‘আজও লেট, তুই কি রে! বস তোর খোঁজ করছিল শুভ্রর কাছে। যা, তাড়াতাড়ি দেখা কর গিয়ে। হেব্বি ক্ষেপে আছে কিন্তু!’
‘আর বলিস না, আমার কপালটাই খারাপ! আজকেও…’
‘এখন থাক ওসব। আগে যা।’
বলে একরকম ঠেলেই দিল দ্বৈপায়নকে। আর দ্বৈপায়ন কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা এডিটর-এর রুমের দরজায় গিয়ে নক করল। ভেতর থেকে জলদগম্ভীর স্বর ভেসে এলো –
‘কাম ইন।’
দরজার ফাঁক গলে দ্বৈপায়ন মুখ বাড়াতেই –
‘আরে এসো এসো, ওয়েলকাম! তোমার অপেক্ষাতেই তো বসেছিলাম! আমাদের এই 24x7 চ্যানেল-এর টি.আর.পি. তো তোমার ওই শ্রীমুখখানি দেখার জন্যই ওঠানামা করে!’ সাম্যব্রত সেন, এই টিভি চ্যানেল-এর নিউজ এডিটর, যেমন দক্ষ তেমনই কড়া।
‘সরি স্যার, অ্যাকচুয়ালি …’
কথার মাঝেই সাম্যব্রত বলে ওঠেন –
‘থাক, আই ডু নট ওয়ান্ট এনি মোর এক্সকিউজেস। নাউ গেট রেডি ফর দি আপকামিং প্রোগ্রাম।’
‘ওকে স্যার।’
বসের ঘর থেকে বেড়িয়ে হাঁপ ছাড়ল দ্বৈপায়ন। নিউজ রুমের দিকে এগোতেই চোখে পড়ল শাল্মলীও ওদিকেই হাঁটছে দ্রুত পায়ে। আর দশ মিনিট, এর পরেই শুরু হবে সান্ধ্য খবর, ভাগাভাগি করে পড়বে ও আর শাল্মলী। রুমে ঢুকতেই পাশের অ্যান্টিচেম্বার থেকে ইশারা করে ডাকলেন অমিতাভদা।
‘আরে ওদিকে যাচ্ছ কি, এদিকে এসো, মুখের যা চেহারা করে রেখেছ না! যাও চটপট বেসিনে ভালো করে ধুয়ে নাও মুখটা। তারপর আমি একটু হালকা মেকাপ টাচ করে দিচ্ছি।’
অডিও ভিসুয়াল মিডিয়ার এই হচ্ছে অসুবিধে। সব সময় নিজেকে প্রপারলি প্রেজেন্টেবেল রাখতে হয়। প্রস্তুত হতে হতেই ঘড়ির কাঁটা সাতটার ঘরে। আর সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরা অন। দুদিকের দুটো চেয়ারে বসা দেখা গেল শাল্মলী আর দ্বৈপায়নকে।
‘শুভ সন্ধ্যা। আমি দ্বৈপায়ন।’
‘শুভ সন্ধ্যা। আমি শাল্মলী।’
‘24x7-এ আপনাদের স্বাগত। আজকের বিশেষ বিশেষ খবর হল...’
এভাবেই চলে দিনরাত, রাতদিন। বিভিন্ন শিফট-এ কাজ করে এক ঝাঁক তরুণ তরুণী। কেউ স্টুডিওতে বসে অনুষ্ঠান সম্প্রচারে সাহায্য করে, আবার কিছু সাংবাদিক স্টুডিওর বাইরে, ঘটনাস্থলে মানুষের কাছে গিয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সত্যিটা তুলে ধরার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে কারোর দক্ষতা বেশি, কারোর কম। দ্বৈপায়ন এখানে জয়েন করেছে বছর তিনেক হল। তবে এরই মধ্যে ও নজর কেড়েছে ওপরমহলের। ওর খবর পড়ার ধরন, ভয়েস কোয়ালিটি, সর্বোপরি সুদর্শন হওয়াতে ওর প্রেজেন্টেবিলিটি দর্শক মহলে খুবই সাড়া জাগিয়েছে। আর সেই কারণেই ওর ওপর নির্ভরশীলতাও বেড়েছে। ছেলেটার একটাই দোষ, বেশিরভাগ দিনই অফিসে ঢুকতে দেরি করে ফেলে, শেষমুহূর্তে টেনশনে ফেলে দেয় সবাইকে।
সপ্তাহখানেক বাদে একদিন বিকেলে সাম্যব্রতর ঘরে ডাক পড়ল দ্বৈপায়নের।
‘শোন দ্বৈপায়ন, আমরা একটা নতুন ধরনের প্রোগ্রাম শুরু করার কথা ভাবছি। অন্যান্য চ্যানেলে যেমন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, সাহিত্যিক এনাদের নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ওপরে সেমিনার, মানে ওই তর্ক-বিতর্কের অনুষ্ঠান হয় না, সেই ধাঁচে আমাদের একটা নতুন কিছু ভাবতে হবে। যেখানে শুধু রাজনীতির কচকচি থাকবে না, আ বিট ডিফারেন্ট! তো অর্ণব, মানে আমাদের প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ, একটা আইডিয়া শেয়ার করেছে। অ্যান্ড ইটস আ ইউনিক ওয়ান! ইন ফ্যাক্ট, এই এতগুলো চ্যানেলের সঙ্গে কমপিট করে টিকে থাকতে হবে তো, তাই না?’
একটু থামলেন সাম্যব্রত। অপরদিকে দ্বৈপায়ন এতক্ষণ নিবিষ্ট হয়ে শুনছিল। এবার বলে উঠল –
‘স্যার, অর্ণব স্যারের আইডিয়াটা ...’
‘হ্যাঁ, সেটাই এক্সপ্লেইন করতে যাচ্ছি। মন দিয়ে শোন, বিকজ ইটস ইউ হু উইল কন্ডাক্ট দ্য প্রোগ্রাম।’
উত্তেজনায় প্রায় টেবিল চাপড়াতে বসেছিল দ্বৈপায়ন। শেষমুহূর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে রইল বসের মুখের দিকে।
‘আমাদের প্রোগ্রাম টাইমিং হবে ঘন্টাখানেকের মতো। আমরা কিন্তু সেলেবদের বাদ দিয়ে ইয়াং স্টারসদের নিয়ে প্রোগ্রামটা করতে চাইছি। বারনিং ইস্যুস-এর ওপরেই হবে। যখন যে নিউজটা হট, তার ওপরেই ডিসকাশন হবে। ছেলে-মেয়েরা, যারা পলিটিক্যালি বায়াসড নয়, নিজের পয়েন্ট অফ ভিউ ঠিকমতো এক্সপ্লেইন করতে পারে, সেইরকম এক ঝাঁক তরুণ-তরুণীকে নিয়ে শুরু করতে হবে রাত আটটার প্রোগ্রাম – “আজ সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ, সঙ্গে দ্বৈপায়ন।” বোঝা গেল?’
‘গট ইট, স্যার!’
উত্তেজনায় ফুটছে দ্বৈপায়ন। তার অদ্ভুত রোমাঞ্চ হচ্ছিল ভাবতেই যে এইরকম একটা প্রোগ্রামের অ্যাঙ্করিং করবে সে! পরদিন থেকেই শুরু হয়ে গেল তোড়জোড়। বিভিন্ন সোর্স কাজে লাগিয়ে কিছু কলেজ, ইউনিভারসিটি স্টুডেন্টসদের সিলেক্ট করা হল যাদের নিয়ে প্রোগ্রাম শুরু করা যাবে। দেখা গেল অচিরেই লাইভ শো-টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল, ফলে টি.আর.পি.ও চড়চড় করে বাড়তে লাগল। প্রতিদিনের নতুন নতুন টপিক ঠিক করে টিমকে জানাতে হয় দ্বৈপায়নকে। যাতে ওরা নিজেদের কিছুটা প্রস্তুত করে নিতে পারে আগে থেকে। মাঝে মাঝেই নতুন মুখ দেখা যায় ওই লাইভ শো-তে, শো-এর একঘেয়েমি কাটাবার জন্য। খুব উৎসাহের সঙ্গেই কাজটা করছিল দ্বৈপায়ন, ভালোও লাগছিল ওর। সেদিন অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিওর বাইরে টানা বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে সিগারেটে সবে টান দিয়েছে, সেল ফোনটা বেজে উঠল –
‘ব্যস্ত আছ?’
‘আরে না না, বলো!’
‘সময় না থাকলে, পরে করব।’ উৎসার গলায় চাপা অভিমান।
‘উফফ, কথায় কথায় ঠোঁট ফোলানোটা আর গেল না, না?’ দ্বৈপায়নের গলায় হালকা হাসির ছোঁয়া।
‘কী আর করব বলো, আমার জন্য তোমার কাছে কোন সময়ই তো নেই!’
‘কী যে বলো না! আমারও কি ইচ্ছে হয় না তোমার সঙ্গে সময় কাটাই, কিন্তু...’
‘কিন্তু, এত কাজের চাপ যে ইচ্ছে থাকলেও কিছু করা যায় না।’ দ্বৈপায়নের মুখের কথাটা কেড়ে নিয়ে বলে উঠল উৎসা।
‘সিরিয়াসলি উৎসা, ট্রাস্ট মি! একদম সময় পাচ্ছি না।’
‘জানি মশাই। যাক গে শোন, যেজন্য এই সময় কল করছি, তোমাদের চ্যানেল থেকে আমাদের আন্দোলনের ব্যাপারটা ঠিকমতো কভার করছে না কেউ। এই ব্যাপারটা একটু দেখো।’
‘তোমাদের আন্দোলনের ছ-মাস তো হয়ে গেল, তাই না ?’
‘হ্যাঁ। কিন্তু মিডিয়া যদি হাইলাইট না করে, তাহলে সরকারের তো একেবারেই টনক নড়বে না!’
‘আমি দেখছি যাতে ঠিকমতো কভারেজ হয়। তুমি কি রোজই বসছ?’
‘বা রে, বসব না! কত দূর দূর থেকে সবাই আসছেন, জানো? সম্বিতদার মা মৃত্যুশয্যায়, রুনাদির বাচ্চাটার বয়স এক মাস, এরা সবাই নিয়মিত আসছেন কত বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও...’
‘সবই বুঝলাম, উৎসা! কিন্তু তোমার তো কয়েকদিন আগেই মাথা ঘুরে গেছিল, সেন্সলেস হয়ে গেছিলে!’
‘তো! তারপর তো ডক্টর দেখিয়েছি। এখন ঠিকই আছি।’
‘যে যে টেস্টগুলো করাতে বলেছিলেন, সেগুলো করেছ?’
‘না, অতসব করাতে হবে না! রোদ্দুরে টানা বসেছিলাম, তাই মাথাটা ঘুরে গিয়েছিল।’
‘ও, ডাক্তারিটাও পড়ে ফেলেছ?’
‘আমি এখন রাখছি। তোমার ব্যস্ততার মধ্যে সময় নষ্ট করলাম।’
‘আরে শোন শোন, উৎসা!’ ততক্ষণে ওদিকে লাইন কেটে গেছে।
দ্বৈপায়ন ভাবল যেমন করে হোক সময় করে উৎসার সঙ্গে দেখা করতেই হবে। প্যানেলাইসড হয়েও চাকরি পায়নি উৎসা, সঙ্গে আরও অনেকে, দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, এই কাঠফাটা রোদ্দুরে শহরের কেন্দ্রে ধরনা-অবস্থান করে, এইসময় ওর পাশে একদিনও গিয়ে দাঁড়াতে পারেনি দ্বৈপায়ন। এর মধ্যে উৎসার শরীরটাও খারাপ হয়েছিল। নাঃ মেয়েটার অভিমান তো হতেই পারে! এরই মধ্যে চলে গেল আরও দুটো সপ্তাহ। একদিন সন্ধ্যের খবর পড়ার সময় বিজ্ঞাপন বিরতির মাঝে ওর হাতে একটা চিরকুট এল, এক ঝলক দেখেই ওর মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। খবরের ফাঁকেই জানাতে হল ব্রেকিং নিউজ -
‘এইমাত্র খবর পাওয়া গেল, চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন আজ অবস্থান চলাকালীন অজ্ঞান হয়ে যান, নাম উৎসা মিত্র। ওনাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে জ্ঞান ফিরে এসেছে। তবে বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার পরে বোঝা যাবে অসুস্থতার কারণ, এইরকমই মত ডাক্তারদের। ৬ মাসের ওপর হয়ে গেল নিয়োগসংক্রান্ত আন্দোলন চলছে, সরকারের তরফ থেকে কোন গঠনমূলক পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছে এপর্যন্ত? এই প্রশ্ন আজ উঠে আসছে।’
পরদিন সকাল হতেই দ্বৈপায়ন ছুটল উৎসাদের বাড়ি। ওর মায়ের কাছ থেকে জানা গেল অবস্থানের সময় গতকাল উৎসার আবার মাথা ঘুরে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ওর মা ফোন পেয়ে ছুটে যান। আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকেই কয়েকজন মিলে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে ততক্ষণে। আরও জানা গেল কয়েকদিন ধরেই ওর মাথা ঘুরত, বমি হত। উৎসার মায়ের সঙ্গেই হাসপাতালে পৌঁছল দ্বৈপায়ন। উৎসাকে বেডে পাওয়া গেল না। সিস্টার জানালেন ওর ইউ.এস.জি., ব্লাড, এক্সরে কোন রিপোর্টেই তেমন কিছু না পাওয়ার দরুন ডক্টর ব্রেইন স্ক্যান করতে বলেছেন। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে পেশেন্টকে।
দু’দিন বাদে ডক্টর উৎসার মা আর দ্বৈপায়নকে ডেকে জানিয়ে দিলেন – ‘ইট’স আ কেস অফ ব্রেইন টিউমার হুইচ ইস ম্যালিগন্যান্ট, অ্যান্ড অলমোস্ট ইন ইটস ফাইনাল স্টেজ।’ দ্বৈপায়নের মনে হল ওর চোখের ওপর একটা কালো পর্দা নেমে আসছে।
উৎসাকে আরও কদিন হাসপাতালে রেখে কয়েকটা রে দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল। ডক্টর বলে দিলেন, ‘যে কদিন আছে, ওর পছন্দমতো সবকিছু করার চেষ্টা করুন। আমরা কিছু ওষুধ দিয়ে দিলাম, যাতে কিছুটা রিলিফ হয়। আর কিছু করার নেই! সরি!’
আজকাল সকাল থেকে অনেকটা সময় উৎসার সঙ্গেই কাটায় দ্বৈপায়ন। মাথার চুল অনেক পড়ে গেছে উৎসার, চোখের তলায় কালি। তবু মনের জোরে মুখে হাসিটা ঠিক লেগে আছে। ‘আমি একটু ভালো হলেই আবার অবস্থানে যোগ দেব, দেখো! এ লড়াইটা জিততেই হবে।’
‘তার আগে তোমাকে যে আরও বড় লড়াই জিততে হবে, উৎসা!’ মনে মনে বলে দ্বৈপায়ন, ভেতরের অবরুদ্ধ কান্না চেপে। ওর নিজের ঘরে একটা বুদ্ধমূর্তি আছে শেলফে। সুমন এনে দিয়েছিল গত বছর রাজগীর থেকে। আজকাল রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে ওই মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে একমনে প্রার্থনা করে দ্বৈপায়ন, উৎসার আরোগ্য কামনা করে। খুব আশা হয়, যদি কোন মিরাকেল ঘটে যায়! কাজে পুরোপুরি মন বসাতে পারে না আজকাল। একটা ঘোরের মধ্যে কাজ করে যায়। ছোটখাটো ভুল-ত্রুটিও হয়ে যায় মাঝেমধ্যে। ওপরমহল থেকে তাই ওর প্রেশার কমিয়ে শুধুমাত্র ওই বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। দিন তিনেক হল উৎসার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ করে অবনতি হয়েছে। মনটা একেবারেই ভালো নেই দ্বৈপায়নের। রাত আটটার সেই বিশেষ প্রোগ্রামের সঞ্চালনা করছে। নিয়োগ পর্ব নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষেই গিয়েছে। এটা খুবই আশাব্যঞ্জক, এই নিয়েই আলোচনা চলছিল। এর মাঝেই ব্রেকিং নিউজ –
‘আন্দোলনকারীদের অন্যতম উৎসা মিত্র আর নেই। একটি তাজা প্রাণের লড়াই মাঝপথে থেমে গেল’! গলা কেঁপে গেল দ্বৈপায়নের। চোখমুখ দিয়ে যেন আগুন ছুটছে! বিকৃত গলায় মর্মভেদী চিৎকার করে উঠল 24x7 চ্যানেল এর অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর দ্বৈপায়ন –
‘না না, এটা হতে পারে না! উৎসার মৃত্যু নেই! তুমি জিতবে উৎসা, তোমাকে যে জিততেই হবে!’
প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ তড়িঘড়ি সম্প্রচার বন্ধ করে দিলেন। একটা লাইন শুধু ভাসতে দেখা গেল স্ক্রিনে – ‘অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা দুঃখিত’।