• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩৮ | জানুয়ারি ২০০৭ | কবিতা
    Share
  • আমার আঠাশ আর জীবনানন্দ দাশ : লুনা রুশদী

    জীবনানন্দ পড়ি, জীবন আনন্দে মরি ।
    আট আর কুড়ি যোগে ক্ষুদ্র আঠাশ,
    তবুও স্বপ্নে স্মৃতি, পাহেলী নিশ্বাস ।
    জীবন আনন্দ রোগী, জীবনানন্দে ভুগি ।

    সেদিন বছর কুড়ি আগে, দাদী আমি পাশে পাশ, বেহুঁশ
    উদাস । চিরল সাঁঝেলা আলো, না দেখা তরল মিশে,
    ভেসে ভেসে ভেসে আসে মাগরিবু আজান ।
    দাদী বসে ঘোলা চোখে, একদিন প্রতিদিন
    ভিন দেশে চীন দেশী বাদামের ঝাঁকা কাঁখে ফেরিওলা
    হাঁকে ডাকে । বাইরে দেয়াল পাশে, গাছে,
    টক টক, তক্ষক, থেকে থেকে
    প্রথম দেখেছি আমি তাকে । আবার বছর কুড়ি আগে ।

    সময় সময় যোগে, যোগায় সময় ।
    দিন নয়, আয়ু ক্ষয় হয় ।
    ছবি থাকে, দিনও থাকে কোথাও কোথাও
    মানুষের ছায়া থেকে মানুষ উধাও ।

    আমার জানালা খুলে সবুজ বাগান । উঠানের বেড়ে যাওয়া ঝিমঝিম
    ঘাসে ছোট্ট শরীর নিয়ে নরম রোদের নীচে বেড়াল ঘুমায় ।
    তবু হায়, আট বছরের পরে, আসে কাছে, আট বছর আগের একদিন
    সেই বোধ, যে আমারে ভালো চেনে, আমি যারে পারি না এড়াতে
    সে আমার হাত ধরে হাঁটে । ছয়লাপ জট ধরে,
    সব স্মৃতি, বিস্মৃতি, স্বপ্ন, বাস্তব । সব রঙ মুছে গেলে
    পাণ্ডুলিপি ফিরে আসে ঘরে । পাখিরাও,
    নদীদের ঘর নাই কোনো । বলি আমি `হে নাবিক কবে ফিরবেন ?'
    কুড়ি বছরের পরে ধানসিঁড়ি নদী তীরে একা বসে বনলতা সেন



    (পরবাস-৩৮, ডিসেম্বর, ২০০৬)

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)