হোল বোল, হোল বোল।
এক কাঠা চাল ন’টা বড়ি
তার সঙ্গে তিনটে কড়ি
যে দেবে কোঠা কোঠা
তার হবে সাত ব্যাটা।
জল সবই জল
এই গামলার হাতায় হাতায় যাই ওঠে সে জল
জল সবই জল।
প্রশ্ন করি নিজের কাছে কি খেলাম?
ভাতের সঙ্গে মেখে বড়ই স্বাদ পেলাম
ওইতো, সবাই ভাবছে যে আজ ডাল খেলাম,
সে জল।
চূর্ণদাকে প্রশ্ন করি ডাল কোথায়?
যাই খুঁজি আজ জল ওঠে যে এই হাতায়।
জলের ফাঁকে একটু হলুদ কি দেখায়?
সে জল
জল সবই জল।
সুবি বললে — আমাদের বাড়ী দুটি ভাত খাবি আশা?
— দূর, তোরা জেলে। জেলের বাড়ী বুঝি বামুনের মেয়ে খায়?
— নুকিয়ে?
সুবি হাসলে। ওর বড় বন্ধু সুবি। কষ্ট হয় সুবির মনে দুঃখু দিতে। তবু সে বললে, না ভাই সুবি, কিছু মনে করিস নি। আমার বাড়িতে ভাত তো হয়েইচে-
— বড়ি ভাতে ভাত খাবিনি আমার সঙ্গে? মা নতুন বড়ি দিয়েছে-
— দূর বড়ি বুঝি এখন দেয়? বড়ি দেয় সেই মাঘ মাসে। নতুন কুমড়ো, নতুন কলাইয়ের ডাল উঠলে। মিথ্যে কথা বলিসনি সুবি।
— মিথ্যে বলিনি, পুরোনো ডালের বুঝি বড়ি হয় না? চল আমার সঙ্গে।”