Parabaas
  • বর্তমান সংখ্যা
  • বিভাগ
    গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস কবিতা গ্রম্থ-সমালোচনা রম্যরচনা নাটক ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
  • Special Sections
    English ছোটদের পরবাস Satyajit Ray Rabindranath Tagore Shakti Chattopadhyay Jibanananda Das Buddhadeva Bose
  • সূচি/List
    Complete List/সম্পূর্ণ সূচি English articles Bengali articles Old Issues/পুরোনো সংখ্যা Authors/পরবাসের লেখকরা
  • Our Books
  • Buy Books
  • About
    About Us Friends of Parabaas Sign up for updates আদি পরবাস-কথা Old format
  • পুরোনো সংখ্যা
  • পরবাস

    বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    Parabaas, a Bengali webzine since 1997 ... ISSN 1563-8685
  • ছোটদের পরবাস
    Satyajit Ray
    Rabindranath Tagore
    Buddhadeva Bose
    Jibanananda Das
    Shakti Chattopadhyay
    সাক্ষাৎকার
  • English
      Written in English
       Book Reviews
       Memoirs
       Essays
      Translated into English
       Stories
       Poems
       Essays
       Memoirs
       Novels
       Plays
  • লেখক/Author List চিঠিপত্র/Feedback Search
  • Parabaas Books Book Store

  • Buy in India
    and USA

  • Barisal and Beyond
    Essays on Bangla Literature
    Books by Clinton Seely

  • Cautionary Tales
    BookLife Editor's Pick

  • পরবাস গল্প সংকলন-
    নির্বাচন ও সম্পাদনা:
    সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়)
  • Parabaas | গল্প
  • Category: গল্প, Language: All LanguagesEnglish Articles | All Articles
  • 12345678910 ... (81 to 120 of total 1286)
  • হাড়কিপ্টের বেহ্মদৈত্যি - জ্যোতির্ময় শীল
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    কিন্তু খেতিবাবুর বাগানে ভূত দেখার ব্যাপারটা কিভাবে যেন চাউর হয়ে গেল। সেই ঘটনার দিন তিনেক বাদে তুতুন মাসি সকালে সাবধান করে দিলেন খেতিবাবুকে। বাগানে নাকি এক বেম্ভদৈতির আগমন হয়েছে। সে নাকি নিশীথ রাতে খালি গায়ে ধুতি পরে শিব পুজো করে। খেতিবাবুর কাছে ব্যাপারটা এবার স্পষ্ট। ব্যাটারা তাহলে তাকেই দেখে ভূত ভেবেছে। ইতিমধ্যে, গ্রামে নাকি কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে
    মেজো কাকু - অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    ‘তারা’ আর কেউ নয় মেজো কাকুর পোষা এক শালিক পাখি। পোষা মানে তাকে যে খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে, তা নয়। সে ছাড়াই থাকে। বনের পাখি। তবে সে আমাদের বাড়ি ছেড়ে যায় না। আর গেলেও পাড়ার মধ্যেই থাকে। এ-বাড়ি, ও-গাছ ঘোরে-ফেরে। তারপরে দুপুরে, খিদে পেলে,
    মুম্বইয়া - অনিরুদ্ধ সেন
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    “মানেটা কী?” ঘাড় ঘুরিয়ে অমরেশ দেখল, পাশে কেউ নেই। কিন্তু তখনই জনতা এক সেকেন্ডের সূক্ষ্ম ফাঁক পেয়ে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে এবার গাড়ির স্রোত রুদ্ধ, চালু হয়েছে জনস্রোত। অতএব অমরেশও সেই স্রোতে গা ভাসিয়ে
    অন্য জীবন - দেবাশিস দাস
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    মেয়েটি সলজ্জ হেসে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো আর ভদ্রলোক নিজেকে আলুর বস্তার মত ফেলে দিলেন সিটের উপরে। আর বসেই চোখ বুজে ফেলে নানা রকম মুখভঙ্গি করতে লাগলেন। যেন কোমর-সহ তাঁর সর্বাঙ্গে ব্যথা। ভদ্রলোক যে কোন এঙ্গেলে সিনিয়র সিটিজেন, সেটা বোঝা গেল না
    ‘আমরা বেশ যাত্রা দলের লোক!’ - নিবেদিতা দত্ত
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    নকুল আনন্দে মাটির উঠানে এক পাক নেচে, দুটো কাঁচা লঙ্কা গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে গেল পান্তা বাড়তে। ঘরে দুটো কাঁসি, একটা কাঁসার অন্যটা কলাই করা। কেউ বলেনি তবুও নকুল ভক্তি করে উদ্ধবকেই কাঁসার থালটাই বরাবর এগিয়ে দেয়। সাথে থাকে ঘুঁসি মেরে দু-টুকরা করা কাঁচা পেঁয়াজ
    প্রতিশোধ - পরন্তপ বসু
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    — বৈশম্পায়নবাবু, এই ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আলোচনার আমি কোন প্রয়োজন অনুভব করিনি! এটি বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সিদ্ধান্ত। তাদের উপর তো কোন কথা চলে না! শুনুন বৈশম্পায়নবাবু, আপনি পণ্ডিত লোক। আপনাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন। সুতরাং আপনার চাকরি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
    কালু মোল্লার কথা - প্রসূন দত্ত
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    আয়না বোসের কলেজ সহপাঠী রাজ্যের হোম সেক্রেটারি। শোনা যায় কলেজে আর তার পরেও এদের রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল। সত্যি মিথ্যে যাই হোক আয়না বোসের অনুরোধ হোম সেক্রেটারি রেখেছিলেন। কালুর বিরুদ্ধে পুলিশ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তলোয়ার ঘুরিয়ে ভয় দেখানোর মামুলি চার্জ দিয়েছিল। তবে সেটা সত্যিও বটে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়
    জলার পারে ভূতের দেশে - রিঙ্কি দাস
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    সেদিন, থুড়ি, সেই রাতেও ধীর লয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল হাটবার। ভিজে চুলে কচুরিপানার ফুল গুঁজে বিকিকিনি সারছিল শাকচুন্নির দল। জগন্নাথ পটো মাটির পাত্রে রং গুলে মন দিয়ে আঁকছিল পশুপাখি, আলপনা, ঠাকুর দেবতার ছবি। কমল শাকচুন্নি গুনগুন সুর ভাঁজতে ভাঁজতে চরকায় সুতো কাটছিল নিজের মনে; স্বদেশী আমলে চরকা চালাতে চালাতে পুলিশের লাঠির ঘায়ে মরেছিল কমলমণি, তার পর থেকে চরকাসুদ্ধু
    তোতার কথা - সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    নিজেই বলল, "জয় বোকা, বোঝে না। আমি ওদের সাথে কথা বললে সুশ্রীর বিশ্রী লাগে, ও কাঁদে। সুশ্রী আর জয় বেস্ট ফ্রেন্ড যে!" তারপর আমার হাতে তুলে দিল স্যারের দেওয়া বই। খোলা পাতার বাঁদিকের ছড়ায় পয়েন্ট করল - কবি শঙখ ঘোষের "বড়ো হচ্ছি"। আবার নিজের খাতায় মুখ ফিরিয়ে পেন ছোটালো। বুঝলাম,
    ফাঁড়া - সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    জয় গুরু! তার মানে আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে ইচ্ছার যাতায়াত বন্ধ হতে বেশি দেরি নেই। মলিকে তো চিনি, ইচ্ছার সঙ্গে একঘেঁয়ে গল্প করতে করতে নিশ্চয়ই বোর হয়ে গেছে। এবার ইচ্ছাকে কাটিয়ে দেবে। অথবা কে বলতে পারে? হয়তো ইচ্ছার বরের অন্য শহরে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। আমি উঠতে যাচ্ছিলাম, জ্যোতিষী টিয়া পাখিটাকে দেখিয়ে বলল,
    উভচরী - উস্রি দে
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    সেটা ছিল একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাত। সন্ধ্যে থেকেই প্রচুর বজ্রপাত আর সঙ্গে তুমুল বর্ষণ। হস্টেলে রাতের খাওয়া তাড়াতাড়ি মিটিয়ে যে যার ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। কল্পনা বিছানায় শুয়ে একটা গল্পের বই টেনে নিতে যেতেই, ‘এই এই, আলো নেভা, বড্ড ঘুম পাচ্ছে’ বলে চেঁচিয়ে উঠল শুভ্রাদি। কল্পনার যদিও ওই ঝড় জলের রাতে, বেশ জমিয়ে একটা রহস্য
    উত্তর দোল - উত্তম বিশ্বাস
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    এবার বিধু ভোরের শিশিরভেজা পাতার মতো আমার মুখের ওপর আনত হয়ে গল্প শুরু করল, “সেদিন আমাদের পাড়ার উলুপি দেখলাম কলমির দামের মধ্যে গলা সমান জলে দাঁড়িয়ে হি-হি করে হাসছে! আমি ওই পথে আবীর উড়াতে উড়াতে আপনমনে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ওকে ওই অবাস্থায় দেখে আমার কেমন যেন সন্দেহ হল! আমি জিজ্ঞেস করলাম,
    গুরমুখ সিংয়ের ইচ্ছাপত্র گورمکھ سنگھ کی وصیت - সাদাত হাসান মান্টো translated by শুভময় রায়
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    তাদের বাড়ির লাগোয়া বাজারটা শুনশান হয়ে গেল। ডাক্তার গুলাম মুস্তাফার ডিসপেনসারি তো বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ ছিল। সুঘরা বারান্দা থেকে দেখল একটু দূরে ডাক্তার গোরান্দের চেম্বারেও তালা ঝুলছে। মিয়াঁ সাহেবের অবস্থা খুবই সংকটজনক। সুঘরা এতটাই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করল যে তার মাথা যেন আর কাজ করছিল না। বশারতকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে পীড়াপীড়ি করল, ‘খোদার দিব্যি, তুই...
    অকস্মাৎ - গান্ধর্বিকা ভট্টাচার্য
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    সুজয় চলে যাওয়ার দেড় বছরের মাথায় অসীমের হাত ধরাটা ভবতারিণী সমেত অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু অদিতি জানতেন, অর্ণার বাবা অসীম ছাড়া কেউ হতে পারবে না। অসীমের সান্নিধ্য, নিরাপত্তা, ভালোবাসায় ঘিরে থেকে ধীরে ধীরে অর্ণা সেই বীভৎস দিনটার কথা ভুলে যাবে...
    কাচের গেলাশ - অচিন্ত্য দাস
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    দিন যায়, বয়স বাড়ে। লোকের টিভি সিরিয়ালের নেশা এত বেড়েছে যে বাড়ি বাড়ি আসা-যাওয়া কমে গেছে। কর্তাবাবু আজকাল সকালে এক গেলাশ হরলিক্স খান। সেদিন রান্নার মেয়েটি দু-চামচ হরলিক্স গুঁড়োর ওপর ফুটন্ত জল ঢালতেই গেলাশে একটা লম্বালম্বি চিড় পড়ল। চতুর্থ জনের ...
    নার্সিসাস - গোপা দত্তভৌমিক
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    হ্যাঁ জানি আপনাদের ভুরু কুঁচকে যাচ্ছে, নার্সিসাস কমপ্লেক্সের কথা ঘুর ঘুর করছে মাথায়। দেখুন, আমার মতো চেহারা হলে আপনাদের ও নার্সিসাস কমপ্লেক্স হত। তিন আয়নার বিশাল ড্রেসিংটেবিল কিনে দিয়েছিল বাবা তার আদরের সুন্দরী মেয়ের জন্য। সেই টেবিল উপচে পড়ত
    শাহ মহম্মদের টাঙা شاہ محمد کا ٹانگہ - আলি আকবর নাতিক translated by শুভময় রায়
    সংখ্যা ৯৪ | গল্প | April 2024
    বললাম…নে ভাই শাহ মহম্মদ, তুইও ওদের কেরামতি দেখিয়ে দে!… সঙ্গে সঙ্গে স্কুটার ঘুরিয়ে চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই ওদের ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলাম। তারপরে চেঁচিয়ে বললাম…নে ভাই, তোদের মধ্যে কেউ যদি বাপের বেটা হোস, তো আমাকে ধরার চেষ্টা কর।… ব্যস, তখনই...
    বাদলদার ঠিকানা - অনিরুদ্ধ সেন
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    "কিন্তু আমি যে ভালো নেই।" শ্রীলা হাহাকার করে উঠল, "চারদিকে সব তো ভেঙে পড়ল। গোটা পৃথিবীতে সমাজতন্ত্র তাসের ঘরের মতো ধূলিসাৎ হল। উগ্র ভোগবাদ নৈতিকতার শেষ সীমান্তটুকুও ঝাপসা করে দিল। আর তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে উগ্র ধর্মান্ধতা শুরু করল তাণ্ডব নৃত্য। যারা একটা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখত, তারা কোন আশা বুকে নিয়ে
    মারী - ইন্দ্রাণী গোস্বামী
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    রাত ঘন হয় নিজের নিয়মে। এ বাড়িটা আজ শুনশান। ছেলে নিয়মমাফিক খেতে চেয়েছিল। শরীর খারাপের অজুহাত দিয়ে নিজের আর বাবার খাবার বেড়ে নিতে বলেছে। কিছু একটা আঁচ করে সে চুপচাপ সরে গেছে। প্রতিটি পল গুনে গুনে সময় পার হচ্ছে। কী করবে সুতপা এখন? ইচ্ছে হচ্ছে এমন জায়গায় চলে যেতে যেখানে কেউ ওকে খুঁজে পাবে না। ও তো এতকিছু চায় নি। সুখী গৃহকোণ,
    কলোনিয়ালিজমের ভূত বা কেন ভূতের গল্প লেখা উচিত না - ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    এই গল্পের ভূতটা ছিল ব্রিটিশ যুগের। দুই যুদ্ধের মাঝখানে কয়েকটা বছর কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মেসে কাটিয়েছিল বড়মামা। তখন এই বদরাগী ভূতটা রোজ রাতে মামাকে কুস্তি করে খাট থেকে মেঝেতে ফেলার পর আলনায় ঝোলানো সব জামাকাপড় লণ্ডভণ্ড করে মাটিতে ছড়িয়ে মশারি আর বিছানা অধিকার করত। দিনের পর দিন এরকম চলার পর ব্যাপারটা এমন একঘেয়ে হয়ে যায় যে...
    শেষ গল্প - মুরাদুল ইসলাম
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    কখনো ভাবতাম এই আধুনিক লাইফের ব্যস্ততা থেকে দূরে সরে যাব। বনের ধারে বসে থাকব, সেইখানে মানব সমাজ থেকে দূরের ওই জায়গায় বড় এক পুকুরের ধারে কাঠের ঘর বানিয়ে ওইখানেই থাকব নিজে নিজে। ওয়ালডেনের মত। একজন মানুষের কী বা প্রয়োজন, কতটুকুই বা প্রয়োজন। এই আধুনিক সমাজ মানুষের নতুন নতুন প্রয়োজন তৈরি করে। সেই প্রয়োজন মেটাতেই মানুষেরা
    সদানন্দের (অ)বৈজ্ঞানিক চিন্তা - পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    অকালের বৃষ্টি সব ভিজিয়ে দিলো। গাছের গায়ে লাগানো জেরক্স কপিগুলোও ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে গেল। কপিরা ছিঁড়লেও না-হয় কথা ছিল; সাদা কাগজ হোক কিংবা কিছু লেখা কাগজ, পড়ে ফেলার চেয়ে, পড়ে ফেলে দেওয়ার চেয়ে, সরাসরি ছিঁড়ে ফেলাই তাদের উচিত মনে হয়। বাঁদরদের ধর্মই ওই; হ্যাঁ, এ-ব্যাপারে খুবই ধার্মিক তারা। কিন্তু বৃষ্টির তো সে-দায় নেই। একেবারে বিদায় নেওয়ার পরে, শীতকালে তার ফিরে আসার দরকারই ছিল না কোনো। আর জেরক্স করানোর মতো টাকাও অলোকের কাছে নেই।
    চয়েস - রাহুল রায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    হঠাৎ পেটের পিত্তি মুখে উঠে এসে অজয়বাবুর মুখটা একেবারে তেতো করে দিল। তাঁর অস্বস্তি দেখে পুলিশ অফিসারটি বলে উঠল, “মিঃ সরকার। আমাদের কাছে সব খবর থাকে। আমি জানি আপনি রাজনীতি–টাজনীতির মধ্যে নেই। কেন খামোখা এই মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই টেনে আনছেন?”
    রমাপতির রেল যাত্রা - রিঙ্কি দাস
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    "আপনি মাটিতে না বসে সিটে বসতে পারেন।" ভারী মধুর স্বরে বলে উঠলেন এক ভদ্রমহিলা। মাথায় বিশাল খোঁপা, চোখে পুরু কাজল, বেশ ঘরোয়া গোছের সুন্দরী, এই সালওয়ার-কামিজ, কুর্তি-জিন্সের বাজারে কমলা একরঙা শাড়িতে আরো স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে তাকে। "আমার পাশের সিটটা খালি আছে।"
    ইনভার্স মডেলিং - সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    পরিণাম থেকে উলটো পথে হেঁটে কোনও সমস্যার মূল কারণ অনুসন্ধান করার তথ্য বিজ্ঞানের পরিভাষায় একটা গালভরা ইংরেজি নাম আছে – ইনভার্স মডেলিং। ডাক্তাররা যেমন লক্ষণ দেখে রোগ নির্ণয় করেন, অপরাধ শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরাও তেমনই সাক্ষী-সাবুদ, প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধ ও অপরাধী খোঁজার চেষ্টা করেন। ঝামেলা হল সীমিত প্রমাণের ভিত্তিতে গড়া ইনভার্স মডেল অনেক সময়ই
    রাম খিলাওন رام کھلاو - সাদাত হাসান মান্টো translated by শুভময় রায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    নোটবইটা বার করে জামাকাপড়ের হিসেব-নিকেশ শুরু করতেই ধোবিও হাসতে হাসতে কথা শুরু করল। ‘সায়েদ শালিম বালিষ্টার বহত আচ্ছা আদমি হোতা – ইহাঁ সে যাতা তো হম কো এক পাগড়ি, এক ধোতি, এক কাপড়া দেতা হোতা।...তোমার বেগম সাবও খুব ভালো মানুষ। বাইরে কোনও কাজে বেরিয়েছে বুঝি? তার দেশে গেছে? তাকে কাগজ লিখলে আমার সালাম জানিও। মোটর নিয়ে এসেছিল আমার খুপরিতে। আমার সে কী পেট খারাপ... ! ডাক্তার ছুঁচ ফুটিয়ে দিয়েছিল। একদম ভালো হয়ে
    এক অউর নারাহ্‌ ایک اور نعرہ - হাজরহ মসরুর translated by শুভময় রায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    ভিআইপি-দের জন্য সংরক্ষিত স্থানে যারা বসে, তারাও কেমন তেলেবেগুনে জ্বলছে! লোকে এমনভাবে তাদের মুঠো করা হাত হাওয়ায় ছুঁড়ছে যে যদি মাটিতে পাথর ভরা থাকত, তা হলে এতক্ষণে তিনপায়ায় বাঁধা দুরাশয়ের শরীরটা ভুসি হয়ে ময়দানে ছড়িয়ে যেত। তবে জনাব,
    মালগুঞ্জি - অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    আজ উত্তরপাড়া থেকে ফিরতে লাগলো পাক্কা সাড়ে তিন ঘন্টা। কাঁকুড়গাছির ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁকে টেবিলে বসিয়ে জোড়হাত করলাম। গান কী গেয়েছি জানি না, তিনি আমাকে কাটা ঘুড়ির মত খেলিয়ে নিয়েছেন আজকে। আইভরি ফিনিশের সাদা চাবিগুলো ঝকঝক করছে। মা কালীর দাঁতের মত।
    মেয়ে চব্বিশ, মা ছয় - যশোধরা রায়চৌধুরী
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    আবার মা গিরি শুরু করেছি। আচ্ছা করব না, বেশ৷ তা, দেখা যাচ্ছে, যে তোর আমার দুজনেরই খেলাধুলোর ব্যাপারটাও লেটে! ... দেরিতে সব কুঁড়িগুলো ফুটেছে আমাদের। শুরুতে অদ্ভুত ছিলাম আমরা, হা হা হা। ইস্কুলে আমাদের আরেকটা বিশাল ঝামেলার জিনিস ছিল। সেলাই ক্লাস। ওখানেও এক প্রবলেম। সূচ সুতো ধরা। বাঁ হাতে ধরতাম আর টিচাররা জোর করে
    হিম-আতঙ্ক - দেবাশিস দাস
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    এই ফ্রেশ বরফের ওপর হাঁটার অনেক বিপদ আছে। অনেক জায়গায় বরফের নীচে জল আছে, সেখানে পা ঢুকে গেলে বের করতে সময় লাগে। অনেক সময় কোমর পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারে। সাহেব তার দিকে আরও এগোতেই হঠাৎ বরফের নীচের একটা পাথরে হোঁচট খেলেন। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে সামলে নিতে গিয়ে
    রোহনের বন্ধুরা - অচিন্ত্য দাস
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    একপাল হাতি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। চলছে না, কিছুই করছে না, শুধু স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে। রোহনের বাবা অনেক দিন বনজঙ্গলে কাজ করছেন – উনি জানেন হাতিরা কখনো কখনো চলতে চলতে এক জায়গায় থেমে যায়। তারপর কতক্ষণ যে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে তার
    এই তো জীবন - অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    সাইকেল চালিয়ে সে একাই ফিরে এল মুইদিপুর ব্রিজের উপর। নিচে সেই গঙ্গানদী বয়ে যাচ্ছে। মেয়েটির মুখটা তার মনে পড়ে যাচ্ছে। মেয়েটির নামটাও খুব সুন্দর। রুপু হাঁসদা। কি সুন্দর বাড়ি তাদের। কি সুন্দর সেখানের আকাশ-বাতাস আর পরিবেশ। মুরগির বাচ্চারাও কম সুন্দর নয়। কি সুন্দর পায়ে পায়ে ঘোরে।
    দেড় ইঞ্চি উঁচুতে - নির্মল ভার্মা translated by ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    আপনাকে বলেছিলাম না নিজের চোখে কাউকে মরতে না দেখলে পুরোপুরি বিশ্বাস হয় না যে সে জীবিত নেই। একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায় যে সে ডাকলে সাড়া দেবে...আরে দেখুন তো, আমি একই কথা বারবার বলছি। বিয়ার খাওয়ার এইই মজা--আপনি একই বিষয়ের আশেপাশে চক্কর কাটেন-- রাউন্ড অ্যান্ড রাউন্ড।... আপনি চললেন বুঝি? একটু
    স্বয়ম্বরা মেঘ - উত্তম বিশ্বাস
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    খবর পেয়ে ছুটে এল দশ দেশের মানুষ। এল রুক্ষ চুল আর ভুখা পেটের কাণ্ডারী। ওদের মুখের দিকে তাকালে মনে হবে কতকাল হল এরা টাকার মুখ দেখেনি। অধিকাংশের চোখেমুখে এমন বিমূঢ় ছাপ যেন মনসার ভাসান দেখতে আসা দর্শক। ওদের মধ্যে কেউ কেউ হাঁ করে টাকা গোনার আজব মেশিনগুলো দেখল। কেউ মৃগী রুগীর মতো মোচড় দিয়ে বলে উঠল, “এত গাদা গুচ্চার সোনা কার আড়তে ছিল গো?
    তরির বন্ধু ঋত - অনন্যা দাশ
    সংখ্যা ৯৩ | গল্প | January 2024
    পরদিন সকালে উঠে তরি আর স্কুলে যাব না বলে কাঁদল না। বরং খুশি মনেই স্কুলে গেল। স্কুল থেকে ফিরে মাকে বলল, “জানো মা, আজ না স্কুলে একটা মজার ব্যাপার হয়েছে। ঋত যে পুল কার করে স্কুলে যায় তাতে আমাদের ক্লাসের একটা খুব দুষ্টু ছেলেও যায়। সে আজ সকালে গাড়িতে
    মহাকাশযাত্রীর খাতা - অচিন্ত্য দাস
    সংখ্যা ৯২ | গল্প | October 2023
    হঠাৎ দেখি আমার পেছনে এদের বিচিত্র ধরনের দুটো উড়ন্ত যান! বুঝলাম আমাকে তাড়া করেছে। কখন টের পেল রে বাবা! কী করি? এ গ্রহে জলরাশি যেমন আছে শিলারাশিও আছে। পাহাড়। ভীষণ দুর্গম আর উঁচু। এত উঁচু পাহাড় কোনো গ্রহতে দেখিনি। আমি কায়দা করে পাহাড়ের খাঁজে বাহন নিয়ে লুকিয়ে
    উপহার - রূপা মণ্ডল
    সংখ্যা ৯২ | গল্প | October 2023
    ক্যাটারিং-এর দু’জন লোক একটা বড় ডেকচি নিয়ে যেন ঘাড়ের উপর এসে পড়ে। আর ছিটকে সরে যেতে যেতে উল্টো দিকে যার সঙ্গে রজত ধাক্কা খেল সে তার সেই প্রিয় বন্ধু সঞ্জয়। সঞ্জয় দু'হাতে বুকে জড়িয়ে ধরল রজতকে। আনন্দের আতিশয্যে দুই বন্ধুর গলা বুঁজে
    রবিদা, রবিকবি ও রবিকর - অনিরুদ্ধ সেন
    সংখ্যা ৯২ | গল্প | October 2023
    বললাম, "আপনি তো সেই আমলের লোক, রোদ্দুর রায়কে চেনেন না। ইনি, ইয়ে, আপনার মতোই একজন প্যারোডিশিল্পী। অনেকে ভাঁড় বা ভাটও বলে থাকে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের এখানে সেখানে – মানে, ঐ অপশব্দ গুঁজে তিনি বিখ্যাত। আধুনিক প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে তাঁর ব্যাপক
    পৃথিবীর আলোয় প্রেম - বিশ্বদীপ সেনশর্মা
    সংখ্যা ৯২ | গল্প | October 2023
    মেয়েটি চমকে উঠে তাকাল। ছেলেটি চিন্তিত মুখে বলল, দ্যাখ, সেই আর্মস্ট্রং থেকে শুরু করে কতজন এসে গেছেন। অনেকে আর বেঁচে নেই। মেয়েটি বিরক্তমুখে বলল, বোর করিস না ঘোঁচু। তাঁরা ভূত হয়ে এখানে
    রূপকথার শেষে - চন্দ্রাবলী ধর
    সংখ্যা ৯২ | গল্প | October 2023
    রত্নলেখা লক্ষ্য করেছিলেন প্রথম দর্শনে তিরি উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠতে চেয়েছিল, সারি সন্তর্পণে তার হাত চেপে ধরে তাকে সংযত করেছে। ওদের জন্য আনা উপহারগুলো যখন যুবরানী ওদের দিলেন, তখন তিরি ভীত চোখে সারির দিকে তাকাল। সারি নিঃশব্দে উপহারের ডালিটি গ্রহণ করে বিনম্র
  • 12345678910 ... (81 to 120 of total 1286)
  • কীভাবে লেখা পাঠাবেন তা জানতে এখানে ক্লিক করুন | "পরবাস"-এ প্রকাশিত রচনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রচনাকারের/রচনাকারদের। "পরবাস"-এ বেরোনো কোনো লেখার মধ্যে দিয়ে যে মত প্রকাশ করা হয়েছে তা লেখকের/লেখকদের নিজস্ব। তজ্জনিত কোন ক্ষয়ক্ষতির জন্য "পরবাস"-এর প্রকাশক ও সম্পাদকরা দায়ী নন। | Email: parabaas@parabaas.com | Sign up for Parabaas updates | © 1997-2024 Parabaas Inc. All rights reserved. | About Us
কি ভাবে লেখা পাঠানো যাবে এবং লেখা প্রকাশ-সংক্রান্ত কয়েকটি নিয়ম
(১) লেখা, ছবি অপ্রকাশিত (এর মধ্যে আন্তর্জাল [পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক ইত্যাদিও ধরতে হবে]) ও মৌলিক হওয়া চাই।
(২) ই-মেইল ঠিকানাঃ parabaas@parabaas.com
(৩) লেখার মধ্যেই আপনার ই-মেইল ঠিকানা, সাধারণ ডাক-ঠিকানা, ফোন নম্বর দেবেন - তাহলে লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সুবিধা হয়।
(৪) কবিতা পাঠালে এক সঙ্গে অন্তত তিনটি কবিতা পাঠালে ভালো হয়।
(৫) ইউনিকোড হরফে এখন পরবাস প্রকাশিত হচ্ছে - সেই মাধ্যমে লেখা পেলে আমাদের সুবিধা হয়, কিন্তু অন্য মাধ্যমে, যথা "বাংলিশ", অন্য ফন্ট-এ, বা হাতে লেখা হলেও চলবে। সাধারণ ডাক-এ পাঠালে অবশ্যই কপি রেখে পাঠাবেন, কারণ লেখা/ছবি ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়।
(৬) 'পরবাস' বা 'ওয়েবশিল্প'-সংক্রান্ত পরামর্শ ও সহযোগিতাও আমাদের কাম্য।
(৭) পরবাসে প্রকাশিত লেখা আন্তর্জাল ও অন্য বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। পরবাসের পাতার লিংক দেয়া যাবে। পরবাসে প্রকাশের ১২০ দিন পরে অন্য কাগুজে মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে কিন্তু সেখানে পরবাসে পূর্ব-প্রকাশনের উল্লেখ রাখা বাঞ্ছনীয় এবং সঙ্গত।
(৮) লেখক এই নিয়মগুলি মান্য করছেন বলে গণ্য করা হবে। এর কোনোরকম পরিবর্তন চাইলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

সাধারণ ডাকযোগে লেখা, ছবি, বই ইত্যাদি পাঠানোর ঠিকানার জন্যে ই-মেইলে parabaas@parabaas.com অথবা ফোন-এ (+91)8609169717-এ যোগাযোগ করুন। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি সব লেখার লেখকদের উত্তর দেবার, কিন্তু অনেক সময় অনিবার্য কারণবশতঃ তা সম্ভব না হতেও পারে। সেই জন্য লেখা পাঠানোর ৬ মাসের মধ্যে উত্তর না পেলে ধরে নিতে হবে যে লেখাটি মনোনীত হয়নি। আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি আপনাদের সৃষ্টিশীল রচনা পাঠাতে, এবং সে-জন্য আগাম ধন্যবাদ।
Sign up for Parabaas Updates