সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের গান সম্বন্ধে বলেছিলেন যে রবীন্দ্রনাথের গানে চার-আনা আবৃত্তি। সত্যজিতের কথার সত্যতা অনেকটা বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের শেষ বয়সের "তবু মনে রেখ" শুনলে (http://www.youtube.com/watch?v=r9teMCBGS7Q)।
সুমনের প্রথম অ্যালবামের গানগুলো, বিশেষত গীটারে গাওয়া গানগুলো, শুনলে সেই একই উপলব্ধি হয়, যে এই গানে চার-আনা আবৃত্তি লুকিয়ে আছে। আবৃত্তি বলব না, বরং কথকতা লুকিয়ে আছে। এটা সুমনের গায়নের খামতি নয়, এটা ওনার গানের ভঙ্গি, এটাই ওনার স্বরপ্রয়োগের কায়দা। এটা আরও স্পষ্ট বোঝা যায় নাগরিকের অ্যালবামে একই গানের গাওয়া শুনলে। যতদূর মনে পড়ছে "তোমাকে চাই" অ্যালবামের "তোমাকে চাই", "তুই হেসে উঠলেই", "মনখারাপ-করা বিকেল", "কখনও সময় আসে" এরকম কটা গান ছাড়া আর অন্য গানে কথকতা মেশানো।
দেবাশিস দাশগুপ্তর লেখায় আমরা পড়েছি কী করে আবৃত্তি থেকে "অবাক পৃথিবী" গান হয়ে উঠেছিল। এবং গান হয়ে ওঠার পর তাতে আর কথকতার ছোঁয়া ছিল না। সুমনের গানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম নয়। তাঁর সুরে কথা বলার ছোঁয়া লেগে থাকে। মনে করুন "কখনও সময় আসে" গানে যেখানে সুমন গাইছেন "ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চোদ্দআনা" (https://www.youtube.com/watch?v=3sDZ2NxB2Tw)। এই বাক্য আবৃত্তি করলে একজন কথক যেভাবে "ঠিক" শব্দের উচ্চারণ করবেন ওই "ঠিক" শব্দের সুরে একেবারে সেই নোটগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে, খালি একমাত্রা বেশি লেগেছে। কিংবা "হাল ছেড়ো না" গানে "বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে" অংশের 'কণ্ঠ' শব্দে যে সুরপ্রয়োগ, সেখানেও একই কনসেপ্ট (https://www.youtube.com/watch?v=Juyh2yW3F4A)। খুঁজে খুঁজে এরকম আরও উদাহরণ দেওয়া যায়।
অর্থাৎ এই ধরনের গানে সুমন তার আটপৌরে কথাকে উচ্চকিত সুরেলা আবৃত্তি হিসেবে ধরতে চাইলেন, এরকম কী ভাবা যায় না? সুমনের গানের যে প্যাকেজিং, যেখানে সুমন শুধু গান লিখছেন আর সুর করছেন তাইই নয় - সে সঙ্গে বাজনাও বাজাচ্ছেন, বা গান অ্যরেঞ্জও করছেন সেখানে তাঁর গায়নও ওই প্যাকেজেরই অংশ। এ কথার সত্যতা আরও বোঝা যায় একই গান আগে সুমনই যখন রেকর্ড করেছেন 'নাগরিক' আমলে অথবা সুমনের গান যখন অন্য কোন গায়ক বা গায়িকা গেয়েছেন - যেখানে এই কথকতার প্রয়োগ নেই, সেখানে গানগুলো প্রার্থিত অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারেনি। এখানে লক্ষণীয় সুমনও যখন 'নাগরিক' থেকে বেরিয়ে এসে একক কেরিয়ার তৈরি করছেন, তখন নিজের গায়ন বদলে ফেলছেন। হয়ত সুমনের সঙ্গীত সম্বন্ধে ধারণাও বদলে গেছে। দ্বিতীয়বার জার্মানিতে গিয়ে জার্মান শিল্পীর স্টেজ পারফর্মেন্সে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টির যে রূপ দেখেছিলেন, নিজের পারফর্মেন্সেও সেই অভিঘাত আনতেই হয়ত বদল করতে হল প্রথাগত গায়ন পদ্ধতি। যদিও পরের দিকে সুমনও এই কথকতার মতন গান গাওয়ার ফর্মে বেশি গান আর করেননি।
একজন সঙ্গীতকারের মূল্যায়ন করা সবসময়েই কঠিন। সময় হয়ত নিজে থেকেই সেই মূল্যায়ন করে দেয়। একভাবে শিল্পীর মূল্যায়ন হয় - শুধু সঙ্গীতশিল্পীই নয়, যে কোন শিল্পীরই - তা হল, সেই শিল্পী নিজের প্রজন্ম বা পরের প্রজন্মকে কতটা প্রভাবিত করতে পারছেন তাঁর সৃষ্টি দিয়ে। সুমন তাঁর কথার প্রয়োগে যতটা প্রভাব বিস্তার করেছেন, গায়নে বা সঙ্গীত সৃষ্টিতে অন্যদের ওপর সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেননি। সুমন, অন্তত প্রথম কয়েকটা অ্যালবামের সুমন, গানের সুর নিয়ে কিছু পরীক্ষা করেছিলেন। এরকম যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, তার অনেকগুলোই ওয়ান-অফ, একবার করার পরে সেই পরীক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাননি, সে যে-কোন কারণেই হোক। কতকগুলো হয়ত দু'বার কি তিনবার ব্যবহার করেছেন। তবে একথা বলা যায় প্রথম পাঁচ-ছ'টা অ্যালবামে অন্তত সুমন ক্রমাগত পরীক্ষা করে গেছেন। সুমন-অনুপ্রাণিত যে অন্য সঙ্গীতস্রষ্টারা এলেন, তাঁদের কাজের মধ্যে সেরকম কোন পরীক্ষা চোখে পড়্ল না। বা, সুমন যে পরীক্ষাগুলো করেছেন, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে গেলেন না তাঁর অনুজরা।
এই প্রসঙ্গে আমি কয়েকটা গানের কথা বলব। প্রথম গানটা 'তোমাকে চাই' অ্যালবামে ছিল। আমরা যে সব গান শুনি, তার বোধহয় ৯৯.৯৯% গানই কোন একটা স্কেলে বাঁধা। স্কেল বলতে আমি সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি’র (অথবা এর কড়ি-কোমল কম্বিনেশনের) সমষ্টিকে বলছি। স্কেলের একটা নির্দিষ্ট শুরু আছে - সা বা খরজ। যন্ত্রে বাজালে খরজের নোট দিয়ে স্কেল নির্দিষ্ট করা হয় - বি-ফ্ল্যাট, জি-শার্প ইত্যাদি। এবং এই প্রত্যেকটা নোটের ফ্রিকোয়েন্সি নির্দিষ্ট। সঠিকভাবে বাঁধা একটা পিয়ানোর মিডল-সি'র ফ্রিকোয়েন্সি আর একটা বেহালার মিডল-সি'র ফ্রিকোয়েন্সি এক হবে। এসবই পশ্চিমী পদ্ধতি। সাবেক হিন্দুস্তানী সংগীতে সা-রে-গা-মা থাকলেও তাদের কোন নির্দিষ্ট নাম (মানে পশ্চিমী পদ্ধতির এ, বি ইত্যাদি) নেই বা ফ্রিকোয়েন্সি নির্দেশ করা নেই। যে কোন স্বরকে সা করা যায়। গানের সুরের সর্বদাই একটা আকাঙ্ক্ষা থাকে সুর খরজে - অর্থাৎ স্কেলের সা-তে - গিয়ে শেষ পর্যন্ত দাঁড়াবে। (অল্প কিছু সংখ্যক গানে একাধিক স্কেল ব্যবহার করা হয়, যা খরজ পরিবর্তন বা টোনিক চেঞ্জ নামে পরিচিত - সেই সব গানকে এই আলোচনা বাইরে রাখছি।) গানের সুর যতক্ষণ না খরজে পৌঁছোচ্ছে, গানের সুরে একটা টেনশন, একটা কী-হয় কী-হয় ভাব তৈরি হয়। সুরকে খরজে ফিরিয়ে এনে সুরস্রষ্টা সেই টেনশনকে রিজলভ করে গানের একটা স্বাভাবিক পরিণতি দেন।
সুমন একটা গান করলেন। প্রথম অ্যালবামের অন্য কয়েকটি গানের তুলনায় তত জনপ্রিয় নয় - 'চেনা দুঃখ, চেনা সুখ' (https://www.youtube.com/watch?v=2LNO2I9jsB4)। এই গানের সুর কখনই খরজে এসে দাঁড়াচ্ছে না। এরকম নয় যে গানের কোথাও আর সা, মানে খরজ, ব্যবহার হচ্ছে না। তা হচ্ছে, কিন্তু কোন মিউজিকাল ফ্রেজের শেষে, লাইনের শেষে সা-তে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে না। তার ফলে সুরের যে টেনশন সেটা কখনই কোন পরিণতি পাচ্ছে না। গান শেষ হলেও মনে হয় শেষ হল না। রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'মধুররূপে বিরাজ হে বিশ্বরাজ' গানেও ঠিক এইরকম এক পরীক্ষা করেছিলেন (https://www.youtube.com/watch?v=0sHun5OYipM)। যদিও এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সে গানের সঙ্গে সুমনের গানের কিছু সূক্ষ্ম তফাত আছে। রবীন্দ্রনাথের গান শুরু হচ্ছে খরজ থেকে। ফলে সেই লাইন যখন পুনরাবৃত্তি করতে হচ্ছে, তখন শ্রোতা মনে মনে (বা যন্ত্রানুষঙ্গে) সুর সা-তে ফিরে আসছে। সুমনের গানের কোন লাইনই যেহেতু খরজ থেকে শুরু হচ্ছে না, শ্রোতাদের মনে মনেও টেনশন রিলিজের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। আমি মনে করি এটি একটি চমৎকার পরীক্ষা।
সুমন বাংলা গানে আরেকটা টেকনিক ব্যবহার করলেন, যেখানে অন্য গানের লাইন - কখনও সুর-সমেত - উদ্ধৃতির মতন ব্যবহার করে। তৃতীয় অ্যালবাম 'ইচ্ছে হল'র 'বাঁশুরিয়া' গানে রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন ব্যবহার করছেন 'প্রাণে গান নাই মিছে তাই'। সুর এবং কথাতে মিলিয়েও দিচ্ছেন নিজের কল্পনা আর ক্রিয়াশীলতা দিয়ে -
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়,
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়া।
এ শহরে এসছ তুমি, কবে কোন রাজ্য থেকে
তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষই বাঁশি শেখে!
আমাদের স্কুল-কলেজে শেখে লোকে লেখাপড়া -
প্রাণে গান নাই মিছে তাই রবিঠাকুর মূর্তি-গড়া।
(https://www.youtube.com/watch?v=rhPMaS97PPw)
প্রথম এই টেকনিকের আভাস দেখি দ্বিতীয় অ্যালবাম 'বসে আঁকো'র 'রেখাবের রূপ' (সূর্যোদয়ের রাগে গান ধরে ভীমসেন যোশী) গানে যেখানে নজরুলের 'কাবেরী নদীজলে কে গো বালিকা' গানের রেফারেন্সে গাইছেন -
মনে পড়ে গেল তার অতীতের এমনই রাতশেষে
খেলেছে সে কাবেরীর নদীজলে বালিকার বেশে।
আনমনা মেয়েটি ভাসিয়েছিল পরিচিত ফুল
আর কেউ না দেখুক দেখেছেন কাজী নজরুল।
(https://www.youtube.com/watch?v=wlueFvnE2is)
এই টেকনিকের ব্যবহার আবার দেখছি 'জাতিস্মর' অ্যালবামের 'শহরে বৃষ্টি' গানে যেখানে রবীন্দ্রনাথের 'এস নীপবনে ছায়াবীথিতলে/ এস কর স্নান নবধারাজলে' গানের দ্বিতীয় লাইন ব্যবহার করছেন নিজের গানের প্রথম লাইন হিসেবে।
এস কর স্নান নবধারাজলে বলবে কে আর?
শহরে বৃষ্টি জলকাদামাখা নোংরা দেদার।
(https://www.youtube.com/watch?v=wwrqrX2LOEM)
এই কাজেরই একটা ভেরিয়েশন ধরা যেতে পারে সুমন যেখানে একটা রাগের চলনের নির্যাসটাকে (পকড়) ধরে গানের ভেতরে, হয়ত কিছুটা প্রক্ষিপ্তভাবেই, ব্যবহার করছেন এবং তা খুবই শিল্পসম্মত হয়ে উঠছে। যেমন 'গড়িয়াহাটার মোড়' গানে কলাবতী রাগের সরগম ব্যবহার করছেন গানের কথার মধ্যে বুনে দিয়ে -
ধোঁয়াশা কুয়াশা কাদা,
ভোর বেলা গলা সাধা,
সা রে গা, রে গা মা, গা মা, গা মা পা, মা পা ধা, পা ধা, পা ধা ণি, ধা ণি সা –
আমাদেরই জন্য। সব আমাদেরই জন্য।
(https://www.youtube.com/watch?v=NcACZhPqW44)
এরকম প্রয়োগের এক আরও শৈল্পিক রূপ দেখলাম 'বিভূতিভূষণ' গানের শেষ লাইনের বিভূতিভূষণ শব্দটায় পূরবী রাগের চলনের ব্যবহারে। পূরবীর চলন ব্যবহার করে গানের মাহোলটা বাড়িয়ে দিচ্ছেন কয়েক গুণ।
হঠাৎ জেনারেটর ওগরায় শব্দদূষণ
টুরিস্ট লজের ঠিকে কাজ করে ফেরে সাওঁতাল
এই পথে একা একা হাঁটতেন বিভূতিভূষণ!
(https://www.youtube.com/watch?v=PGK3gm0jhT0)
গানের সুরের দিক দিয়ে সুমনের সব থেকে বড় পরীক্ষা আমি মনে করি 'ধরা যাক আজ রোববার' (https://www.youtube.com/watch?v=nWGTF4vX7GA)। এটা বলার আগে ক্রোম্যাটিক স্কেল নিয়ে একটু কথা বলা দরকার। যদি একটা স্কেলে সা-রে-গা-মা ধরি তাহলে সেখানে সাতটা স্বর। সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি। এখন যদি এদের কড়ি-কোমলকেও ধরি তাহলে হয় বারোটা স্বর। সা-ঋ-রে-জ্ঞ-গ-ম-হ্ম-প-দ-ধা-ণ-নি। এই বারোটা স্বর নিয়ে যে স্কেল হয় তা হল ক্রোম্যাটিক স্কেল। সাতটা স্বরের স্কেল হল ডায়াটোনিক স্কেল। ডায়াটোনিক স্কেলে একই স্বরের শুদ্ধ আর কোমল (বা কড়ি) পর পর ব্যবহার হয় না। হিন্দুস্তানী সংগীতে ক্রোম্যাটিক স্কেলের ব্যবহার নেই বললেই চলে। শুনেছি মার্গসংগীতে মূর্ছনায় নাকি এর আভাস পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণভাবে বলা যেতে পারে ভারতীয় সংগীত-শোনা কান ক্রোম্যাটিক স্কেল শুনতে অভ্যস্ত নয়। বাংলায় কিছু আধুনিক গানে অল্প ক্রোম্যাটিক স্কেলে ব্যবহার হয়েছে। নচিকেতা ঘোষ, বিশেষ করে, তাঁর গানের ফ্রেজে ক্রোম্যাটিক স্কেল ব্যবহার করেছেন।
সুমন তাঁর 'ধরা যাক আজ রোববার' গানে যথেচ্ছ ক্রোম্যাটিক স্বরের ব্যবহার করলেন। বাংলা ভাষার গানে আগে ছুটকোছাটকা ফ্রেজে ক্রোম্যাটিক নোটের ব্যবহার পেয়েছি। নচিকেতা ঘোষের সুরে 'এ ব্যথা কী যে ব্যথা', সূপর্ণকান্তি ঘোষের সুরে 'কফি হাউসের সেই আড্ডাটা'। কিন্তু একটা সম্পূর্ণ গানে ক্রোম্যাটিক স্কেল ব্যবহার আর কোন গানে পেয়েছি বলে মনে পড়ে না। এমনকি নচিকেতা ঘোষের ব্যতিক্রমী সুর 'না, না, না আজ রাতে আরে যাত্রা শুনতে যাব না' গানেও মূলত ডায়াটোনিক স্কেলই ব্যবহার করা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ান কম্পোজার আর্নল্ড শোয়েনবার্গ ক্রোম্যাটিক স্কেলকে ভিত্তি করে এক কম্পোজিং টেকনিকের উদ্ভব করেন। নাম দেন টুয়েলভ-টোন টেকনিক। সুমনের লেখায় শোয়েনবার্গের টুয়েলভ-টোন টেকনিকের কথা আছে। সুমন কি তাহলে 'ধরা যাক আজ রোববার' গানে টুয়েলভ-টোন টেকনিক প্রয়োগের চেষ্টা করছেন? গানে ক্রোম্যাটিক স্কেলের ব্যবহার স্পষ্ট। যে কারণে অনেক বাঙালি সঙ্গীতবোদ্ধাকেই এই গান সম্বন্ধে বলতে শুনেছি 'স্বরচ্যুতি হয়েছে'। আমার ব্যক্তিগত আক্ষেপ সুমন ক্রোম্যাটিক স্কেলের প্রয়োগ নিয়ে আরও পরীক্ষা করলেন না কেন। তবে এ কথা স্বীকার করব, প্রথম বছর দশেকের পরে সুমনের নতুন গান তত মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়নি। কাজেই উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ বাদ পড়ে যেতে পারে।
এ বিষয় নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়, কিন্তু লেখা খুব কঠিন। হয়ত আমার থেকে যোগ্য জন এ কাজে হাত দেবেন। এবং দেওয়া উচিত। সুমনের গানের সুরের দিক নিয়ে আলোচনা খুবই সীমিত, প্রায় নেই বললেই হয়। অথচ হওয়া উচিত। যদি কোন যোগ্য লোক এ কাজে হাত দেন, তাহলেই এই লেখার সার্থকতা।