পাঁচটি ইঁদুর খেয়ে জেগে আছি রাত
বুকের খোয়ারি থেকে ডানা মেলে দু:খকূট
সমকামী শিহরণ । যেন এইমতো খসে পড়ে চাঁদ
দিগন্তের মায়াজাল ছিঁড়ে, যেন লক্ষকোটি পিপীলিকা
পেয়েছে জন্মের আশ্রয় মালতির কামনার বনে ।
আমার রক্তে কেউ খোঁজে না বিরহের ভ্রূণমূল
প্রকৃতি উন্মাদ এক উটপাখির মতো আলোর গন্তব্য
খোঁজে ইঁদারার নি:সীম মায়ায় । আমি দেখি
নার্সিংহোমের বারান্দায় ঝুলে আছে লাল শাড়ি ব্লাউজ ব্রেসিয়ার
মৃত এক রমণীর মাংশের জাগতিক ঘ্রাণ শুঁকে
থমকে যায় অভূক্ত মৌমাছি । তুমি বলো যদি বিশ্বাস করো
প্রাচীন ধারাপাত উপকথা, চাঁদ ও সমুদ্রের মতো
পরিত্যক্ত বনভূমির কালোজ্বর, তবে কেন সময়ের
সর্পিল হাত আঁকড়ে ধরে আমূল উপড়ে ফেলে আমাকে
মাঝরাতে ? আমি তো করিনি ক্ষতি তোমার কিংবা ঈশ্বরের
শুধু পাঁচটি ইঁদুর খেয়ে জেগে আছি রাত
আর কিছু নয়, ফুল নয় মাছ নয় চাঁদ নয়
শুধুই পাঁচটি ইঁদুর, লাল নীল শাদা ও সবুজ
নিরক্ত নির্মম কবিতার মতো লাজুক নিরীহ স্পর্শকাতর ।