ঘুম ভেঙে দেখি, দিব্যি ঠান্ডা। আমি ছাড়া নাকোয় আর কেউ উঠেছে বলে মনে হচ্ছে না।
সকাল ৭.১২
ধরাচুড়ো পরে চরতে বেরোলাম। পুরো নাকো জুড়ে ঘুম বিছিয়ে রয়েছে। নাকো লেক পর্যন্ত পাতলা কুয়াশার চাদর জড়িয়ে ঘুমোচ্ছে। না, একজন জেগে আছে দেখছি। বাছুরটাও আরেকজনকে জাগন্ত দেখে আমার মতোই অবাক হয়ে গেছে। ঘুমন্ত ঠান্ডা পাথরের স্ল্যাব বসানো পথটা ধরে গ্রামের গুমবাকে প্রথামতো পরিক্রমা করলাম। মূল দরজা বাদ দিয়ে গুমবাকে ঘিরে মন্ত্র লেখা পাথরের টালির স্তূপে ঘেরা। চক্কর মেরে হোটেলে ফিরে দেখলাম, চা রেডি। সামনের ফুলের বাগান, সবজিবাগান আর লেককে সাক্ষী রেখে দু জনে আয়েস করে চা খেলাম।
সকাল ৮.৩০
সকালের মুঠি সারাদিনের খুঁটি। অনেক মুঠি পেটস্থ করা গেল। আজ গন্তব্য কল্পা।
সকাল ৯.৩৫
গাড়ি নড়ল।
সকাল ৯.৪০পাঁচ মিনিটে নাকোর বড় গুমবার চত্বরে। ডাইনে নতুন ঝকঝকে গুমবা—দশ বছর আগে দলাই লামার হাতে উদ্বোধন হয়েছে। বাঁয়ে হাজার বছরের পুরোনো গুমবার দরজা বন্ধ।
সকাল ৯.৫৫
বিদায় নাকো।
সকাল ১০.৩০
পুহ চেকপোস্ট।
সকাল ১১.১০
স্পিলো এলো, গেল। পথ এখন কাঁচা।
সকাল ১১.৩০
জাঙ্গী চেকপোস্ট।
সকাল ১১.৩৫
নদী পার করে স্কিবা। ধুলোভরা পথ।নদীর নাম নাকি কিশাং।
সকাল ১১.৫৬
এসে গেছে পোওয়ারী। এবার ডাইনে মোচড় মেরে চড়চড়িয়ে ওপরপানে।
ভরদুপুর পেরিয়ে ১৮ মিনিট
জমজমাট রেকং পিও।
দুপুর ১২.৪২
কল্পার AUKTONG হোটেলের চত্বরে। চরাচর মেঘে ঢাকা।
বিকেল ৫.৪০
চিনি গ্রামের মন্দির গুমবা দেখতে এলাম। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে পায়ে গ্রামের পাথুরে পথ ধরে চলতে চলতে গুমবার ধারে। গ্রামের ছোট ছোট দোকান, বাড়িঘর, মানুষজন কী সরল! আরও এগোতেই হাজার বছরের প্রাচীন কাঠের ব্রহ্মা নারায়ণ নাগ মন্দির। কারও মনস্কামনা পূরণের পুজো চলছে। সে পুজো দেখার, প্রসাদ পাবার সৌভাগ্য হলো।
সন্ধ্যা ৬.৫৫
হোটেলে ফেরার পথে বর্ষা পিছু নিল।
রাত ৮টা
ভরাপেটে বিছানা-কম্বলের আশ্রয়ে।
(ক্রমশ)