছে--দেশ, কৃত্তিবাস (২য় পর্যায়ে), কবিসম্মেলন, রক্তমাংস, দূর্বাসা ... এখনকার দাঁড়াবার জায়গা, ক্লেদজ কুসুম, এবং অনেক ই-ম্যাগেও, নিয়মিত। কাব্যগ্রন্থ "প্রণয়রাংতা" ২০১৫ সালে "সৃষ্টিসুখ" থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
চিরন্তন কুন্ডু কলকাতায় থাকেন।
তাপস চক্রবর্তী পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট। তবে কলেজ জীবন থেকেই দেশী বিদেশী ছবি দেখার প্রবল ঝোঁক ছিল। পরবর্তীকালে সিনে ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে শুরু থেকেই একজন ছিলেন। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত ছবি দেখতেন। পৃথিবীর সিনেমা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। লেখালেখি শুরু ১৯৭২-৭৩ থেকে। মুভি মনতাজ, সিনে টেকনিক, ঘরোয়া, আনন্দলোক, প্রসাদ, আজকাল ইত্যাদি পত্রিকায় লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সিনেমা বিষয়ক বই 'অভিনয়ের সন্ধানে একটি চরিত্র'।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন।
প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা, দোর্দোবুরুর বাক্স, ঈশ্বরী। জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
হাসান জাহিদের গল্প এবং বাংলা/ইংরেজিতে অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায়, সাপ্তাহিক পত্রিকা/সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা, কোলকাতা ও টরোন্টোর পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। বর্তমানে কানাডার টরোন্টো শহরে স্থায়িভাবে বাস করছেন। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার নাগরিক। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি সরকারের পরিবেশ দপ্তরে যোগ দেন, ও পৃথিবীর নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসান জাহিদ টরোন্টো-ভিত্তিক ওয়েব ম্যাগাজিন 'উত্তরাধুনিক'-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'জাদুবাস্তবের পদাবলি' ব্যাপক প্রসংশা লাভ করে। হাসান জাহিদ কথাসাহিত্যে (গল্পগ্রন্থঃ বোরোফেগাস ও আধুনিক আদম মানব) দেশ-প্রকাশনী পুরস্কার-২০১৪ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে আশির দশকের গল্পকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।
কালীকৃষ্ণ গুহ-র জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কমলিকা চক্রবর্তী কলকাতায় থাকেন। 'পরবাস'-এর পুরোনো পাঠিকা, শখের লেখিকা। একটি স্কুলে ইংরেজি পড়ান।
কৌশিক দত্ত স্নায়ুরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কলকাতার AMRI-হাসপাতালে। পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর মিশন, কলকাতা মেডিকাল কলেজ ও তারপরে বিভিন্ন জায়গায়। প্রথমে লেখা শুরু কবিতা দিয়ে, এখন মূলত গদ্য। শখ--থিয়েটারে অভিনয় ও সিনেমা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
কিশোর ঘোষাল--পেশায় সিভিল ইঞ্জিনীয়ার, সেই সূত্রে ব্যাপ্ত এই দেশের আনাচে কানাচে বিচিত্র জীবন দর্শন। নেশা একটু আধটু লেখা।
২০১৫-র কলকাতা বই মেলায় "বিনি সুতোর মালা" এবং ১৬-র বইমেলায় ছোটদের সম্পাদিত গল্পসংকলন
"পাঁচকথা"য়, তার বিনীত প্রকাশ।
পার্থ চৌধুরী
মফিজুল ইসলাম খান-এর জন্ম ১৯৫৪ সালে, কুমিল্লায়। বর্তমানে ঢাকায় একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত। প্রকাশিত বইঃ
আন্দোলিত প্রান্তরে আহত চিৎকার (কবিতা),
জোস্নার ফুল (কবিতা),
যন্ত্রণার অনুলিপি (কবিতা),
তাক ডুমাডুম ঢোল বাজে (ছড়া),
মিসকল মফিজ (উপন্যাস)।
মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায়--"একেবারে 'মেড ইন কলকাতা' ছাপ মারা বাঙালি।" ভাগ্যের ফেরে বিগত ১৫ বছর ধরে উত্তর আমেরিকার নর্থ ক্যারলাইনার কেরি শহরের বাসিন্দা। পেশায় গায়িকা এবং সংগীত শিক্ষিকা।
নেশা একান্ত পাঠ, রান্না এবং রবীন্দ্রনাথ।
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় দুই-দশকের বেশি আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স-এ আছেন। পেশাঃ স্কুলে পড়ানো, নেশাঃ অবশ্যই পড়া।
পেশায় শিক্ষিকা শ্রীমতী মাধুরী রায় ছেলে-বউ রাহুল ও স্বপ্না রায়ের কাছে আমেরিকায় থাকতে আসার পর কবিতা লিখতে আরম্ভ করেন, তখন তাঁর বয়স আশি পেরিয়েছে। বয়সকালে সমাজসেবা ও বামপন্থী রাজনীতি করেছেন, ছবি আঁকা শিখেছেন আচার্য নন্দলাল বসুর ছাত্রের কাছে, ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকাল পিয়ানো ও বাজিয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
মীরাতুন নাহার কলকাতার ভিক্টোরিয়া কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধানপদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৯-সালে। 'যুগজননী রোকেয়াঃ একটি জীবনী' (১৯৯৭), 'দেশকন্যার কলমে' (২০১২), প্রভৃতি ৫-টি বইএর লেখক এবং সম্পাদনা করেছেন 'Others Minds: Analogical Argument Revisited' (২০০২), 'অন্তঃস্বর--মেয়েদের কথায় মেয়েরা' (২০০৭) ইত্যাদি প্রায় ৬টি গ্রন্থ। বিভিন্ন পত্রিকা, টিভি ও জনহিতকর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
বাবা-মায়ের সাথে শারজা-প্রবাসী মুখচোরা ছেলেটা খাতার পাতায় ছবি আঁকত, গল্প লিখত। বিজ্ঞান-বিভাগের ছাত্র হলেও নক্ষত্র চক্রবর্তীর চতুর্থ বিষয় ছিল ফাইন-আর্টস। এখন সে সব ছেড়েছুড়ে ভারতবর্ষের মনিপালে এসে ডাক্তার হবার জন্য মন দিয়ে পড়াশুনো করছে। শোনা যাচ্ছে বন্ধুবান্ধব কলেজ সামলে সে এক ব্যস্ত মানুষ। পরবাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অবশ্যই গর্বিত।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়।
অতি সম্প্রতি তাঁর কবিতার ফিনিশ ও ইংরিজি ভাষার অনুবাদগ্রন্থ Enchantress / Lumoojatar হেলসিঙ্কি থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
পলাশ কুমার পাল--বাংলা কথাসাহিত্যে এম.এ. ও বি.এড.।
আঁকা ও কবিতা লেখার প্রতি ছোট থেকে ভালোলাগা। তারপর শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন এর সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত হওয়া আগ্রহে। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রিকায় ও ই-পত্রিকায় আঁকা ও লেখা প্রকাশ।
পিউ দাশের প্রিয় জিনিস--ভালো গল্প, বাংলায় এবং ইংরেজিতে।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি — কবিতার দেশ-বিদেশ, কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই — ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। কবিতা ও ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে দেশ, কৃত্তিবাস, নব কল্লোল, পরবাস ও অন্যান্য পত্র-পত্রিকায়. নিয়মিত ইংরেজিতে ফিচার লেখেন আনন্দ সংবাদ (নিউ জার্সি) পত্রিকায়। বাংলা সাহিত্য-রচনায় গায়ত্রী গামার্শ পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৫-তে। পেশায় বৈজ্ঞানিক ও অধ্যাপক। প্রকাশিত বই তিনটি(
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প )।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। এই বছর প্রথম প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল)। নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
কলকাতা, দিল্লী, বেঙ্গালুরু, ইউএসএ হয়ে শবনম দত্ত আপাতত বিলেতে। অক্সফোর্ডে এমবিএ
করে বছর তিনেক হলো লন্ডন-এ চাকরি করছেন। সুযোগ পেলেই স্বামী ও ন'বছরের ছেলের সঙ্গে ইয়োরোপ ঘোরার শখ। ভ্রমণকাহিনি লেখা শুরু হয়েছে এই বছর। পরবাস-৬৩-তে প্রথম গল্পের প্রকাশ।
সন্তু ঘোষ কলকাতা নিবাসী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পেশা - ফেরিওয়ালা (সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ)। কাজের সূত্রে দেশে এ-প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়তে দৌড়তেই লেখালিখি বা লেখালিখির চেষ্টা। তবে এটাও সত্যি যে কাজের চাপে লেখালিখির সময় বড্ড কম। তারই মধ্যে কখনও... তাঁর কবিতা ছাপা হয়েছে "সৃষ্টি পুজো সংখ্যা" আর "আদরের নৌকা"তে।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই প্রবাসী। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ, গদ্য লিখে থাকেন।
কোমলগান্ধার পত্রিকার সম্পাদক।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
জন্ম ১৫ জানুয়ারি ১৯৭৬। সন্দীপনের কবিতার সঙ্গে সঙ্গে অবাধ যাতায়াত প্রবন্ধেও। সাহিত্যের পাশাপাশি আগ্রহ চলচ্চিত্রে। নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ। ২০০১-এ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জীয়নকাঠি মরণকাঠি’, ২০০৬-এ ‘কারোই সময় নেই দাঁড়ানোর’ ও ২০১৫-য় ‘বাতাসেরও দোষ নেই’। গবেষণা করেছেন ‘কৃত্তিবাস’ পত্রিকার ইতিহাস নিয়ে, এ-বাঙলার নব্বইয়ের কবিদের নাগরিক কাব্যভাষা নিয়ে। সম্পাদনা করেছেন ‘পাঠকই কবিতা’ পত্রিকা।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সিক্তা দাস--জন্ম, বর্তমান বাস এবং শিক্ষা কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর এবং ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। পূর্বে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। গান শুনতে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে, এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। কিছু লেখা ছাপা পত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
সুমিত নাগের নিবাস - শ্রীরামপুর, জেলা - হুগলী; শখ - সাহিত্য, ইতিহাস ও বিজ্ঞান; বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত, প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রাক্তনী।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
সুরমা ঘটক ছোটোবেলা থেকেই সংগ্রাম করেছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক আদর্শে চলেছেন। শিলং জেলের ডায়েরি, পদ্মা থেকে তিতাস ইত্যাদি গ্রন্থের প্রণেতা। ঋত্বিক ঘটকের সহধর্মিণী। বিবাহপূর্ব জীবন থেকে আইপিটিএ'র সদস্যা, এবং রাজনৈতিক কারণে প্রায় আঠারো মাস কারাবরণ করতে হয়েছিল।
স্বপ্না মিত্র একজন প্রবাসী বাঙালি। বিজ্ঞানের ছাত্রী। প্রযুক্তি বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেশ কিছুদিন দেশী এবং বহুজাতিক সংস্থায় কর্মজীবন। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের পাশাপাশি অনেক সময় তিনি কলম ধরেছেন। কখনও সমাজের বিভিন্ন সম্পর্কের গতিবিধিতে আকৃষ্ট হয়ে, কখনও আবার ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিতে। স্বপ্নার রচনাশৈলীতে বারবার ফুটে ওঠে আজকের সমাজের প্রতিফলন। লেখিকার প্রকাশিত ছোট গল্প সংকলনের নাম “একালের গল্প" ও “বিকেল হলেই গল্প" (পরিবেশক – দে’জ পাবলিশিং)
তোফায়েল তফাজ্জল-এর লেখালেখি ৯০ দশক থেকে। প্রকাশিত কবিতার বই একটি, নাম 'জলাশয়ে দগ্ধ দিন।' এটি ১৯৯৭-এ বাংলা একাডেমীর 'তরুণ লেখক প্রকল্প' থেকে প্রকাশিত। এ ছাড়া, সামনের বছর ছোটদের উপযোগী একটি কবিতার বই প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে। বর্তমানে লিবিয়ায় বসনা-এস অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানির হিসাব রক্ষণ অধিকর্তা হিসেবে কর্মরত।