• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৪৯ | অক্টোবর ২০১১ | কবিতা
    Share
  • কয়েকটি কবিতা : কৌশিক ভাদুড়ী


    অনিষ্ট নস্টাল


    ঘর পালানো ছেলের মতন শিমুলে মেঘ
    তুই কি আমায় বৃষ্টি দিবি।
    তবে কেন বললি মিছে
    বাঁধ দিয়েছি স্মৃতির ঝোরায়
    বন্যা মুখে।
    বাঁধ দিয়েছি পুকুর পারে কলমী শাকে।
    মাটির দাওয়ায় শেতলপাটি একলা বসে।
    গুঁড়ির ফাটে কাঠঠোকরা কিসের বশে
    খাড়া বসে। পাখীর বাসায় নোনা গাছে
    পরগাছা মন রাত পাহারায়,
    সেঁতলা ধরা পাঁচিল ফাঁকে আমরুলি বন
    আগলে বসে।
    বল এসব কোথায় তুলি, ডাইনে বাঁয়ে
    কোন পাঁজরে।
    ভুলিই যদি ফেলি কোথায় কোন কুড়োদান
    কোন কিনারে।
    বরং বাতিল নকশী কাঁথা দুলতে থাকুক,
    কুল আগাছায় কাঁটায় বিঁধে।
    জড়িয়ে আমায় স্বর্ণলতা শুষতে থাকুক
    বৃক্ষ রসে।
    আপনি শুকোক.
    বেয়াড়া ধারা বইতে থাকুক চায় যেদিকে।
    কান্না সুখে।
    কেইবা কোথায় বাঁধ দিয়েছে
    মৃত্যু মুখে।


    স্থানাংক


    একদিন সাথে ছিল দুটি। গতি হোলো উল্লম্ব অপসারি রেখা। একজনের
    আছে ব্যাকুলতা, অন্যের নেই ভ্রূক্ষেপ। বাতাসে লয়মান শব্দ জোড়া
    “বাছা ভালো?”। ক্রমশ অর্থহীনতা। উল্লম্ব নীতি মেনে কারোরই কারোতে
    নেই প্রক্ষেপ। আক্ষেপ পুরোনো হলে ঘনীভূত হয়। ততদিনে অন্যতে হয়
    অনুরূপ বিভাজন। ক্রমান্বয়তায় সৃষ্টি হয় ধারক মূলজাল, আধারিত
    সংস্থা। অব্যয় নদীটি তীরে এক-এ বসে, ভাবে কোথায় তার সংস্থান।


    হে হিরণ্য আলো হরিণ হও


    হে হিরণ্য আলো
    হরিণ হও,
    তোমাকে ধাওয়া করে
    আমি সময়ের প্রান্তিকে।
    এবার পোষ মানো।
    গোধুলির ঢিমে আলোয়ে
    চুপিচুপি,
    হরিণ হয়ে যাও।


    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments