Click below to read comments on other sections:
|
গল্পটা ভালো লেগেছে কিন্তু একটু ক্ল্যারিফিকেশন চাই--তিন্নি আর মুন্নি একই মেয়ের দু'টি সত্তা, তাই তো? আর মানবজীবনের প্রথমদিকের অবস্থানের সঙ্গে তিন্নি নামক মেয়েটির অবস্থান মিলিয়ে দেখিয়েছেন। যদি উত্তর দেন তো সুখী হব--
সোনালী বসু (জুন ২০১৭; basuson...@yaho...)
লেখকের উত্তর:
ধন্যবাদ পাঠক। একদম ঠিক বলেছেন। গল্পের মূল বিষয়টি হল – ইভল্যুশনারি সাইকোলজি। গল্পের মধ্যেই এই নিয়ে আলোচনা আছে... “চারদিকের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে মানুষের শুধু শারীরিক বিবর্তনই হয়নি মানসিক বিবর্তনও হয়েছে। ইংরিজির ইভল্যুশনারি সাইকোলজি শব্দটা বেশি চেনা...।” বর্তমান সময়ে একজন মানুষ যেভাবে আচরণ করে তার জন্য সমগ্র মানব সভ্যতার বিবর্তনকে খানিকটা দায়ী করা যায় বটে। আজ যে ব্যবহারকে সমাজ ক্রাইম বা মানসিক রোগ বলে অভিহিত করে সভ্যতার আদি যুগে তা হয়তো মান্য ছিল... এটা একটা থিয়োরি। মনে রাখা ভালো যে অন্ধকার আদিমতার উত্তরসূরিদের ক্রাইমকে যৌক্তিকতা দেওয়া গল্পের উদ্দেশ্য নয়। বরং দুটি সমান্তরাল গল্প এবং তাদের মধ্যের অন্তর্লীন সাদৃশ্য সেই থিয়োরিটিকে অস্বীকার করার প্রয়াস। দুটি মানুষের ভালবাসা সব থিয়োরি ফেল করে দেয়, সেটাই গল্পটির সার কথা।
ধূসর ইতিহাসের রহস্যাবৃত গলি-ঘুঁজি পেরিয়ে মহীনের আগুয়ান ঘোড়াগুলি আজও ঘাস খেয়ে যায় খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে। অস্তিত্বের সেই অন্তর্লীন দ্যোতনাকে অনাবিল আখরমালায় ধরার জন্য কবি সুপূর্ণা সিংহকে একরাশ অভিনন্দন।
সন্দীপন গাঙ্গুলী (জুন ২০১৭; ganguly.sa...@gma...)
'অষ্টম গর্ভ' বই-টির জ্ঞানগর্ভ আলোচনা পড়ে ভালো লাগল। কিন্তু 'শিশু অবলোকনের বয়ঃপৃথিবী', এই শিরোনামটির সঙ্গে আলোচনার লেখনভঙ্গিটি যেন ঠিক মিলছে না। পুনপুন, বুজবুজ--এদের কথা আলোচনার মধ্যে বলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোথায় যেন 'শিশু অবলোকন'-এর ব্যাপারটাই পুরাণ ও বর্তমানকে মিলিয়ে দেবার, 'মিথ ক্রিটিসিজ্মের' ভঙ্গিতে লেখা বিদগ্ধ বিচারের মধ্যে হারিয়ে গেছে।
রবিনবাবুর মতো মানুষের সমালোচনা করার স্পর্ধা আমার নেই, তবে একটি তথ্যগত ভুল চোখে পড়ল। শ্রীকৃষ্ণ মথুরা থেকে দ্বারকায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেন জরাসন্ধের বার বার (১৮ বার!) আক্রমণে বিরক্ত ও ব্যতিব্যস্ত হয়ে, কংসের অত্যাচারে নয়। কংসবধ তার আগেই ঘটে গেছে।
আর তাছাড়া 'ইউলিসিস'-এ জেমস জয়েস যেভাবে মহাকাব্য আর পুরাণকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ-শতকের আধুনিক চেতনাপ্রবাহ উপন্যাসের ধারায় এনে ব্যবহার করেছেন, বাণী বসুর পুরাণ ও কৃষ্ণকথার ব্যবহার তার চেয়ে অনেক অনেক আলাদা। ইউলিসিস-এর প্রসঙ্গ এনেইছেন যখন, তুলনামূলক আলোচনা আর একটু বিশদে করলে ভালো হতো না কি?
পৃথা কুণ্ডু (মে ২০১৭; pritha_k...@rediffm...)
লেখকের উত্তরঃ
শ্রীযুক্তা পৃথা কুণ্ডুকে আমার প্রবন্ধটি খুঁটিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ওঁর ঔৎসুক্যের ছোট্ট জবাব দিতে চাই। প্রথমত: অষ্টম গর্ভ উপন্যাসটির ন্যারেটিভ বড়োদের পৃথিবী কিন্তু ছোটদের দৃষ্টিকোণে। তা-ও সর্বত্র, সুসমঞ্জসভাবে আছে বলে মনে হয় নি। এ বই তো ছোটরা নয়, বড়োরাই পড়বে, ভাববে। তাই সেই পার্থিব সংকট - আসন্ন স্বাধীনতাকালের সংকট সেটা দেখতে দেখতে ছোটরা বড়ো হয়ে উঠল এটাই প্রত্যাশিত। আমি মোটেই মিথ ক্রিটিসিজমের ভঙ্গিতে লিখতে চাই নি, বরং লেখিকা আমাকে অষ্টমগর্ভ নামে, কৃষ্ণ প্রসঙ্গে, অলৌকিক উদ্ধার কল্পের বারংবার ব্যবহারে প্ররোচিত করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে অলৌকিকত্ব দ্বারা পৃথিবী পরিত্রাণে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই। এবং মিথ বিস্তার লেখিকার ইচ্ছা, আমার নয়। ওই প্রাক সাতচল্লিশ পর্বকে আমি সোসিও-ইকনমিক ভঙ্গিতেই দেখতে চাই। তার ইঙ্গিত রচনার শেষাংশে বলা আছে, অরুন্ধতী রায়ের উদ্ধৃতি সহযোগে।
দ্বিতীয়তঃ কৃষ্ণ প্রসঙ্গে তথ্যগত ভুল। 'পৌরাণিকী' (অমল বন্দ্যোপাধ্যায়) পৃ. ৩৯৪-তে আছে -- 'মথুরাতে কংসের ছেলেরা রাজা হবে; জরাসন্ধ কংসের শ্বশুর ইত্যাদি নানা কিছু চিন্তা করে কৃষ্ণবলরাম মথুরা ত্যাগ করে দ্বারকাতে বিশ্বকর্মা নির্মিত নগরীতে নতুন রাজ্য স্থাপন করেন।' আমার লেখায় অস্পষ্টতা ছিল তাই ভুল বোঝাবুঝি ঘটেছে। মার্জনা প্রার্থী।
তৃতীয়ত: ইউলিসিস ও অষ্টম গর্ভের তুলনামূলকতা যদি বিশদ করতাম, সেটা হতো ভিন্নগামিতা। জয়েস ইউলিসিস প্রসঙ্গ আনলেও পরিক্রমা অর্থটুকুই রেখেছেন। একদিনের পরিক্রমণ -- পাপবোধ, ক্যাথলিকবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, মায়ের মৃত্যুকালীন ইচ্ছাপূরণ। বিজ্ঞাপন সলিসিটর ব্লুমের সংবাদপত্র অফিস এওলাস গল্পের আদল, স্টিফেন হয়ে ওঠে টেলিমেকাস যে পিতৃসন্ধানী, শ্রীমতী ব্লুম যেন অবিশ্বাসঘাতী পেনিলোপ। কিন্তু বাণী বসুর বাচ্চারা কৃষ্ণকথার সঙ্গে সঙ্গতিবিধায়ক নয়। জয়েসের ইউলিসিসের অ-বীর ভ্রাম্যমাণতা অষ্টম গর্ভে নেই। চরিত্র ত্রয়ীর জীবন কৃষ্ণজীবন পুরাণ মিলে মিশে যায় না। ইউলিসিস প্রসঙ্গ আমি শুধুমাত্র এনেছিলাম, মবি ডিক প্রসঙ্গ এনেছিলাম শুধুমাত্র প্রবণতা বোঝাতে। আর কিছু নয়।
(জুন ২০১৭)
বেশ ভাল লাগল এই কবিতাগুচ্ছ। বিশেষ করে 'সামান্য, তুচ্ছ, ক্ষুদ্র' কবিতাটা মনে অনুরণন আনল একটা। খুব relatable এই মনখারাপের কাহিনী। নিজেকে বড় বেশি প্রকাশ করে ফেলার আশঙ্কা। প্রকাশিত হয়ে যেতে যেতে শেষটায় ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়। প্রশ্ন থেকেই যায়, নিজের 'আমিত্ব'কে নিজের মধ্যে ধরে রাখাই কী তাকে sustain করার উপায়, নাকি তাকে ছড়িয়ে দেওয়াই ভাল পৃথিবীর মধ্যে? ভাল লাগল।
আর যে কবিতাটা খুব ভাল লাগল সেটা হচ্ছে 'জানোয়ার'। নিজের মধ্যের পশুগুলোকে, প্রবৃত্তিগুলোকে পোষ মানানোর চেষ্টা তো যেকোনও 'মানুষ'ই করে চলে সারাজীবন। আর সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েই চলে। হোক না সে আপাত নিরীহ হরিণের প্রবৃত্তি, সারসের যেন আত্মহারাভাব, অথবা বাঘের আকস্মিক হিংস্রতা! সেই প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে দিয়েই আমাদের আমিত্বের পূর্ণ প্রকাশ। খুব self conscious কবিতাগুলি। কবিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
পিউ দাশ (মে ২০১৭)
ভীষণ ভীষণ ভালো। লেখককের আরও লেখা পড়তে চাই।
ডঃ বিশ্বতোষ ঘোষ (মে ২০১৭; biswat...@gma...)
রাহুলবাবুর বেশ কিছু লেখা এখানে পাবেন। পরে আরো প্রকাশ করতে পারব আশা করছি।--সম্পাদক
বড়ো ভালো লাগল অঞ্জলি দাশের অন্য রকমের গল্পটি। সংযত আর হৃদয়স্পর্শী। বাংলাদেশ থেকে এভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে-পড়ার অনেক গল্প আমাদের কানে আসে। সময়টার সার্বিক ট্রাজেডির একটা চেহারা ধরা পড়েছে গল্পে।
নবনীতা দেব সেন (মে ২০১৭; nabane...@gma...)
সত্যান্বেষীর রহস্য-সন্ধানে সঞ্জয়বাবুর অন্বেষণ বেশ ভালো লাগল। আমি নিজে ব্যোমকেশকে একটু অন্যভাবে বুঝি, তবে সঞ্জয়বাবুর মতের সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া নেই। শুধু দু'-একটি বিষয়ে একটু মন্তব্য করব।
বোদলেয়ারের প্যারিসে 'র্যাগপিকার' বা 'flaneur'-- যে চরিত্রটি কবি-ডিটেকটিভের খুব কাছাকাছি দাঁড়ায়, তার মধ্যে একটা অদ্ভুত নির্মোহ নৈর্ব্যক্তিতা আছে বলেই মনে হয়। সে কারুর নয়, কেউ তার নয়। কিন্তু ব্যোমকেশ তো তা নয়। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে তার তীক্ষ্ণ অনুমান-নির্ভর তদন্তের পদ্ধতি আর যুক্তির অনুশীলন তাকে অনেক সময় 'অবজেকটিভ' করে তুলেছে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত কিন্তু অসহায়, নির্দোষ মানুষকে সে বাঁচাবেই--এটা তার কাছে শুধুমাত্র সত্য প্রকাশ করার তাগিদ নয়, মানবিকতার দায়। 'পথের কাঁটা'য় বয়স্ক মক্কেলের চরিত্রের ত্রুটি মেনে নিয়েও সে তাঁর কাঁধে ভরসার হাত রাখে' 'অর্থমনর্থম'-এ সে যে সত্যবতীকে আশ্বাস দেয়--"আপনার দাদা যদি নির্দোষ হন আমি তাঁকে বাঁচাবই" (এই মুহূর্তে হাতের কাছে বইটা নেই, উদ্ধৃতি হয়তো যথাযথ হলো না--মাপ করবেন)--সে কি শুধু তার সত্যবতীকে ভালো লেগেছিল বলে, নাকি তার মানবিক, সংবেদনশীল মননের দাবিতে? সঞ্জয়বাবু ব্যোমকেশের ক্ষমাগুণের কথা বলেছেন ঠিকই, কিন্তু বোদলেয়ারের প্যারিস আর ব্যোমকেশের তুলনার এসেছে যখন (তুলনাটি অবশ্য যথাযথ আরেক দিক থেকে), তখন 'flaneur'=গোয়েন্দার সঙ্গে ব্যোমকেশের তফাতটা আর একটু বুঝিয়ে বললে বোধহয় ভালো হতো।
এর একটি কথা, শরদিন্দু ব্যক্তিগতভাবে হয়তো 'একধরনের' হিন্দুত্বপ্রেমী ছিলেন, কিন্তু ব্যোমকেশের মধ্যে আমরা এ-বিষয়ে মুক্তমনের পরিচয় পাই। 'আদিম রিপু'তে অজিতের মুসলমান বন্ধু যখন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার আলোচনা প্রসঙ্গে ব্যোমকেশের মতামত জানতে চায়, ব্যোমকেশের উত্তর ছিল--'এক ভস্ম আর চার, দোষ গুণ কব কার।' দাঙ্গা-পরিস্থিতির জন্যে কাত দায়ভার বেশি, কংগ্রেস না মুসলিম-লীগ এই জটিল রাজনীতির প্রশ্নের কী গভীর ব্যঞ্জনাময় উত্তর!
পৃথা কুণ্ডু (মে ২০১৭; pritha_k...@rediffm...)
দিবাকর ভট্টাচার্যের লেখা যখনই পড়ি এক আশ্চর্য অনুভূতিতে বিদ্ধ হই। চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অলীক দৃশ্য, যেন মাথা নিচু করে অন্ধকার ঘরে কুপীর অল্প আলোয় বসে সকলের চোখের অলক্ষ্যে অনির্বচণীয় শিল্পকর্ম সৃষ্টি করে চলেছেন কোন কারিগর, তার কাজের মূল্য তিনি পাবেন কিনা জানেন না, বাজারের অজস্র বিকিকিনির পসরার মধ্যে হয়ত অসাড়ে পড়ে থাকবে তাঁর অতি যত্নে ফুটিয়ে তোলা শিল্পকর্ম, কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁর। তিনি কেবল নিজের জন্যই, কেবল সৃষ্টির আনন্দেই তাঁর ক্যানভাসে বুলিয়ে চলেছেন একের পর এক আশ্চর্য আঁচড়, ফুটিয়ে তুলেছেন রাশভারি, আলঙ্কারিক, ঐশ্বর্যময় আভিজাত্য। তাতে শিক্ষিত দর্শকের দৃষ্টি পড়ল কি না, পড়ে তারা শিহরিত হল কি না, তাতে তাঁর হুঁশ নেই, পরোয়াও...। আজকের দিনে যখন যশোলোভ, কীর্তিলোভ, লাইক, কমেন্ট, ইত্যাদি ক্রমাগত প্রলোভন দেখিয়ে চলেছে লেখককে বিচ্যুত করার, আত্মমগ্ন সাধনার কঠিন পথ থেকে সহজ খ্যাতির আয়াস পথে হাতছানি দিচ্ছে বারবার, সেই সময় দিবাকরবাবুর লেখার মতো এমন কিছু লেখা পড়তে সত্যি অবাক লাগে, যে লেখা তৈরি হয়েছিল কেবল নিজের জন্য, যে লেখার জন্য ভবিতব্য হিসেবে আদেশ ছিল লেখকেরই নশ্বর দেহাবশেষের সাথে সহমরণে যাবার – ভাগ্যিস সেটা হয়নি! কিন্তু তাও, ওনার লেখা পড়বার সুযোগ পাওয়া সহজ নয়, আর অন্যান্য মহার্ঘ বস্তুর মতো সেগুলিও বড়ই দুষ্প্রাপ্য - তাই এবার পরবাসে দিবাকর ভট্টাচার্যের আরো একটি নতুন লেখা পেয়ে খুবই আনন্দিত হলাম।
‘নিতান্তই পুতুলের গল্প কিংবা অনিন্দিতার কাহিনী’ পড়েও আবার মুগ্ধতায় আক্রান্ত হয়েছি। গল্পের বুনন, গল্প বলার ধরন, অদ্ভুত নতুনত্বময় গঠন, এবং অবশ্যই বিষয়বস্তু! হলিউডের কল্যাণে ‘টয় স্টোরি’ নামক যে সিনেমাটা দেখেছি তাতে আমরা নির্জীব পুতুলদের জীবনে প্রথম প্রবেশাধিকার পে্যেছিলাম, কয়েক ঘন্টা ধরে তাদের সুখদুঃখ আশা আকাঙ্ক্ষার সহযাত্রী হতে পেরে মুগ্ধ ও শুদ্ধ হয়েছিলাম! খবর নিয়ে জেনেছি যে সেই টয় স্টোরির গল্প লেখা হবার অনেক অনেক আগেই এই “নিতান্তই পুতুলের গল্প…” সৃষ্টি করেছিলেন লেখক, তৈরি করেছিলেন এক শিশু ও পরে বড়ো হয়ে ওঠা একটি মেয়ের গল্প ও তার তিনজন পুতুলের গল্প – অথবা চারজন! অনির বড়ো হয়ে ওঠা, সেই ওঠার পথে তাল মিলিয়ে তার পুতুলদেরও জীবনের নানান ধাপ কী অনায়াস মুন্সিয়ানায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক! আলমারির নিচের বাঁ দিকের ড্রয়ারটির অন্ধকার শব্দহীন পাতালে পাঠকেরও যেন দম বন্ধ হয়ে আসে; সেই বৃদ্ধ, যুবা, আর বালকের সাথে একাত্ম হয়ে যাই তাদের একাকীত্বে, আবার অনির জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সকালে ড্রয়ার খোলা হবার পরের আলোর ঝলকানিতে যেন আমাদেরও চোখ ধাঁধিয়ে যায় – পুতুলদের এবং অনিরও মনের আবেগ উদ্বেগ খুশি আশঙ্কা সবেতেই যেন দোলা লাগে পাঠকের মনেও।
অন্ধকার পাতাল থেকে তাদের মুক্তি মিললেও, গল্পের শেষের চমকটি আবার বিষণ্ণ করে – এ এক অনিবার্য, অবশ্যম্ভাবী অন্ত – অথচ কী ভীষণ তীব্রভাবে আঘাত করে – বিদ্ধ করে অসাবধান মনকে! ফিরে পড়ার সময় খেয়াল করি, আরেঃ শেষের এ চমক তো ঠিক চমক ছিলনা, এর পূর্বানুভাস তো ছিলই - অথচ পড়তে পড়তে কখন যেন ভেসে গিয়েছিলাম, তাই ধাক্কাটা লাগেই, জোরে!
আরো একটি বিশেষ আঙ্গিক ও তার ট্রি্টমেন্ট অত্যন্ত তারিফযোগ্য মনে হয়েছে আমার, ব্যক্তিগতভাবে। তিনটি পুতুল, একজন বৃদ্ধ ঘাড় নাড়ায়, একজন স্থির অচঞ্চল যোদ্ধা, আর নতমস্তক বালক বেহালাবাদক – তিন জনের তিন ধরনের ভঙ্গি – কখনো বদলায় না, সে প্রশ্নও নেই, অথচ সেই ঘাড় নাড়া, স্থির থাকা আর মাথা নিচু করে বেহালা বাজানোর ভঙ্গি দিয়েই লেখক কতো সহজে ফুটিয়ে তুলেছেন অজস্র আবেগানুভূতির প্রকাশ, বৃদ্ধের ঘাড় নড়ে কখনো আনন্দে, কখনো নস্ট্যালজিক বিষাদে, ছোট্ট অনির গল্প শোনার উৎসাহী শ্রোতা হিসেবে, আবার বিয়েবাড়িতে অনিকে দেখতে না পাবার উদ্বেগে। ঠিক তেমনিই রক্ষীর স্থৈর্য - কখনো আশ্বাসদায়ক, কখনো নিশ্চিন্ত, কখনো বা প্রখর; বেহালাবাদক বালকের বেহালায় কখনো আনন্দের, কখনো বিষাদের, কখনো আস্থার আবার কখনো দুশ্চিন্তার সুর। বহুদিন পরে ড্রয়ার টেনে খোলায় ঘাড়নড়া বুড়ো পুতুলের ঘাড়ে যে স্পন্দন সঞ্চারিত হয় তাকে কি অনায়াসে আলোর ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধের কাঁপুনি বলে কল্পনা করেছেন লেখক – মুগ্ধ হতেই হয়! আর এমন ছোটখাটো সূক্ষ্ম সোনার জরির কাজে বোনা হয়েছে এই আপাত সরল গল্পটি! চোখের সামনে দৃশ্যের পরে দৃশ্য ফুটে ওঠে অনায়াসে। সংলাপের বাড়াবাড়ি নেই, প্রয়োজনও নেই, নেই দৃশ্যকল্প সৃষ্টির নামে কোন বাগাড়ম্বর, অথচ কত অনায়াসে পাঠকের আবেগের উপর অধিকার দখল করে নেয় লেখকের লেখনী। এতে পাঠকের পক্ষে মুশকিল হয়ে পড়ে নিরপেক্ষভাবে বিচার করা, বা কোন দোষ-ত্রুটি হিসেব করা, তাও “মুছে” আর “পুঁছে” কথা দুটির মধ্যে যে কোন একটি থাকলে ভালো হত মনে হয়েছে।
দিবাকরবাবুর মুন্সিয়ানার বিচার করার সাধ্য আমার নেই, আশা করা যায় কোন প্রকৃত শিক্ষিত পাঠক ওঁর লেখার সঠিক মূল্যায়ন করবে শীগগিরই, যাতে ওনার লেখা পড়বার সুযোগ মেলে আরো বেশি করে পাঠকের, যেন ওনার লেখার প্রকাশ ও প্রচারের ব্যাপারে উৎসাহী হয় প্রকাশনা সংস্থাগুলি!
তনুশ্রী চক্রবর্তী (মে ২০১৭; tanusre...@gma...)
অন্য একটা বইতে যতীন্দ্রমোহন দত্তের ডায়েরির কথা পেয়ে ইন্টারনেটে খুঁজতে খুঁজতে পরবাসের গ্রন্থ সমালোচনাটা পেলাম। খুব ভালো লাগলো। কিন্তু আসল বইটা কোথাও পেলাম না। সেটাই দুঃখের।
অমিতাভ পুরকায়স্থ (মে ২০১৭; amitava2...@gma...)
'গাধা' বইটি পড়া হয়নি এখনো তাই কনটেন্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। কিন্তু রংগন চক্রবর্তীর লেখাকে কী হিসেবে দেখব--গ্রন্ত সমালোচনা হিসেবে নাকি শুধু একজন পাঠক হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ভালোলাগার প্রকাশ হিসেবে সেটা স্থির করতে একটু মুশকিলে পড়েছি।
তবে দু'টি বক্তব্য পড়ে ভালো লাগল --"আমার কাছে গাধা এমন একটা কাজ যার ফর্ম বা চলন-ধরন নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সে কখনও কবিতা, কখনও নাটক আবার যার একটা লাইন পড়ে, বইটা খানিক বন্ধ করে, আমরা একটা জীবনের গোটা উপন্যাস-বিস্তার পরিসরও টের পেতে পারি আমাদের মধ্যে।" যদি এটা অতিকথন না হয় (বইটা পড়িনি তাই বুঝতে পারছি না), তাহলে বলব, একটি সাহিত্যকর্মকে শুধুই তার 'ফর্ম'-এর বিচারে আবদ্ধ না রেখে এরকমভাবে দেখার প্রবণতা প্রশংসনীয়। সবসময়ে ফর্ম বা genre দিয়ে সব ধরনের লেখা বিচার করা যায় না এটা সমর্থন করি।
পৃথা কুণ্ডু (মে ২০১৭; pritha_k...@rediffm...)
অনেক আগ্রহ নিয়ে বইটা কিনেছিলাম, কিন্তু পড়ার পর তো তেমন অসাধারণ কিছু পেলাম না। রংগনবাবুকে বিশিষ্ট সাহিত্য-আলোচক বলেই মানি, কিন্তু এ বইটির ক্ষেত্রে তাঁর এত উচ্ছ্বাসের কারণ কি সত্যিই আমার বোধগম্য হলো না। হ্যাঁ, এটা এখনকার নাগরিক জীবন-সংক্রান্ত একটা 'satire'. কিছু কিছু জায়গায় সামাজিক বার্তা দেবার চেষ্টাও আছে, সেটা অস্বীকার করব না। সাধারণ বা 'naive' মানুষকে 'গাধা' হিসেবে দেখার অ্যালেগরিটাও ইন্টারেস্টিং। কিন্তু ওই পর্যন্তই। খুব 'ইউনিক' কোনো মুহূর্ত সৃষ্টি হলো না পড়তে পড়তে।
বরং খুব ভালো লেগেছে অন্য দুটো বই পড়ে--সুস্মিতা হালদারের 'কবিতার গল্পেরা' আমি আগে এক বন্ধুর মুখে শুনে পড়েছিলাম। দেলাম যে এখানেও বইটার কথা দেওয়া আছে। আঙ্গিকের দিক থেকে তো নতুনত্ব আছেই, আর বিষয়বস্তুর দিক থেকেও মনে দাগ কাটার মতো বই। এই সংখ্যায় সুস্মিতা যে গল্পটা লিখেছেন সেটাও বেশ প্রাণকাড়া। আর অনন্যা দাশের কিশোর উপন্যাসের বইটা সম্প্রতি কিনলাম--এই বয়েসেও পড়ে বেশ লাগছে।
ব্যোমকেশ-সংক্রান্ত লেখাটি ভালো লাগল। রবীন্দ্রবিষয়ক নতুন কবিতাগুলো পড়েও তৃপ্ত হলাম।
বিনোদন সেনগুপ্ত (মে ২০১৭; binods...@yahoo.c...)
রংগনবাবু, বইটির খবর দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আমার কাজে লাগবে, কিনে পড়ব ভাবছি। তবে একটা ব্যাপারে একটু আপত্তি জানাব। আপনি লিখেছেন অমিতাভ বচ্চনের 'বসে হাগো' প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর কথা। এই ধরনের কথায় কিন্তু ওই বিজ্ঞাপনটির সম্বন্ধে ভুল বার্তা যাচ্ছে। যে বিজ্ঞাপনটির কথা আপনি বলতে চেয়েছেন তাতে বচ্চন-সাহেব কিন্তু স্বাস্থ্যকরভাবে শৌচকর্ম করার, বাড়িতে শৌচাগার বানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আপনার বক্তব্যে কিন্তু মনে হচ্ছে ঠিক উলটো-টা--যেন উনি শৌচকর্ম করার প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে জনগণকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
এছাড়া শিল্প-সাহিত্য-সংবাদ বিভাগে আরো কয়েকটি ভালো বইয়ের খবর আগেই দেখেছি, বিশেষ করে সুস্মিতা হালদারের 'কবিতার গল্পেরা' আর রবিনবাবুর প্রবন্ধের বইটি পড়ে ঋদ্ধ হলাম। এই বইদুটির খবরের জন্য পরবাসকে ধন্যবাদ।
সোনিয়া দত্ত (মে ২০১৭; soniad...@yaho...)
Could not understand the end, rather the story. May be it is too 'high' to comprehend. Could not connect the two stories within the narrative. I would request if somebody could explain to me as I am a sub-standard reader.
Aloke Lahiri (মে ২০১৭; alokela...@gma...)
চমৎকার সব বইয়ের খবর আছে দেখলাম শিল্প-সাহিত্য সংবাদ-এ। ২-৩টে বই কিনেছি, পড়া চলছে। বিশেষ করে ভালো লেগেছে যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতার বই আর সুস্মিতা হালদারের 'কবিতার গল্পেরা'।
যশোধরাদির কবিতা তো প্রায়ই নানা পত্রিকায় পড়ি, নতুন করে আর কী বলব! কিন্তু 'কবিতার গল্পেরা' পড়ে অনেকদিন পর খুব ঝরঝরে লাগল। কবিতা সম্বন্ধে এখনো যে কিছু কিছু সেকেলে ধ্যানধারণা দেখা যায় তার একেবারে উলটো রাস্তা ধরেছেন এই লেখিকা, আর প্রত্যেকটা 'গল্পবিতা' (নামটা কেমন দিলাম?) খুব স্বচ্ছ, মনকাড়া ভঙ্গিতে লেখা। ইনি পরবাসেও এই ধরনের লেখা লিখুন, আশা রইল। বইটির প্রচ্ছদও খুব সুন্দর।
রবিন পালের প্রবন্ধ এমনিতে খুব মননশীল হয়। ওনার বইটিতেও সেই গভীরতার ছাপ আছে। তবে প্রচ্ছদটা খুব সাদামাটা মনে হল।
'ছত্তিশগড়ের চালচিত্র' নিয়মিত পড়ছি--বেশ ভালো লাগে।
ও--আর একটা কথা বলিঃ এবারের পরবাসের অলংকরণগুলো বেশ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হয়েছে।
তনিকা মণ্ডল (এপ্রিল ২০১৭; tanm...@gmai...)
অনন্যা দাশের কিশোর উপন্যাস কিনে দিলাম আমার ছেলেকে। ও পড়ে খুব আনন্দ পাচ্ছে। পরবাস পত্রিকার লেখিকাকে আমার ধন্যবাদ জানালাম এই কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে। এরকম লেখা আরো পেলে ভালো হয়।
অরণি বসুর কবিতার বইটাও ভালো লাগল। সুমিতাদির মননশীল প্রবন্ধের একটি বইয়ের খবর পেয়ে ভালো লাগছে। উনি আমার শ্রদ্ধেয়া শিক্ষিকা।
শ্রেয়া মৈত্র (এপ্রিল ২০১৭; shreyam...@yaho...)
আমি পরবাস-এ শিল্প-সাহিত্য সংবাদ নিয়মিত পড়ি, কোনোবার আর কমেন্ট দেয়া হয়ে ওঠে না। এবারের শিল্প-সাহিত্য সংবাদ দেখে বেশ ভালো লাগল কারণ এই বইগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটা আমি বইমেলায় কিনেছি, পড়েও ফেলেছি।
এই বইগুলোর রিভিউ কি পরবাসের পাতায় পড়তে পারব? আশায় রইলাম।
সবকটাই খুব ভালো বই, তবে একটা বই পড়ে বিশেষ মুগ্ধ হয়ে গেছি--সুস্মিতা হালদারের 'কবিতার গল্পেরা'। এটা খুব ইনোভেটিভ ফর্মে লেখা--কবিতার স্টাইলে ছোটোগল্পের স্বাদ। আচ্ছা, সুস্মিতা হালদার এই ইস্যুতে একটা লেখা দিয়েছেন দেখলাম। ওনার কাছে আমাদের (আমার কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুরও এই মত) অনুরোধ, ওই কবিতার গল্পের স্টাইলে আরো লেখা দিন পরবাসে, আমরা পড়তে চাই।
শ্রীলা দত্ত (এপ্রিল ২০১৭; shrld...@gmai...)
সুস্মিতা হালদারের 'এক টুকরো অন্তরঙ্গতা' একটি অসাধারণ গল্প, খুব ভালো লেখা আর স্বচ্ছ ভঙ্গির জন্যে আলাদা করে মনে থাকবে। আর্শিকার লাল আভা-মাখা চোখদুটো এখনো মনকে টেনে রেখেছে।
অঞ্জলি দাশের 'শুধু শিরোনাম' গল্পটিও বেশ ভালো। বয়স্ক মানুষদের নায়ক-নায়িকা করে এরকম গল্প আজকাল আর লেখা হয় না।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের ভূতের গল্পদু'টিও চমৎকার। বেশ একটা অতিপ্রাকৃত গন্ধ পাওয়া যায়।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রার ভ্রমণকাহিনি আবার ফিরে এসেছে দেখে খুশি হলাম।
শেঃ সাগির আলী (এপ্রিল ২০১৭; skali2...@gmai...)
সুস্মিতা হালদারের গল্পটা পড়ে একদম আমার নিজের অবস্থা মনে পড়ে গেল। ওই ডিমানিটাইজেশনের সময়টাতে চাকরিস্থল থেকে ছুটিতে কলকাতা ফিরে ঠিক ওইরকম লাইনে দাঁড়িয়ে, এইরকমই সব কমেন্ট শুনতে শুনতে এগোচ্ছিলাম।
লেখকের অবজারভেশন আর রিয়ালিজ্ম খুব উচ্চমানের। লেখার স্টাইল ঝরঝরে, নির্ভার। সংলাপ খুব প্রাণবন্ত।
আর শেষটা তো দারুণ চমকের... হঠাৎ করে একটা ধাক্কা এসে লাগে মনে। এরকম একটা গল্প পড়ার আনন্দে পাঠক হিসেবে লেখক ও সম্পাদক, দুজনকেই অভিনন্দন।
ভবভূতি ও শ্রেয়সীর গ্রন্থসমালোচনা খুব ভালো লেগেছে।
সন্দীপ মিত্র, পৃথা কুণ্ডু, অনুষ্টুপ শেঠ প্রভৃতির কবিতা পড়ে তৃপ্তি পেলাম।
কৌশিক সেনের ধারাবাহিকটি অনেকদিন ধরেই পড়ছি, ভালো লাগছে।
সব লেখা এখনো পড়ে ওঠার সময় পাইনি। আমাদের এখানে একটা বাঙালি বন্ধুদের গ্রুপ আছে; তাদেরও জানাব যে এ-বারের ইস্যুতে বেশ ভালো ভালো লেখা এসেছে।
ধন্যবাদ।
জয়ন্ত দেবনাথ (মার্চ ২০১৭; jayant...@hotmail...)
Enjoyed Susmita Halder's wonderful short story on our contemporary life. Amazing and touching. Dear author, please continue to write on such themes, for you have the courage to do so.
The poems in this issue reflect variety of thoughts and expressions. Had a good time reading them. Illustrations are appropriate and artistic.
The serialised items are enjoyable, as usual.
Soumen Sarkar (মার্চ ২০১৭; sous...@yahoo.i...)
সুস্মিতা হালদারের গল্প এক টুকরো অন্তরঙ্গতা পড়ে মনটা একই সঙ্গে খুব খারাপ আর খুব ভালো হয়ে গেল! খারাপ এই জন্য যে এইরকম সিচুয়েশন তো আমাদের যে-কোনো মানুষের জীবনে আসতে পারে। তখন কি আমরা আমাদের এতদিনের চেনা প্রিয়জনকে অন্য চোখে দেখব, শুধু তিনি মেজরিটির থেকে আলাদাভাবে, অন্য ধরনের আইডেনটিটি নিয়ে বাঁচতে চাইছেন বলে?
আর ভালো লাগল এই ভেবে যে এই বিষয় নিয়ে এত স্পষ্ট অথচ নান্দনিক, দরদী লেখার মতো মানুষ আছেন বলে। সাধারণত একটা বার্নিং ইস্যু নিয়ে লিখতে গেলে সেটা সমালোচনামূলক, অবজেক্টিভ লেখা হয়ে যায়--তাতে সাহিত্যের ও মানুষের প্রতি শিল্পসম্মত অনুভূতির দিকটা একটু চাপা পড়ে যায়। এ-গল্পে সেটা একেবারেই হয়নি। সুস্মিতা হালদার আরো এরকম লেখা আমাদের উপহার দিতে থাকুন এই কামনা করি।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের অণু-গল্প দুটিও বেশ ভালো লাগল। পৃথু হালদার তাঁর লেখাতে খুব গভীর ভাবনাকে সহজভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কৌশিক সেনের আয়নার ভিতরে ধারাবাহিকটি অনেকদিন ধরেই পড়ছি, কোনোবার কমেন্ট দেব দেব করে দেওয়া হয়ে ওঠেনি--এই সুযোগে জানিয়ে রাখি যে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগছে।
পৃথা কুণ্ডুর বাউল-সংক্রান্ত প্রবন্ধটি পড়েও ভালো লাগল--অনেক কিছু জানা গেল লোকসংস্কৃতির বিষয়ে।
মধুশ্রী মল্লিক (মার্চ ২০১৭; madhu8...@gmai..)
গল্পটা পড়ে আজ থেকে অ-নে-ক-দি-ন আগে (১৯৮১ সালে) লেখা নবনীতা দেব সেন-এর একটা গল্পের কথা মনে পড়ল। গল্পটির নাম 'বাপ রে বাপ!'। আমার করা তার ইংরেজি অনুবাদ এই পরবাসের পাতাতেই পাওয়া যাবে।
ছন্দা বিউট্রা (মে ২০১৭; bewtr....@gmai...)
লেখকের উত্তরঃ
আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন দেখে ভালো লাগল। আমাকে আর একজন পাঠকও জানিয়েছেন যে এটি পড়ে 'বাপ রে বাপ!' গল্পটির কথা তাঁরও মনে এসেছিল। কিন্তু মজার কথা যে নবনীতা দেব সেনের 'বাপ রে বাপ!' গল্পটি আমার এখনো পড়ে ওঠা হয়নি। সত্যি বলতে কি, ওই পাঠকের কাছেই গল্পটার নাম আমি প্রথম শুনি, আমার এই গল্পটা বেরোনর পর।
সুস্মিতা আপা, আপনাকে অনেক অভিনন্দন এরকম সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে গল্প লেখার জন্যে। আচ্ছা, একটা কথা মনে হল, যদিও গল্পের সঙ্গে এর তেমন সম্পর্ক নেই... আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে যে আর্শিকার মা স্বামীর রূপান্তর মেনে নিতে পারেননি, এবং স্বামীর স্মৃতিও ভুলতে চান, কিন্তু ভদ্রলোক (এখন ভদ্রমহিলা) কি একটু হলেও প্রাক্তন স্ত্রীর প্রতি মানসিক দুর্বলতা পোষণ করেন, কিন্তু সেটাকে প্রকাশ হতে দিতে চান না? যেভাবে উনি জানতে চাইছেন প্রাক্তন পত্নীর কথা, আবার বলছেন, "মাকে এসব বোলো না। কষ্ট পাবেন," তাই দেখে একথা মনে হল।
অবশ্য এটা মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা, কিন্তু আমার ভাবতে ইচ্ছে করছে যে ওই রূপান্তরিত নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পর্কের রসায়ণটা কিরকম দাঁড়াবে। তবে আমি কিন্তু গল্পের মাঝামাঝি এসে বুঝতে পেরেছিলাম ওই ভদ্রমহিলা কে... তাতে অবশ্য গল্পের আবেদন একটুও হানি হয় না।
আর একটা কথা বলতে চাই--আপনার লেখা একটা বইয়ের খবর দেখলাম এখানে। কবিতার আদলে গল্প? নতুন ধরনের কিছু মনে হচ্ছে--খুব পড়তে আগ্রহ হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশে থাকি। কলকাতা না-গেলে তো আর এই বই পাব না। পরবাসের পাতায় এই ধরনের কিছু লেখা দেখতে পাবার আশা আছে কি? পাঠিকার অনুরোধটা স্মরণে রাখবেন।
নাফিসা রহমান (এপ্রিল ২০১৭; nafeez....@gmai...)
দারুণ গল্প... ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিল একেবারে। এত অল্প পরিসরে এমন গভীর ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করার জন্যে লেখিকাকে সেলাম জানাই।
শুভংকর দাশ (এপ্রিল ২০১৭; suvanka....@gmai...)
Wonderful story! Congratulations to the author.
Prodosh Bhattacharya (এপ্রিল ২০১৭; prodoshbhatt....@gmai...)
দারুণ লাগল গল্পটা। এক নিঃশ্বাসে শেষ করেছি। ইনি বোধহয় পরবাস-এ এবারই প্রথম লিখলেন? আরো পড়তে চাই এই লেখিকার গল্প। সম্পাদককে অনুরোধ, আমার এই দাবী ওনার কাছে পৌঁছে দেবেন।
অনুভব বিশ্বাস (এপ্রিল ২০১৭; anubhab....@gmai...)
খুব ভালো একটা গল্প পড়লাম। সত্যি তো এই ধরনের মানুষদের পধিকার নিয়ে আমরা যারা নিজেদের 'প্রোগ্রেসিভ' মনে করি, তারা কতোই না র্যাডিক্যাল কমেন্ট করি, কিন্তু নিজেদের পরিবারে এমনটা হলে কতোজন স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারব সেটা?
সুস্মিতা হালদারকে অভিনন্দন জানালাম। সম্পাদকের কাছে অনুরোধ, আমি কি ওনার কনট্যাক্ট পেতে পারি? ওনার একটা বইও আছে দেখলাম 'শিল্প-সাহিত্য-সংবাদ'-এ। গতকাল বইটা কিনে এনেছি...চমৎকার লেখা...সেটা নিয়ে কি এই পত্রিকাত আমি কিছু লিখতে পারি? প্লীজ জানাবেন।
নির্মল আচার্য (মার্চ ২০১৭; nirmalac....@gmai...)
অসাধারণ গল্প। একেবারে বাস্তব সমস্যা দিয়ে শুরু আর অস্তিত্বের সংকটের গভীর বেদনা দিয়ে শেষ। শেষটা নাড়িয়ে দেয়ার মতো। খুব ভালো লাগল।
লেখিকা এরকম গল্প আরো লিখতে থাকুন।
পূর্ণিমা বসু (মার্চ ২০১৭; purnimab...@gma...)
সৌম্য দে (এপ্রিল ২০১৭, soumyad...@redif...)
বাস্তববাদী একটা লেখা। এমন আরো লেখা পড়তে পারলে ভালো লাগবে।
প্রিয়ংকা দে (এপ্রিল ২০১৭; rini.priya...@gmai...)
খুব ভালো লেগেছে গল্পটা। লেখকের নির্মোক গল্পটাও দারুণ।
দেবর্ণি বিশ্বাস (এপ্রিল ২০১৭; deborni1...@gmai...)
Wow....Just wow!
সত্যিই অসাধারণ! একটা সাধারণ মেয়ে আর একটা "ব্যাড বয়"-এর মধ্যে যে সুন্দর রসায়ন আপনি সৃষ্টি করেছেন, তার তুলনা হয় না। স্পেশালি অহনার জন্য আমার খারাপ লেগেছে যখন আমি জানতে পারলাম যে তার মা ক্যান্সারে মারা যান, এমনকি আমি শকড হয়েছি যখন জেনেছি তার বাবা অন্য একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন...তাও আবার একজন কলগার্লের সাথে... :(
কিন্ত আমার ভাল লেগেছে! :D
মিতু দাস (এপ্রিল ২০১৭; mitalidas0...@gmai...)
আমি পরবাস পড়া শুরু করেছি অল্প কিছুদিন। রঞ্জন রায় আর পিউ দাশের লেখা আমার ভাল লেগেছিল। পরে সন্ধ্যা ভট্টাচার্যের লেখা পেয়ে তার সরলতায় মুগ্ধ হয়েছি।
পিউ দাশের লেখা এমনিতে বেশ ভাল হয়। একবার ধরলে শেষ করতে হয়। খুব অপরিচিত চরিত্রদেরও চেনা লাগে। যেমনটা হয়েছিল নির্মোক পড়ার সময়। এই সংখ্যায় মেয়েলি প্রেমের গল্প পড়ে উল্টো হল। খুব চেনা চরিত্রগুলোকেও অচেনা লাগল। কিছুদিন আগে আমাদের ইউনিভার্সিটির এক মেয়ে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছিল বা তার স্বামী তাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তখন মেয়েটার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবন আলোকে আসে। সে সেলাই করে পড়াশুনোর খরচ চালাত, তার বাড়িতে খোলার চাল ইত্যাদি। আমরা সেসব ভাবতেই পারতুম না। ইজাজের পরিস্থিতি আমাকে তার কথা মনে পড়িয়ে দিল। খুব ভাল গল্প নিঃসন্দেহে। তবে কখনো কখনো কিছু কিছু কথা পুনরাবৃত্তি না করলে মনে হয় আরো ভাল হত। যেমন, অহনার বন্ধুরা সব আঁতেল, বা ইলিয়ানা ইংরিজি মিডিয়ামে পড়ে তাই গল্পের বই পড়ে না। ওগুলো অপ্রয়োজনীয় কথা আর গল্পের স্রোতকেও ব্যহত করছে। শুধু শুধু তিক্ততার সৃষ্টি করছে।
সব মিলিয়ে ভালই লেগেছে গল্পটা। অহনা আমার প্রিয় একটা চরিত্র হয়ে গেছে।
*
পিউ দাশের একটি পুরুষালী প্রেমের গল্প কি একটি মেয়েলি গল্পের জোড়া? নাম শুনে তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু বিষয়বস্তুতে নয়। এই গল্পটা অন্নেক cute, (cute এর বাংলা মনে পড়ছে না)।
কারণ সুন্দর আর মিষ্টি বললে মনে হবে কোন খাবারের অথবা অন্য কোন কিছুর কথা বলছি। এখানে কোন ঝগড়া নেই। ভাল।
কনীনিকা মন্ডল (এপ্রিল ২০১৭; konim...@yahoo...)
গোধূলির ডাকপিওন-এ বোস সাহেব মুগ্ধ করিতেছেন। প্রেম আসিতেছে নিঃশব্দ চরণে ‘প্রতিচ্ছবির বর্ণমালায় — রহস্য আর সাদায় মুড়ে’ তথাপি, উদ্বেল ‘যাবতীয় সামুদ্রিক ফেনা’: আর ওই বোতামের চিত্রকল্পটি বড় অনায়াসে রচিত হইলো!
বোস সাহেবের কবিতা নির্মাণে চিরকালই দেখি ছন্দ এবং গভীরতা দুইই অনায়াস। কবি হিসাবে তিনি কদাপি উচ্চকিত নন, তিনি সভাকবি নন স্বাভাবিক কবি। পরবাস-এ প্রথম হইতে এই ডাকপিওন গোধূলি গগনের মেঘে ঢাকা তারাগুলিকে একটি একটি করিয়া উন্মোচিত করিতেছে। আমরা, নাদান পাঠকেরা, পরবর্তী পত্রের প্রত্যাশায় রহিলাম!
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৭; nchak...@gma...)
কবিতা দুটি পাঠ করিয়াছি। ভালো লাগিলো। ‘...হে জীবন, কবিতা দিয়েছি/ রংচঙে তোমাকেই, তুমি শুধু আমাকে উল্টিয়ে/ একটা জীবন দিও কয়েকটা ঘটনা দিও শুধু/ বাকি সব পরম্পরা, বাকি সব অতিকায় হাসি’: এই আকুলতা শিল্পিত তথা মর্মস্পর্শী, এই ‘জীবন’ এবং ‘ঘটনার’ বেয়াকুল এষণায় যেন কিছু শিল্পিত বিষাদ নিহিত হইয়া রহিলো, আমাতুল্য পাঠককে তাহা স্পর্শ করে, আর ‘হাসি’ শব্দের সম্মুখে ওই অপ্রত্যাশিত এবং প্রায় গ্রোটেস্ক ‘অতিকায়’ বিশেষণটি যেন কিছুটা ক্লান্ত বিদ্রূপের দ্যোতনা আনে: প্রতীতি এইপ্রকার যে ইহা শ্লেষ, এবং তাহা জীবনের পুঞ্জীভূত অপ্রাপ্তিগুলিতে নিবদ্ধ। ‘তথাপি আমি তো নিজ কলমের আগা চেঁছে নিয়ে/ এখনো লিখি যা, বহুস্বরী/ কখনো ঝালের রান্না, কখনো শুক্তোর মত স্বাদে/ নিজস্ব প্রমাণলোপ, একাকথাবলা’, এই দ্বিতীয় কবিতাটিতেও যেন কিছু সমধর্মী অনুভূতির স্বাক্ষর প্রতীয়মান হইতেছে। বিমর্ষ একাকীত্ব যে ‘বহুস্বরী’ কবিতার রচয়িতাদেরও ললাট লিখন, এই তথ্য বিস্মিত করে। ‘একাকথাবলা’-য় শব্দত্রয় সংযুক্ত কেন? প্রয়োজনে নাকি অনবধানে? এই সতর্ক পাঠের প্রয়োজনীয়তা আছে, কেননা ‘ঠোঙায় ঠোঙায় কিছু জিরে, ধনে, লঙ্কার উৎসার’, তথাপি এই ‘ছন্দছাড়া, অলংকার ছাড়া’ কবিতার সত্যের কিংবা কবির উপলব্ধির উৎসার এই দৈনন্দিনতার দৃশ্যমান স্তরে নহে, আরো বহু গভীর গোপনে। পরন্তু অবহিত আছি যে কবি জানাইয়াছেন: ‘নদী দ্যাখো, সাঁতারে যেয়ো না,/ ওর বুকে কমপক্ষে/ গোটাকুড়ি নৌকাডুবি আছে। (নৌকাডুবি / অমিতাভ দাশগুপ্ত)’!
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৭; nchak...@gma...)
চমৎকার লাগলো যশোধরা রায়চৌধুরীর কবিতাদুটি। বিশেষত "কবি" কবিতাটি। কেন ভালো লাগলো - তা বলতে পারবো না। শুধু এই লাইনটা "কতকিছু পাশাপাশি থাকে। থেকে যায়। অবলীলাভরে।" পড়ে কেমন গা শিউরে উঠলো। আবার ভীষণ ভালোও লাগলো।
অতনু দে (মার্চ ২০১৭, myata...@gmai...)
রাহুল চমত্কার অলংকরণ করেন তা জানতাম, এমন চমত্কার লেখেন তা জানা ছিল না। মুগ্ধ।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৭; probasi.ar...@gmai...)
এখানে দুই রাহুল-এ একটু গুলিয়ে গেছে। রাহুল মজুমদার চমত্কার অলংকরণ করেন, তিনি লেখেনও, বেশ কয়েকটি প্রকাশিত বইও আছে। এই গল্পের লেখক রাহুল রায়--তিনি অলংকরণ করেন কি জানি না (পরবাসে করেননি), কিন্তু লেখালেখি ছাড়াও জানি যে তিনি গান ও আবৃত্তি করে থাকেন।--সম্পাদক
রাহুলবাবুর গল্প এখানে পড়ছি দীর্ঘদিন ধরে। মানবিক আবেদনে এই নতুন গল্পটি অনবদ্য। উচ্চকোটির এন আর আই জীবনের গল্প, কিন্তু পড়ে মনে হয় শুধু এনারাই নন, এইসব উপলব্ধি যেন আরো বহু ভিন্ন পৃথিবীর মানুষের যাপনচিত্রেও জড়িয়ে আছে। রচনাটির সার্থকতা সেখানেই।
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৭; nchak...@gma...)
নিছক ভয় পাওয়ানোতেই ভূতের গল্পের সিদ্ধি নয়।
জীবনের প্রতি মায়া এবং খানিকটা পথ পেরিয়ে আসার পরে অতীতের পুনরাবলোকন এই দুই স্নেহস্পর্শ না থাকলে গল্প প্রকরণ-সর্বস্ব হয়ে ওঠে। 'আর কে এলো?' গল্পে প্রকরণের সাথে সেই দুই অনুপানের সুষম সমন্বয় খুবই ভালো লাগলো।
সেলাম ভবভূতি ভট্টাচার্য মহাশয়।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৭; probasi.ar...@gmai...)
কেমন লাগলো? অপূর্ব! অপূর্ব লাগলো, লাগছে। সত্যিই চালচিত্র, সত্যিই ছবি! রঞ্জনবাবুর হস্তে কলম নয়, তুলি! উম্মেদ কুঁয়রের মত এক নারী চরিত্রচিত্রণ বহুদিন পড়িনি বাংলা সাহিত্যে! লেখককে কুর্নিশ জানাই।
দীপংকর চৌধুরী (মার্চ ২০১৭; dip84...@gmai...)
অতি মনকাড়া স্কেচ ও সঙ্গের পরিচিতি। খুব ভালো লাগলো।
দীপংকর চৌধুরী (মার্চ ২০১৭; dip84...@gmai...)
প্রবন্ধটি মননদীপ্ত, জ্ঞানদৃপ্ত, চিন্তনসমৃদ্ধ ও কালোপযোগী।
তবে তথাকথিত ময়ূরপুচ্ছধারী সিংহচর্মাবৃত গর্দভ বা নীলবর্ণ শৃগালেরা এখন সমাজের উপরতলায় সমাসীন, ওরা পণ করেছে কখন হবে না বিলীন।
সমাজে এখন ওদের দবদবা বা প্রতিপত্তি। ওরা বচনবাগীশ ও সোচ্চার।
অহরহ বলছে,
আমরা কানে গুঁজেছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো।
শংকরীপ্রসাদ সরকার (মার্চ ২০১৭; sankari.s...@yaho...)
দুর্দান্ত গল্প! মুরাদুল বাবু লিনিয়ার ফাংশানে বিশ্বাস করেন না, এই ভূতের গল্পটাও তাঁর নিজস্ব স্টাইলে ননলিনিয়ার আর যথেষ্ট স্কিউড! দারুণ লেগেছে পড়তে। শ্রীযুক্ত মুরাদুল ইসলামের কাছ থেকে, এই ধরনের আরও লেখার প্রত্যাশা রইলো।
নিরুপম চক্রবর্তী (মার্চ ২০১৭; nchak...@gma...)
নতুন পরবাস বেরোলে সবার আগে আমি পড়ি জনাব ভবভূতি ভট্টাচার্যের গ্রন্থ সমালোচনা গুলি। একাধারে সুগভীর ও সুরসিক, এ এক অননুকরণীয় সৃষ্টি: পরবাসকে যা বারবার সমৃদ্ধ করেছে। এই নিয়ে পরবাসের মোট ২৫টি সংখ্যায় ছাপা হলো এই আলোচনা: মোট ১০০টি বই আলোচিত হলো! বাবু শ্রী ভবভূতি ভট্টাচার্যকে এই অসামান্য সেঞ্চুরির জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানালাম। প্রসঙ্গক্ৰমে, তাঁর আলোচিত শততম গ্রন্থটি কদিন আগে আমিও পড়ে উঠেছি, সেটি একটি অনবদ্য সায়েন্স ফিকশান সংকলন।
নিরুপম চক্রবর্তী (মার্চ ২০১৭; nchak...@gma...)
এই প্রান্তিক মানুষটিকে নিয়ে এমন সুন্দর একটি লেখার জন্য পাঠকের অভিনন্দন নেবেন। অবশ্যই এনাদেরকে একটা প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার দায় আমাদের আছে। টীকাগুলিও উপযুক্ত আর লেখার সামগ্রিক মান বৃদ্ধি করছে। লেখাটি একটি প্রশ্ন রেখেছে সেটা হল পারফর্মিং আর্ট বা করণ শিল্পের সহায়ক লেখাকে সাহিত্যের পর্যায়ে গণ্য করা যায় কিনা। পাঠক হিসেবে আমার অভিমত যে সংগীত কথা, সুর আর গায়কি তিনে মিলেই আমাদের মানসে ছাপ রেখে যায়। তাই গায়কি ছাড়া বাকি দুটি কথা আর সুরকে শিল্প হিসেবে গণ্য না করলে অর্থাৎ সংগীত রচয়িতাকে তার প্রাপ্য সম্মান না দিলে কখনই উৎকৃষ্ট গীতিকার পাওয়া যাবে না।
স্বর্ভানু সান্যাল (মার্চ ২০১৭; swarvan...@gmai...)
চমৎকার লাগলো। এই কবির সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। জেনে ঋদ্ধ হলাম।
দীপংকর চৌধুরী (মার্চ ২০১৭; dip84...@gma...)
Nice detailing. Enjoyed a lot while reading.
Aparajita Bandyopadhyay (মার্চ ২০১৭; puflu2...@yahoo.c...)
দেবাশিস, তোমার লেখা গল্পটি ভালো লাগল। আমি জানতাম না তুমিও লেখ। Good.
Sekhar Datta (মার্চ ২০১৭; hsdat...@hotmail.c...)
খুব ভাল লাগল লেখাটা। প্রাঞ্জল, ঝরঝরে, আর entertaining. মনে দাগ কেটে যায়। লেখককে ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
পিউ দাশ (এপ্রিল ২০১৭)
খুব ভাল ছোট গল্প, মোলায়েম শেষ।
সুমন (মার্চ ২০১৭; sumankan...@gmai...)
দারুণ লেখা--unexpected twist in the end. Thoroughly enjoyable read. Look forward to more such short stories. Keep up the good work.
Smita Roy (মার্চ ২০১৭; simray2...@gmai...)
Enjoyed reading the story, good writing. Title of the story is also appropriate. Interesting story about the conflict between one's personal interest and moralities.
Sharmi (মার্চ ২০১৭; sharmi...@yaho...)
খুব ভালো লাগলো কবিতা দুটো। যাকে বলে কবিতার অতীন্দ্রিয় স্পর্শ, সেটা পাওয়া গেল।
উদয় চট্টোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৭; ukc@metal...kgp.ern...)
দুটি কবিতাই খুব ভালো লেগেছে। পৃষ্ঠা কবিতাটি পড়ে মনে হয়েছে নতুন কবিতার জন্মের আকুলতায় আন্দোলিত একটি আপাত শাদা পৃষ্ঠার আকুতি। ঘটোৎকচকে প্রেমিক বা নায়ক ভাবা অস্বাভাবিক নয়। কর্ণর একাঘ্নী বাণ (যা অর্জুনের জন্য সংরক্ষিত ছিল) তা ঘটোৎকচ বুকে পেতে নিয়েছিল। এই বাণ শেষ না হওয়া অবধি কৃষ্ণ অর্জুনকে কর্ণের পাশে আসতে দেননি। ঘটোৎকচ এক ট্র্যাজিক বা unsung hero, শুনেছি ইন্দোনেশিয়ায় তাকে heroর সম্মান দেওয়া হয়।
পরের কবিতাটি শীতের পোল্যান্ডে কিছুটা অ্যাডভেঞ্চার কিছুটা শীতের ম্লান সূর্যের আলোয় এলোমেলো ঘুরে বেড়ানোর বর্ণনা। শুনেছি শীতকালে উষ্ণতা এবং আলোর অভাবে অনেকের মনে melancholyর বাঁশি বাজে। সেই বিষাদের সুর এই কবিতাটিতে বেজেছে এবং আমাদের একটু বিষাদমধুর আনন্দ দিয়েছে।
কঙ্কন ভট্টাচার্য (এপ্রিল ২০১৭; kankan.bhattachar...@gmai...)
‘পৃষ্ঠা’ পড়েছি। প্রথম ও শেষ কয়েক পংক্তির শেষে বিরাম চিহ্ন নেই। বরং পংক্তির মাঝখানে দ্বিতীয় আর ত্রয়োদশ পংক্তিতে ‘কোনোদিন’ শব্দ তিনবার ব্যবহার হয়েছে, কমা সমেত। কোনোদিন শব্দের উপর আপনি জোর দিতে চেয়েছেন বুঝলাম, কিন্তু পংক্তির শেষে বিরাম চিহ্ন না দেওয়া কি আপনার ইচ্ছাকৃত না typo error!
আপাত ঘটনাহীন জীবনে সবাই বোধহয় উন্মুখ হয়ে থাকি কোনো ঘটনার, সে ঘটনা তীব্র হিংসাজনিত বা দুঃখকর হলেও ক্ষতি নেই। তারপরে সে ঘটনা নিয়ে রচিত হয় গান, কবিতা, চলচ্চিত্র, আঁকা হয় ছবি, সৃষ্টি হয় অন্য শিল্প, তৈরী হয় বিতর্ক-তর্ক। আবার সময়ের স্রোতে ঢাকা পড়ে যায় সে সব। হোলো বা হল, হয়ে বা হোয়ে এসবের ঠিক বানান কোনটি জানি না। আপনি সতর্ক হয়ে ‘হোয়ে’ লিখেছেন জানি।
‘দোকান কিংবা শীতের পোল্যান্ড’ অলীক কিছু খুঁজে পাওয়ার আকুতি। অনেক অসাধ্য সাধন করে, কষ্ট পেয়ে বহু সময় ব্যয় করে, হয়ত প্রাত্যহিক জীবনে দরকার নেই তবু কিছু খুঁজে পাবার চেষ্টা চালিয়ে যাই। থোড়-বড়ি-খাড়া আর খাড়া-বড়ি-থোড় দৈনন্দিন জীবনে খেয়ে পরে বেঁচে থেকে সেই না পাওয়াকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
আমার অনুভূতিটুকু কেবল বল্লাম।
সুচরিতা (মার্চ ২০১৭; bisuchar...@yahoo.c...)
লেখকের উত্তরঃ
কবিতাদুটিকে এত যত্ন করে পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। না, বানান অথবা যতিচিহ্ণের মিতব্যয় কোনোটাই অনবধানজনিত নয়! বানানগুলির উৎপত্তি কবিতাপাঠ যথাসাধ্য উচ্চারণ অনুগত করবার প্রবণতা থেকে, যদিও এ ব্যাপারে আমি নিজেও দ্বিধামুক্ত নই। আর যতিচিহ্ণের ব্যবহার প্রথম কবিতাটিতে আমি করতে চাইনি, এর প্রবহমানতার তা অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে ভেবে। তবে ওই বিশেষ দুটি ক্ষেত্রে কমাগুলির প্রয়োগ করেছি, কেননা ওখানে ওগুলি অত্যাবশ্যক বলে মনে হয়েছে। পাঠকালে ওই হ্রস্ব বিরতিগুলি বিস্মৃত হলে, পাঠক আমার চিন্তা তথা আবেগের সঙ্গে পুরোপুরি অন্বিত হতে পারবেন না, এরকম একটা প্রত্যয়ের থেকে এর প্রয়োগ!
কবিতাদুটো ভীষণ ভালো লাগল। তীব্র প্রতিবাদ প্রথম কবিতায়--যা হচ্ছে তাই নিয়ে...
দ্বিতীয় কবিতায়, পোল্যান্ডের অপূর্ব প্রকৃতির পাশে দোকানটার শূন্যতাকে কি তুলে ধরল? অপূর্ব নিসর্গের পাশে 'মেটিরিয়ালিস্টিক জগৎ...'
দেবালয় চক্রবর্তী (মার্চ ২০১৭; debal...@gmai...)
আবারও দুটি অসাধারণ কবিতা কবি নিরুপম চক্রবর্তীর কলমে। প্রথম কবিতাটি পৃথিবীর সমস্ত কবির কবিতা। "প্রেমিক ঘটোৎকচ হেঁটে যায় বুকে বেঁধা কবিতার শব্দভেদী বাণ;" লাইনটি অসাধারণ। পরবাসকে ধন্যবাদ, এত ভালো ভালো কবিতা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অশোক ঘোড়ই (মার্চ ২০১৭; asokghor...@gma...)
বেশ ভাল লাগলো কবিতাটি। বিষয় ও আঙ্গিকে নিটোল। সহজ ছন্দের আবেশে প্রাণবতী।
সন্দীপ মিত্র (মার্চ ২০১৭; pandis1...@gma...)
এই তো.... এই তো! ছন্দাদির ভ্রমণকাহিনি না হলে পরবাসের ইস্যু জমে? দিদি নৈলে কোত্থেকে জানতুম যে পিরানহার দন্ত থেকে নেকলেস বনে? তবে, এই লেখাটিকে একটু তাড়াহুড়োর মনে হয়েছে। আরেকটু জরলে বেশ হতো।
দীপংকর চৌধুরী (মার্চ ২০১৭; dip84...@gmai...)