• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৬৩ | জুন ২০১৬ | উপন্যাস
    Share
  • সন্ধ্যাবেলা : সাবর্ণি চক্রবর্তী


    ।। সন্ধ্যা — ৮ ।।


    শেষ হয়ে আসা বিকেলবেলায় গলিটায় এখনও আলো আছে — ল্যাম্পপোস্টগুলোর আলো এখনও জ্বলেনি। কিন্তু দু পাশের সব বাড়ির ঘরগুলোতে এর মধ্যেই অন্ধকার —আলো জ্বেলে দিতে হয়েছে। গলির বাসিন্দা মেয়েগুলোও এখনি মুখে রংচং মেখে তৈরী হয়ে গেছে। অনেকে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে গেছে —তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বাড়ির দরজায় জুৎ করে বসে পড়েছে। অনেকে তাদের ঘরের জানালা খুলে সেখানে মুখ লাগিয়ে বসেছে। জন দুই ফুলবিক্রীওয়ালা গলিতে ঘুরে ঘুরে মেয়েদের কাছে ফুল, ফুলের মালা বিক্রী করছে। বেশ অনেকে কিনছেও —মালা কিনে নিজের মাথায়, চুলে জড়িয়ে নিয়েছে। গলির দুপাশের ড্রেনের পচা দুর্গন্ধটা আপাতত: ফুলের গন্ধে চাপা পড়েছে।

    দোতলায় নিজের ঘরে খাটে বসে সন্ধ্যা ওর সন্ধেবেলার নেশাটা সারছিল। খাটে ওর সামনে আসনপিঁড়ি হয়ে বসেছিল পল্টু। দুজনের মাঝখানের জায়গাটায় বিছানার ওপর বড় আর পুরু করে করে খবরের কাগজ পাতা। ওই কাগজের ওপর দুজনের সামনে দুটো সোডা মেশানো মদের গেলাস, আর একটা বড় কানা উঁচু কাঁসার থালায় চাট হিসেবে রয়েছে তেলেভাজা আর ঝাল ডালমুট। সন্ধ্যা নিজের ঘরে নিওন বাতি লাগিয়ে নিয়েছে —এখন সেটা জ্বলছে— মোলায়েম অথচ উজ্জ্বল সাদা আলোয় ভরে নিয়েছে ঘর। সন্ধ্যা ঘরের দরজাটা খোলাই রেখেছে। কারণ যদিও ঘরের ভেতর ফ্যান চলছে, দরজা খোলা বলে বাইরের লম্বা টানা বারান্দাটার ভেতর দিয়ে গলিটার থেকে একটু একটু হাওয়া আসছে —তার সঙ্গে আসছে ফুলের গন্ধ।

    পল্টু একটু বিপদে পড়ে সন্ধ্যার কাছে এসেছে। ওর মার খুব অসুখ —পেটে খুব ব্যথা। ডাক্তার বলেছে খুব তাড়াতাড়ি অস্ত্র করা দরকার —দেরী হয়ে গেলে ওর মাকে বাঁচানো মুস্কিল হবে। সরকারি হাসপাতালে জায়গা নেই —লাইন দিয়ে করাতে গেলে যতদিনে হাসপাতালে জায়গা পাবে ততদিনে মহিলা শ্মশানঘাটে রওনা হয়ে যেতে পারে। ডাক্তারের নিজস্ব নার্সিংহোমে করানো খরচার ব্যাপার —ভালরকম টাকা লাগবে তাতে। সেজন্যে পল্টু দৌড়ে এসেছে সন্ধ্যার কাছে। বেচারির নিজের রোজগারের থেকে তো বিশেষ কিছু বাঁচে না —বাড়ির খরচা জোগাতে হয়, তার ওপর রয়েছে সন্ধ্যার সন্ধ্যার পেছনে খরচা। যেটুকু থাকে তাতে বিড়িটা সিগারেটটা হয়ে যায় —কখনো সখনো বন্ধুদের সঙ্গে বসে তিনপাত্তি খেলার খরচাটাও। কিন্তু ওই পর্যন্তই। মায়ের চিকিৎসার জন্যে হাজারখানেক লেগে যেতে পারে —অত টাকা পল্টু বছরভর খেটেও জোগাড় করতে পারবে না। সন্ধ্যার যদি দয়া আর মর্জি হয় তাহলে ওই টাকাটা এক্ষুনি ফেলে দিতে পারে। সন্ধ্যার রোজগারের মোটামুটি একটা আন্দাজ পল্টুর আছে। তার ওপর এই কদিন আগে সন্ধ্যা একটা বড়লোকের বাড়ি থেকে একটা বিরাট টাকা রোজগার করে এনেছে। ঠিক যে কত তা পল্টুর জানা নেই, তবে টাকার অঙ্কটা খুব মোটা। সেটা খালি ও কেন, এ বাড়ির বাকি সব মেয়েরাও জানে।

    সন্ধ্যা সামনের থালা থেকে একটা বেগুনি তুলে নিয়ে তাতে কামড় দিল। বলল, আ:, দিপালী মালটা ভেজেছে ভাল। খেয়ে দ্যাখ্‌ — বলে ওর খাওয়া বেগুনির বাকিটুকু পল্টুর মুখ গুঁজে দিল। পল্টু চুপচাপ সেটা খেয়ে নিল। সন্ধ্যার মুখের এঁটো খাওয়া ওর পক্ষে নতুন কিছু নয় —তাছাড়া আজকের দিনটাতে সন্ধ্যা কোনভাবে বিগড়ে গেলে ওর চলবে না। মেয়েটা এমনিতে ভাল, কিন্তু কখন যে হাসবে আর কখন রেগে গিয়ে চেঁচাবে সেটা আন্দাজ করা শক্ত। আর ঐ বড়লোকটার বাড়ি দেড় মাস কাজ করে ফিরে আসার পর ওর মেজাজ বোঝা আরও মুস্কিলের কাজ হয়ে গিয়েছে।

    বেগুনিটা গিলে ফেলে সামনে রাখা গেলাসে চুমুক দিল পল্টু। সন্ধ্যাটা এ ব্যাপারে দিলদরিয়া আছে —পল্টুকে বিনে পয়সায় মাল খাওয়ায়। অবশ্যি অন্যান্য বাবুদের কাছ থেকে নিশ্চয়ই মালের দাম ডবল বা তিনগুণ আদায় করে নেয়। পল্টু টাকার কথাটা এখানে এসেই সন্ধ্যার কাছে একবার বলেছে। শুনে সন্ধ্যা কিছু বলে নি —খালি চোখে একটা দুষ্টুমির হাসি নিয়ে পল্টুর দিকে তাকিয়ে থেকেছে। পল্টু আবার কথাটা পাড়ল, দে নারে হাজারটা টাকা।

    সন্ধ্যা সামনের থালা থেকে আর একটা তেলেভাজা তুলে নিল। সেটা চিবোতে চিবোতে বলল, আজ দিপালীর হাত খুলে গেছে রে। বেহ্‌তর ভেজেছে মালগুলো।

    সন্ধ্যার কয়েকজন অবাঙালি বাবু থাকায় ও তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অবাঙালি শব্দ শিখে নিয়েছে। কথা বলতে গিয়ে ও সেগুলো মাঝে মাঝে ব্যবহার করে থাকে। পল্টুর দিকে একটু ঝুঁকে পড়ল সন্ধ্যা । বলল, মাংসের ঘুগনি খাবি? বাড়ির সামনেই একটা ফেরিওয়ালা নিয়ে বসে —দারুণ বানায়। মিঠাইকে পাঠাব আনতে?

    পল্টু ঘাড় নেড়ে না বলে দিল। ও জানে সন্ধ্যা এখন ওকে নিয়ে খেলা করছে। এই খেলা খেলে ও যদি একটু খুশি হয় তবেই হয়তো টাকাটা দেবে। ও টাকাটা তো তোর হাতের ময়লা —পল্টু বলল। ফেলে দেনা টাকাটা। তোর পায়ে ধরছি।

    সন্ধ্যা পল্টুর হাত সরিয়ে দিল। সত্যি সত্যিই পল্টু সন্ধ্যার একটা পা চেপে ধরেছিল। ও পল্টুকে বলল, শালা —এখানে আসিস কি খালি মেয়ে মানুষের পায়ে হাত দিতে? আর কিছু করিস না?

    পল্টু অপমানটা হজম করল —পাথর হয়ে চুপ করে রইল। মেয়েটার মেজাজ বিগড়ে গেলে সব মাটি হয়ে যাবে।

    সন্ধ্যা এবার ওকে জিজ্ঞেস করল, টাকাটা কিসের জন্য দরকার বলছিলি?

    সন্ধ্যার একথা জিজ্ঞেস করার কোন দরকার ছিল না। পল্টু যা বলেছে ও তা শুনেছে, আর যা শুনেছে তা ওর ভালই মনে আছে। ও এখন পল্টুকে নিয়ে একটু খেলবে। এমনিতেই ও পল্টুকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা একটু বেশী করে —ওকে একটু মানসিক পীড়ন করে এক ধরনের অদ্ভূত আনন্দ পায়। আসলে ও ভেতরে ভেতরে ভাবছিল ওর টাকাপয়সার অবস্থার কথা। জমিদার বাড়ি থেকে পাওয়া সব টাকা ও মাসির জিম্মা করে দিয়েছে। ওর নিজের ঘরে লোকজন ঢোকে —এখানে আলমারিতে চাবিবন্ধ করেও না রাখাই ভাল। মাসি তার ঘরে দুটো বড় বড় ভেতরে লকার লাগানো মজবুত লোহার আলমারি রেখেছে। টাকাটা সেখানে নিরাপদে থাকবে। এতগুলো নগদ টাকা তো ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাবে না। মাসি টাকাটা মেরে দেবে সে ভয় সন্ধ্যার নেই। কারণ মাসি এর ভেতরেই উকিলকে ডেকে কাগজপত্র বানাতে দিয়ে দিয়েছে। এখন থেকেই বাড়িটার অর্ধেক ভাগ সন্ধ্যার —আর মাসি মারা গেলে পুরোটাই ওর। তবে গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার দৈনিক আমদানি একটু কমে গিয়েছে। কারণ হীরালাল এখানে নেই। সন্ধ্যা যখন সূর্যশেখরের বাড়িতে ছিল তখন ওকে পুলিস গ্রেপ্তার করে —কয়েকটা ফৌজদারি মামলা লেগে গিয়েছে ওর নামে । ও এখন জামিনে খালাস আছে —জ্যোতিষীর পরামর্শে কাশী গেছে বিশ্বনাথের পুজো দিতে। একটা পুজোতে দুর্ভাগ্য কাটবে না —জ্যোতিষী তিনটে দিন দেখে দিয়েছে আর সেজন্যে তিনগুণ দক্ষিণা নিয়েছে। সেই তিনদিনে তিনটে পুজো দিয়ে তবেই কলকাতায় ফিরবে হীরালাল। কাশী যাওয়ার আগে ও মাসির কাছে দু:খ করে গিয়েছে। সন্ধ্যাটা বহুত পয়া —ও ছিল না বলেই হীরালালের এত ঝামেলা হল। কথাটা মাসির মাথায় ঢুকেছে —সন্ধ্যা ফিরে আসতেই ওকে বলেছে এবার হীরালালের জন্যে দরটা একটু বাড়িয়ে দিতে। তাই শুনে সন্ধ্যা শ্যামলা মুখে সাদা দাঁত বার করে হেসেছে আর ঘাড় নেড়ে সায় দিয়েছে।

    পল্টু মনে মনে বলল, শালি খচরামি করছে। মুখে বলল, মায়ের পেটে অপারেশন করতে হবে। খুব জরুরী।

    সন্ধ্যা চোখ বুজে ফেলল। যেন ভাবের ঘোরে আছে সেভাবে বলল, অপারেশন না হলে কি হবে?

    মা মারা যেতে পারে —পল্টু বলল।

    সন্ধ্যা চোখ খুলল। বলল, দ্যাখ্, অপারেশন তো বড় কষ্টের ব্যাপার। পেটের ওপর দিয়ে ছুরি কাঁচি চলবে, ক্লোরোফরমের ঘোর কাটলে পরে ভীষণ যন্ত্রণা হবে। মহিলা এখন যা কষ্ট পাচ্ছে তার থেকে অনেক বেশী ব্যথাবেদনা হবে। কি দরকার এসব করে? তোর মা একদিন না একদিন মারা যাবেই —না হয় মহিলাকে ক’দিন আগেই একটু শান্তিতে মরতে দিলি।

    পল্টু এসব কথায় কোন কান দিল না। ও জানে সন্ধ্যা এখন প্রচুর নাখ্রা করবে —বাজে বকবে। ও বলল, ঠিক আছে —টাকাটা না হয় ধার হিসেবেই দে।

    ধার? হি হি করে হেসে গড়িয়ে পড়ল সন্ধ্যা। তুই ধার শোধ দিবি কি করে? এই যে আমার বিছানায় শুতে আসিস তাতেও আমার যা রেট তা তুই দিতে পারিস না। আর তুই হাজার টাকা ধার শোধ দিবি? আমি যদি তার ওপর সুদ নিই সেই সুদ সমেত? সেটা তুই আমাকে বিশ্বাস করতে বলিস?

    পল্টু চুপ করে রইল। একেবারে খাঁটি কথা বলেছে সন্ধ্যা। এরপর সন্ধ্যা চিমটি কেটে আরও কিছু বলবে —ও তার অপেক্ষা করতে লাগল।

    পল্টু যা ভেবেছিল —সন্ধ্যাই আবার বলল, তুই একটা ঘোর হারামি। লোকে মাগিবাড়ি এসে টাকা দিয়ে যায় —আর তুই সেখান থেকে টাকা খিঁচে নিতে এসেছিস। তোর এলেম আছে মাইরি।

    পল্টুর মুখে চাবি। সন্ধ্যার যা কিছু বলার আছে তা ও বলে ফেলুক, ও যা করতে চায় করে ফেলুক। তার পরেই হয়তো ওর মর্জি হবে —উঠে চাবি লাগিয়ে খুলবে ওর আলমারি —বার করবে পল্টুর জন্যে টাকা।

    ঘরের দরজায় মিঠাইলাল দেখা দিল। হাত কপালে ঠেকিয়ে সেলাম করে বলল, দিদিমণি —মাসি এক মিনিট ডাকছে তোমাকে।

    মিঠাই এর পেছনে পেছনে মাসির ঘরে এল সন্ধ্যা। কিন্তু ঘরে ঢুকেই ও চমকে গেল। আবার নীলমাধব এখানে কেন? চন্দন ঠিক আছে তো? কি বলবে নীলমাধব?

    মাসির মুখে কিন্তু খুশি আর ধরছে না। সেই খুশির গলাতেই প্রায় চেঁচিয়ে উঠল —ওরে সন্ধ্যা, শোন্ একবার জমিদারবাবু কি বলে পাঠিয়েছেন। তোকে উনি পাকাপাকি রাখবেন। তোর জন্যে এক লাখ টাকা — হাতে হাতে — এখন। মাসে মাসে বিশ হাজার করে। তোর খাওয়া থাকার সব খরচা দেবেন। তার ওপর কলকাতায় একটা বাড়ি লিখে দেবেন। সে বাড়ি নাকি কেনাও হয়ে গেছে। সেখানে তুই একেবারে আলাদা থাকবি —তোর জন্যে আলাদা কাজের লোকজন থাকবে।

    তারপর আরতি গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলল, ছেলে আর ছেলের বৌকেও নাকি দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যাতে কোনমতেই তোর দেখা না হয়। তুই কলকাতাতে রাজার রাণী হয়ে থাকবি।

    মিশিমাখা কালো মাড়ি বার করে হাসলেন আরতি। বলল, তোর দয়ায় আমিও ভাল টাকা পাব।

    একটু থেমে আবার বলল, রাণী হয়ে গিয়ে তোর এই গরীব মাসিকে ভুলে যাস না যেন। এই বাড়িটা তোরই থাকবে। আর আমাকে ডেকে পাঠাবি —আমি গিয়ে তোর সঙ্গে দেখা করে আসব।

    আরতি তার মোটা শরীরটা একটা কাঠের চেয়ারে দুটো হাতলের মাঝখানে সাঁটিয়ে বসেছিল। সন্ধ্যা দাঁড়িয়েছিল ওর ঠিক সামনে। ও টপ করে বসে পড়ে মাসির পরণের কাপড় তার হাঁটু পর্যন্ত তুলে দিয়েই আবার নামিয়ে দিল। তারপর দাঁড়িয়ে উঠল।

    মাসি অবাক —খুশির চোটে সন্ধ্যা পাগল হয়ে গেল নাকি? এমনিতেই তো মেয়েটা যা খামখেয়ালি। মুখে বলল, ও কি করছিস তুই? পাগল হলি নাকি ?

    একগাল হাসল সন্ধ্যা। বলল, তোমার পা দুটো দেখলাম। বেশ গোদা গোদা। মনে হয় ভালই জোর আছে ও দুটোতে।

    নীলমাধব সন্ধ্যা ঘরে ঢোকার পর মাটির দিকে চোখে নামিয়ে রেখেছিল। ও বুঝেছিল যে এখন সন্ধ্যাই হয়ে গেল ওর মালকিন। এ মেয়ে মার্গারেট নয় — এ হুকুম করতে জানে —সূর্যশেখরকেও চালাবার ক্ষমতা রাখে। এখন থেকে সূর্যশেখরের সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যাও চালাবে এই বিশাল জমিদারি, আর সেজন্যে সন্ধ্যার খেয়ালখুশির ওপরই নির্ভর করবে নীলমাধবের ভালমন্দ—তার চাকরি থাকবে না যাবে। কিন্তু মাসির সঙ্গে সন্ধ্যার এই অদ্ভূত ব্যবহারে সে মুখ তুলেছিল— সন্ধ্যার দিকে অবাক চোখে তাকিয়েছিল। সন্ধ্যা নীলমাধবের দিকে আঙুল দেখাল, মাসিকে বলল —মাসি, একটা কাজ কর। ওই লোকটাকে ঘাড় ধরে চেয়ার থেকে তোল —তারপর ওর পেছনে তোমার ওই গোদা পায়ের দুই লাথি মেরে ওকে ঘর থেকে বার করে দাও।

    মাসির ঘর থেকে বেরিয়ে এল সন্ধ্যা। পল্টু সন্ধ্যার ঘরের বাইরে বারান্দাটায় এসে দাঁড়িয়েছিল। একটা বিড়ি ধরিয়েছিল —সিগারেটের খরচা অনেক বেশী। বারান্দার রেলিং এ হাতের ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে নিচের গলিতে দেখছিল লোকজনের আনাগোনা —শুনছিল মেয়েদের সরু গলার হাসি আর চীৎকার, মাতাল পুরুষের জড়ানো গলায় হল্লা। সন্ধ্যা ওর হাত ধরে নিজের ঘরের ভেতর টেনে নিয়ে জোরালো আওয়াজে দরজা বন্ধ করে দিল।



    (শেষ)



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ রাহুল মজুমদার
  • প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব | পঞ্চম পর্ব | ষষ্ঠ পর্ব | সপ্তম পর্ব | অষ্টম পর্ব | নবম পর্ব
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments