তুমলিংয়ের ৩রা মার্চের ভোর ৬টা ডেকে বলল, সবাই ঘুমোচ্ছে ঘুমের, তুমি একবার গিয়ে দেখে এসো কাঞ্চনজঙ্ঘা উঁকি দিল কি না। গুরুজনের আদেশ শিরোধার্য। গেলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ ধরে বড় বড় কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নেমে এলাম — কাঞ্চনজঙ্ঘা দু একবার পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে আবার মেঘের লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। মেঘের জ্বালায় কখন যে সূর্যোদয় হলো, টেরই পেলাম না। অগত্যা ন-টা বাজতে — 'চল মুসাফির বাঁধ গঠরিয়া'। মেঘের পাতলা মোটা দেয়াল দেখতে দেখতে ২০ মিনিটে তুমলিং ফটক। পারমিট দেখিয়ে SSB ক্যাম্প পেরিয়ে গৈরিবাসের পথে গোঁত্তা মারল গাড়ি; জোবাড়ির পথ পড়ে রইল বাঁয়ে। এঁকে বেঁকে দু দিকের রডোডেনড্রনদের পাঁচিলের মাঝ দিয়ে নামা জারি রইল। মাসখানেকের মধ্যেই এই পথটা লালে গোলাপীতে হোলি খেলবে।
ফেরার পথে আল ছুঁয়ে সন্দকফু ফিরলাম সাড়ে ১২টায়। তাপমাত্রা প্রতিজ্ঞা করেছে ৩-এর ওপর উঠবে না। অতএব, বাইরের থেকে ভিতরেই বেশি সময় কাটাতে বাধ্য হতে হচ্ছে।