• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৯ | জানুয়ারি ২০২৩ | রম্যরচনা
    Share
  • সে (১১) : সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২




    শাশাং মুরুপ (চৈত্র ১৩৬৮)

    আজ মনে হয় আমিই তাকে দেখেছিলাম আগে।

    ফাগুন গেছে, জ্বলছে আগুন মুরুপ ফুলের ফাগে,
    দুপুর বেলা নিঝুম পথে শহরতলীর বনে,
    ফিরছি বাড়ি সাইকেলেতে (ধার করা) প্রাণপণে।
    বীরপোখোরি, কোটরা জোড়া নেমেছে জল খেতে,
    তাদের ছেড়ে দেখতে পেলাম মিনিটখানেক যেতে -
    দুখানা হাঁস, তাদের মালিক।
    ভেজা কাপড় তার,
    যক্ষিণীর আর কৃষ্ণকলির মিশিয়ে আভা, আর
    মহাকবি এবং রবির আঁকা হরিণ আঁখি -
    অচ্ছোদ সেই দীঘির থেকেই উঠে এলো নাকি?
    একখানা হাঁস হাঁটছে পথে, অন্যটা তার কোলে।
    এগিয়ে গেলাম, স্টেশন যাবার তাড়া ছিলো বলে।

    "একটু দাঁড়া।"
    থেমেই গেলাম। মনে হলো কি যে।
    "এই জোড়াটা ধরতে গিয়ে দেখ না গেলুম ভিজে।
    গেড়ে বেলেই চাস যে তোরা তাই আনলুম জোড়া,
    আগে তো ঠিক বুঝিনি রে একটু এটা খোঁড়া।"
    বলবো কি আর, বলার আগেই তিন জনেতে মিলে
    পড়লো উঠে; বসে পড়েই আমায় হুকুম দিলে -
    "নে এবারে চল তো দেখি চল তো তাড়াতাড়ি,
    এক্কেবারে থামবি গিয়ে সোজা তোদের বাড়ি।"
    বাস্কেটেতে একখানা হাঁস কোলেতে অন্যটা।
    ক্যারিয়ারে গুছিয়ে বসেই ধরে নিলো ওটা।

    বলছি খুলে - দাদু ও আমি চাই ওমলেট খেতে,
    কিন্ত আবার দিদার আইন সবার ওপরেতে।
    বাইরে খাবে খাও না তুমি রামপাখী আর ডিম,
    বাড়ীর ভেতর একদম নয়।
    তবে?
    অতঃ কিম্?
    হাঁসের ডিমই চাই তা হলে; আদেশ হলো ঝি-কে,
    একটু খুঁজিস গেড়ে বেলে তোদের গাঁয়ের দিকে।
    সেই মহিলা হুকুম আবার দিলো চালান করে
    ভাইঝিকে তার - আনছিলো যে হাঁসজোড়াটা ধরে।

    শাশাং মুরুপ একটি লাখে, গাছটি চমৎকার
    যেটির তলায় থেমেছিলাম ডাকটি শুনে তার।

    ----------------------
    শাশাং হরিদ্রাভ
    মুরুপ কিংশুক
    বীরপোখোরি বনমধ্যস্থ জলাশয়
    কোটরা ক্ষুদ্রকায় শ্বদন্তযুক্ত সর্বভুক হরিণবিশেষ
    গেড়ে হংস
    বেলে ডিম্ব


    অলংকরণ (Artwork) : অনন্যা দাশ
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments