প্রথমেই সবাইকে জানাই অজস্র শারদ শুভেচ্ছা। আরও এক বছর অতিমারির ছায়ায় পুজো কাটাতে হচ্ছে। আশা করি আগামী বছর আর এই দুর্দশা থাকবে না।
এখন খুব একটা বোঝা যাবে না, কিন্তু পরবাস-এর প্রযুক্তিগত উন্নতিকল্পে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। এর একটা কারণ অনেকদিন বাদে বেশ কয়েকজন আদি 'পরবাসী' আবার সক্রিয়ভাবে পরবাসের কাজে যুক্ত হচ্ছেন এবং ক্রমশ হবেন। তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই আছেন বিভিন্ন সময়ে যাঁরা পরবাসের কাজ নেপথ্যে থেকে করে চলেছেন বছরের পর বছর। অনেকদিন ধরে অনুরোধ আসছিল পরবাসের গোড়ার দিকের কাহিনীর জন্যে। সম্বিৎ বসুর আদি পরবাস-কথা - এক ব্যক্তিগত পর্যটন-এ আমার বিশ্বাস অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
শাম্ভবী ঘোষের কোথায় জীবন আছে ও সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের পরিক্রমা, এই ধারাবাহিক দুটি এই সংখ্যাতে শেষ হয়ে গেল। এই সংখ্যা থেকে অঞ্জলি দাশের লেখা প্রথম উপন্যাস পরীবাগান ও এক গল্পের মেয়ে শুরু করছি। এটি লেখা হয়েছিল নবনীতা দেব সেন-এর উৎসাহে। অঞ্জলির পরে লেখা একটি উপন্যাস আগের সংখ্যাতে শেষ হয়েছিল। এবার থেকে আমরা ধারাবাহিকগুলির অংশগুলি একসঙ্গে বা অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রকাশ করব।
দত্তাত্রেয় দত্তর সৌজন্যে পাওয়া শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি কবিতা অন্য ঘরে, নির্জনে একাকী প্রকাশ করছি। যতদূর মনে হচ্ছে এটি এখনো কোনো গ্রন্থে সংকলিত হয়নি। দত্তাত্রেয়বাবু এর সঙ্গে এই কবিতাটির প্রসঙ্গে একটু স্মৃতিচারণাও করেছেন। এর আগেও আমরা শক্তির আরো দুটো কবিতা পেয়েছিলাম। এরকম অসংকলিত কবিতা, ছবি, চিঠি ইত্যাদি পেলে পরবাস-এ দেবার কথা ভাববেন আপনারা, এই অনুরোধ রইল।
পরবাস-এর সকলের পক্ষ থেকে সবাইকে আবার আন্তরিক শারদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।